নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা - ২: ইবনে সিনার কাব্য

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৩



বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা - ২

'বিজ্ঞানী' শব্দটি উচ্চারণ করলেই সবার চোখে ভেসে ওঠে গবেষণাগারে দাঁড়ানো সাদা এ্যাপ্রোন পড়া এক নিরাবেগ মানুষ। যার মাথায় গণিত আর অবোধ্য-জটিল কিছু ফর্মুলা ছাড়া আর কিছুই ঘোরাঘুরি না। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানীই ছিলেন অত্যন্ত আবেগময় মানুষ; যেমন ওমার খৈয়াম ছিলেন একাধারে কবি ও বিজ্ঞানী, উনার রচিত রুবাইয়াৎ আজ কয়েক শতাব্দী পরেও কাব্যপ্রেমীদের উদ্বেলিত করে। আলবার্ট আইনস্টাইন চমৎকার বেহালা বাজাতেন। রিচার্ড ফেইনমান বাজাতেন ড্রাম। মিখাইল লোমোনোসোভ ও এরভিন শ্রোডিঙ্গের (Erwin Schrödinger) দুজনই চমৎকার কবিতা লিখতেন। গত পর্বে এমন একজন আবেগপূর্ণ কবিমনা বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল-এর লেখা Wiill You Come Along With Me?. কবিতাটির অনুবাদ প্রকাশ করেছিলাম। আজ ইবনে সিনা-র লেখা কবিতার অনুবাদ উপস্থাপন করবো।

আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা (বুআলী সীনা, ৯৮০ - ১০৩৭) একটি অতি পরিচিত নাম। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইবনে সিনার নাম বিশ্বজোড়া। উনার রচিত অমর গ্রন্থ চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তীব (The Canon of Medicine (Al-Qanun fi't-Tibb)) কয়েক শতাব্দী যাবৎ ছিলো চিকিৎসাশাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও নির্ভরযোগ্য কিতাব; ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্তও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহে কিতাবটি পাঠ্য ছিল। তবে তিনি কেবলই চিকিৎসাবিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন পলিম্যাথ; চিকিৎসক ছাড়াও তিনি ছিলেন গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক। ইসলামী স্বর্ণযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত রচনায় উনার অবদান অপরিসীম। আরবিতে ইবন সীনাকে আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো এই অনন্যসাধারণ বিজ্ঞানী সাহিত্য চর্চাও করতেন। তিনি ছিলেন একজন পরম আবেগময় কবি

১।

আমার হৃদয় এমন এক মরুভূমি
যাকে বুঝতে ব্যার্থ হয়েছি আমি,
যদিও তা একটি ঘাসের পাতার মতই সরল,
তবুও হায় তা আমার বোধশক্তির পায়না নাগাল।

এবং যদিও আমার হৃদয়ের মাঝে,
হাজার সূর্য ঝলমল করে সাজে
তারপরেও আমি সেই সত্য বোঝার
কাছাকাছিও যেতে না পেরেছি শেষে,
নিষ্প্রাণ বালু থেকে কি উপায়ে আর
একটি প্রাণবন্ত শস্যদানা বেরিয়ে আসে!


My heart which in this desert land
Hath wondered far to understand,
Yet, ever so simple, a blade of grass,
Doth lie beyond its reach – alas.

And though within this heart of mine,
A thousands suns have come to shine
No closer am I to understand,
The truth within a grain of sand.

---------- Abu Ali ibn Sina (Avecinna (980-1037 AD)

২।

কৃষ্ণকায় পঙ্ক থেকে নভস্থিত জ্যোতিষ্ক পর্যন্ত
সব কথা ও কাজের রহস্য করেছি মিমাংসিত।
খুলেছি জট সকল গ্রন্থির, আমাদের চলার পথের,
কিন্তু না পেরেছি খুলতে জট তব মানব-অদৃষ্টের।

از قعر گل سیاه تا اوج زحل
کردم همه مشکلات گیتی را حل
بیرون جستم زقید هر مکر و حیل
هر بند گشاده شد مگر بند اجل

Up from Earth's Centre through the Seventh Gate,
I rose, and on the Throne of Saturn sate,
And many Knots unravel'd by the Road,
But not the Master-Knot of Human Fate.

৩।

বন্ধু বেশে শত্রু আমার ছিলো কাছাকাছি।
চাইনা আমি বিষ মাখানো মধুর মস্ত সাজি।
ছদ্মবেশি বন্ধু নামক অরি নাহি চাহি,
দূরে থাকি এমন কীটের ছোঁয়া নাহি সহি।

Мой друг с моим врагом сегодня рядом был.
Не нужен сахар мне, что смешан с ядом был!
С подобным другом впредь не должен я дружить:
Беги от мотылька, когда он с гадом был!


______________________________________________
The worthiest professor of physics would be one who could show the inadequacy of his text and diagrams in comparison to nature and the higher demands of the mind.
–Johann Wolfgang von Goethe

পদার্থবিজ্ঞানের সেই অধ্যাপকই সর্বত্তোম হতে পারবেন যিনি প্রকৃতি ও মনের উচ্চতর দাবী-র তুলনায় তার টেক্সট এবং ডায়াগ্রাম সমূহের অপ্রতুলতা দেখাতে সক্ষম হবেন।
- ইয়োহান উলফগ্যাং ভন গ্যাটে

(অনুবাদের দুর্বলতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। পাঠকদের গঠনমূলক সমালোচনা কামনা করছি)

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
১। Click This Link
২। Click This Link
৩। http://www.avicenna-sina.narod.ru/gazeli.html
৪। Click This Link
৫। Click This Link
৬। http://belog.jigaram.com/tag/poetry/

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন অনুবাদ।

স্যালুট টু ইউ।

১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভৃগু ভাই।

২| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৭

মুসাফির নামা বলেছেন: অনুবাদটাও দারুণ হইছে,আর যার কবিতা তার কথাতো বলার মতো যোগ্যতা আমার নাই।

১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুসাফির ভাই।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

ক্লাউড বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ। সাথে তথ্যগুলোও।

১৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ক্লাউড ভাই।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
দ্বিতীয় অংশটি কি খৈয়াম রচিত নয় ?!

১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু ভাই। প্রশ্নটি চমৎকার!
আমি একটি সাইটে পেলাম যে, ঐটি ওমার খৈয়াম রচিত বলে অনেকে ভুল করে, আসলে ঐটি ইবনে সিনা রচিত।
বিষয়টি আমার কাছে ইন্টারেস্টিং বলে মনে হলো। এই কারণেই আমি এই লেখায় ঐটি সংযোজিত করেছি। আমাদের আলোচনার মধ্য থকে সত্যটি বেরিয়ে আসবে হয়তো।

১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০১

রমিত বলেছেন: Almost half of Ibn Sīnā's works are versified.[83] His poems appear in both Arabic and Persian. As an example, Edward Granville Browne claims that the following Persian verses are incorrectly attributed to Omar Khayyám, and were originally written by Ibn Sīnā:[84]

از قعر گل سیاه تا اوج زحل
کردم همه مشکلات گیتی را حل
بیرون جستم زقید هر مکر و حیل
هر بند گشاده شد مگر بند اجل

Up from Earth's Centre through the Seventh Gate,
I rose, and on the Throne of Saturn sate,
And many Knots unravel'd by the Road,
But not the Master-Knot of Human Fate.

https://en.wikipedia.org/wiki/Avicenna#Poetry

৬| ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে রমিত। নোজ’হত আল-মাজলেশ সাহিত্য-সঙ্কলনটিতে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারি। আর এডওয়ার্ড গ্রাণবিলে যেহেতু ক্লেইম করেছেন তো অবশ্যই এর গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে।

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৪৯

রমিত বলেছেন: আমার কাছে নোজ’হত আল-মাজলেশ সাহিত্য-সঙ্কলনটি নেই। যাহোক আমি খুঁজে দেখবো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.