![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের সীঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়া একজন স্বপ্নচারী। স্বপ্নের পথে নই এখন বাস্তবতাই লক্ষ্য
এই দুই দিন একটু অধ্যায়ন করেছিলাম, ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে। বিজ্ঞান আমার আবেগের কোনো মূল্যই দেয় নি, বিজ্ঞানের মতে সবই নাকি হরমোন ঘটিত বিষয়। আমার আবেগ অনুভূতি সবই হরমোনের দোহাই দিয়ে উড়িয়ে দিল বিজ্ঞান। বিজ্ঞান এত নিষ্ঠুর কেনো??
.
মেয়েটাকে দেখলে কেমন জানি অদ্ভুদ ফিলিংস হয়, তাকে ভালোলাগার রহস্য আমার বুঝে আসে না। অদ্ভুত এক মুগ্ধতা কাজ করে তাকে দেখার মাঝে, তাকে দেখে তৃপ্তি মেটে না, এই জটিল সমীকরণকে বিজ্ঞান অক্সিটোসিন নামক এক হরমোনের ফলে ঘটে বলে উড়িয়ে দিচ্ছে..!!
.
তাকে দেখলে হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায়, অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসে, হাঁটু কাঁপতে থাকে, ঘাম বের হয়, কিসের যেনো এক ভয় কাজ করে। প্রেমে পড়ার প্রথম দিকে আবেগ প্রবণতার পরিমান বেড়ে যায়, প্রেমে পড়া মানুষগুলো কাব্যিক, সাহিত্যিক হয়ে যায়, নানা রকম কবিতা, রোমান্টিক ভাবনা চিন্তা করে। এই সবই নাকি মস্তিষ্কে ডোপামিন ও নরেপিনেফ্রিন হরমোনের নিঃসরণের ফলে ঘটে..!!
.
তার কথা ভাবলে এক ধরণের ভালোলাগা কাজ করে, প্রেমে পড়া মানুষগুলো এবসেন্ট মাইন্ডে ভালোলাগার মানুষটির কথা ভাবে, ভেবে ভেবে অকারণ আনন্দ পায়।এই অকারণে আনন্দ পাওয়ার বিষয়টিও নাকি হরমোনের ফলে ঘটে। আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্লান্ড হতে নিঃসৃত এমফিটামিন হরমোনের ফলে হয়..!!
.
মজার বিষয় হল যে সব হরমোনের নিঃসরণের ফলে এমনটা হয় তার মধ্যে বেশিরভাগ হরমোনই মাদক সেবন করলে মস্তিষ্ক থেক নিঃসৃত হয়। যেমন ডোপামিন, এমফিটামিন হরমোন- গাঁজা, কোকেইন সেবন করলে নিঃসৃত হয়। এথেকে উপনিত হতে পারি যে প্রেমের স্বাদ উপভোগ করতে প্রেম না করলেও চলবে।গাঁজা, কোকেইন সেবন করাই ভালো, কারণ এইসব মাদক দ্রব্যের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে, যে সময়টার পর ঐ ঘোর কেটে যায় যেমন এমফিটামিনের মেয়াদ ৩বছর ৯মাস ২৬দিন, কিন্তু প্রেমের ঘোর কখন যে কাটবে তার সময় নির্দিষ্ট নেই। সো প্রেম অপেক্ষা মাদকই শ্রেয়..!!
( সংবিধিবদ্ধ সর্তকিকরণঃ- মাদক গ্রহণে লিভারে ক্যান্সার হয়, ধুমপান স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকারক)
.
বিঃদ্র- আমি ভাই মানবিকের ছাত্র অযথায় বিজ্ঞান নিয়ে প্যাঁচাল করলাম। :-)
©somewhere in net ltd.