নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচল কথন

কাজী সোহেল রানা

১৯৮৭

কাজী সোহেল রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে দেশে বর্ষবরণের আজব রীতি

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

একটি ইংরেজী বছর পার হয়ে আমরা উপনীত হলাম আরেকটি নতুন বছর। পুরো বিশ্ব নানান আয়োজনে নতুন বছরের সময়টাকে পালন করেছে। কালে কালে এই দিনটিকে পালন করা হচ্ছে। তবে নববর্ষ পালনের ক্ষেত্রে একেক দেশ একেক রীতি পালন করে থাকে। নতুন বছরের প্রথম দিন পালনে অনেক দেশে আজব কিছু রীতিও রয়েছে।
জেনে নেই বিভিন্ন দেশের বিচিত্র বর্ষবরণের কিছু তথ্য-

গ্রেগোরিয়ান নববর্ষ: রোমান ক্যালেন্ডারে নতুন বছর শুরু হতো ১ মার্চ থেকে। ল্যাটিন ভাষায় সেপ্টেম্বরের অর্থ সাত, অক্টোবর আট, নভেম্বর নয় এবং ডিসেম্বর দশ। সে সময় রোমান সরকারের নতুন অধিবেশন শুরু হতো জানুয়ারি মাস থেকে। জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭ সালে এ ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন করে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি করেন। এতে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালে মার্ক অ্যান্টোনির কনসুল এক দফা পরিবর্তন করার পর খ্রিষ্টপূর্ব ৮ সালে এম্পরর অপাসটাস সিজার আরেক দফা পরিবর্তন করেন। সর্বশেষ পোপ ১৩তম গ্রেগোরি ১৫৮২ সালে এই ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন করে বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসেন। এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষের শুরু হয় ১ জানুয়ারি। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি মধ্যযুগে ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যে নতুন বছরে মধ্যরাতের পর যে পুরুষ প্রথম বাড়িতে পা দেয়, বলা হয় সে বাড়িতে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এ সময় পুরুষরা নিজেদের বাড়িতে টাকা, রুটি, কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে নিয়ে আসে, যাতে সারা বছর পরিবারের সদস্যদের এ সব জিনিসের কমতি না হয়। মধ্যরাতের পর বাড়িতে পা দেয়া প্রথম মানুষটি অবশ্যই সোনালি বা লাল চুলওয়ালা এবং মহিলা হতে পারবে না। এতে বাড়িতে দুর্ভাগ্য আসে। লন্ডনে নববর্ষের আগ মুহূর্তে ট্রাফালগার স্কোয়ার এবং পিকাডেলি সার্কাসে বিশাল পরিসরে মানুষ সমবেত হয়। মধ্যরাতে বিগবেনের ধ্বনি শুনে এরা একত্রে নববর্ষকে বরণ করে নেয়।

যুক্তরাষ্ট্র : নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হয় টাইমস স্কোয়ার। এখানে নতুন বছর শুরু হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে এক বিশালাকার ক্রিস্টাল বল নেমে নতুন বর্ষের আগমনের কাউন্টডাউন শুরু করে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউ-ইয়ার পার্টি। এতে প্রায় ৩০ লাখ লোক অংশগ্রহণ করে।

রাশিয়া : এটাই মনে হয় সবচেয়ে বিপজ্জনক বর্ষবরণ। রাশিয়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ষবরণের দিন সবাই বৈকাল হ্রদে ডুব দিয়ে পানির তলদেশ থেকে একটি গাছ বা গুল্ম উঠিয়ে নিয়ে আসে। আর কাজটা করেন পেশাদার ডুবুরিরাই। সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেয়া বাধ্যতামূলক। হ্রদের তলদেশ থেকে তুলে আনা ওই গাছকে ঘিরে ডুবুরিরা নৃত্য করে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন অনেক তারকাও।

জার্মানি : এখানে মানুষ ঠাণ্ডা পানির মধ্যে তরল সিসার টুকরা ঠেলে দেয়। সিসার টুকরা যে আকার ধারণ করে- তা দেখে ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। নববর্ষের আগে খাওয়া খাবারের কিছু অংশ মধ্যরাতের জন্য রেখে দেয়া হয়, যাতে করে নতুন বছর ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকে।

চীন : চীনারা নববর্ষ পালন করে প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী। নববর্ষের প্রথম দিনে তারা স্বর্গ ও পৃথিবীর দেবতাকে তুষ্ট করে নানা উপাসনা-উপাচারে, দ্বিতীয় দিন পূর্বপুরুষের মঙ্গল কামনা করে। ‘ওয়েইলু’ নামক বিশেষ ভোজনের আয়োজন করা হয় এ দিন। পক্ষব্যাপী আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের মধ্যে সপ্তম দিনটি পালিত হয় ‘শস্য দিবস’ নামে।

জাপান : নববর্ষের সময় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। খারাপ আত্মাকে দূরে রাখার জন্য এ সময় বাড়ির বাইরে দড়ি দিয়ে খড়ের টুকরো ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এটাকে তারা সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে। নতুন বর্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাপানিরা হাসতে শুরু করে। তাদের ধারণা, এতে নতুন বছর সৌভাগ্য নিয়ে আসে।

কোরিয়া : নববর্ষ শুরুর সময় কেউ ঘুমায় না। এ সময় ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রæ সাদা হয়ে যায়! রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে টিভিতে ৩৩ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি করা হয়। কোরিয়াতে প্রায় সবাই সূর্যোদয় দেখে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার সময় একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়।

মেক্সিকো : মেক্সিকোতেও ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ১২ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। এ সময় প্রতি ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে একটি করে আঙুর খাওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে এ সময় যা কামনা করা হয়, তাই পূরণ হয়।

ভারত : ভারতে সম্রাট আকবরের সময় যে নওরোজ উৎসব হতো তা সর্বভারতীয় উৎসবের মর্যাদা পায়নি। অনেকে ভারতীয় বর্ষবরণ উৎসবকে দিওয়ালি উৎসব বলে অভিহিত করেন। এটি হয় বিভিন্ন রাজ্য বা সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী। পাঞ্জাবে নববর্ষ উৎসব পরিচিত বৈশাখী নামে। নববর্ষে পুষ্পসজ্জা প্রায় সর্বভারতীয় রেওয়াজ, দক্ষিণ ভারতের অঞ্চলবিশেষের মজাদার খাবার ও পুষ্পাহার গুরুত্বপূর্ণ প্রথা। তবে বর্তমানে ইংরেজি নববর্ষ পালন সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান।

বাংলাদেশ : বাংলাদেশে প্রধানত নববর্ষ হিসেবে পহেলা বৈশাখকে জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবেও এতে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। তবে ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষকেও পালন করা হয়। এ উৎসব অনেকটা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক পালিত হয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাপি নিউ ইয়ার
শুভ মুজিব বর্ষ

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১২

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: হাজারও লাল গোলাপের শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই
ভাল ও সুস্থ থাকবেন--------

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৭

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৫

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: আপনার জন্য দোয়া সবসময়ই থাকবে। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.