![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ
ছোটখাটো কাটা-ছেঁড়া নিত্যদিনের ব্যাপার।
রক্তপাত বেশি না হলে বা সংক্রমণ
না হলে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার
মাধ্যমে সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু
পরিস্থিতি জটিল
হয়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
কী হতে পারে?
—কেটে-ছিঁড়ে গেলে রক্তপাত
হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ফিনকি দিয়ে রক্ত
ছুটলে বুঝতে হবে যে রক্তনালি কেটে গেছে,
এটি সহজে বন্ধ নাও হতে পারে। আবার রক্ত
জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায়
কোনো সমস্যা থাকলে, যেমন: যকৃতের রোগ,
হিমোফিলিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি কিংবা দীর্ঘদিন
ধরে অ্যাসপিরিন খাচ্ছেন, এমন রোগীর
রক্তপাত সহজে বন্ধ নাও হতে পারে।
—ছোটখাটো কাটা-ছেঁড়ায় কেবল ত্বক ও
ত্বকের নিচের কিছু কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু
গভীর ক্ষতের ক্ষেত্রে চর্বি, মাংস,
এমনকি হাড়ের কাছ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সেলাই লাগতে পারে।
—কোনো রোগী কাটা-ছেঁড়ার পর হঠাৎ
অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন। সাধারণত রক্ত
দেখে বা ব্যথায়
বা ভয়ে স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা হলে এমনটি হয়।
—অতিরিক্ত ও অব্যাহত রক্তক্ষরণের
ফলে নাড়ির স্পন্দন মৃদু ও ক্ষীণ
হয়ে আসতে পারে, রক্তচাপ কমে যেতে পারে,
হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসতে পারে। এর
মানে রোগীর জীবন বিপন্ন হয়ে আসছে,
তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
কী করা উচিত?
হঠাৎ কেটে গেলে বিচলিত
না হয়ে কাটা জায়গা উঁচুতে ধরে রাখুন ও এক
টুকরা পরিষ্কার কাপড় বা গজ
দিয়ে জোরে চেপে ধরুন।
ছোটখাটো কাটা হলে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই
রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে।
কাটা জায়গাটা পরিষ্কার পানি,
সাবানপানি বা অ্যান্টিসেপটিক মিশ্রিত
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সংক্রমণ রোধে এক টুকরা পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত
গজ দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক মলম
লাগিয়ে জায়গাটা ঢেকে বা বেঁধে রাখতে পারেন।
১০ বছরের মধ্যে টিটেনাস
টিকা না দেওয়া থাকলে পরিষ্কার ক্ষতেও
একটা বুস্টার ডোজ নেওয়া ভালো। কিন্তু
ক্ষতস্থান
নোংরা বা পুরোনো মরচে ধরা অপরিষ্কার কিছু
দিয়ে কেটে গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে টিটেনাস
না দেওয়া থাকলে অবশ্যই বুস্টার নিয়ে নিন।
ব্যথা বেড়ে গেলে, ফুলে লাল হলে বা পুঁজ
জমলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডায়াবেটিস থাকলে রক্তে শর্করা ঠিক
আছে কি না দেখুন।
©somewhere in net ltd.