নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচল কথন

কাজী সোহেল রানা

১৯৮৭

কাজী সোহেল রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাকিম, হুকুম সবই নড়ল

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৫


‘হাকিম নড়লেও হুকুম নড়বে না’- কথাটি আমি দাদা-দাদির কাছ থেকে শুনেছি। দাদা-দাদিও শুনেছেন তাদের দাদা-দাদির কাছ থেকে। তারা আবার শুনেছেন তাদের অগ্রজদের কাছ থেকে। স্বভাবতই এ ধারণাটি শত বছর ধরে এ জাতির মধ্যে দৃঢ়ভাবে গেঁথে গেছে। আর এ কারণেই আমাদের বিশ্বাস জন্মেছে আইনের হাত অনেক লম্বা। ব্যক্তি থাক বা না থাক, আইন তার জায়গায় অটল। তবে সাবেক এমপি আওয়ালের ঘটনার পর এ ধারনাকে বড্ড সেকেলে মনে হয়। এ ঘটনা এটাই প্রমাণ করেছে, আইনের হাত লম্বা হলেও সেটা বিকলাঙ্গ। ফলে সেটা থাকা না থাকা অনেকটা একই। আইনের ক্ষমতা আর দাপট নির্ভর করছে আপনার অবস্থান আর প্রভাবের ওপর!

একটি দৈনিকের শিরোনাম হলো, ‘সাবেক এমপি আউয়াল ও তাঁর স্ত্রীর জামিন নিয়ে দিনভর নাটক, জেলা ও দায়রা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ: রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবাদ, ইন্দুরকানিতে হরতাল পালন।’

শিরোনামটা সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাকে ভাবিত করে। আব্দুল আউয়াল দু’দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মানে আইন প্রণয়ন করাই ছিল তার কাজ। আর এ আইন প্রণেতার জন্যই কিনা ভাঙা হল আইন!

সাবেক এ এমপির বিরুদ্ধে জাল দলিল করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তটি দুদক বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গেই করেছিল বলে প্রতীয়মান হয়। তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলেই এই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলাটি বিএনপি আমলের বা ওয়ান–ইলেভেনের পরের সরকারের দায়ের করা নয়। খোদ তার দল ক্ষমতায় থাকাকালীন এ মামলা করেছে দুদক।

দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ মার্চে পিরোজপুরের আদালত কক্ষে উপচে পড়া ভিড় ছিল। জেলা বারের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জিপিসহ একজন সাবেক পিপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারের সাবেক সভাপতিসহ প্রায় ২৫ জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। কিন্তু জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ভেতরে ‘বিষাদের ছায়া’ নেমে আসে। বাইরে চলে বিক্ষোভ। গাড়ি চলাচল বন্ধ এবং সড়ক অবরোধ করে ত্রাস কায়েম করা হয়। আইনজীবীরা আসামীদের পক্ষে গিয়ে আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এধরনের বর্জনের বৈধতা আছে কিনা সন্দেহ।

এরপর ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দুটি ঘটনা ঘটল। জামিন নামঞ্জুর হওয়ামাত্রই আউয়াল দম্পতি যুগপৎ অসুস্থ হলেন। তারা তাদের মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিলেন। এর ফলে কারাগারে পাঠানোর আদেশে পরিবর্তন এল। অর্থাৎ হাকিম থাকতেই হুকুম একটু নড়ল। তারা উভয়ে ডিভিশন পেলেন। হাসপাতালবাস নিশ্চিত হলো। কিন্তু এ আদেশদানের ১৫ মিনিট পরে বিচারক স্ট্যান্ড রিলিজ হলেন।

বাংলাদেশের বিচারিক ও চিকিৎসা জগতে এটা একটা ইতিহাস তৈরি করেছে। পিরোজপুরে তাতে নতুন করে কিছু লেখা হলো।

শুধু এখানেই শেষ নয়, এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে আইনমন্ত্রী যেসব ‘অপব্যাখ্যা’ দিলেন সেটা শুধুমাত্র হাস্যকরই নয়; ভীতিকরও বটে। এরপরতো বিচারকরা রায় দিতেও ভয় পাবেন। কোন মন্ত্রী কি চান, সরকার কি চায় তার ওপর নির্ভর করবে বিচারকদের রায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৮

একাল-সেকাল বলেছেন:
হাজার বছরের বাঙালি এখন শতবর্ষে তাই !

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৪

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: এটুকুই থাক। আর বইলেন না। আর বললে চাকরি থাকবে না।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশ!!

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৭

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: সবই সম্ভব।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Joy..... :D

০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২১

কাজী সোহেল রানা বলেছেন: হা হা হা..।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.