নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচল কথন

কাজী সোহেল রানা

১৯৮৭

কাজী সোহেল রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা গুলিবিদ্ধ

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারের পর নাজমা খাতুন (৩৫) নামের ওই গৃহবধূ
একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ ও নবজাতক দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দোয়ারপাড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ভুঁইয়া, অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আজিব্বর শেখ ও মুহম্মদ আলী।
কামরুল ভুঁইয়ার সমর্থক আলমগীর হোসেনকে (২৮) গত বুধবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কামরুল ভুঁইয়ার সশস্ত্র সমর্থকেরা আজিব্বরের মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেন এবং তাঁদের খুঁজতে থাকে। পরে আজিব্বর শেখ ও মুহম্মদ আলীর সমর্থকেরা কামরুল ভুঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালান। হামলায় কামরুল ভুঁইয়ার বড় ভাই বাচ্চু ভুঁইয়ার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা খাতুন এবং তাঁর চাচা মমিন ভুঁইয়া (৬৫) বোমার আঘাতে আহত হন। হামলাকারীরা মিরাজ শেখ নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেন।
রাত আটটার দিকে নাজমা খাতুনের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক শফিউর রহমান রাত ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর শরীরে গুলি পাওয়া গেছে। গুলি তাঁর তলপেটে ঢুকে সেখানে মাংসপেশিতে গেঁথে যায়। এ ছাড়া নবজাতকটির শরীরের কয়েক জায়গায় গুলির জখম আছে। আট মাসে সন্তান জন্মদান এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। এখন দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ভুঁইয়া এবং ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আজিব্বর শেখের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ওই ঘটনা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করিনি। তাঁরা আমার ছাত্রলীগের কেউ নন। তাঁরা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মী।’
সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়নি।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.