![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সামু ব্লগে মিতক্ষরা এবং সোনা ব্লগে সাতকরা। এক সময় দেশে থাকতাম, এখন বিদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া নিজেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছেন। খালেদা জিয়া কোন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা একাডেমিক ব্যক্তিত্ব নন, বরং একজন রাজনীতিবিদ। জন সাধারনের স্বাভাবিক আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা তার অনেক দায়িত্বের মধ্যে একটি। একটি নিতান্ত সাধারন জনসভায় তার "মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে" দাবী করা বক্তব্য সাধারন মানুষের অনুভূতিকে যে আহত করবে তা কি তিনি ধারনা করতে পারেন নি?
এতকাল যারা শহীদদের সংখ্যা নিয়ে তর্ক করত, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার জন্যই তা করত। শর্মিলা বসু তার "ডেড রেকনিং" বইটিতে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে তর্ক করেছেন তার মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানী বাহিনীর নির্যাতনকে লঘু করে দেখানো। খুব স্বাভাবিক বোধগম্য কারনে বাংলাদেশে জামাত শিবির এই বই নিয়ে উল্লাস করে থাকে। যেখানে সেখানে যত্র তত্র শর্মিলা বসুর বইয়ের কোট করে পাক বাহিনীর অপকর্ম হালাল প্রমান করার চেষ্টা করে। এই মহলটি বাংলাদেশের মূল ধারার জনসাধারন কর্তৃক পরিত্যক্ত। এদিকে ঐরকম বক্তব্যের দ্বারা খালেদা জিয়া যে নিজেকে শর্মিলা-জামাতের কাতারে নিয়ে গেলেন সেটা বুঝতে কি তিনি ব্যর্থ হয়েছেন?
খালেদা জিয়া ঠিক কি কারনে কথাগুলো বলেছেন তা নিয়ে বেশ জল্পনা কল্পনা হচ্ছে। একটা হতে পারে, তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হাইজ্যাকের অপচেষ্টা থেকে বিরক্ত হয়ে কথাগুলো বলেছেন। অন্যদিকে এটাও হতে পারে যে, তিনি পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্কের প্রেক্ষিতে এরকম কথা বলেছেন। দ্বিতীয় কারনটি যদি হয়ে থাকে তবে তা ক্ষমার অযোগ্য। কারন পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক রাখার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ইতিহাস ঐতিহ্যের বিষয়ে আপোষ করে নেব।
আওয়ামী লীগ খুব সফলভাবেই মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করনের দিকে এগোচ্ছে। যদিও স্বাধীনতা বিরোধীদের কমবেশী লালন পালন দুই দলই করেছে। আমেরিকা চীনের সাথে দুই দলেরই রয়েছে চরম দহরম মহরম। বিএনপিতে যেমন সাকা রয়েছে তেমনি আওয়ামী লীগে রয়েছে ফয়জুল হক। কিন্তু এটা সত্য যে আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলেও তাদের অবস্থান সুষ্পষ্টভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির নিয়ন্ত্রনে। অথচ বিএনপিতে খালেদা জিয়া এখন সেই ঢোলই বাজাতে চাইছেন যা এতকাল জামাত বাজিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে।
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল পটভূমিকে প্রশ্নবিদ্ধ করলে বিএনপি শুধু নিজের পায়েই কুঠরাঘাত করবে না, বরং বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনকে আরো পাকাপোক্ত করবে। দুঃখের বিষয় হল খালেদা নিজেই সেই সুযোগ উন্মুক্ত করছেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২
মিতক্ষরা বলেছেন: মুক্তিযু্দ্ধ অামাদের সবচে গৌরবোজ্জ্বল অর্জন । এখনো মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারেননি কেউই। নতুবা এরকম ৫% নির্বাচন হয় কি করে? মুক্তিযুদ্ধের যে মূল আকাংখা গুলো, যেমন সুশাসন, গনতন্ত্র - সেগুলোর বাস্তবায়ন কোথায়? এক কদম এগোলে দশ কদম পিছিয়ে যাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা মিডিয়ার স্বাধীনতা অর্জন করতে আমাদের বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু সেসবই এখন হুমকিগ্রস্ত। তাও তাদের দ্বারা যারা নিজেদের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি বলে দাবী করে থাকে। এই লজ্জার শেষ নেই যেন!
ভালো থাকবেন। আমার ব্লগ দেখার জন্য ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২
মিতক্ষরা বলেছেন: বিএনপির পক্ষ থেকে অবশ্য সুন্দর ব্যখা দেয়া হয়েছে।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাই নির্বাচন নিয়া কথা কৈলেন| আচ্ছা ধরে নিলাম, অবাধ নির্বাচন হৈল আর জামাত বিম্পি ক্ষমতা পেয়ে দেশটারে পাকিস্তানের প্রদেশ বানাইল তাতে কী লাভ? আপনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধুয়ে তখন পানি খাবেন? আর যখন শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কথা হয় তখন নির্বাচন আসে কোথা থেকে?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০১
মিতক্ষরা বলেছেন: অবাধ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। এই অধিকার বিসর্জন দিতে রাজী নই।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খালেদ জিয়া গবেষণা করে দেখছে মুক্তিযুদ্ধে আসলে শহীদ ছিল একজন| সেইটা হৈল জিয়া| তাছাড়া আর কোন শহীদ নাই
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
মিতক্ষরা বলেছেন: খিক!
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিএনপি এখন একটা জোকারের দলে পরিনত হয়েছে যার সবচেয়ে ভাঁড় হলো বেজি
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "কিন্তু এটা সত্য যে আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলেও তাদের অবস্থান সুষ্পষ্টভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির নিয়ন্ত্রনে। অথচ বিএনপিতে খালেদা জিয়া এখন সেই ঢোলই বাজাতে চাইছেন যা এতকাল জামাত বাজিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে।" মুক্তিযুদ্ধকে সবচে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে । কারণ, এটা অামাদের সবচে গৌরবোজ্জ্বল অর্জন । খালেদা জিয়ার বক্তব্য সত্যিই দুঃখজনক! তিনি বোধহয় এখনো মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারেননি ।