নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা – ৪: এরিস্টটলের কাব্য
'বিজ্ঞানী' শব্দটি উচ্চারণ করলেই সবার চোখে ভেসে ওঠে গবেষণাগারে দাঁড়ানো সাদা এ্যাপ্রোন পড়া এক নিরাবেগ মানুষ। যার মাথায় গণিত আর অবোধ্য-জটিল কিছু ফর্মুলা ছাড়া আর কিছুই ঘোরাঘুরি না। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানীই ছিলেন অত্যন্ত আবেগময় মানুষ; যেমন ওমার খৈয়াম ছিলেন একাধারে কবি ও বিজ্ঞানী, উনার রচিত রুবাইয়াৎ আজ কয়েক শতাব্দী পরেও কাব্যপ্রেমীদের উদ্বেলিত করে। আলবার্ট আইনস্টাইন চমৎকার বেহালা বাজাতেন। রিচার্ড ফেইনমান বাজাতেন ড্রাম। মিখাইল লোমোনোসোভ ও এরভিন শ্রোডিঙ্গের (Erwin Schrödinger) দুজনই চমৎকার কবিতা লিখতেন। গত পর্বগুলিতে উপস্থাপন করেছিলাম বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, ইবনে সিনা ও শ্রীজ্ঞান অতীশ দিপংকর-এর কবিতা। আজ উপস্থাপন করবো এরিস্টটলের লেখা কবিতা।
এরিস্টটল এমন একটি নাম যে, তাঁর সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নাই। দুঃসাহসী মানবজাতি জ্ঞানসাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলো অনেক আগেই। সেই দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের মধ্যে প্রথম দিকের একটি উজ্জ্বল নাম এরিস্টটল। মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের শিষ্য প্লেটো, প্লেটোর শিষ্য এরিস্টটল। দার্শনিক হিসাবে বহুল পরিচিত হলেও, তিনি ছিলেন একজন পলিম্যাথ; পদার্থবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান, মেটাফিজিক্স, যুক্তিশাস্ত্র, এথিক্স, নন্দনশাস্ত্র, সঙ্গীত, অলঙ্কারশাস্ত্র, ভাষাবিদ্যা, রাজনীতি, ইত্যাদি বহু বিষয়েই উনার অবদান রয়েছে। এই সবকিছুর পাশাপাশি তিনি কাব্যচর্চাও করতেন। আজ উনার রচিত Hymn to virtue কবিতাটির অনুবাদ উপস্থাপনা করবো।
সদগুণ
মূল: এরিস্টটল
অনুবাদ: রমিত আজাদ
সদগুণ, মানুষের জন্য তুমি অনেক যত্ন ও পরিশ্রমের;
তুমি জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, উত্তম আহরিত আকর!
তোমার কুমারী দেবীবৎ সৌন্দর্যের নিমিত্তে
আমাদের গ্রীসে মৃত্যুও গৌরবের,
অথবা দুরূহ ব্যাধির ব্যাথা সহ্য করা।
আমাদের আত্মার স্বস্তির জন্যে এ এক এমন তেজ!
তেজ অমর আনন্দের, সুবর্ণের চেয়েও দামী,
বংশবর্ধন-এর চাইতেও মহার্ঘ,
অথবা দামী ফুলেল-শয্যাবিশিষ্ট গৃহের চাইতেও!
তোমার জন্য দেবতুল্য
নির্ভীক হেরাক্লিস, এবং লেদা-র যমজ পুত্ররা,
সয়েছিলো কঠোর-প্রশিক্ষণ,
বিশ্বব্যাপি সুখ্যাতি লাভের নিমিত্তে:
তোমার প্রতি প্রবল স্পৃহায়
আয়াস ও একিলিস হাসিমুখে
প্রবেশ করেছিলো মৃত্যুগৃহে।
তোমাকে পাবার জন্যে আটারনিয়াস-এর বীরেরা
ত্যাগ করেছিলো মনোরম সূর্যালোক।
এইভাবে সে হয়ে উঠবে গাঁথার প্রসঙ্গ,
তাঁর সদগুণ ও তাঁর কর্মের পুরষ্কার,
এবং 'মুজ'-রা তাকে দান করবে প্রশংসা অমরত্ব,
স্মৃতির নয়জন জিউস-কন্যারা
তাদের পিতার স্তুতি-গীত গেয়ে,
তাঁকে দেবে পুরষ্কার অবিচল বন্ধুত্বের।
------------------------------
Translated into Bengali by Dr. Ramit Azad
Hymn to virtue
O virtue o great toil for humankind,
The fairest quarry in life,
For your shape maiden,
Even to die in an enviable fate in Greece
And to endure pains, consuming unrelenting;
Such is the fruit you cast into hearts,
Immortal-like better than gold,
Than breeding, than sleep with its soft beams.
For your shake even that godly
Heracles and the sons of Leda
Endured much in their exploits
On the track [?] of your power;
In longing for you Achilles and
Ajax entered the house of Hades;
For the sake of your dear shape, Aterneus’
Nursling left the rays of the sun bereft.
Hence he will be a subject of song Because of his exploits
And the Muses will grow him into immortality,
Those daughters of memory
Making grow reverence for Zeus,
God of guest-friends, and the rewards of steadfast
--------- Aristotle
------------------------
Hymn to virtue
Virtue, to men thou bringest care and toil;
Yet art thou life's best, fairest spoil!
O virgin goddess, for thy beauty's sake
To die is delicate in this our Greece,
Or to endure of pain the stern strong ache.
Such fruit for our soul's ease
Of joys undying, dearer far than gold
Or home or soft-eyed sleep, dost thou unfold!
It was for thee the seed of Zeus,
Stout Herakles, and Leda's twins, did choose
Strength-draining deeds, to spread abroad thy name:
Smit with the love of thee
Aias and Achilleus went smilingly
Down to Death's portal, crowned with deathless fame.
Now, since thou art so fair,
Leaving the lightsome air.
Atarneus' hero hath died gloriously.
Wherefore immortal praise shall be his guerdon:
His goodness and his deeds are made the burden
Of songs divine
Sung by Memory's daughters nine,
Hymning of hospitable Zeus the might
And friendship firm as fate in fate's despite.
Aristotle
______________________________________________
এই কবিতার আরেক নাম 'হারমিস-এর বন্দনা'। হারমিস ছিলেন এরিস্টটলের মৃত বন্ধু। এই কবিতার মধ্যে দিয়ে হারমিস অমরত্ব লাভ করেছেন। কবিতার প্রথম অংশটি হারিয়ে গেছে। তবে যে ৪৮ টি ভার্স টিকে আছে সেখানে ট্রয়ের যুদ্ধের উপমা নিয়ে আসা হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
1. http://www.poemhunter.com/poem/hymn-to-virtue/
2. Click This Link
3. Click This Link
4. Click This Link
5. Click This Link
২২ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
রমিত বলেছেন: জ্বী ভাই। তার উপরে এরিস্টটলের লেখা কবিতা। কিছুটা দুরুহ তো হবেই।
তবে কবিতাটি কিন্তু বিশ্ববিখ্যাত।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
শরণার্থী বলেছেন: কি বাবা! বেকতে কবিতা লিখত? তবে কবিতা সেরাম।
২৮ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
রমিত বলেছেন: না ভাইয়া সবাই কবিতা লিখতেন না। তবে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কেউ কেউ কবিতা লিখতেন।
এরিস্টটল তো মহাজ্ঞানী ছিলেন। ছিলেন একজন Polymath (বহুবিদ্যাজ্ঞ)। তিনি অনেক কিছুই লিখেছেন, তার মধ্যে কবিতাও আছে।
উপরের কবিতাটি একটি বিশ্ববিখ্যাত কবিতা।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: কবিতা কেন জানিনা খুব বেশি ভালোলাগেনা আমার!দুর্বোধ্য মনে হয়!