নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের বিপরীতে না, সময়ের সাথে...

মোহাম্মেদ মুহসীন

বানিয়ে বানিয়ে আমি গল্প লিখতে পারিনা, আমি গল্পকার নই!!!

মোহাম্মেদ মুহসীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাবি বা গরীব সবচেয়ে বেশি কে ?

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭


কিছুদিন আগে আমি আমার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, "বলতো, দুনিয়াতে সবচেয়ে গরীব বা অভাবি কে?" বেশির ভাগ উত্তর এসেছে যার মা নাই। এই উত্তরটা ছিল সম্পূর্ণ আবেগ থেকে, আবেগি জাতি হিসেবে আমাদের সুখ্যাতি অনেক পুরনো। কেউ কি একবার ভেবে দেখেছিস আসলেই কি মা না থাকলে আমরা বেশি গরীব হবো ? মা কি আমাদের কারো অর্জন করা কিছু ? মা হচ্ছে প্রত্যেকটা সন্তানের অভয়ারণ্য, এবং প্রকৃতির নিয়মে আমরা এই অভয়ারণ্যে বিচরণ করার সুযোগ পাই, আবার একটা সময়ে সেখান থেকে বিতাড়িত হই। মা হাড়ানোটা একটা অপূরণীয় ক্ষতি, যা কারো পক্ষেই পুরন করা সম্ভব না।

অভাব হচ্ছে চাহিদা এবং যোগানের তারতম্যের সূচক। সামাজিক প্রাণী হিসেবে আমাদের ৫টি মৌলিক চাহিদা নির্ধারণ করেছে সমাজ বিজ্ঞানীরা। এগুলার ঘাটতিকেই মুলত অভাব বলে, তবে এসব অভাব মোচন করা খুব সহজ, একটু চেষ্টা করলেই করা যায়। এর বাহিরে মানুষের কিছু মানবিক চাহিদা থাকে, যেগুলার অভাব সহজে পুরন হয়না, কেননা এখানে অভাবের ধরন আর যোগানের গুণগত মান একই সুচকের নাহলে হবেনা। একজন বুভুক্ষকে যেকোন খাবারেই নিবৃত্ত করা যাবে, কিন্তু একজন পিপাসার্থ কবির মন ভরানো যাবেনা হাজারো উপন্যাসেও।

একটা সময় আমার মনে হয়েছে, এই দুনিয়াতে সবচেয়ে গরীব হচ্ছে সেই, যার মনের কথা খুলে বলার মনমত কেউ নাই। সে সুখে আছে বা কষ্ট পাচ্ছে এই কথা গুলা বলতে চায় একজনকে, কিন্তু তার পাত্তা নাই। এই একটা নাইয়ের কারনে তার বাকি সবকিছু থেকেও না থাকার মত হয়ে আছে। কথা বলার মত কতজন আছে, অনেকে তার কথা শুনতে ব্যকুল হয়ে আছে, কিন্তু সে যাকে বলতে চায়, তার কোন খবর নাই। আর এই অভাবটা কেউ পুরন করতে পারবে না।

মাঝে মাঝে খেয়াল করবেন আপনার যেন কি হয়েছে, কারো সাথে কথা বলতে বা মিশতে ইচ্ছে করেনা এই কি হওয়া সময়টাতে। অনেক আমুদে প্রকৃতির মানুষও, যারা সবার সাথে সমানতালে আড্ডা দেয়, হৈ হুল্লোড় করে কাটানো, বেড়াতে পচন্দ করে। সেই মানুষ গুলাও অসুস্থ মুরগীর মত ঝিমায়, চেইন স্মোকাররাও সিগারেটে মজা পায়না। কোন গল্পকার বা উপন্যাসিকের লেখা পড়তে ইচ্ছে করেনা, কবিতার লাইনে রস পাওয়া যায়না, ফেসবুকে কারো পোস্টে কমেন্ট করতে মন চায়না। এই ডিজিটাল যুগে চিঠি পাওয়া কত বড় ব্যপার, কিন্তু এই কি হওয়া সমটাতে সেই চিঠি গুলাও পড়তে ইচ্ছে করছে না।

আমাদের এই দুর্দশার জন্যে একজন মানুষ দায়ী হয় সবসময়, আমার মত অনেকের কাছেই এই সময় নিজেকে ভুল মনে হবে, যেই আমি বা আমরা একসময় বড় গলায় বলতাম একশ জনের সুখ আর মমতার জন্যে একজনের ভালোবাসা অনায়াশে ঠেলে দেয়া উচিৎ, সেই আমার বা আমাদের কাছেই আজকে পুরা ব্রক্ষ্মাণ্ড ফাঁকা লাগতেছে একজনের কমতিতে। কমতিটাও শুধুমাত্র তার সাথে কথা বলতে পারছিনা।

নোটঃ ছবিটা আমার নিজের, আমার জীবনের সবচেয়ে ভালোলাগা ছবি গুলির মধ্যে অন্যতম একটা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: অভাবের শেষ কি আছে?

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

মোহাম্মেদ মুহসীন বলেছেন: অনেক অভাবের মোচন করা যায়, দুই একটা ব্যতীত।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার পর আপনার সাথে একমত হতে ইচ্ছা করছে।

ছবিটা মন্দ নয়। এই রকম ছবি মেয়েরা খুব পছন্দ করে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

মোহাম্মেদ মুহসীন বলেছেন: দাদা, ছবিটা ২০১১ সালের, কেউ আজ পর্যন্ত পছন্দ করেনাই, আর এতদিনে আমি বিবাহও করে ফেলেছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.