নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর পরিবারের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর পরিবারের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী
----------------------------------------- ড. রমিত আজাদ

নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর বংশধরদের সম্পর্কে ইতিপূর্বেও কয়েকবার লিখেছি এই ব্লগে। আজ নবাব সিরাজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রীর একটি ছবিব্লগ উপস্থাপন করছি।

সামগ্রীগুলো নবাব সিরাজউদ্দৌলার অষ্টম বংশধর জনাব সৈয়দ গোলাম মোস্তফা ও নবম বংশধর নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা-র সংগ্রহে রয়েছে।




নবাব সিরাজের পালিত একটি হরিণের অজিন



নবাব সিরাজের পালিত ঐ হরিণটির মাথা



পলাশীর ট্রাজেডীর পর ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদে বন্দী ছিলেন নবাবের প্রিয়তমা স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নিসা। বন্দীশালায় এই পেয়ালাটায় তিনি পানি পান করতেন।



নবাবের একমাত্র কন্যা উম্মে যোহরা এই প্রসাধন মর্টারটি ব্যবহার করতেন



এই সীল মোহরটি ব্যবহার করতেন বেগম লুৎফুন্নিসা



নবাব সিরাজের বংশধরেরা দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন। এই সংবাদ ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহর কর্ণগোচর করা হলে তিনি তদানিন্তন সরকারকে সুপারিশ করেন সিরাজউদ্দৌলার ষষ্ঠ বংশধর সৈয়দ জাকি রেজাকে একটি সম্মানজনক চাকুরী দেয়ার জন্য। চিঠিটির একটি অনুলিপি



সৈয়দ জাকি রেজাকে একটি সম্মানজনক চাকুরী দেয়ার জন্য আরো একটি সুপারিশপত্র



সিরাউদ্দৌলার সপ্তম বংশধর সৈয়দ গোলাম মুর্তজাকে দেয়া একটি সুপারিশপত্র




ঢাকার লেকসিটি কনকর্ড-এর এই ভবনটির একটি এ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন নবাব সিরাজের অষ্টম ও নবম বংশধর



নবাব সিরাজউদ্দৌলার নবম বংশধর নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা


নবাব সিরাজউদ্দৌলার অষ্টম ও নবম বংশধর-দের সাথে লেখক

নবাব সিরাজের বংশধরদের কালেকশনে খুব কমই আছে! ইংরেজরা নবাব সিরাজ-এর জীবনই শুধু কেড়ে নেয়নি, তার সকল স্মৃতি চিহ্নই মুঁছে দিতে চেয়েছিলো। ইংরেজরা নবাবের অনেক স্মৃতি চিহ্নই পুঁড়িয়ে ফেলেছে। নবাবের বিশ্বস্ত কিছু দেশপ্রেমিক কর্মচারী অনেক কষ্টে লুকিয়ে লুকিয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন সামান্য কিছু। পরবর্তিতে সেই কর্মচারীরা সেই সব স্মৃতি চিহ্ন নবাবের বংশধরদের হাতে তুলে দেন। তারপরেও অনেক কিছুই রয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। ১৯৪৭ সালে নবাব সিরাজের সপ্তম বংশধর সৈয়দ গোলাম মুর্তজা সেইগুলো মুর্শিদাবাদ থেকে পূর্ব বাংলায় আনতে গেলে তা আটকে দেয় ভারত সরকার। অতি সামান্য কিছু নিদর্শনই তিনি সাথে আনতে পেরেছিলেন। সেইগুলো পরম মমতায় আগলে রেখেছেন নবাব সিরাজের বংশধরেরা।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: যদিও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে আমার ধারনা ভালো না। তবুও ভালো লাগলো অন্তত তাদের কেউ না কেউ আজো বেঁচে আছে। শুনেছি ভারতে মির জাফরের বংশধররা বেশ শান শাওকাতে আছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধররা কেমন আছে ??

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রমিত বলেছেন: নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধররা অর্থনৈতিকভাবে খারাপ নেই, তবে কোন শান শওকতেও নেই। অষ্টম বংশধর জনাব সৈয়দ গোলাম মোস্তফা পিডিবি-র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। নবম বংশধর সৈয়দ গোলাম আব্বাস আরেব (ওরফে নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা) ঢাকার আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে লেখালেখি ও সাংবাদিকতা করছেন।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

বাংলালগ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো....
http://ronobd.org/2016/08/15/একটি-পরিপূর্ণ-web-site-হতে-পারে-আ/#comment-16

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

বাংলালগ বলেছেন: পোষ্টি পড়ে ও ছবি দেখে ভালো লাগলো..।
অনলাইন আয়

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নবাবের বংশধরদের চেহারায় বেশ আভিজাত্য আছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

রমিত বলেছেন: জ্বী, আমি আপনার সাথে একমত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।এমন পোস্ট বেশি বেশি আশা করি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

রমিত বলেছেন: জ্বী। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: উত্তরার লেকসিটি কনকর্ড কয়েকবার গেছি। আগে জানলে তো নবাবের পরিবারের সাথে দেখা করার একটা সুযোগ নিতাম। ভাল একটা তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

রমিত বলেছেন: সুযোগ হলে দেখা করে নিয়েন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একটি আনকমন পোস্ট।

ধন্যবাদ ডঃ রমিত আজাদ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো লাগলো তাদের বংশধর এই বাংলাদেশে থেকে গিয়েছে...

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

রমিত বলেছেন: জ্বী। তারা একসময় মুর্শিদাবাদে ছিলেন, ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন, সেই থেকে এখানেই আছেন।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পোষ্ট এ ভালোলাগা !

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ও দেখলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্টের জন্য।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: নবাব । নাম শুনলেই দীর্ঘশ্বাস ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

রমিত বলেছেন: জ্বী দীর্ঘশ্বাস । তবে শোক-কে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: নবাব বংশধরদের সাথে আপনার সখ্যতার বিষয়টা জেনেছিলাম অনেক আগেই ফেসবুক মারফত। কিন্তু তাদের কালেকশনে এত কিছু ছিল জানতাম না। ভাল লাগল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

রমিত বলেছেন: সারথি ভাই। তাঁদের কালেকশনে খুব কমই আছে। ইংরেজরা নবাব সিরাজ-এর জীবনই শুধু কেড়ে নেয়নি, তার সকল স্মৃতি চিহ্নই মুঁছে দিতে চেয়েছিলো। ইংরেজরা নবাবের অনেক স্মৃতি চিহ্নই পুঁড়িয়ে ফেলেছে। নবাবের বিশ্বস্ত কিছু দেশপ্রেমিক কর্মচারী অনেক কষ্টে লুকিয়ে লুকিয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন সামান্য কিছু। পরবর্তিতে সেই কর্মচারীরা সেই সব স্মৃতি চিহ্ন নবাবের বংশধরদের হাতে তুলে দেন। তারপরেও অনেক কিছুই রয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। ১৯৪৭ সালে নবাব সিরাজের সপ্তম বংশধর সৈয়দ গোলাম মুর্তজা সেইগুলো মুর্শিদাবাদ থেকে পূর্ব বাংলায় আনতে গেলে তা আটকে দেয় ভারত সরকার। অতি সামান্য কিছু নিদর্শনই তিনি সাথে আনতে পেরেছিলেন। সেইগুলো পরম মমতায় আগলে রেখেছেন নবাব সিরাজের বংশধরেরা।

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইতিহাস যখন হঠাৎ ছেটে ফেলা হয়
যখন শাখা হয়ে উঠৈ বৃক্ষনাম
যখন আত্মবিস্মৃতি হয় যোগ্যতা
যখন শেকড়ের চেয়ে আগাছ দামী
যখন বৃত্ত ছোট হতে হতে বিন্দু হারিয়ে যায়

তখন বিলাপের আহাজারিও বিলাপ হয়ে রয়!

পতিত যখন প্রতারণায় প্রভাবক
অতীত তখন মূল্যহীনই বটে ;)

দারুন বিষয় এবং দুর্লভ সংগ্রহ পোষ্টে অভিভাদন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

রমিত বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা!
খুব সুন্দর মন্তব্য!
ভালো থাকবেন ভৃগু ভাই।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: পোস্ট শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় রমিত ভাই ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

রমিত বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই চমৎকার পোস্ট! নবাবের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এই জিনিস গুলো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ রমিত ভাই!

শুভ কামনা!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

রমিত বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সুযোগ করে একদিন তাদের সাথে দেখা করব! :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৩

রমিত বলেছেন: জ্বী, অবশ্যই সুযোগ করে দেব। আমার ই-মেইল [email protected]
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.