![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপন-পর ভেদাভেদ কম করি, বন্ধুতে আপষহীন, স্বার্থহীন স্বার্থপর।- এই হচ্ছি আমি-অনেকটাই মানুষ কিন্তু তবুও............
৪ দিন আগে দেখলাম ঢাকা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম শহরের তালিকায় ২য় স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে দেখছি বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ঢাকার বিভিন্ন ছবি পোষ্ট করে সরকার এবং নবনির্বাচিত দুই মেয়রকে নিয়ে চলছে তুলোধুনো প্রতিযোগীতা।
ঢাকার স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের জিজ্ঞেস করছিঃ এ দায় কি শুধুই সরকারের? জানি কারো কাছ থেকে উত্তর পাবো না। উত্তর দেবার মত মানসিকতা বা সৎ সাহস কোনটাই আমাদের মাঝে নাই। আমরা তো পারি শুধু একে তাকে দায়ী করতে। দোষারোপ করার জন্য যে কষ্টটা আমরা করি তার ১০% খরচ করে যদি নিজের অংশের কাজটুকু নিজেরা করতে পারতাম তাহলে আজকের এই কষ্টটা অন্তত আপনাকে-আমাকে করতে হতো না।
কিসের ১০% পরিশ্রম? আপনি আপনার বাসায় জমা প্রতিদিনকার ময়লা নিজ দায়িত্বে নিজের নাক চেপে যেখানে সেখানে বা ড্রেনে অসংকোচে ফেলে হাপ ছেড়ে বলেন বাঁচলাম! আপনার সামনে কেউ ফেললে তাকেও বাধা দেন না কারণ নিজেও তো ঐ একই পথের পথিক। এই ময়লাগুলোও কি জলবদ্ধতার জন্য দায়ী নয়? একদিন দুদিন বা একবছর দুবছর এর কথা বলছি না বছরের পর বছর আমরা এই অলসতা করে আসছি। বছরের পর বছর আমরা অপেক্ষা করি সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন এই সমস্যা গুলো সমাধান করে দিবে।
আমার জন্ম ঢাকাতে হলেও বেড়ে ওঠা, স্থায়ী ভাবে বসবাস যশোরে। ঢাকার মত একই চিত্র ধীরে ধীরে ফুটে উঠতে দেখছি ডিজিটাল এই জেলা শহরেও। যারা যশোরের বাসিন্দা বা যাদের নিয়মিত যাতায়াত আছে, তারা দেখবেন ঠিক কোতয়ালী মডেল থানার সামনেই এখন ময়লার বিশাল ভান্ডার জমা হচ্ছে। যার আকৃতি এবং সৌরভ দিনে দিনে বেড়ে চলছে। আমরা দিব্যি নিশ্বাস বন্ধ রেখে, নাকে রুমাল চেপে পথটুকু পাড়ি দিয়ে চলে যাচ্ছি আপন গন্তব্যে। অথচ স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীদের ফেলে দেয়া ময়লা এই ময়লার পাহাড় গড়ার অন্যতম উপাদান।শুধু থানার সামনেই নয়, নানা অলি-গলিতে ছোটখাট স্তুপ জমা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেউ কি একদিনও এসব নিয়ে একটিবারের জন্য কিছু বলছি বা ভাবছি? বলব, ভাবব, তবে এখন নয়। যখন সবকিছু চলে যাবে আওতার বাইরে তখন করব ত্রাহি রবে চিৎকার! তখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন।
আজকের বিশ্বের সবচেয়ে পরিস্কার শহরের নাম মেলবোর্ন্, এ্যডিলেড। আপনার কি মনে হয়, ঐ দেশের সরকার শুধুমাত্র একক ভাবে এই শহরগুলো পরিস্কার করে রেখেছে। তাদের জনগণগুলোকে একটু ফলো করুন নিজের প্রতি লজ্জা অনুভব করবেন
জ্বি না, আমি কোন সরকারের তাবেদারী করছি না।আমি জানি প্রতিটি সরকারই নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ব্যর্থ্। সরকার যায় সরকার আসে, রাস্তা ডুবে রাস্তা ভাসে, কষ্টটা কিন্তু আপনাতে-আমাতেই সয়। আচ্ছা, এমন করলে কেমন হয়? সরকার পরিবর্তনের আগে নিজেদের পরিবর্ত্ন করে ফেলি। মেয়র/চেয়ারম্যান এর অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই এগিয়ে চলি। সিটি কর্পোরেশন আর পৌরসভার পরিস্কার কর্মীদের ঘূম থেকে জাগতে দেরী হয়। তাদের আগে আমরা তো জেগে উঠতে পারি। বিছানা থেকে না পারলেও মনের দিক থেকে তো পারি, না কি? নাকি আগামী বছর আবারো চিৎকার করবেন?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
রান০০৭ বলেছেন: শরীরের নাম মহাশয়
যাহা সওয়াবেন তাহা সয়,
আমরাও তেমনটি হয়ে গেছি। নিজেকে সতর্ক করি না, করিনা পাশের লোকটিকেও। অথচ দোষারোপে ১৬ আনা।
কবে সবাই বদলাবে তার আশায় না থেকে আসুন নিজেকে আগে বদলাই।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
বিজন রয় বলেছেন: লাভ নেই।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
রান০০৭ বলেছেন: হয়তো আপনিই ঠিক, তারপরও চেষ্টা করতে তো কোন দোষ নেই।
একটু চেষ্টা করুন। অন্তত একজন হলেও তো কমবে, নাকি?
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
গোধুলী রঙ বলেছেন: এইবার একটা বিপরীত কথা কই, দুবাইতে প্রায় ৪০-৫০ মিটার পরপর ডাস্টবিন, ডস্টবিনের জায়গাটা প্রতিদিন এন্টিসেপ্টিক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, দিনে একাধিকবার ডস্টবিনের ময়লা পরিষ্কার করা হয়।
আমাদের ঢাকা শহরের রাস্তায় কয়টা ডাস্টবিন আছে, যাও দুএকটা বসানো হয় গুলশান বনানীর মত রাস্তায় তার স্থায়িত্ব সর্বোচ্চ একমাস-দুমাস, তার পর ঐ ডাস্টবিন নিজেই ভাগাড় হয়ে যায়।
সিভিক ল ভাংলে শাস্তির কোন ব্যবস্থা নাই।
যদি এমন হতো রাস্তায় থুতু ফেললে, পুলিশ সাইডে নিয়া দুটা ডান্ডার বাড়ি সহ দশবার কান ধরে উঠবোস করাবে, বোতল / প্যাকেট ফেললে, এক হাতে কান ধরে, আরেক হাতে সেইটা পরিষ্কার করাবে.................
আমাদের স্বভাব হলো, ছোট ছোট অপরাধ করতে করতে আমাদের অপরাধের সহনশীলতার পারদটাকে একটু উপরে তুলে ফেলি, ১০০ জনের কাছে জিগান, কয়জন মনে প্রানে ধারন করে রাস্তায় থুতু ফেলা অপরাধ, আপনি আমাদের স্বভাবের এই চিত্রটা পাবেন। আমাদের যদি নিয়ন্ত্রনটা এই ধরনের বেসিক অপরাধ গুলো ধরে হতো, তবে বড় ধরনের অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কমতো বলেই মনে করি।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
রান০০৭ বলেছেন: আপনার কথা শতভাগ সত্যি।
পাবলিক বাসে বসে আমরা অনায়াসে খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খাই, আর পায়ের কাছের জায়গাটায় বাদামের জঞ্জালের স্তুপ বানাই।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এগুলো আসলে আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে গেছে। জন্মের পর থেকে দেখছি রাস্তার ধারে দাড়িয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুলের কাজ করে ফেলতে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলাটা তো এখন আমাদের প্রধান নাগরিক দায়িত্ব। তবে তারপরও বলতে চাই, একজন একজন করে ধরে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে নিজে যদি নিজেকে এসব ভুল-ভাল থেকে বিরত রাখতে পারি তাহলে এটা এক সময় উল্লেখযোগ্য হতে বাধ্য। পৃথিবীর কোন দেশের নাগরিকই সভ্য হয়ে জন্মায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪
গোধুলী রঙ বলেছেন: ঢাকার অধিকাংশ বাসিন্দা কান্ডজ্ঞ্যানহীন।
ওয়াসা ম্যানহোল খোলা রাখে
রাস্তার পাশের দোকান, বাড়ী থেকে হেন ময়লা নাই যা ওই ম্যানহোলে স্থান পায় না
চা প্যাকেট, পচা সবজি ফল, জুতো, বস্তা, ককশিট, পচা ফুলের ডান্ডি, ভাঙা আসবাবের টুকরো ব্লা ব্লা ব্লা
এর পর বর্ষা, পানির ওভারফ্লো
বাদাম চিবায়ে খোসা রাস্তায়, কোটি কোটি গিয়ে আরো আবর্জনার সাথে মিশে রাস্তার পানি নিচের পাইপে যাবার পথ বন্ধ
মানুষ হাত ও পায়ের ব্যবহারে নিজের কান্ডজ্ঞ্যানের ব্যবহার করে না, থাকলে তো করবে।