![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''একটি সুস্থ মস্তিষ্কের মিসফাংশন!''
'এবার আমি, এবার আমি, না না এবার আমার পালা'
বাচ্চারা খেলা করছে। আজকাল খেলার মাঠের বড়ই অভাব। তাই বলে বাচ্চাদের তো আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না।
ওরা ঠিকই ছোট্ট কোন জায়গা বের করে ফেলবে। কিন্তু এই জঙ্গলের মতো জায়গাটায় এই বাচ্চাগুলোই বা আসলো কোথ থেকে?
তার উপর আজকের এই রোদ। এই তপ্ত বেঞ্চিতে বসে থাকতে থাকতে তো আমার পশ্চাতদেশই তো গরম হয়ে গেছে।
এদের বাবা মায়ের দায়িত্ব জ্ঞান কিছু আছে না, নেই।
অবশ্য হুট করে মন্তব্য করাটাও ঠিক না। হতে পারে এরা সবাই এতিম। বাবা মা হয়তো জন্মের পরেই ডেড!
হি হি....জন্ম মৃত্যুর কথা তো কেউ জানে না। কে জানে আমিও মরে গেছি, হয়তো এখনো বুঝে উঠতে পারি নি....হি হি।
যদি সত্যিই বাচ্চাগুলো এতিম হয়ে থাকে, তাহলে ওদের মনের অবস্থাটা কিরকম হবে?
নাহ যেভাবে খিল খিল করে হাসছে আর খেলছে, মনে হয়না ওদের বাবা মা মারা গেছে। এতিম কাউকে পেলে
জিজ্ঞেস করে নিবো ওদের মনের অবস্থা কেমন যায়।
আচ্ছা, মন কি? সবই তো মস্তিষ্কের ভেতর ঘটে। জটিল জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে আর ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতি হয়।
আরো গভীরে গেলে দেখা যাবে ফিজিক্সের ব্যাপার স্যাপার ঢুকে গেছে।
আচ্ছা কল্পনাও তো মস্তিষ্কের ভেতরই ঘটে। কেউ যদি কোনভাবে মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রন করা শিখে ফেলে, তাহলে তো কল্পনাকেও নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।
এর অবশ্য খারাপ দিকও আছে। তখন বাস্তব আর কল্পনার সুক্ষ্য পার্থক্য ধরা কঠিন হয়ে যাবে।
তবে মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রন নেয়াটা, ঠিক শেখা যায় না। হুট করে হয়ে যায়! তবে মিরাকেল না।
যেমন ধরি, একটা এরোপ্লেনের সব যন্ত্রাংশ ঠিক ঠাক মতো চলছে। যাত্রাপথের একসময় দেখা গেলো,
হুট করে কোন যন্ত্রাংশ কাজ করছে না। পাইলটও তখন প্লেনের নিয়ন্ত্রন হারাবে। তখন নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেবে প্রকৃতি।
আর প্রকৃতি কি এমনি এমনি ছেড়ে দেবে নাকি? সত্য দেখাবে, সত্য। যে সত্যের হাত থেকে পালানোর উপায় নেই।
পরের দিন ব্রেকিং নিউজে দেখা যাবে, প্লেন দুর্ঘটনায় সব যাত্রী মারা গেছে.....হি হি। আচ্ছা, মিরাকেল হবে,
যদি ঐ সব যাত্রীর মাঝে কেউ বেচে যায়। নাহ মিরাকেল টিরাকেল কিছু নেই। সব টাকা মারার ধান্ধা।
যদি এমনিভাবে মস্তিষ্কেরও মিসফাংশন হয়, তাহলে কি হবে?
মস্তিষ্ক হারাবে নিয়ন্ত্রন, আর মানুষ টুপ করে নিয়ে নেবে সেই নিয়ন্ত্রন।
আহা, বাচ্চাটা আবার কাদছে কেনো? এমন মায়াকান্না করছে যেনো ওর বাপ মা এরোপ্লেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে....হি হি।
আচ্ছা, বাচ্চাটার মস্তিষ্কের যদি মিসফাংশন হয়? তাহলে বাচ্চাটা নিয়ে নিবে ওর মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রন।
তখন ওর মরা বাপ মার অতীতে গিয়ে বলবে, 'আব্বু আম্মু তোমরা ঐ প্লেনে যেওনা। ওখানে বিপদ'
হয়তো বাচ্চাটার বাবা মা তার কথা শুনবে। তখন কি হবে? কি আর হবে, বাচ্চাটাকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করবে!
হি হি, মজার ব্যাপার হলো বাচ্চাটা বুঝতেও পারবে না ওর বাবা মা আসলে বেচে নেই। ওসব আসলে ওর কল্পনায় ঘটছে...হি হি।
কিন্তু আর যাই হোক, বাচ্চাটাকে তো আর একা একা কাটাতে হবে না। মনের প্রশান্তিই তো আসল।
মনের প্রশান্তির জন্যই তো মানুষ মিথ্যেকে আগলে রাখে। যেমন, মানুষ লেখক নামী ভন্ডদের লেখা পড়ে।
এই ভন্ডরা খুব সুন্দর করে পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি ঢুকিয়ে দেয়। বিভ্রান্ত পাঠক লেখার আগা মাথা বুঝতে না পেরে খুশি হয়।
মানুষের জাতটাই এমন, যে জিনিস বুঝতে পারে না, সেই জিনিসের প্রতি আগ্রহ বেশি।
উফ, এতো গরম। ঘিলুটা সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আরে এই হাসপাতালের অথোরিটি কি ঘাস কাটে নাকি?
এতবার করে বলেছি ঘরের ফ্যানটা ঠিক করে দেন। এই গরমে ফ্যান ছাড়া কি থাকা যায়।
আরে, বাচ্চাগুলো কই গেলো?
খিল খিল হাসি কান্না কিছুই তো শুনতে পাচ্ছি না। কিছু আবার হলো নাকি?
আজকাল বাচ্চাচুরির ঘটনা কি কম শোনা যায়!
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২
রাসায়নিক প্রানী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ঘোর ঘোর লেখা।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
রাসায়নিক প্রানী বলেছেন:
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মানুষ লেখক নামী ভন্ডদের লেখা পড়ে।
এই ভন্ডরা খুব সুন্দর করে পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি ঢুকিয়ে দেয়।
কথা কিন্তু সত্য। এইযে, আপনি যেমনটা করলেন।
তবে লেখা কিন্তু ভাল লেগেছে। এটাও হয়তো ঐ বিভ্রান্ত পাঠক লেখার আগা মাথা বুঝতে না পেরে খুশি হয়। বাস্তবতার কারণে।
গল্পকথকের ভ্রমবিলাস ভাল লেগেছে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
রাসায়নিক প্রানী বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: একটা এরোপ্লেনের সব যন্ত্রাংশ ঠিক ঠাক মতো চলছে। যাত্রাপথের একসময় দেখা গেলো,
হুট করে কোন যন্ত্রাংশ কাজ করছে না। পাইলটও তখন প্লেনের নিয়ন্ত্রন হারাবে। তখন নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেবে প্রকৃতি।
আর প্রকৃতি কি এমনি এমনি ছেড়ে দেবে নাকি? সত্য দেখাবে, সত্য। যে সত্যের হাত থেকে পালানোর উপায় নেই।
দারুণ সব চিন্তাভাবনা!! তবে এই প্যারার সাথে সহমত নই।
মানুষ লেখক নামী ভন্ডদের লেখা পড়ে।
এই ভন্ডরা খুব সুন্দর করে পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি ঢুকিয়ে দেয়। বিভ্রান্ত পাঠক লেখার আগা মাথা বুঝতে না পেরে খুশি হয়।
মানুষের জাতটাই এমন, যে জিনিস বুঝতে পারে না, সেই জিনিসের প্রতি আগ্রহ বেশি।
যদিও আপনার বক্তব্য একেবারে অগ্রাহ্য করার মতো যুক্তিও নেই।