নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
দিল্লী কা লাড্ডু - পর্ব ৭
--------------------------- রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
চুম্বনের আরেক নাম Poison Bite! এ এক বিষ দংশন। একবার এই দংশন কারো জীবনে ঘটলে সেই বিষক্রিয়ার অস্থিরতা সারা জীবনেও কাটে না। হাসানের জীবনেও এই বিষ দংশন এসেছিলো। তবে আশ্চর্য্য বিষয় হলো, হাসানের জীবনের প্রথম চুম্বনের স্মরণ হাসানের স্মৃতিতে ম্লান না হলেও, সেই ইভেন্ট তাকে আলোড়িত করে না। হাসান একবার সুন্দরবনের খাঁটি মধু খেয়েছিলো, সেই স্বাদ ও সৌরভ হাসানের ঠোঁটে আজও লেগে আছে, অথচ তার আগেও বহুবার হাসান মধু খেয়েছে, এবং পরেও খেয়েছে, সেগুলির কোনটাই তার মনে গাঁথেনি। এমনিভাবে, হাসানকে আলোড়িত করে, তার জীবনের দ্বিতীয় চুম্বন! আর এই দ্বিতীয় চুম্বন-টি ছিলো আনিতার সাথে! আজ হঠাৎ ভোরের স্বপ্নে সেই চুম্বন দেখলো হাসান, এতগুলো বছর পর। একটা অস্থিরতা নিয়ে জেগে, হোটেলের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলো, শাহজাহানাবাদ বা দিল্লীর ভোর! দিল্লী যার পৌরাণিক নাম 'খান্ডবপ্রস্থ', পান্ডবদের রাজধানী! এখানেই হয়তো মেলা বসেছিলো সে যুগের দ্রৌপদীদের! খান্ডবপ্রস্থ, দ্রৌপদী, আনিতা, চুম্বন সব মিলিয়ে আধো ঘুম কল্পনা-স্বপ্নে-জড়ানো অস্থির মন হাসানের সেই কবিতাটি মনে পড়লো,
সেই অধরে অধর ছোঁয়াই ছিলো বিষ দংশন!
যে বিষ আজো ছড়িয়ে আছে শিরায় শিরায়।
ধমনীর নদীগুলো বেয়ে, ধেয়ে যায় স্রোত
আঘাত করে কুন্ঠিত হৃদয়ের মোহনায়!!!
বিষাক্ত লাল-নীল ঢেউ হৃদয়ের সাগরে দোলে!
প্রলয়ংকারী ঝড় তোলে জলোচ্ছাস!
নিদ্রার সাথে কেড়ে নেয় স্থিরতা,
অস্থির হয় মন,
অস্থির হয় মন,
অস্থির হয় মন।
তারপর হাসান বুঝতে পারলো এটা অতি ভোর নয়! আসলে আজ সকালটা একটু দেরীতেই শুরু হলো। গতকালের ধকলে খুব টায়ার্ড ছিলো হাসান। কোলকাতা দিল্লী লম্বা জার্নি! সময়ের হিসাবে হয়তো তেমন লম্বা না, সন্ধ্যার আগে আগে ছেড়েছিলো দ্রুতগামী ট্রেন দুরন্ত। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছেড়ে কোলকাতা পার হতে হতেই সন্ধ্যা নেমে যায়। কোলকাতা ছাড়ার আগে আগে ট্রেন থেকে একটা জাঁকালো মন্দির দেখতে পেলো হাসান। অন্ধকারে তার আলোকসজ্জ্বা চোখে পড়ার মত। সহযাত্রী এক বৃদ্ধকে প্রশ্ন করেছিলো হাসান, "এটা কোন মন্দির?" উত্তরে তিনি বললেন, "দক্ষিণেশ্বর"। কলকাতার অদূরে হুগলি নদীর তীরে মন্দিরটি। হাসানের মনে হলো যে, এই মন্দির কালচার পশ্চিমবাংলায় বেশ ভালোভাবেই প্রোথিত, যদিও সেখানে কম্যুনিস্টরা শাসন করেছে অনেকগুলো বছর। বৃদ্ধ সহযাত্রী-র মধ্যেও একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় লক্ষ্য করলো হাসান। ভদ্রলোক ত্রুটিহীন চোস্ত বাংলা বলছেন, কিন্তু তার জীবনসঙ্গিনী কথা বলছেন হিন্দিতে। আর বৃদ্ধও তার স্ত্রীর সাথে হিন্দিতেই মনের ভাব প্রকাশ করছেন। চলন্ত ট্রেনে হাসান মিক্সড ম্যারেজের এমন অনেকগুলো যুগল-ই দেখতে পেয়েছিলো। ভারতে এটা খুব সম্ভবত ওয়াইডলি এক্সপ্রেডেড। তবে হাসানের মনে হলো কাপল-গুলো ভিন্ন ভিন্ন এথনিসিটির হলেও, ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের নয়! এটা কি দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রাকটিকাল এপ্লিকেশন?
হাতমুখ ধুয়ে রেডী হয়ে নীচে নামলো হাসান। হোটেলের লবিতে এসে দেখলো যে, সেখানে সুশান্ত আছে। এ ছাড়া আরো একজনকে দেখা গেলো। হাসান সুশান্ত-কে প্রশ্ন করলো, "ও কে? ইয়ে কৌন?"
সুশান্ত: ইয়ে ভি ম্যানেজার হ্যায়।
হাসান: কেয়া নাম হ্যায় উসকা?
সুশান্ত: রাজ্জাক।
এবার তরুনটি নিজেই উত্তর দিলো। "আবদুর রাজ্জাক"
হাসান: ও কি উড়িয়া?
সুশান্ত: না, ও বাঙালী।
হাসান: তুমি বাঙালী নাকি?
রাজ্জাক: হাঁ।
হাসান: বাড়ী কোথায়?
রাজ্জাক: জলপাইগুড়ি।
হাসান: ও। তুমি মুসলমান?
রাজ্জাক: আগার নাম মুসলমান হ্যায়, তো মুসলমান-ই হোগা।
হাসান সুশান্ত-কে বললো, "এখানে ডলার ভাঙানো যায় কোথায়?" এই ডলার ভাঙানো নিয়ে কোলকাতায় একটা বিটকেলে অভিজ্ঞতা হয়েছিলো হাসানের, তাই এবার সে সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলো। কোলকাতা এয়ারপোর্টে নেমে হাসান দেখলো এয়ারপোর্টের ভিতরেই মানি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। তারা সবাইকে ইনভাইট করলো, "কেউ চাইলে ডলার ভাঙিয়ে নিতে পারেন, কেউ চাইলে ডলার ভাঙিয়ে নিতে পারেন,।" হাসান লক্ষ্য করলো যে, কোন যাত্রীই ভ্রুক্ষেপ করছে না। হাসান ভাবলো, বাইরে দাম বেশী, এখানে ভাঙালে দু'এক টাকা কম পাবে, তাই হয়তো কেউ ডলার ভাঙাতে চাইছে না। তারপর হাসান ভাবলো, কি আর দু'এক টাকার জন্য। এখানেই ভাঙিয়ে নেই একশত ডলার, পরে তো কাজেই লাগবে। তারপর মানি এক্সচেঞ্জ-এর দিকে এগিয়ে গিয়ে হাসান প্রশ্ন করলো, "আপনাদের রেট এত টাকা?" একজন উত্তর দিলো, "জ্বী, জ্বী।" হাসান একশত ডলার এগিয়ে দিলো। হঠাৎ কি যে হলো হাসানের ভাবলো, আরো একশত ডলার ভাঙাই, লাগবেই তো। হাসান টোটাল দুইশত ডলার এগিয়ে দিলো। তারা ক্যালকুলেটরে হিসাব করে বিনিময়ী রুপী হাসানের হাতে দিলো। সাথে একটি প্রমাণ স্টেটমেন্টও দিলো। হাসান নিজে হিসাব করে দেখলো, টাকা হিসাবের চাইতে কম হয়। আরেকবার হাসান হিসাব করলো, নাহ্, এবারও কমই পাচ্ছে। এবার হাসান প্রশ্ন করলো, "টাকা তো হিসাবের চাইতে কম হচ্ছে?" একজন উত্তর দিলো, "কাগজে দেখুন দাদা, ট্যাক্স রয়েছে।" হাসান হাতের কাগজটির দিকে তাকালো, ট্যাক্স-এর পরিমান দেখে হাসানের তো চোখ কপালে! প্রতি একশত ডলারে প্রায় হাজার রুপী করে ট্যাক্স কাটা। ডলার এক্সচেঞ্জ করতে গিয়ে এত বিশাল অংকের ট্যাক্স কাটা হাসান আর কোন দেশে দেখেনি (সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়া)। হাসানের বিস্মিত রূপ দেখে মানি এক্সচেঞ্জের এক কর্মী বললো, "ও কিছুনা দাদা, বাইরে চেঞ্জ করলে আরো বেশী টাকা কাটতো।" এই কথা হাসানকে সাময়িক স্বান্তনা দিলেও, পরে বাইরে ডলার ভাঙিয়ে হাসান দেখেছিলো যে, ঐ লোকের কথা মিথ্যে ছিলো। তাই দিল্লীতে হাসান সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলো।
হাসান: সুশান্ত, ডলার কোথায় চেঞ্জ করা যায়?
সুশান্ত: ইহাপে। এখানেই চেঞ্জ করা যাবে।
হাসান: তোমরা কিনবে?
সুশান্ত: হাঁ।
হাসান: ওকে রেট কত?
সুশান্ত: এক্স টাকা।
হাসান: কি বলো? কোলকাতায় তো আরো বেশী।
সুশান্ত: কোলকাত্তামে হোগা। ইহাপে নেহি।
হাসান: ঠিকআছে আমাকে আর এক রূপী করে বেশী দাও।
সুশান্ত: ঠিক হ্যায়। রাজ্জাক, চেইঞ্জ করো।
হাসান মনে মনে খুশী হলো। যাহোক কিছু বেশী পাওয়া যাবে। বিদেশ-বিভুঁয়ে হিসেব করে টাকা-পয়সা খরচ করা উচিৎ; সে টাকা-পয়সা থাকলেও।
কিন্তু রাজ্জাক বেঁকে বসলো।
রাজ্জাক: নেহি। বেসি নেহি হোগা।
এবার মেজাজ গরম হয়ে গেলো হাসানের।
হাসান: ঠিক আছে। নাও একশত ডলার চেইঞ্জ করো।
টাকা হাতে পাওয়ার পর। রাজ্জাকের উপর ঝাল মিটাতে ইচ্ছে হলো হাসানের।
হাসান: তুমি জলপাইগুড়ির বাঙালী, তো বাংলা এত কম বলো কেন? তোমার চাইতে সুশান্ত-ই তো ভালো বাংলা বলে!
রাজ্জাক কিছুটা কাঁচুমাচু হয়ে গেলো।
রাজ্জাক: কেয়া করুঙ্গা? বাঙ্গালী তো জরুর হ্যাঁয়, লেকিন বাচপানসে দিল্লীমে হ্যায়, ইসি লিয়ে হিন্দি আচ্ছা আতা হ্যায়।
যাহোক ডলার পকেটে নিয়ে হোটেলের বাইরে বেরিয়ে পড়লো হাসান।
হোটেলের দরজার মুখোমুখী দশ/পনেরো মিটার লেংথের একটা ছোট গলি দিয়ে হেটে সামনে গেলে চার লেনের একটা সড়ক। সেখানে গিয়ে চারপাশে তাকিয়ে ঢাকার মোহম্মদপুরের একটা সড়কের কথা মনে পড়লো হাসানের। অবিকল ঐ সড়কটির মত। পরিচ্ছন্নতাও নাই কোন সড়কটির। এদিকে-সেদিকে ময়লা পড়ে আছে। উল্টা দিকে একটা স্কুলের গেট দেখা গেলো। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, নাম রামজাস স্কুল। স্কুলের গেটের সামনে হিউজ ময়লা পড়ে আছে। ঢাকার মতই অবস্থা, ডাস্টবিন খালি রেখে সবাই তার আশেপাশে ময়লা ফেলে। একপাশে দেয়ালে দেখলো একটা নোটিশ টাঙানো, 'V K Coaching Classes for Sanskrit, for class 6 to 12' অবিকল বাংলাদেশী স্টাইলে ছাপানো ও লেখা! রাস্তার একপাশে দাঁড়ালে সিএনজি স্কুটার পাওয়া যায়। রাস্তায় পার্কিং-এর অবস্থাও ঢাকার মত, এলোমেলো বিক্ষিপ্ত। হাসানের খুব ক্ষুধা লেগেছিলো। ভাবলো আগে নাস্তা খাওয়া যাক, তারপর এ্যাম্বেসীতে যাবে। অনেকদিন ম্যাগডোনাল্ডেসে খাওয়া হয় না। ঢাকায় কোন ম্যাগডোনাল্ডস নাই। সিটি সেন্টারে ম্যাগডোনাল্ডস আছে, হাসান ঐদিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
নীচের অর্ধেক সবুজ রঙ, আর উপরের প্লাস্টিক কাভারটি হলুদ রঙ, দিল্লীর সিএনজি স্কুটারগুলো ঐ রকম। চালকরা ইউনিফর্ম পড়ে। কোন দরজা নেই। তবে অটোরিকশার একপাশ রডঝালাই করে বন্ধ করে দেয়া যাতে স্কুটারের ডানপাশ দিয়ে কেউ নামতে না পারে। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো সহজ হয়। একপাশে দাঁড়ানো একটি অটোরিকশাওয়ালার সাথে সামান্য দরকষাকষির পর, তাতে উঠে গেলো হাসান। হাসান লক্ষ্য করেছে যে, অটোরিকশায় মিটার থাকলেও দরকষাকষি চলে। পাহাড়গঞ্জের চিত্রগুপ্ত রোড দিয়ে সিটি সেন্টেরের দিকে এগিয়ে চললো হাসানের বাহন।
একটা মোড়ে জ্যামে কিছুক্ষণ আটকে রইলো তার অটোরিকশা। এসময় পুরনো ময়লা কাপড় পড়া নয়/দশ বছরের একটি বালিকা এগিয়ে এলো ফুল বিক্রি করতে। তারপর একটি হিজরা এগিয়ে এলো মুফতে টাকা চাইতে। এরপর এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক এসে হাত বাড়ালো। এইসব দৃশ্য ঢাকার চাইতে একদমই পৃথক নয়। যেতে যেতে ছাইপাশ ভাবতে শুরু করলো হাসান। এই সেই রাজকীয় দিল্লী। এখানেই তো একদিন জমকালো ছিলো মোগল সম্রাটের শাসনব্যবস্থা! শাসক-প্রজা সন্তুস্টি-অসন্তোষের টানাপোড়ন, ইত্যাদি। এখন পর্যন্ত যতদূর দেখেছে তাতে স্বতন্ত্র একটি মানুষের সব চাইতে বেশী প্রয়োজন হলো 'সামাজিক নিরাপত্তা'। 'রাজতন্ত্র' নামক শাসনব্যবস্থা দেশের নাগরিকদের 'সামাজিক নিরাপত্তা' নিশ্চিত করতে পারতো না/চাইতো না। সেখানে সবকিছুই ছিলো এক পরিবারকেন্দ্রিক! তাই রাজতন্ত্রকে হটিয়ে আধুনিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। উদ্দেশ্য - দেশের জনগণ যেন তাদের পছন্দমাফিক সরকার নির্বাচিত করতে পারে। যেই সরকার জনগণের 'সামাজিক নিরাপত্তা' নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে হয়, এমন দলকেই জনগণ নির্বাচিত করতে চায়। তাই আধুনিক যুগে কোন দেশে গণতন্ত্র-কে অবরুদ্ধ করা হলে ঐ দেশের জনগণের আত্মাকেই অবরুদ্ধ করা হয়।
হাসানের চোখ পড়লো পথের পাশে অপেক্ষারত এক তরুনীর দিকে। ইউরোপীয় পোষাক পড়া তরুণীটি অষ্টাদশী হতে পারে। একটু পরে মোটরসাইকেলে চড়ে তার প্রেমিক এসে থামলো। প্রকাশ্য চুম্বন করলো তরুণীটির গন্ডদেশে, তারপর মোটরসাইকেলে তাকে তুলে নিয়ে তীব্র বেগে ছুটলো। প্রকাশ্য চুম্বনের রীতি তাহলে রয়েছে দিল্লীতে! ভারতীয় এই তরুনীটির সাথে আনিতার মিল আছে কিনা তা আর খুঁজতে গেলোনা হাসান। তবে, আনিতার সাথে তার শেষ চুম্বনটি মনে পড়লো হাসানের।
শেষ চুম্বন, শেষ চুম্বন, সেই তো ছিলো শুরু,
যন্ত্রণা আর অস্থিরতার পুষ্প হলো তরু!
ফুলশয্যা দূর প্রবাসে অধর ছোঁয়ায় লেখা,
পরদেশী এক শ্যামাঙ্গীনীর বুকের ব্যাথায় আঁকা।
(চলবে)
-----------------------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: বিকাল ৪টা ৫২মিনিট
নশ্বর বিশ্বে অবিনশ্বর
--------------- রমিত আজাদ
তোমাকে ভুলে যাইনি,
ভোলা সম্ভবও না।
তুমিও ভুলে যাওনি,
সেটাও সম্ভব না।
শুধু দু'জনাই ভান করছি ভুলে যাওয়ার।
স্মৃতিপথ শুধু ডাকেই না, টানেও।
ঐ পথে হেটে দেখো,
সিনেমার ফ্লাশব্যাকের মত
প্রতিটি দৃশ্যায়ন চিনতে পারবে।
মর্মভেদী ঐ উপাখ্যানের
প্রতিটি আলোকচিত্রই কালজয়ী!
আমি প্রেমিক ছিলাম কি বণিক ছিলাম,
সে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে জানি!
তবে জেনো রেখো,
'দ্বৈততা প্রকৃতির সহজাত!'
কে কাকে বলবো ফিরে যেতে?
যে তরঙ্গ একবার ইথারে ছড়ায়
তাকে আর বিনষ্ট করা যায় না।
নশ্বর এই মহাবিশ্বে,
কেবল অনুরাগ-ই অবিনশ্বর!
লৌকিক এই ধরালোকে,
শুধু প্রেমটাই অলৌকিক!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
রমিত বলেছেন: সমস্যা ধরেন, এবং বলেন।
লিখে ঘটনা সাজাতে সুবিধা হবে।
ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: রমিত, তোমার লেখায় একটা মাদকতা আছে.... চমৎকার!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
সালাম।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
আনমোনা বলেছেন: দিল্লীর লাড্ডুর লোভে পড়ে যাচ্ছি, এখনও দেখা পেলামনা। শেষ পর্যন্ত অনিতা কি দিল্লীকা লাড্ডুই থাকবে?
আপনার আরেকটা গুন, গল্পের মধ্য দিয়ে কবিতা পড়িয়ে নিলেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
রমিত বলেছেন: আনিতা না থাকলেও সুনিতা তো আছে!!!
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
ঊণকৌটী বলেছেন: আপনার লেখাটি ভালোই হচ্চে,বিশেষ করে আপনার কবিতা গুলি,কিছু কিছু বিষয়ে আপনার
Idea সঠিক যেটা ট্রেন ভ্রমণ কথা বলছেন কিন্ত খুব সংক্ষেপে, রাজীব ভাই বলেছেন ছবি গুলির কথা আসলে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হয় ।আর ওল্ড দিল্লী হচ্চে domastic area সেইখানে public থাকছেন ঘিঞ্চি area হৈ হলর্ড় মস্তি হোটেল খাবার ছোট বাবস্য নিয়ে এই এলাকা।কম টাকাই থাকতে পারে সবাই,সারা ভারত এর মানুষ কে এইখানে পাবেন । নিউ দিল্লী cosmopolition city এইখানে সাধারণ পাবলিক থাকেনা সেন্ট্রাল govermemt এর সব দপ্তর ,দূতাবাস আপনার লেখাটি ভালোই হচ্চে,বিশেষ করে আপনার কবিতা গুলি,কিছু কিছু বিষয়ে আপনার
Idea সঠিক যেটা ট্রেন ভ্রমণ কথা বলছেন কিন্ত খুব সংক্ষেপে, রাজীব ভাই বলেছেন ছবি গুলির কথা আসলে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হয় ।আর ওল্ড দিল্লী হচ্চে domastic area সেইখানে public থাকছেন ঘিঞ্চি area হৈ হলর্ড় মস্তি হোটেল খাবার ছোট বাবস্য নিয়ে এই এলাকাল।কম টাকাই থাকতে পারে সবাই,সারা ভারত এর মানুষ কে এইখানে পাবেন । নিউ দিল্লী cosmopolition city এইখানে সাধারণ পাবলিক থাকেনা সেন্ট্রাল govermemt এর সব দপ্তর ,দূতাবাস luxery hotels vip রা থাকেন । Coroprate হাউস গুলি সব নয়ডা তে চলে গেছেআপনার লেখাটি ভালোই হচ্চে,বিশেষ করে আপনার কবিতা গুলি,কিছু কিছু বিষয়ে আপনার
Idea সঠিক যেটা ট্রেন ভ্রমণ কথা বলছেন কিন্ত খুব সংক্ষেপে, রাজীব ভাই বলেছেন ছবি গুলির কথা আসলে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হয় ।আর ওল্ড দিল্লী হচ্চে domastic area সেইখানে public থাকছেন ঘিঞ্চি area হৈ হলর্ড় মস্তি হোটেল খাবার ছোট বাবস্য নিয়ে এই এলাকা।কম টাকাই থাকতে পারে সবাই,সারা ভারত এর মানুষ কে এইখানে পাবেন । নিউ দিল্লী cosmopolition city এইখানে সারা পৃথিবীর মানুষ কে পাবেন, সাধারণ পাবলিক থাকেনা প্রেসিডেনট হাউস সেন্ট্রাল govermemt এর সব দপ্তর ,দূতাবাস luxery hotels vip রা থাকেন । Coroprate হাউস গুলি সব নয়ডা তে চলে গেছে।আসলে এই যে একটা কথা বলেনা দিল্লী দূর হস্ত ।সুন্দর চলছে আর একটু বেশী datils ই চাই দাদাভাই আপনার থেকে আরো প্রাণবন্ত লেখা আশা করি দাদা,ধন্যবাদ
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৫
ঊণকৌটী বলেছেন: আপনার লেখাটি ভালোই হচ্চে,বিশেষ করে আপনার কবিতা গুলি,কিছু কিছু বিষয়ে আপনার
Idea সঠিক যেটা ট্রেন ভ্রমণ কথা বলছেন কিন্ত খুব সংক্ষেপে, রাজীব ভাই বলেছেন ছবি গুলির কথা আসলে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হয় ।আর ওল্ড দিল্লী হচ্চে domastic area সেইখানে public থাকছেন ঘিঞ্চি area হৈ হলর্ড় মস্তি হোটেল খাবার ছোট বাবস্য নিয়ে এই এলাকা।কম টাকাই থাকতে পারে সবাই,সারা ভারত এর মানুষ কে এইখানে পাবেন । নিউ দিল্লী cosmopolition city এইখানে সাধারণ পাবলিক থাকেনা সেন্ট্রাল govermemt এর সব দপ্তর ,দূতাবাস আপনার লেখাটি ভালোই হচ্চে,বিশেষ করে আপনার কবিতা গুলি,কিছু কিছু বিষয়ে আপনার
Idea সঠিক যেটা ট্রেন ভ্রমণ কথা বলছেন কিন্ত খুব সংক্ষেপে, রাজীব ভাই বলেছেন ছবি গুলির কথা আসলে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হয় ।আর ওল্ড দিল্লী হচ্চে domastic area সেইখানে public থাকছেন ঘিঞ্চি area হৈ হলর্ড় মস্তি হোটেল খাবার ছোট বাবস্য নিয়ে এই এলাকাল।কম টাকাই থাকতে পারে সবাই,সারা ভারত এর মানুষ কে এইখানে পাবেন । নিউ দিল্লী cosmopolition city এইখানে সাধারণ পাবলিক থাকেনা সেন্ট্রাল govermemt এর সব দপ্তর ,দূতাবাস luxery hotels vip রা থাকেন । Coroprate হাউস গুলি সব নয়ডা তে চলে গেছেআপনার লেখাটি ভালোই হচ্চে,বিশেষ করে আপনার কবিতা গুলি,কিছু কিছু বিষয়ে আপনার
Idea সঠিক যেটা ট্রেন ভ্রমণ কথা বলছেন কিন্ত খুব সংক্ষেপে, রাজীব ভাই বলেছেন ছবি গুলির কথা আসলে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হয় ।আর ওল্ড দিল্লী হচ্চে domastic area সেইখানে public থাকছেন ঘিঞ্চি area হৈ হলর্ড় মস্তি হোটেল খাবার ছোট বাবস্য নিয়ে এই এলাকা।কম টাকাই থাকতে পারে সবাই,সারা ভারত এর মানুষ কে এইখানে পাবেন । নিউ দিল্লী cosmopolition city এইখানে সারা পৃথিবীর মানুষ কে পাবেন, সাধারণ পাবলিক থাকেনা প্রেসিডেনট হাউস সেন্ট্রাল govermemt এর সব দপ্তর ,দূতাবাস luxery hotels vip রা থাকেন । Coroprate হাউস গুলি সব নয়ডা তে চলে গেছে।আসলে এই যে একটা কথা বলেনা দিল্লী দূর হস্ত ।সুন্দর চলছে আর একটু বেশী datils ই চাই দাদাভাই আপনার থেকে আরো প্রাণবন্ত লেখা আশা করি দাদা,ধন্যবাদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
রমিত বলেছেন: হু! আপনার মন্তব্য এলোমেলো হচ্ছে! বোঝা যাচ্ছে যে, আপনি নতুন।
এটা আসলে গল্প, ভ্রমণ কাহিনী নয়। তাই ঐভাবে ডিটেইল দে্যার সুযোগ কম।
এখানে যা দেখানো হয়েছে তা হলো একজন বাংলাদেশীর স্বল্প কয়েকদিন দিল্লী ভিজিট-এর কাহিনী। তাই ঐ দৃষ্টিকোন থেকেই গল্পটি লেখা।
নয়ডা দিল্লীর স্যাটেলাইট সিটি। নয়ডা যাওয়া হয়নি তাই দেখাও হয়নি।
সুন্দর ও বিস্তারিত কমেন্ট-এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
রমিত বলেছেন: ছবিগুলোও আসলে এক দৃষ্টিকোন থেকে দেয়া। গল্পের খাতিরে দেয়া।
আমি নিজের হাতে দিল্লীর অনেক ছবি তুলেছি। পরবর্তিতে কোন একটি ছবি ব্লগে দেয়ার চেষ্টা করবো।
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
ঊণকৌটী বলেছেন: Sorry আমি একদম নতুন লেখা গুলি delate কি করে করব ।রমিত ভাই লেখা ডাবল চলে আসছে দযা করে একটা ডিলিট করে দেন প্লিজ।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চুম্বনে চুম্বনে মধুময় হল এ পর্ব
হুম এ এমন এক হলাহল
খেলেও মরণ না খেলেও মরণ
তবে সব চুম্বন চুম্বন নয়!
কিছু কিছু স্মৃতি অবিনশ্বর হয়ে রয়
+++
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
রমিত বলেছেন: জ্বী।
একজন পাঠক লিখেছিলেন যে, 'দিল্লী-কা লাড্ডু' খেয়ে পস্তানোই ভালো!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২১
ইমরান আশফাক বলেছেন: গল্প হলেও এর মধ্যে ভ্রমন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস আপনি দিচ্ছেন যেটা কাজে আসবে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪
রমিত বলেছেন: জ্বী, ওভাবেই লেখার চেষ্টা করেছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইন্দ্রপ্রস্থ দিল্লির পুরানো নাম। মহাভারতে কৃষ্ণার্জুন কর্তৃক যে বনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তার নাম খাণ্ডব । যা থেকে দাহন কথাটি এসেছে। যদিও এই খাণ্ডবদাহনের পিছনে একটা মজার পৌরাণিক গল্প আছে। এক রাজা শেষ 12 বছর একটানা ঘি খেয়ে অসম্ভব খিদে বৃদ্ধি পায়। ফলে কোন কিছু খেলেও তার খিদে কিছুতেই মিটছিলো না । এমতাবস্থায় দেবতার অধ্যাধেশ অনুযায়ী তিনি খান্ডব ভক্ষনের অনুমতি পান, যার জন্যই দহন করতে হয়েছিল।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
রমিত বলেছেন: সুন্দর তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ।
যতদূর জানি, মহাভারত অনুসারে, এই অঞ্চলটি প্রকৃতপক্ষে ছিল ‘খাণ্ডবপ্রস্থ’ নামে একটি বিরাট বনাঞ্চল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: কেন জানি দিল্লী কা লাড্ডূ জমছে না।
সমস্যাটা কোথায়?? তাও ধরতে পারছি না।