![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীতে মৃত্যুর চেয়ে বড় সত্যি আর কিছু কি আছে।মৃত্যু অবশ্যই আসবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেও নয়,পরেও নয়।প্রাণ হরণের সময় মানুষের অবস্থা হয়ে থাকে বিভিন্ন রকম। ঈমান,তাকওয়া,কৃতকর্ম, অনুযায়ী মৃত্যু যন্ত্রণা হয়ে থাকে।কবর হল মৃত্যুর প্রথম স্তর। কারো জন্য কবর হবে জান্নাতের একটি অংশ আর কারোও জন্য হবে তা জাহান্নামের একটি টুকরো।তবুও কিন্তু ব্যক্তি জীবনের মোহে পরে আমরা বেশির ভাগ সময়ই মৃত্যুর মত অবধারিত সত্যি ভূলে গিয়ে নানান স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ি। যেকোনো সেকেন্ডে, যেকোনো মুহূর্তেই একেবারে বিনা নোটিশে আসতে পারে মৃত্যু। আর মৃত্যুর পরেই সব মুছে গিয়ে আপনার আমার নাম হবে শুধু লাশ।
যার নির্দেশে মৃত্যু অবধারীত হয় যদি তার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা যায়, তার প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করা হয়।তাহলেই কেবল আশা করতে পারি মৃত্যু পরবর্তী জীবনে অনন্ত যন্ত্রণা আর দূর্ভোগের স্বীকার হতে হবে না আমাদের।
পবিত্র কোরআনে সুরা আল ইমরানে উল্লেখ আছে- প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে।
মৃত্যু ও মৃত্যুর যন্ত্রণা প্রত্যেক মানুষের জন্য অর্ণিবার্য।মহান আল্লাহ সবচেয়ে প্রিয় রাসূল (সাঃ)কে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছিল। আর যখন তিনি মৃত্যুর কিনারায় পৌঁছেছিলেন,যখন তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় আক্রান্ত হলেন তখন নিজের সাথে একজগ পানি রেখেছিলেন।আর সেখান থেকে নিজের হাত ডুবিয়ে নিয়ে মুখ মুছতেন এবং বলতেন -লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ইন্নালিল মাওতি লা সাকারাত, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অর্থাৎ নিশ্চয় মৃত্যু যন্ত্রণা বড়ই তীব্র এবং কঠিন।যদি রাসূল (সাঃ)মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর হন। তাহলে আমাদের কেমন হবে। অবশ্যই কঠিন হবে। আর কাফির বা অবিশ্বাসীদের শাস্তি হবে সর্বোচ্চ। মৃত্যুর সময় ফেরেস্তারা তাদেরকে বলবে--বেরিয়ে আয় হে পাপিষ্ঠ আত্মা, তোদের জন্য অপেক্ষা করছে আল্লাহর শাস্তি। তবে কিছু মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণা হবে খুবই কম।একটি পিঁপড়ার কামড়ের মত। আর তারাই হলেন শহীদগণ।
হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে ইসলামের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
©somewhere in net ltd.