নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উন্মাদ

বিবেকহীন বুদ্ধিজীবী

রাশেদুল ইসলাম রাজ

নিতান্তই সহজ সরল একজন মানুষ।

রাশেদুল ইসলাম রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা: বিজ্ঞান কি বলে?

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪১


সমকামিতা বিষয়টি এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তাদের দেশেই সমকামিদের বিয়ে বৈধতা দিয়েছে তা নিয়ে আমাদের এত মাথা ব্যাথার কারণটা কি? প্রশ্নটা করতেই পারেন? হ্যাঁ আপনাকেই বলছি আমাদের মাথা ব্যাথার কোন কারণ নেই। ছিলনা, থাকতোও না। কারণ বাংলাদেশে সরকারিভাবে এটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং সেই সাথে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্ত সমস্যাটা শুরু হলো ঠিক তখনই যখনি আমাদের দেশেরই কিছু মু্ক্তমনা দাবিদার সমকামি নয় অথচ সমকামিদের অধিকার আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তাদের ভাষায় এটি প্রকৃতির দাবী এটি কোন রোগ নয়। আমি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এর ব্যাখ্যা করতে যাবনা। কারণ আপনারা যারা ধর্মে বিশ্বাসী তারা আমার থেকে ভালো জানেন বলেই আমার ধারণা। আর যারা ধর্মে বিশ্বাসী নয় বিজ্ঞান মনস্ক তাদেরকে বিজ্ঞানের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করবো যে এটা একধরণের মানসিক রোগ এবং প্রাকৃতিকভাবে ঘটলেও প্রকৃতির বিরুদ্দে একটি ঘটনা।
চলুন দেখা যাক সমকামিতা সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে, বংশগতির একজন ছাত্র হিসেবে আমি বিশ্বাস করিযে মানুষের প্রতিটি বিহেভিয়রের সাথে কোন না কোন জিন জড়িত। আর অনেক সময় জিনকে স্বক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করণে পরিবেশ এর প্রভাব থাকে এ বিষয়কে বলে এপিজেনেটিক্স। এবার তাহলে দেখা যাক সমকামিতার পিছনে কোন জিন দায়ী কিনা? হ্যাঁ সমকামিতার জন্য বিজ্ঞানীরা কারণ হিসেবে একটি জেনেটিক মার্কারের অস্তিত্ব পেয়েছিলেন অনেক আগেই। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে বিজ্ঞানী হ্যামার X ক্রোমোজমের Xq28 স্থানে একটি মার্কারের অস্তিত্ব পেয়েছেন যা কিনা গে বা লেজবিয়ান হওয়ার জন্য দায়ী। হ্যামার তার এক্সপেরিমেন্ট এ যে নমুনা নিয়েছিলেন তার প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এধরণের জিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাহলে প্রশ্ন থাকে যে বাকী ৩০% এর ক্ষেত্রে কি হবে। বিজ্ঞানী হ্যামার শুধু X ক্রোমোজমের Xq28 স্থানে নির্দিষ্ট মার্কার খুজেছিলেন। পরে তিনি সমাপনী টানেন এই বলে যে অন্য কোন জিন এর জন্য দায়ী থাকতে পারে। অতি সম্প্রতি ৮ নম্বর ক্রোমোজমেও একধরণের মার্কার এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যা গে হওয়ার জন্য দায়ী।
শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল যে এটা Y ক্রোমোজমের সাথে সম্পকির্ত কিন্ত পরে পেডিগ্রি (পুর্ব পুরুষ) এনালাইসিস করে দেখা গেল যে এটা কোন রোগীর মামা বংশে পাওয়া যাচ্ছে বাবার বংশে নয়। তবে Y ক্রোমোজমের যে কোন ভূমিকা নেই তা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। কারণ Y ক্রোমোজমের SRY জিনের ম্যালফাংশনের কারণেও অনেক সময় গে হয়ে থাকে।
এখন আসি গে বেশি দেখা যায় না লেজবিয়ান? গে এর অনুপাত বেশি দেখা যায় কারণ সমকামিতা X লিংকড। যেকোন X লিংকড বৈশিষ্টই পুরষের মাঝে থাকলেই তা প্রকাশিত হয় কিন্ত মেয়েদের ক্ষেত্রে দুই কপি থাকলে তা এক্সপ্রেস হয়।

X + Y heterosexual male
Xh + Y homosexual male
X + X female heterosexual
Xh + X female heterosexual carrier of the Xh gene
X + Xh female heterosexual carrier of the Xh gene
Xh + Xh lesbian.
হরমোনের প্রভাবেও সমকামি হয়। কিছু কিছু গবেষনা থেকে এমন সমাপনী টানা হয়েছে যে, যে সকল মা গর্ভাবস্থায় প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাদের সন্তানদের সমকামি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা অতটা জোরালো নয়। কারণ প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যেই অনেক মা স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এবং এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সন্তান হওয়ার পারসেন্টই বেশি।
এতো গেলো সমকামিতার পিছনে জিনগত কারণ ও হরমোনের প্রভাব। এধরণের ঘটনা গুলো যাদের সাথে ঘটে তারা ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য দায়ী নয়। যেমন অনেক রোগের জন্যই রোগীরা দায়ী থাকেনা। এটা প্রাকৃতিকভাবেই ঘটে থাকে। এতে তাদের কোন হাত নেই। তবে কিছু এমন রোগী পাওয়া যায় যারা গেইজম চর্চা করতে করতে গে হয়ে গিয়েছে জন্মগত নয়।
এখন প্রশ্ন হলো যদি প্রাকৃতিক ভাবেই ঘটে তাহলে কেন এটা কে অসুখ বা রোগ বলা হবে? কারণ রোগের সংজ্ঞা হলো শারীরিক বা মানসিক কষ্ট পেতে হবে তা নাহলে সেটাকে রোগ বলা যাবেনা। তাছাড়া্ও রোগীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনা। তাহলে সমকামিদের ক্ষেত্রে কি ঘটে? প্রায় সকল সাইকিট্রাস্টি ই সমকামিদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আর কোন মানসিক রোগীই নিজেকে রোগী হিসেবে স্বীকার করেনা। আর তারা এর জন্য তেমন কোন শারীরিক সমস্যাতে ভুগেননা। আর সব রোগের ভুগান্তি এক রকমও নয়।
এখন প্রশ্ন হলো মানসিক রোগী হলেই কি তারা জৈবিক চাহিদা মিটাতে পারবেনা? উত্তরটা কি হতে পারে? না পারেনা। কেন পারেনা? কারণ যারা প্রকৃতিকে নিজের ধর্ম বলে মানে আই মিন নাস্তিক তারা আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন কি? সেক্স এর উদ্দেশ্য কি? নিশ্চয় বলবেন রিপ্রোডাকশন অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি। তা জনাব তাহলে গে বিয়ে বা লেজবিয়ান বিয়েতে কি বংশবৃদ্ধি হবে? না কি শুধু টেস্ট টিউব বেবী দিয়েই সারা বিশ্বের মানব চাহিদা পূরণ করবেন?
একটি রোগকে সাপোর্ট করা যেতেই পারে তবে রোগীকে ট্রিটমেন্ট দেয়ার জন্যই সাপোর্ট করা যেতে পারে। তার রোগকে আরও বৃদ্ধি করা বা রোগকে ভাল বলে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সাপোর্ট করাটা কেবল আরেকজন রোগীর মাধ্যমেই সম্ভব।
আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। কোথাও ধর্মীয় রেফারেন্স দেইনি। আমার লেখা পড়ে যদি কেও মনে করেন যে সমকামিতা একটি রোগ তা হলেও আমি খুশি আর না মনে করলেও আমার কোন দুঃখ নেই। কারণ ভালো মন্দ বেছে নেয়ার দায়িত্বটা আপনার।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০২

আসিফ মাহবুব বলেছেন: আমি আপনার কথার নাথে সম্পূর্ণ একমত

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৬

রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: শুনে ভালো লাগল

২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৯

আমি সাব্বির বলেছেন: কেন আমরা বর্জন করবো, তা আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৩

রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: আমি শুধু বুঝানোর চেষটা করেছি ইহা রোগ

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২২

রুমি৯৯ বলেছেন: এ থেকে কি আরোগ্য সম্ভব ? চিকিত্সা বিজ্ঞান কি বলে ?

৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলে তা ঠিক আমি ক্লিয়ারলি বলতে পারবোনা। স্টাডি করে দেখতে হবে।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:০০

হু বলেছেন: পড়ার দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন পড়লাম এবং জানলাম। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:৪৭

রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:১৭

নতুন বলেছেন: প্রায় সকল সাইকিট্রাস্টি ই সমকামিদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

আদিম কালের সাইকিট্রাস্টিরা এটাকে মানসিক রোগ হিসেবে ধারনা করতেন। এখন করেনা।

1973, the American Psychiatric Association এটাকে মানুসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে...
1975 American Psychological Association Council of Representatives.
1990 World Health Organization.

খুবই অল্প সাইকিট্রাস্টিরা এটাকে মানসিক রোগ হিসাবে দেখে। ( উইকি:- Click This Link )


https://www.youtube.com/watch?v=a9WKW6fw7I4

https://www.youtube.com/watch?v=saO_RFWWVVA

আমার লেখা পড়ে যদি কেও মনে করেন যে সমকামিতা একটি রোগ তা হলেও আমি খুশি আর না মনে করলেও আমার কোন দুঃখ নেই।

কোথায় পেলেন যে এটা রোগ??? অনেক আগে ভাবতো এখন ভাবেনা। নতুন গবেষনা সম্পকে পুড়ুন তবে আপনার ধারনা পালটাবে।

৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: World Health Organization তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বলেই তো আজ যুক্তরাস্ট্রের আদালতে এটাকে বৈধতা দিতে পেরেছে। সমস্ত প্রাণী কুলে সেক্স, রিপ্রোডাক্শন ও আকর্ষনের সাধারণ নিয়ম হলো বিষমকাম। কিন্ত এর ব্যত্যয় ঘটলে সেটাকে কেন ডিজিজ বলা হবেনা? জেনেটিক্যালি তো এরকম হওয়াটা স্বাভাবিক না। হ্যা নতুন গবেষণা আমার পড়া আছে, তারা সবাই যে এটাকে সাধারণ বিষয় বলেছেন তা কিন্ত নয়।

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:২৮

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন@ আপনার মতে সমকামিতা কি সমাজের জন্য ভালো নাকি খারাপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে? যদি খারাপ প্রভাব বয়ে আনে তবে কি তা প্রতিকার কিংবা দমনেই কাজ করা উচিত হবেনা? বা যারা ক্ষতিকর মনে করে তারা যদি প্রতিকারে কঠোর হতে চায় তবে তাতে দোষের কি থাকবে? নিজের ভালো হবে মনে করে কিছু করাটাও কি মানবাধিকারের মধ্যে পরবেনা?

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:০১

নতুন বলেছেন: ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন@ আপনার মতে সমকামিতা কি সমাজের জন্য ভালো নাকি খারাপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে?

ভাই আমাদের সমাজে সমকামিতাকে জঘন্ন অপরাধ এবং হিজড়াদের অচ্ছুত বলে দেখা হয়ে থাকে তাই এরা আমাদের সমাজের ঝামেলা।

কিন্তু উন্নতদেশে হিজড়ারা বাকি সবার মতন সাধারন জীবন জাপন করে। চাকুরী/ব্যবসা সব কিছুই করতে পারছে তাই তাদের সমাজে এই নিয়ে কোন আতংক নেই।

সমকামীতা কোন ছোয়াছে রোগ নয় যে আপনি সমকামীর সাথে বন্ধুত্ব করলে আপনিও ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্পক করতে পছন্দ শুরু করবেন।

সমাজে নিচের ৩ রকমের পছন্দের মানুষই আছে, এটা অস্বীকার করলে বন্ধ হয়ে যাবেনা।

সমকামী -----------উভয়কামী ----------------বিপরীতকামী

আপনি কেন বিশ্বাস করছেন যে সমকামিতা সমথন করলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু শুরু হবে।

https://en.wikipedia.org/wiki/Rituparno_Ghosh রৃতুপূনা ঘোষ সম্পকে জানেন? ভারতীয় চলচিত্রকার? তার ছবি নিশ্চয় দেখেছেন? তার পরিচালনায় ১৯টা ছবির মাঝে ১১টা ভারতীয় জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলো।

তিনি হিজড়া ছিলেন। আমাদের সমাজে জন্মনিলে হয়তো বাচ্চা নাচিয়েই/ চাদা তুলেই জীবন চালাতে হতো।

Alan Turing :- https://www.youtube.com/watch?v=Btqro3544p8

তিনি অংকের জাদুকর ছিলেন। তিনি ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইনিগমা নামের ইনক্রিপসন যন্ত্রের কোড ভাঙ্গার জন্য তিনি নিজে কম্পিউটার তৌরি করেন। তাকে সমকামিতা জন্য সাজা দেওয়া হয় এবং পরে তিনি আন্তহত্যা করেন। কিছুদিন আগে ইংলেন্ড ক্ষমাপ্রথনা করেছে এই কাজের জন্য।

মানুষকে ভাল জানলে কেউই সমাজে সমস্যা হয়ে দাড়ায়না।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮

নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=nuPZUUED5uk
এই ছবিটা এলেন টুরিং এর জীবনের সত্য কাহিনি নিয়ে করা।

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
সমকামীরা মানসিক রোগী? মিথ্যার আশ্রয় নেন কেন?

আমাদের ইউনিভার্সিটির একটা প্রি-মেড কনফারেন্সে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা অ্যালাম্নাই ডক্টররা এসেছিল মেডিক্যাল কলেজে পড়ালেখা নিয়ে কথা বলতে। সেখানে দেখলাম, এক ডক্টর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি হসপিটালের কোন সার্জারির যেন ডিরেক্টর। সে টিভিতে একটা শো ও বানায়। সে দেখলাম, গে। সে মানসিক রোগী তাইনা? হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে, সে মানসিক রোগী?

এত মিথ্যার আশ্রয় নেন কেন?

আর আমাদের সমাজে মানসিক রোগীদেরও তো অনেক ছোট করে দেখা হয়।

৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২২

রাশেদুল ইসলাম রাজ বলেছেন: আমি বলেছি যে সব রোগের ধরণ এক নয়। আর যদি আপনার উল্লেখিত সেই সার্জন মানসিক রোগী হলেই যে চিকিৎসা করতে পারবেনা তা কিন্ত নয়, মনে রাখবেন মানসিক রোগী মানেই পাগল নয় যে তারা গাছের ডালে উঠবে, পুকুরে ঝাপ দিবে, ময়লা আবর্জনা খাবে। যখন কোন প্রাকৃতিক সাধারণ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে তখন এটাকে কি বলবেন আপনি?

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

বাঘ মামা বলেছেন: পোস্ট পড়ে ভালোই লাগলো,মন্তব্য গুলো পড়ে হতাশ না হয়ে পারিনি।

এখানে আমরা সমকামি আর হিজড়া বিষয়টা এক করে ফেলেছি, সমকামি সম্পু্র্ন অভ্যাসগত সৃষ্টি,অন্তত আমার পর্যালোচনায় তাই বেড়িয়ে আসছে, আমি যেখানে থাকি সেখানে বিখ্যাত দশজন ফ্যাশন ডিজাইনারের মধ্যে ৩ জনই সমকামি, তারা আমার কাষ্টমার,এবং দুজন আমার ভালো বন্ধু, নাম প্রকাশ করতে চাইনা, অবশ্য করলেও সমস্যা নেই, তারা স্বস্বীকৃত সমকামি,তাদের জীবনী এবং তাদের বন্ধু আরো দশজনের জীবন থেকে আমি অন্তত এটাই প্রমান পেয়েছি যে সম্পুর্ন সঙ্গদোষে তারা সমকামি হয়ে উঠেছে।উপরে যেসব বৈজ্ঞানিক কারণ গুলো ব্যখ্যা দেয়া হয়েছে তা শুধু সমকামিদের আত্মপক্ষ এবং প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি প্রমানের একটা বিশেষ অপকৌশল মাত্র।এবং আমার তাই মনে হয়।

এবার আসি ভালো কাজ করলেই কি সে সুস্থ্য বা এডুকেটেড হয়ে যেতে পারে? একটা মানুষ একটা ভালো কাজ করলেই কিংবা কোন একটা বিশেষ কিছুতে দক্ষ হয়ে গেলেই আমরা তাকে টোটাল এডুকেটেড বলতে পারিনা, কোন মানুষ তার জীবনে কিছু করতে পারা বা জানাকে আমরা একক ভাবে ট্রেইন বলতে পারি,এডুকেটেড বলা যায় যদি মানুষ তার জীবনকে সব কিছুতে স্বাভাবিক ভাবে বয়ে নিতে পারে। মানুষ বেধে মানসিক রোগের লক্ষ কোটি রকম কারণ ধরণ হয়ে থাকে।অতি সুক্ষ্ম থেকে বৃহৎ।অপ্রকাশ্য থেকে প্রকাশ্য।দৃষ্টায়ীত কিংবা অগোচর।

এবার কিছু প্রমাণ দেই যে মানসিক রুগীরাও কিভাবে সমাজের নানা কাজে লাগে, ভালো কাজ করে,একটা মানুষ কিছু ভালো কাজ করলেই আমরা তার প্রকাশ্য মানসিক রোগটাকে এড়িয়ে যেতে পারিনা।
নিউইয়র্কে গ্র‌্যান্ড সেন্ট্রালে এক পাগল আছে সে সারাদিন ডাষ্টবিন গুলো থেকে পরিত্যক্ত বস্তু গুলো কুড়িয়ে নিয়ে উপরে ফেলে আসে,এবং সে সেখানেই শুয়ে থাকে।এমটিএ এর লোকগুলোকে দেখেছি তাকে খাবার যোগান দিতে,সেকি মানসিক রোগী নয়?

ঢাকা পল্টন মোড়ে এক পাগল সারাক্ষণ দাড়িয়ে থাকে আর গাড়ি জ্যাম লাগলে সেটা সে জানপ্রাণ দিয়ে সারাতে চেষ্টা করে,সেকি মানসিক রোগী নয়?

আমার বাড়ির মানিক ভাই সারা বাড়ি হেটে স্কুল ছাত্রদের অংক শিখান,কিন্তু আয় রোজগার করেনা বলে তার বউ তাকে ছেড়ে চলে গেছেন,সে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে থাকে,সেকি মানসিক রোগী নয়?

কোন এক প্রতিষ্ঠানে দেখেছি আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীনদের হাতের কাজ করিয়ে তাদের জন্য অর্থায়ন করতে।

সুতরাং একটা মানসিক রোগী মানেই যে হেমায়েত পুরে কাঁথা কম্বল নিয়ে শুয়ে থাকবে এমন কথা নেই,

তবে আমি সমকামিদের মানসিক রোগী বলবোনা, বলবো অনিয়ন্ত্রীত জীবনে এরা এক বিকৃত রুচির মানুষ,এদের নিয়ন্ত্রণ না করে উল্টো সমাজে বৈধতা দেয়া এটাকে প্রচার প্রসারের সহযোগীতা করাকে আমরা কোন ভাবেই সমর্থণ করতে পারিনা কোন যুক্তিতেইনা।আমাদের স্বাভাবিক যৌণ জীবনেও কিছু অস্বাভাবিকতা থেকেই যায় যা সাধারণ নিয়মের চেয়ে ব্যতিক্রম হয় তাই বলে সেটাকে আমরা কোখনো চার দেয়ালের বাইরে টেনে আনিনা। মানব জীবনে কিছু ভিন্নতা যদি এসেও যায় তা সভা সেমিনার করে কিংবা জনসম্মুখে তুলে ধরা কোন শিক্ষা কিংবা স্বাভাবিক তা আমার জানা নেই।

আমি এখানে কোন ভাবেই ধর্মীয় অনুশাষন ইঙ্গীত করছিনা, আমি কোন ভাবেই মনে করিনা ধর্মের জন্য আমরা, ধর্মই আমাদের জন্য, আমরা যদি স্বাভাবিক সুন্দর আর নিয়মের জীবন যাপন করতে পারি তো ধর্ম সেখানে অমুলক।

সর্বপরি এটাই বলবো প্রকৃতি এবং স্রষ্টার নিয়মের বাইরে তার সৃষ্টিদের যাবার সুযোগ নেই, গেলে সেখানে প্রশ্ন সমস্যা আপত্তি অসঙ্গত অসততা অসমঞ্জস্যতা দেখা দিবেই।এবং তাকে প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের বেগ পেতেই হবে সেটই অস্বভাবিক এবং কিছু ক্ষেত্রে বিকৃত বলেই বিবেচ্য।

সবার জন্য শুভ কামনা


১১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ এখানে হিজড়াদের কথা বলিনি, সমকামীদের কথা বলছি। হিজড়াদের সাথে আচরন আমরা অমানবিকই করি যার জন্য আমাদের মানসিকতার প্রয়োজন অবশ্যই দরকার। তবে সমকামিতা যদি আমার চোখে অনৈতিক মনে হয়, অসস্তির কারন হয় তবে আমি কেন চাইবোনা যে সেটা না থাকুক? প্রকৃতির খেয়াল বলেন আপনারা সবকিছুকে, প্রকৃতির আরেকটা নিয়ম কিন্তু সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট। এখানে সমকামীদের আচরন সংখ্যাগরিস্ট মানুষের তৈরী করা কিংবা মেনে চলা নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তাদের দমনের ব্যবস্থা নেয়া কি খুব বেশি অযৌক্তিক হবে?

আরেকটা কথায় আসি, এটা ইউএসএ নয়, নরওয়ে, ফ্রান্স সুইডেনও নয়। ওদের দেশের আইন হবে ওদের মানুষের ইচ্ছার মত করে আর আমাদেরটা আমাদের বেশিরভাগ মানুষের মতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। নরওয়েতে মৃত্যুদন্ড নেই, ওরা অমানবিক ভাবে। ইউএসএ তেও অল্প কিছু রাজ্যে আছে। কিন্তু এদেশে আছে। আপনি কি মনে করেন রাজাকারদের ফাসি অমানবিক হয়েছে, জেল দিলেই চলতো? তাহলে বলবো আমি দুঃখিত, আমি এতো মানবিক হতে পারবোনা ওদেরমত। আমি রাজাকারের ফাসিই চাই যদি সেটা তার প্রাপ্র হয়। ধন্যবাদ

১২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২০

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ ধরে নেই সমকামিতা রোগ নয়, প্রকৃতির খেয়াল। তবুও যদি সেটা অনৈতিক অস্বাস্থ্যকর বা অস্বাভাবিক মনে হয় তবে সেটার প্রতিকার দরকার। আপনি কি চান আপনার ছেলে মেয়ে সমকামী হোক নাকি চান স্বাভাবিকই হোক? যদি নরমাল হোক এটা চান তবে ঠিক কেন চান? সামগ্রিকভাবেও মানুষ যদি চায় সমাজটা মানুষের নিয়মেই চলুক, প্রকৃতর নয় তবে আমার কাছে সেটা ভুল মনে হয়না। মানুষের আচার আচরনের জন্যও নাকি বিশেষকিছু জীন দায়ী। কারো ভালো মন্দ সব কাজের দায় আমরা জীনের উপর চাপিয়ে তাদের সমাজের আইনকানুন থেকে দায়মুক্তি দিতে পারিনা। জেনেটিক ব্যাপারগুলোতো পুরাই প্রকৃতির খেয়াল, তাইনা?

১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

নতুন বলেছেন: @ বাঘমামা<
৩ জনই সমকামি, তারা আমার কাষ্টমার,এবং দুজন আমার ভালো বন্ধু, নাম প্রকাশ করতে চাইনা, অবশ্য করলেও সমস্যা নেই, তারা স্বস্বীকৃত সমকামি,তাদের জীবনী এবং তাদের বন্ধু আরো দশজনের জীবন থেকে আমি অন্তত এটাই প্রমান পেয়েছি যে সম্পুর্ন সঙ্গদোষে তারা সমকামি হয়ে উঠেছে।

আপনি কি একটু জিস্গাসা করবেন আপনা বন্ধুকে যে তারা কি সঙ্গদোষে সমকামী না কি এটা জন্মগত বৈশিস্ট???????

তারা উত্তর দেবে যে এটা তাদের ইনারফিলিংস.. সঙ্গদোষে না।

এবার কিছু প্রমাণ দেই যে মানসিক রুগীরাও কিভাবে সমাজের নানা কাজে লাগে, ভালো কাজ করে,একটা মানুষ কিছু ভালো কাজ করলেই আমরা তার প্রকাশ্য মানসিক রোগটাকে এড়িয়ে যেতে পারিনা।

এখন দনিয়ার প্রায় সব সাইকোলজিক্যাল ইনিস্টিটিউটই সমকামীতাকে মানুষিক ডিসওডার হিসেবে গন্য করেনা।
তাহলে কিভাবে আপনি এটাকে মানুসিক রোগ ভাবছেন????

তবে আমি সমকামিদের মানসিক রোগী বলবোনা, বলবো অনিয়ন্ত্রীত জীবনে এরা এক বিকৃত রুচির মানুষ,

এটাও এক রকমের মানুষিক ডিসওডার .. মানুষীক ভাবে সুস্হ মানুষ বিকৃত রুচির অভ্যাস বানাবেনা।

দুনিয়ার ৯৫% মানুষ ডান হাতেই কাজ করে..... কিন্তু ৫% বাহাতি হয়... এটা ব্রেন থেকেই হয়ে থাকে।

তেমনি ৫-৭% মানুষ দুনিয়াতে কি হোমসুক্সুয়াল হতে পারেনা??

৫%-১০% সমকামী -----------১০-২০% উভয়কামী ----------------৭০-৮৫% বিপরীতকামী

দুনিয়ার সবাই আমাদের মতন স্ট্রেইট হতে পারেনা। কিছু মানুষ বাই এবং গে হবেই। এবং এটা প্রাকৃতিক ভাবেই হবে... এতে তাদের কোন হাত নেই।

১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
বাঘ মামা,

আপনার 'অপিনিয়ন' আর সায়েন্টিফিক রিসার্চের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আপনি সারাদিন রাত সেগুলোকে অস্বীকার করলেও, সেটার কোনো মূল্য নেই। বিকজ, সায়েন্স ডিপেন্ডস অন প্রুফ, নট 'অপিনিয়ন'।

আপনার কাছে তো মনে হবেই যে তারা সংদোষে সমকামী, কারণ মাথার ভিতর তো ঢুকিয়েই রেখেছেন যে সমকামী হবার একটা উপায়ই আছে, সঙ্গদোষ। আপনার মত মানুষদের জন্য হাজার হাজার হোমোসেক্সুয়াল আত্মহত্যা করছে। আচ্ছা বলেন তো, সমকামীদের প্রতি মানুষের এত ঘৃণা, যেখানেই যায় সেখানেই নিচু চোখে দেখা হয়, জবে গেলে জব পাওয়া যায় না, তারপরও কেন তারা এই 'সঙ্গদোষে' যায় কেন? "মানসিক রোগ" তাই না?

আবারও আপনার সেই 'অপিনিয়ন', উইদাউট লজিক। দ্যা পয়েন্ট আই ওয়াজ ট্রাইং টু মেক ইজ দ্যাট, আমেরিকার মত জায়গায় যেখানে একটা সার্জন হতে লাগে ১৫-২০ বছর, হাজার হাজার স্টুডেন্ট থেকে সিলেক্ট করে বেস্ট অফ বেস্টস দের সুযোগ দেয়া হয় মেডিসিন পড়তে, সেখানে আপনার মনে হয় আপনার মতে "মানসিক রোগী"দের মেডিসিন প্র্যাকটিস করতে দিবে? দ্যা ফাক্ট ইস দ্যাট দে আর নট মেন্টালি ইল অর ডোন্ট হ্যাভ এনি মেন্টাল ডিসওর্ডার।

@নতুন,

অন্য কয়েকজন তো অ্যাটলিস্ট ইন্টারসেক্সদের পক্ষে আছে, বাঘ মামা তো সেটাও উড়িয়ে দিলেন। কারণ তারা তো "অনিয়মিত" "অস্বাভাবিক" তাই না?

১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আচ্ছা, কনডম কেন ব্যবহার করা হয়? জন্মরোধের জন্যই তো নাকি? আমরা জানি, বিজ্ঞানও এটাই বলে যে, প্রাণী বংশবিস্তারের জন্যই সেক্স করে, তারমানে বংশবিস্তার করে না এমন সেক্স করা যাবে না। এটাই যদি আপনার মত হয় তবে- কনডম বিক্রি কেন? কনডম ব্যবহারে তো আর বংশবিস্তার হয় না?

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১০

অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Bujaiea kono lav nai...
Choto balar ousod dita hoibo, mairaer porea kono ousod nai

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৩

নতুন বলেছেন: ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ এখানে হিজড়াদের কথা বলিনি, সমকামীদের কথা বলছি। হিজড়াদের সাথে আচরন আমরা অমানবিকই করি যার জন্য আমাদের মানসিকতার প্রয়োজন অবশ্যই দরকার।

ধন্যবাদ স্বীকার করার জন্য যে আমারা মানবিক আচরন করছিনা হিজড়াদের সাথে।

আরেকটা কথায় আসি, এটা ইউএসএ নয়, নরওয়ে, ফ্রান্স সুইডেনও নয়। ওদের দেশের আইন হবে ওদের মানুষের ইচ্ছার মত করে আর আমাদেরটা আমাদের বেশিরভাগ মানুষের মতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। নরওয়েতে মৃত্যুদন্ড নেই, ওরা অমানবিক ভাবে।

আমাদের দেশের মানুষ সেই রকম শিক্ষিত হয়নাই যে এই সব দেশের মানুষের মতন চিন্তা করবে। ওরা মানবিক বোধ নিয়ে চলে আমাদের মতন ভন্ডামী করেনা।

আমাদের দেশের রাজাকারদের আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়া উচিত যেন কারাগারে বসে নিজের মৃত্যু কামনা করে।

কিন্তু ফাসী দেওয়া দরকার কারন সরকার বদল হলে আবার এরা মন্ত্রী হবে তাই।

এই খানেও কিন্তু সেই আমাদের সমাজের ভন্ডামীই দায়ী।

এরা মৃত্যুদন্ডের পক্ষেনা কারন যদি নিরপরাধ কাউকে ফাসি দেন তবে তাকে ফেরাতে পারবেন না তাই কারাদন্ডে দন্ডিত করে। এরা চায়না ১ জন নিরপরাধ মানুষ সাজা পাক। কিন্তু আমাদের ভন্ড সমাজের জন্যই আমাদের অন্যরকমের ভাবতে হয়।

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি বলেছি যে সব রোগের ধরণ এক নয়। আর যদি আপনার উল্লেখিত সেই সার্জন মানসিক রোগী হলেই যে চিকিৎসা করতে পারবেনা তা কিন্ত নয়, মনে রাখবেন মানসিক রোগী মানেই পাগল নয় যে তারা গাছের ডালে উঠবে, পুকুরে ঝাপ দিবে, ময়লা আবর্জনা খাবে। যখন কোন প্রাকৃতিক সাধারণ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে তখন এটাকে কি বলবেন আপনি?

আমাদের ভুল হয়ে গেছে ভাই। আপনার মন্তব্যের উপরে আলোচনা করে মানুষিক রোগের সংঙ্গা পাল্টাতে হবে।

who বুঝতে পারেনাই যে সমকামীরা ছুপা মানুষিক রোগী তাই তারা এটাকে রোগের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আপনার লেখা পড়লেই তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে আশা করি। :)

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৪০

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ কেন ভাই, অস্বীকার করবার কি আছে? আর এখানে কথা হচ্ছে সমকামিতা নিয়ে, হিজড়াদের সাথে অমানবিক আচরন নিয়ে নয়। ওইরকম আচরন করলে তা প্রচলিত আইনেও অপরাধের পর্যায়ে পরে বলে আমার ধারনা।

আবার পশ্চিমাদের প্রতি আপনার অবসেসড অবস্থা দেখে হাসি পেলো। ইসরাইলে ১ জন মারা গেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে আর ফিলিস্তিনে ১০০ মারা গেলেও নিশ্চুপ থাকে, ব্যাপারগুলো ভন্ডামি মনে হয়না? নাকি কোন কাজ মানবিক না অমানবিক তা শিক্ষিত না অশিক্ষিত, আর্থিক অবস্থা এবং ধর্ম কি তা দেখে ঠিক করা হয়? তবু স্বীকার করলেন যে ওদের প্রেক্ষাপট আর আমাদের প্রেক্ষস্পট কিছুটা হলেও ভিন্ন। আমাদের আইনও তাই আমাদের দেশের মানুষের সামাজিক এবং ধর্র্মীয় মুল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ন হওয়া উচিত। কেউ মাদকে আশক্ত হতে চাইলে সেটাও তো বাধা দেয়া হয়, আইন করে মাদকও নিষিদ্ধ, কারনটা সামগ্রিক মঙ্গল। সেভাবে এটাও এমন একটা ব্যাপারই।

এটা এড়িয়ে গেলেন যে নিজ সন্তানের সেক্সচ্যুয়াল ওরিয়েন্টেশন কেমন দেখতে পছন্দ করবেন এবং ঠিক কেন?

২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:২৮

বাঘ মামা বলেছেন: @ নতুন

ওরা তা কখনো স্বীকার করবেনা যে এসব তাদের ভুল বা বিকৃত বিষয়, তারা তাদের এই অনুভুতি সৃষ্টির পিছনের কারণ গুলো যতই জটিল বা অযাচিৎ হোকনা কেন সেটাকে তারা প্রাকৃতিক বলে চাপিয়ে দিবে,তবে আমি আমার ফ্রেন্ড এ্যলেক্সের আর উইন মটনের পরিবার ছোটবেলা থেকে বেড়া ওঠা সব কিছু জেনে আমি খুজে পেয়েছি তাদের এমন অবস্থার পিছনে পরিবেশটাই মুল দায়ি।
আমি আমার ব্লগে সেসব নিয়ে লিখবো।

সময় স্বল্পতার কারণে আপনার মন্তব্যের জবাব সংক্ষিপ্ত করছি এখন।আর আমার বক্তব্য মন্তব্য উপমা উদাহারণ সব সময় জীবন বাস্তবতা থেকে উঠে আসে, আমি কখনো অতীত ইতিহাস পুরোনো পুস্তক থেকে টেনে আনিনা,ওসব সবার কাছে আছে,চোখে দেখা বিষয় গুলোতে আমার বসবাস আর ব্যবহার।

তবে নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞান বিবেক বুদ্ধি ব্যক্তিগুলোর মন্তব্য নিয়ে আমার বিশেষ মাথা ব্যথা নেই, ফ্যাশন শুধু জামা কাপড়ে সীমাবদ্ধ নেই এখন আর, ফ্যাশন আমরা এখন মানব জীবনের সকল স্তরে নিয়ে এসেছি,চিন্তা চেতনায় উদারতায় মানবতায় স্বাধীনতায় এবং নিজেকে ওয়াইজ হিসেবে জনসম্মুখে ওয়ার্ন করাও একটা মারাত্মক ফ্যাশনে দাড়িয়েছে। এগুলো যে একটা টিনেজ টাইমের ব্যপার সেটাও আমার বেশ জানা আছে, সময় গেলে যেমন কবি কবিতার দাড়ি যে গালে বাস্তবতায় স্থায়ী হয় সেটা কম দেখিনি ছোট্ট জীবনে।

২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
@বাঘ মামা,

আপনাকে আমি যা বলেছি ডাইরেক্টলি বলেছি। আমার কথার উত্তর আমাকে ডাইরেক্টলি দিবেন। আগের কমেন্টেও এইসব ইন্ডাইরেক্ট কথা বলেছেন। ভয় পান নাকি কথা বলতে?

যা বলার সরাসরি বলবেন।

২২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

নতুন বলেছেন: বাঘ মামা বলেছেন: @ নতুন

ওরা তা কখনো স্বীকার করবেনা যে এসব তাদের ভুল বা বিকৃত বিষয়, তারা তাদের এই অনুভুতি সৃষ্টির পিছনের কারণ গুলো যতই জটিল বা অযাচিৎ হোকনা কেন সেটাকে তারা প্রাকৃতিক বলে চাপিয়ে দিবে,তবে আমি আমার ফ্রেন্ড এ্যলেক্সের আর উইন মটনের পরিবার ছোটবেলা থেকে বেড়া ওঠা সব কিছু জেনে আমি খুজে পেয়েছি তাদের এমন অবস্থার পিছনে পরিবেশটাই মুল দায়ি।
আমি আমার ব্লগে সেসব নিয়ে লিখবো।


আপনি তো কারুর কাহিনি না শুনে আগেই তাকে অবিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন।

২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২২

নতুন বলেছেন: ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: এটা এড়িয়ে গেলেন যে নিজ সন্তানের সেক্সচ্যুয়াল ওরিয়েন্টেশন কেমন দেখতে পছন্দ করবেন এবং ঠিক কেন?

ভাই আমার নিজের সন্তান যেই রকমেরই হোক না কেন আমার কাছে সারা বিশ্বের চেয়েও দামী। ও তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে। আমি তার উপরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবো না।

বতমানে আমার ডিপাটমেন্টে আমার টিমে একজন হিজড়া আছে। আমার বস আমাকে প্রস্তাব করেছে যে তার অন্য ডিপাটমেন্টে কাজে সমস্যা হচ্ছে তার এই অবস্তা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে তাই। আমি তাকে নিয়েছি এখন সেও সাধারন আরো ২৫ জনের সাথে কাজ করছে। কোন সমস্যা নাই। তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানোর কোন দরকার নাই।

২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৯

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ সবক্ষেত্রে কি সেটা সম্ভব? নেক্রোফিলিয়া যদি থাকে আপনার সন্তানের, সন্তান দামী হলেও কি সেই পথে যেতে দিতে চাইবেন যদিও মৃত লাশই তখন তার পছন্দের যৌনসঙ্গী হবে।

আবার সন্তানকে এতো ভালোবাসেন বললেন, চরম ভালোবাসার প্রকাশে সন্তানের সাথে যৌনকর্মকেও কি আপনি ঠিক মনে করবেন যদি পারস্পরিক সম্মতি থাকে?

আপনি বার বার হিজরার দিকে চলে যাচ্ছেন, যদিও মুল প্রসঙ্গ হিজরারা নয়, সমকামিতা।

সমকামীদের বিয়ের অধিকার ব্যাপারটায় যখন নাস্তিকেরা জোর দাবী জানায় সমকামিতা প্রাকৃতিক আর তাই তাদের প্রকৃতিগত কারনে ভালোবাসার অধিকার দেয়া উচিত তখন হাস্যকর শোনায় অল্প। প্রাকৃতিক প্রেমের জন্য একজন আরেকজনকে উজার করে ভালোবাসো, বিয়ে করানোর দাবীতে সোচ্চার কেন? বিয়েটাতো প্রাকৃতিক কিছু না, মানুষের তৈরী। ধর্মীয় মুল্যবোধ ছাড়া বিয়ের প্রথায় বিশ্বাস করার জন্য কারনটা কি বলবেন? ইচ্ছা হলেই বন্ধন ছিন্ন করলেই নাস্তিক হিসেবে আপনার অনুশোচনা ঠিক কেন থাকবে? প্ররকৃতি তো কেবল আপনাকেই আপনার জীবন দিয়েছে, অন্যের যদি আপনার সিদ্ধান্তে কস্ট হয় তবে আপনার কি? তার আর আপনার জীবন তো কেবলই নিজ নিজ যেটা মৃত্যুর সাথে সাথে হারিয়ে যাবে, কোন অনুশোচনা না রাখলে সেটাকে অপরাধ কিংবা খারাপ কাজ কিভাবে বলবেন? জীবনটা যদি সাময়িক বলেন তবে জীবনের আনন্দ ছলে বলে যেভাবেই হোক বাড়ানোটাই তো আসল ব্যাপার হয়ে দাড়াবার কথা। আনন্দ লাভই তো জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যাপার, কস্টে থাকা না। সেই হিসেবে কেউ যদি মাদকে আনন্দ খুজে নেয় তবে তাকে বাধা দেয়া কি আপনার উচিত হবে যদি সেটা আপনার ক্ষতির কারন না হয়?

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ সবক্ষেত্রে কি সেটা সম্ভব? নেক্রোফিলিয়া যদি থাকে আপনার সন্তানের, সন্তান দামী হলেও কি সেই পথে যেতে দিতে চাইবেন যদিও মৃত লাশই তখন তার পছন্দের যৌনসঙ্গী হবে।

নেক্রোফিলিয়া খুবই বিরল একটা জিনিস, সমাজে কতাচিত দেখা যায়। এই জনই বলে exception is never an example

সমাজে ৫-১০% মানুষ সমকামী।

আমার মতে মানুষের মাঝে সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেসন ৫%-১০% সমকামী -----------১০-২০% উভয়কামী ----------------৭০-৮৫% বিপরীতকামী হতেই পারে এবং সেটা সাভাবিক হবে।

মানুষ যেমন ৮ফুট লম্বা হয় আবার ২৯ইন্চিও হয়<<< শুকনা হয় মোটা হয়।
টাক হয় আবার সারা শরীরে পশম হয়( উলফম্যান)
৯০% মানুষ ডান হাতে কাজ করে... ১০% আছে যারা বা হাতে কাজ করে... এমন মানুষ আছে যারা দুই হাতে দুইটা কাজ করতে পারে। দুইটা ছবি আকতে পারে।

তাই আমার মতে মানুষেরসেক্সুয়াল অরিয়েন্টেসনের মাঝে গে/লেসবিয়ানও সাভাবিক এবং কম একটা সংখ্যা থাকবেই।

২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৩

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: নতুন @ কেন ভাই, নেক্রোফিলিয়াও কি আপনার মতে প্রকৃতির পছন্দ না? তাহলে সংখ্যায় অল্প বলে ওদের বাদ দিয়ে দেয়া আপনার যুক্তিতে অবিচার হবেনা?

প্রকৃতির পছন্দ হলে বিয়ের দরকার কি? বিয়ে তো মানুষের তৈরী রীতি। এটা বাদ দিয়েই একসাথে থাকুক তাহলে।

ব্যাপারটা যতটা মানবিক ভালোবাসার বলছেন আসলে মুল উদ্দেশ্য তা নয়, আসল কারন সম্পত্তি এবং অন্যান্য আইনি অধিকার লাভ।

ক্যান্সার সেল যেমন স্বাভাবিক সেল নয়, নির্মুল করাই ভালো, তেমন অন্য স্বাভাবিক সেলের ক্ষতি না করলে টিউমার না কাটলেও চলে। সংখ্যাগরিষ্টের ভালোর জন্য যা করা দরকার তাই করা উচিত। যদিও আমি বলবো সমকামিদের বেশিরভাগই বিকৃতির জন্য এমন, মানসিক বিকৃতি। যৌন ক্ষমতা সম্পন্ন সবাই যৌনানুভুতি প্রধানত জননাঙ্গেই বা যৌনাঙ্গেই বা যৌনানন্দের নানা পয়েন্টে (মেয়েদের কান, গলা, স্তন এসবও যৌনানুভুতির নানা পয়েন্ট, ছেলেদের ওই পেনিস কেন্দ্রিক) ঘর্ষন বা স্টিমুলেশনের মাধ্যমে পায়। যদি আপনি গুহ্যদারকে জননাঙ্গ বলতে চান তবে বলবো বিকৃতির দিকে টানছেন ব্যাপারটা। স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে কিছু হলে সেটাকে বিকৃতি বলতে দোষ কি? যদি না হয় তাহলদ নেক্রোফিলিয়া ইনচেস্ট এসবকেও বিকৃত রুচি না বলে ভালোবাসা নাম দিন। তখন বিজ্ঞান যুক্তির ধার ধারতে পারবোনা, অন্ধ নাম নিয়ে হলেও বলবো, এসব বিকৃত মানসিকতার ব্যাপার। এদের নির্মুল করা উচিত।

২৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৫০

বিদ্রোহী সত্ত্বা বলেছেন:

২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮

নতুন বলেছেন: ইনচেস্ট এসবকেও বিকৃত রুচি না বলে ভালোবাসা নাম দিন।

ধমের হিসেবে আদি মানব/মানবী ১ জোড়া থেকেই আজকের এই পৃথিবি<<< এই ৭ বিলিওন মানুষের শুরুটাই ইনচেস্ট থেকে।

নুহু আ: এর সময়ে তার পরিবারের মানুষই বিশ্বে ছিলো.... তাদের থেকেই আজকের ৭ বিলিওন।

সময়ের সাথে অনেক কিছুই পাল্টাবে। একসময় বিয়ে ছিলো না। এখন বিয়ে আছে। আমাদের দেশেও এই আইন এক সময় পাশ হবে।

আইন/নিয়ম মানুষের জন্য। নিয়ম মানুষই তৈরি করেছে। মানুষই পরিবতন করবে।

আমাদের সমাজে এখনো অনেকেই নারীকে মেয়ে জন্মানোর জন্য দোষ দেয়। এই রকমের অনেক কিছুই সময়ের সাথে মানুষ বুঝতে পারবে। এই ব্যাপারে আরো গবেষনা হবে এবং মানুষ আরো তথ্য জানবে। সমাজের চিন্তা তখন অনেক পাল্টাবে।

২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: আপনি কোন ধর্মের কথা বলছেন জানিনা একেক ধর্মে একেক রকম আছে। ইসলামী মতে আদম আর হাওয়া ত আর ভাই বোন ছিলোনা, তাই শুরুটা কিভাবে ইনচেস্ট হয়? আবার ইসলামী মতে তাদের সন্তান হত জোড়ায় জোড়ায়, আর জোড়ায় জোড়ায়ই তাদের বিয়ে হত। এটাকে শুরুর সময়ের মানবজাতির বিস্তারের জয় একমাত্র উপায় ছিলো, তাই সেটাকে ইসলাম বৈধতা দেয়, সময় পাল্টাবার সাথে সাথে সেই নিয়মে পরিবর্তন হয়। আর আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে না করাটা বিজ্ঞান সম্মত বলেই জানি।

আপনি নাস্তিক মানুষ, আপনার কাছে নিয়মকানুন পরিবর্তনশীল, আমার কাছেও তাই, কিন্তু সেটা ধর্মের মুল বিধানকে পরিবর্তিত না করে। ইসলাম বলে তোমাদের যদি কোরান, সুন্নাহ কিংবা ইজমা সম্পর্কে কোন ব্যাপারে জানা না থাকে, তবে তোমরা নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নাও, যদি তা ভুলও হয়, সেজয় আমাদের পাপ হবেনা। কারন আমরা সরল মনে না জেনে ওটা ভুল করছি, ঠিক জানলে করতামনা। ইসলাম এতোটাই উদার ধর্ম। তবে সেদিকে তর্কে যেতে চাইনা, এটা অন্য ইস্যু হয়ে যায়। ধর্ম নিয়ে আলোচনা এই পোস্টের বিহয় ছিলোনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.