![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের সীঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়া একজন স্বপ্নচারী। স্বপ্নের পথে নই এখন বাস্তবতাই লক্ষ্য
আমার কিছু পোষ্টে ইশ্বর উল্লেখ্য বলে অনেক আমার ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি তাদের কিছু বলিনি। কারণ ঈমান মানুষের ভিতরে থাকে যেটা প্রকাশ করার সাধ্য ক্ষমতা দুনিয়ার কোন ব্যক্তি সাধ্য নেই। প্রতিটি মানুষের ধর্মের ভিতরে তার নিজস্ব প্রক্রিয়াদি সত্তা থাকে যা মানুষ কখনো প্রকাশ করেনা..!!
.
যে যায় বলুন আল্লাহ্ খোদা, ইশ্বর, বগমান সেই হোক ভিন্ন নামে কিন্তু উদ্দেশ্য সেই একজনই সষ্ট্রা। ধর্ম কখনো মানুষকে সমৃদ্ধ করেনা। ধর্ম মানুষকে তার সুশিল করে বটে। সব ক্ষেত্রে ধর্ম যেমন কোন কাজে আসেনা ঠিক ঈমান আমল দিয়ে তার পরিধি রূপায়ন করা যায়না।
"আমার লেখার টপিক এটা নই, লেখার উদ্দেশ্য হলো পোষ্ট পড়ে অনেকে আমাকে নাস্তিকও বলতে পারেন। হ্যাঁ বলতে পারেন কিন্তু তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা..!!
.
আমি সাধারনত সব সময় হাঁসি খুঁশি থাকি, সবার সাথে হৈ হুল্লুড়ে মতোয়ারা থাকি। কখনো বন্ধু কিংবা শুভাকাঙ্খিদের বুঝতে দেইনা নিজের হাজার কষ্টের কথা। বলেই বা কি লাভ! কেউতো আর ভাগ নিতে পারবেনা। আর কষ্টের ভাগ কাউকে কখনো দেওয়া যায়না। তাই হাঁসি খুঁশি থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি। কিন্তু নিজেকে আর কতো সামলানো যায়..??
.
র্দীঘ ৯মাস একটা মানুষ বিচানায় পড়ে মৃত্যুর সাথে লাড়াই করে ফিরে আসা। তারপর দু'বছরের প্রতিটা দিন একজন অর্ধ মৃত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা। সমাজের দশজনের মতো হাঁটতে না পারা। ড়াক্তারের শত বাধার পরেও ব্যথানাশক খেয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ সুস্থ প্রমাণ করতে হাঁটা। এরপরেও কি একটা মানুষ হাঁসতে পারে..??
.
হ্যাঁ হাঁসা যায় নিজেকের ভিতরের ব্যথায় জর্জরিত সত্তাকে কবর দিয়ে হাঁসা যায়। আমি পেরেছি হ্যাঁ আমিই পেরেছি হাজার স্বপ্নের মৃত্যুতে হাঁসতে। একটা একটা করে আশা ভঙ্গের যন্ত্রণা ভুলে দাঁত কেলিয়ে হাঁসতে। নিশ্চিত মৃত্যুর দাঁড়প্রান্তে গিয়ে হেঁসেছি। নিজের বাবা মায়ের এক এক করে স্বপ্ন ভঙ্গের মৃত্যু দেখে হেঁসেছি।
প্রবাসি বাবার কান্নার স্রোত দেখে হেঁসেছি, গত দু'বছরের প্রতিটি রাত মায়ের কান্না দেখে হেঁসেছি। আমার হাঁসি ছিলো আমার সাথে..!!
.
ফেসবুকে যেনো এই আমি অন্য রাসেল অন্য মানুষ। কেউ কখনো এভাবে দেখে বুঝে উঠতে পারেনি আমার পিছনের যন্ত্রণার সরু দাঁগটা। এখনো সেই হাঁসি ধরে রেখেছি! ভালো আছি, হ্যাঁ ভালো আছি বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেছি আমি।
নিজের ভিতরে বেড়ে উঠা রোগটাকে দমাতে কুস্তিগিরের মতো লেগেছি। আমি জানি আর পেরে উঠবোনা তাই ঔষধটাও বন্ধ করে দিয়েছি..!!
.
একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান আমি আহামরি কিছুই নেই কিন্তু চলছিলো সব সুন্দর করে। স্বপ্ন গুলো দিন দিন বড় হয়েছে কয়েক গুণ কিন্তু হয়নি না হয়নি কিছু। বাবার সব শেষ হয়ে গেছে আমার চিকিৎসার পিছনে আজ একদম চিরশান্ত আমার বাবার তিলে তিলে গড়া প্রতিটি স্বপ্ন ইচ্ছে।
তবুও এইভাবেই কেমন যেনো হাঁসি তামাসায় জীবনটা চলছিলো। কিন্তু আল্লাহ্, ইশ্বর, বগমানের নির্মম ব্যবহারটা যেনো দমে থাকেনি বেড়ে গেছে কয়েকগুন। একটা সাদা সিদে মানুষের বড় সন্তানকে পঙ্গুর মতো বাঁচিয়ে রেখে তিনি, উনি,সে শান্ত হয়নি..!!
.
তার খেলাটা যেনো শুধু আমাদের নিয়ে। আমাকে আমার সব পাপের শাস্তি দিয়েছেন এই কালেই জানিনা পরকাল নামের সেই স্থানে কতটুকু শাস্তি দিবে খোদা, ইশ্বর, বগমান। আমি একদম ঠিক আছি হ্যাঁ একদম কোনো আক্ষেপ নেই আমার একদমই নেই নিজের জন্য। আমাকে নিয়ে খেলুন তার নুড়ু খেলা। আমিও দেখি কতটা নুড়ু খেলতে পারে খোদা, ইশ্বর, বগমান..!!
.
আমার সব আমি ভুলে আছি বেশ ভালোই আছি ইশ্বরের সাথে খেলাটা জমেছে খুব জোরালো ভাবে। কিন্তু আমার পুরো পরিবার নিয়ে আল্লাহ্, ইশ্বর, বগমানের খেলার অধিকার নেই! হ্যাঁ ঠিক এভাবেই প্রতিটা দিন আমার মুসলিম ঈমান নিয়ে আমি সংকিত থাকি। ঠিক এমনি বিদ্রোহ জাগে খোদা, ইশ্বর, বগমানের প্রতি..!!
.
আমার নয়ন মনি আমাদের সবার কলিজার টুকরা আমার বোনটাও আজ তার নুড়ুর গুটি। খুব শাস্তি দিচ্ছে তাকে। বোনটা খুব কষ্ট পাচ্ছেরে হে খোদা, বগমান, ইশ্বর..... আমার বোনটা অনেক ভালো আমার মতো নই। তাহলে ওকে কেনো কষ্ট দিচ্ছিস। ওর এখনো অনেক স্বপ্ন। স্বামী, সন্তান নিয়ে একটু সুন্দর করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। নাকি এই সুখ থাকাটায় তুই খোদা,ইশ্বর,বগমানের সহ্য হয়নি। না মানিনা তোর বিচার। একটা মেয়ের ব্যথার চিৎকারে তোর কি একটুও মায়া হয়না। প্লীজ হে ইশ্বর, খোদা, বগমান আর কষ্ট দিসনা আমাদের। আমরা আর পারছিনা। আমাদের আর ধর্য্য নেই..!! :'(
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: আল্লাহ্, ইশ্বর, বগমানের আশাতে থাকলে আপনার ব্যথা কমবে না।
আপনার থেকেও যারা কস্টে আছে তাদের কথা ভাবলে আপনার ব্যথা কিছুটা কমবে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১২
রাসেল মাহমুদ রাসু বলেছেন: ধন্যবাদ বিষয়টা বুঝিয়ে বলার জন্য। হ্যাঁ আপনার কথা হয়তো ঠিক কিন্তু ইশ্বরের অভিচারটা একটু বেশি হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: when a student pass an exam ,then he will get promotion. always student take exam like torture.