নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"স্বপ্নের সীঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়া একজন স্বপ্নচারী। স্বপ্নের পথে নই এখন বাস্তবতাই লক্ষ্য\"

রাসেল মাহমুদ রাসু

স্বপ্নের সীঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়া একজন স্বপ্নচারী। স্বপ্নের পথে নই এখন বাস্তবতাই লক্ষ্য

রাসেল মাহমুদ রাসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইশ্বরও নুড়ু খেলেন; জাত খেলোযাড়!"

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

আমি যে চায়ের দোকানটায় বসে প্রতিদিন আড্ডায় দেই সেই দোকানে একটা ছেলে: আছে কাজ করে খুব গরিব। একটু চঞ্চল প্রকৃতির সবার সাথে মজাতামাসা করে। বয়স ১২ হবে আনুমানিক। কিন্তু আমার দেখা সেরা ধৈর্য্যশীল এই ছেলেটার..!!
.
গরিব মানুষ গুলোর সন্তানরা এমনই হয়। এরা জন্মায় মানুষের লাথি ঘুষি খাবার জন্য। এদের জন্ম হয় মানুষের মুখে মা বাবাকে গালি শুনানোর অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে। আসলে গরিবরা কোনো কালে মানুষের দলে পড়েনা। এরা গরু ছাগল হয়ে জন্মায়। কথাটা খুব খারাপ লেগেছেতো তাইনা!!?
.
সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠে রাত ১২টা পর্যন্ত ছেলেটা প্রায় ১৫০কিলোমিটার হাঁটে। একটা চাঁয়ের দোকানের কামলা ছেলে কতটুকু হাঁটতে হয় সেটা আমি জানি। তার উপর দোকানে চা পান খেতে আসা মানুষ গুলোর গাল মন্দ এদের উপহার প্রতিদিনের সূর্য্য উঠার পর থেকে..!!
.
ছেলেটা খুব পরিশ্রমীও বটে। কিন্তু প্রতিদিন তিনবারের অধিক মার খায় ছেলেটি মালিকের হাতে। মাঝে মাঝে বের করে দেই। কিছুক্ষণ কাঁদে এরপর আবার এসে নিজের হাতের কাজ গুলো শুরু করে চোখের পানিতে ভিজতে ভিজতে। কারণ পরিবারের যে আর উপার্জনের বৃদ্ধবাবা ছাড়া কেউ নেই। তাকে যে টাকা দিতে হবে বাড়িতে, অথচ তারা মতো ছেলেরা এই বয়সে মায়ের হাতে মাখানো ড়িম ভাঁত খায়..!!
.
ইশ্বরও মাঝে মাঝে গরিবদের নিয়ে লুড়ু খেলে। কখনো মই দেখিয়ে উপরে নেই আবার সাপের মুখে ফেলে একদম নিচে চুড়ে ফেলে দেই। ইশ্বর তাদের বানিয়ে নিজেও মাঝে মাঝে ধিধায় পড়ে তাদের অধম্য শক্তি দেখে। তবুও তার অভিচারটা কনটিনিউ.....
.
কি! খুব অবাক হচ্ছেন? প্রতিদিন দেখি এমন দৃশ্য চোখের সামনে দেখি একটা বাচ্চা ছেলের জীবন সংগ্রাম। বেঁচে থাকার যুদ্ধ সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। ভাবতে অবাক হয় এই বয়সে তার এই দৃঢ়তা। পরিবারের জন্য ত্যাগ। হাজার অত্যাচার যেনো নিমিষেয় হজ্বম করে নেয়া তার কোনো ব্যাপার না। আসলে অভ্যাস হয়ে গেছে প্রতিদিনের মার আর গালাগাল। ইশ্বরও এখন দেখেননা এসব..!!
.
হলফ করে একটা কথা বলে যাচ্ছি! এই ছেলে একদিন অনেক বড় হবে অনেক বড়। তার ভিতরের যে ধৈর্য্য শক্তিটা আছে এটাই তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। ছেলেটার জন্য খুব মায়া হয় কিন্তু কিছু বলতে পারিনা। কারণ এই সমাজটা যে বড্ড নিষ্ঠুর..!! :-(

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ইশ্বরও মাঝে মাঝে গরিবদের নিয়ে লুড়ু খেলে। কখনো মই দেখিয়ে উপরে নেই আবার সাপের মুখে ফেলে একদম নিচে চুড়ে ফেলে দেই। ইশ্বর তাদের বানিয়ে নিজেও মাঝে মাঝে ধিধায় পড়ে তাদের অধম্য শক্তি দেখে।

২| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

রাসেল মাহমুদ রাসু বলেছেন: d0nnbad vai.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.