নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একসাথে গর্জে উঠি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে সামিল হই।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭





রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে তখন উত্তাল শাহবাগ। লাখ লাখ মানুষ শাহবাগে একটা দাবী নিয়েই মিলিত হয়েছে। তাদের সবার আদর্শ, বিশ্বাস, কালচার, শ্রেণী এক ছিলনা। এখানে আস্তিক ছিল। নাস্তিক ছিল। আওয়ামী, বাম, ডান নির্বিবাদী সব শ্রেণীর মানুষ ছিল। কিন্তু তারা সবাই একটা দাবীতে এক হয়ে গিয়েছিল। তারা সবাই যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়। সে লাখ মানুষের স্রোতে আমিও ছিলাম। যারা তখন বিচার বানচাল করতে চাচ্ছিল তারাও চুপ করে বসে ছিলনা। তাদের জন্য তখন দরকার ছিল এমন একটা প্ল্যান যা দিয়ে এই জনস্রোতকে বিভক্ত করে ফেলা যায়। ফারহাদ মাযহার খুব জ্ঞানী একজন মানুষ। তিনি খুব গভীর দৃষ্টিতে যেকোনো ব্যাপার পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। জামাত শিবির চক্র এবং বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সেদিন সঠিক মানুষটাকেই তাদের পথপ্রদর্শক হিসাবে বেছে নিয়েছিল। এই ফারহাদ মাযহার, মাহমুদুর রহমানরা তখন একটা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে থাকে। তারা শাহবাগের মুভমেন্টটাকে আস্তিক নাস্তিক বিতর্কের দিকে নিয়ে যায়। এটা খুব মোক্ষম একটা অস্ত্র ছিল। তারা জানত এ দেশে যারা মডারেট মুসলিম তারা এতে করে কনফিউজড হয়ে যাবে। আর মগজ ধোলাই করা কিছু জঙ্গিকে মাঠে নামিয়ে দেওয়াটা তাদের জন্য খুব কঠিন কিছু ছিলনা।

রাজীব হায়দারকে নির্মম ভাবে হত্যা করার মধ্যে দিয়ে এক নতুন ষড়যন্ত্রের শুরু হয়। তবে এখানে একটা মজার ব্যাপার লক্ষ করার আছে। যখন রাজীব হায়দারকে হত্যা করা হয় তখন সব শ্রেণীর মানুষ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এমনকি রাজীব হায়দারের জানাজায় লাখ লাখ মানুষ সামিল হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ও ছিলেন। কিন্তু তারপরই হঠাৎ করে হেফাজতের উত্থান ঘটে। সরকার ভয় পেয়ে যায়। শাহবাগ মুভমেন্টের আয়োজকরা হঠাৎ করে নিজেদের মুসলমান প্রমানের চেষ্টা শুরু করে দেয়। সরকার চারজন নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে ফেলে। দৃশ্যপট পরিবর্তিত হতে থাকে। ফারহাদ মাজহার খুব গভীর ভাবে মার্ক্সবাদ অধ্যয়ন করেছেন। তিনি খুব ভালো করেই জানতেন ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দিয়ে কত কিছুইয়া না করে ফেলা যায়!

২।
ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই একের পর এক ব্লগারকে হত্যা করা হতে থাকে। সেসব ব্লগারদের মধ্যে একটা ব্যাপার কমন। তারা সবাই নাস্তিক। প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী না। তাদের মধ্যে অভিজিত রায়ের মত অসাধারন লেখক যেমন আছেন তেমনি আবার কুৎসিত ভাষায় গালি দেওয়া লেখকও আছেন। কিন্তু তাদের হত্যার পর সরকার খুব উদাসীন মনোভাব দেখাতে শুরু করল। অনেকেই ইঙ্গিতে বোঝাতে শুরু করলেন যে দোষটা আসলে ব্লগারদের। তারা কেন ইসলাম নিয়ে লিখতে গেল? অনেকেই আবার খুব সুকৌশলে বুঝিয়ে দিল তারা কোন পক্ষকেই সাপোর্ট করেনা। তারা শুধু জানে যে ইসলাম শান্তির ধর্ম। এটা খুব স্পষ্ট করেই বলতে চাই জঙ্গিরা অনেক ভাবেই গত কয়েক বছরে মদদ পেয়েছে। তারা যেমন প্রশাসনের উদাসীনতায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। ঠিক তেমনি এ দেশের মুসুলমানদেরও বিভ্রান্ত করতে পেরেছে। ধর্মের বিরুদ্ধে লেখা আর ধর্মের নামে হত্যাকে একই টাইপ অপরাধ ভেবে যারা চুপ করে বসে ছিল তারাও আসলে পরোক্ষভাবে এই জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করেছে।


জঙ্গিবাদ ব্যাপারটা বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। তবে এখানে কয়েক জন তাত্ত্বিক গুরু মিলে অনেককে বিভিন্ন কৌশলে প্রভাবিত করে। যারা প্রভাবিত হয় তারাই কর্মী হিসাবে কাজ করে। এটা হচ্ছে একটা দিক। আরেকটা দিক হচ্ছে বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজেদের প্রয়োজনে এসব জঙ্গি নেতাদের ব্যবহার করতে পারে। তবে জঙ্গি পালা আর বিষাক্ত সাপ নিয়ে খেলা করা একই ব্যাপার। যতই দুধ কলা খাওয়ানো হোক এরা ছোবল দিবেই। কারন তারাও তাদের সাহায্যকারী গোষ্ঠী গুলোকে নিজেদের প্রয়োজনেই ব্যবহার করে। ব্যাপারটা ভাইস ভার্সা!

বিএনপি সরকারের আমলে জেএমবি যখন সর্বহারা মারছিল, প্রশাসন তখন নিরব ছিল। তারা সব মিডিয়ার অপপ্রচার বলে জেএমবিকে দুধ কলাই খেতে দিচ্ছিল। তবে সাপ ছোবল দিতে খুব বেশী সময় নেয়নি। আদালতে, সিনেমা হলে বোমা মেরে তারা বিএনপি সরকারকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছিল। একই ঘটনা আবার ঘটছে এখন। এবার শাসক আওয়ামীলীগ। যখন ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছিল তারা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দিচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী, তার পুত্র জয় এবং পুলিশের আইজি যেসব স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন তাতে মনে হয়েছিল সব দোষ ব্লগারদের। তারা উল্টাপাল্টা লিখছে বলেই মরছে! নিজেদের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে পারেনি তাই পুলিশ প্রশাসনেরও কিছু করার নেই। তবে যে সাপের প্রতি তারা উদাসীন ছিল সেই সাপ এখন তাদের ছোবল দেওয়ার আয়োজন শুরু করে দিয়েছে। সামনে মরন কামড় দেবে এটাও নিশ্চিত!


যারা মনে করেন ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম জঙ্গিবাদ হত্যা এসব সমর্থন করেনা তাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের সময় এসেছে। তারা যদি মনে করে থাকেন জঙ্গিবাদ ইসলামকে ধ্বংস করছে তবে তাদের আজ অনেক বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে তাদের বিশ্বাসকে অনেকভাবেই প্রশবিদ্ধ করা হবে। এভাবেই সভ্যতা বিকশিত হয়। সেসবের জবাব দিতে হবে জ্ঞান দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে। তা না করে যদি নাস্তিকদের জঙ্গিদের মতই সমান অপরাধি ভেবে চুপ করে বসে থাকা হয় তবে তার পরিনাম কি হতে পারে আমরা আজ দেখছি। জঙ্গিরা তাদের বিশ্বাস ছাড়া আর সবকিছুকে মূল্যহীন মনে করে। তারা যখন হত্যার জন্য নাস্তিক খুঁজে পাবেনা তখন অন্য ধর্মের পুরোহিতকে হত্যা করবে। বিদেশীদের হত্যা করবে। একসময় দেখবেন মসজিদে গিয়ে মুসলিমদেরদেরও ফতোয়া দিয়ে হত্যা করা শুরু করবে। তাই এখনি সময় এদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার। যেখানে যেভাবে পারেন এদের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলুন। আপনাদের সন্তান, আত্মীয়, বন্ধুরা যেন এদের দ্বারা প্রভাবিত না হতে পারে সে ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। কোন নাস্তিক কাকে গালি দিল সেটা অন্য বিতর্ক। যদি তার সাথে ধর্মের নামে, ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার নামে মানুষ হত্যাকে এক করে ফেলেন তবে বলব আপনারাও জঙ্গিদের পরোক্ষ ভাবে মদদ দিচ্ছেন।


ধর্মীয় মতবাদের সমালোচনা করা আর জাতিগত বিদ্বেষ একনা এটা নাস্তিকদেরও বোঝার সময় এসেছে। আজ বিভিন্ন কারনে আমাদের দেশ ষড়যন্ত্রের শিকার। অনেক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এ দেশকে ধ্বংস করতে তৎপর। আপনারা যারা ধর্মের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা না করে অযৌক্তিক জাতি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন কিংবা কুৎসিত গালি দিচ্ছেন তাদের আরো দায়িত্বশীল এবং যৌক্তিক আচরন করা প্রয়োজন বলে মনে করি। একাত্তরে আস্তিক নাস্তিক সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়াই করেছিল। তখন কমন এনিমি ছিল পাকবাহিনী। আজ আমাদের কমন এনিমি হচ্ছে জঙ্গিবাদ। বিশ্বাসীরা আপনাদের এনিমিনা। তাদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক গালি না দিয়ে বরং বিশ্বাসীদের সাহায্য করেন। মনে রাখবেন আস্তিক নাস্তিক বিতর্কের জন্যও একটা উন্নত পরিবেশ লাগবে। সেই উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে সবাই মিলে একসাথে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা।


বর্তমান সরকারের অনেক ব্যর্থতা আছে। তারা অনেক ব্যাপারেই উদাসীন অবস্থান নিয়ে সমস্যাকে আরো প্রকট করে ফেলেছে। তবে তার সাথে এটাও বলতে হবে এই সরকারই সব দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের মত একটা কঠিন কাজ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে পেরেছে। আমরা জানি আপনারা চাইলে পারেন। আজ দেশের স্বার্থে জঙ্গিবাদকে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা না বলে কিংবা উদাসীন না থেকে এ দেশ থেকে সমূলে উৎপাটন করেন। আমাদের দেশে সব সেক্টরেই দক্ষ মানুষ আছেন। শুধু তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর ইচ্ছেটুকো আপনারা পোষণ করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


আমাদের পূর্বপুরুষরা যেমন সব মতভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল একটা লক্ষ্যকেই সামনে রেখে, তেমনটা আজ আমাদেরকেও করতে হবে। হতে পারে আপনি আওয়ামী কিংবা বিএনপি, ডান কিংবা বাম! আস্তিক অথবা নাস্তিক! কিন্তু তাতে কি। যদি বাঙালি হয়ে থাকেন! যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে থাকেন! যদি নিজেকে মানুষ মনে করে থাকেন আর মানবতার জয় চান তবে আসুন এই বাংলার মাটি থেকে জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করি। আজ আবার এক সাথে গর্জে ওঠার সময় এসেছে।

জয় বাংলা। মানবতার জয় হোক।



মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

কল্লোল পথিক বলেছেন:



জঙ্গীদের সাথে কোন আপোষ নেই।
এদের বিরুদ্ধে ঘরে,ঘরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

জেন রসি বলেছেন: দেশকে, দেশের মানুষকে এবং নিজেদের বাঁচাতে এ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

শায়মা বলেছেন: বাড়ির পাশে এত মানুষের মৃত্যু!

মনটা অনেক খারাপ ভাইয়া!:(

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

জেন রসি বলেছেন: এদেশ থেকে এদের সমূলে উৎপাটন না করলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমাদের উদাসীনতাই তাদের দিনে দিনে শক্তিশালী করে ফেলছে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

দরবেশমুসাফির বলেছেন: দৃঢ়ভাবে একমত। আমাদের বিশ্বাস যাই হোক না কেন আমরা সবাই একটি জাতির অংশ। আমাদের সামনে এখন বড় ধরনের চ্যালেন্জ। একসাথে কাজ না করলে ভবিষ্যতে এই জাতি আর কোনদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেনা।

যারা মনে করবেন যে আমি ইসলামের আদর্শ থেকে সরে গিয়ে এমন কথা বলছি তাদের জানা উচিত ইসলামই আমাকে উপরের কথাগুলো বলতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

জেন রসি বলেছেন:
আমাদের বিতর্ক তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন আমরা একটা উন্নত সমাজ কাঠামো বিনির্মাণ করতে পারব। কিন্তু এ দেশে যদি জঙ্গিরা আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে তবে তারা যেমন আমাকে বাঁচতে দেবেনা, ঠিক তেমনি আপনাকেও দেবেনা। আর এমন পরস্থিতিতে আমি মনে করি আপনাদের মত জ্ঞানী বিশ্বাসীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা কেন জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে তার কারন খুঁজে বের করে তাদের সেভাবে বোঝাতে হবে। পরিবারে, মহল্লায় কেউ যেন জঙ্গিবাদ দ্বারা বিভ্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

আপনার বিশ্বাসের সাথে আমার দ্বিমত থাকতে পারে! কিন্তু আপনার বিশ্বাসকে আমি সন্মান করি।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

দরবেশমুসাফির বলেছেন: একাত্তরে আস্তিক নাস্তিক সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়াই করেছিল। তখন কমন এনিমি ছিল পাকবাহিনী। আজ আমাদের কমন এনিমি হচ্ছে জঙ্গিবাদ। বিশ্বাসীরা আপনাদের এনিমিনা। তাদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক গালি না দিয়ে বরং বিশ্বাসীদের সাহায্য করেন। মনে রাখবেন আস্তিক নাস্তিক বিতর্কের জন্যও একটা উন্নত পরিবেশ লাগবে। সেই উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে সবাই মিলে একসাথে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা।

এটাই পোস্টের কোর কনসেপ্ট। এখানেই সবাইকে একমত হতে হবে।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

জেন রসি বলেছেন: একাত্তরের এক স্কুল মাস্টারের গল্প শুনেছিলাম। তাকে রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকায় ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে বলেছিল অন্ডকোষে ইট ঝুলিয়ে পুরা গ্রাম হাটাবে। তিনি বিচলিত হন নাই। বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থেকে আমি আল্লাহর পথেই আছি। এমন মানুষের প্রতি, এমন বিশ্বাসের প্রতি আমি সন্মান রাখি। কাদের সন্মান করতে হবে আর কাদের প্রতিরোধ করতে হবে এটা বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী দুপক্ষেরই আজ নতুন করে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

মেটাফেজ বলেছেন: ভাল লিখসেন। ব্লগে দুই সাইডেরই লোক আছে, এবং ইদানিং দুই সাইডেরই কিছু এক্সট্রিম কার্যকলাপ দেখতাসি। একটা ন্যশনাল ডিজাস্টারের সময় ন্যুনতম আচার কেমন হওয়া উছিত, সেই সেন্সটুকু পর্যন্ত নাই এদের। এগুলা মানসীক রুগি।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

জেন রসি বলেছেন: আজ আমাদের সবাই জন্যই খুব বিপদের সময়। এ বিপদের কারন এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান। এদেশের অবস্থা পাকিস্থান কিংবা আফগানিস্থানের মত হোক তা আমরা কেউই চাই না। যেহেতু এখন একটা ক্রাইসিস চলছে তা মোকাবেলায় আমাদেরকেও অনেক বেশী দায়িত্বশীল হতে হবে।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

কাবিল বলেছেন:




কোন আপোষ নেই।
পতন চাই।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

জেন রসি বলেছেন: এ লড়াইয়ে আপোষের কোন জায়গা নেই। এ লড়াইয়ে জিততে হবে।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

সুমন কর বলেছেন: কোন লাইন ছেড়ে কোন লাইন বলব, প্রতিটি কথার সাথে পূর্ণ সহমত। গ্রেট পোস্ট।
দেশের অবস্থা আগে এতো খারাপ ছিল না। এতো মানুষ মারা যাচ্ছে, বিচার কোথায় !!

মানবতার জয় হোক।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

জেন রসি বলেছেন: জঙ্গি মারার চাইতেও এদের যারা মগজ ধোলাই করে এ পথে নামাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের সরাতে না পারলে এক দিকে ৬ জন জঙ্গি মরবে আবার কাল তারা আরো ৬ জনের মগজ ধোলাই করে রাস্তায় নামিয়ে দেবে। আঘাত করতে হলে মূলেই আঘাত করতে হবে।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: খুবই বাজে অবস্থা :-& খুব সুন্দর যৌক্তিক ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আসলে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। :)

০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জেন রসি বলেছেন: যারা জঙ্গিদের পথকে সমর্থন করেনা তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়েই এদের প্রতিরোধ করতে হবে। যারা নিরপেক্ষতার কথা বলে চুপ করে বসে থাকবে বুঝতে হবে তারা হচ্ছে পরোক্ষ মদতদাতা।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যখন ওরা প্রথমে হুমায়ূন আজাদ স্যার, ইউনুস স্যার, রেজাউল করীম সিদ্দিকীদের কুপিয়েছিলো; আমি কোন কথা বলিনি, কারণ, আমি উনাদের মতন বিজ্ঞ বা শিক্ষক সমাজের কেউই নই।
তারপর যখন ওরা রাজীব হায়দার, দ্বীপ,অভিজিত রায়, অনন্ত, বাবু, নীলদের কোপালো, আমি নীরব ছিলাম, কারণ, আমি ব্লগার বা অনলাইন একটিভিস্ট নই।
তারপর ওরা যখন ফিরে এলো নুরুল ইসলাম ফারুকী বা টুঙ্গীপাড়া পঞ্চগড়ের সাধুবাবাকে কে কোপাতে, আমি তখনও চুপ করে ছিলাম, কারণ, আমি ধার্মিক সমাজেরও কেউ নই।
আবারও আসল ওরা ফয়সাল আরেফিন দীপনদের কোপাতে, আমি টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করিনি, কারণ, আমি প্রকাশক নই।
শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে, আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না, কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।"
বিঃদ্রঃ- মার্টিন নেমলার এর কবিতার ছায়া অবলম্বনে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিটা একটু দেখার চেষ্টা করামাত্র ।
--Saikat Bhowmik

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৭

জেন রসি বলেছেন: মার্টিন নেমলারের সেই কবিতাটা বহুবার পড়েছি। আমাদের দেশে আসলেই এটা হচ্ছে। এমনটা হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত আর কিছুই থাকবেনা। বৈশাখের উৎসব বন্ধ হয়ে যাবে। বই মেলা বন্ধ হয়ে যাবে। ভেঙে ফেলা হবে অপরাজেয় বাংলা। যদি তেমন কিছু আমরা না দেখতে চাই তবে আজই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যদি এদের বিরুদ্ধে চুপ থাকি তবে তা হবে আত্মহত্যার সামিল।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

অশ্রুকারিগর বলেছেন: খুব সুন্দর করে সকল দিক বিশ্লেষন করে লিখেছেন। সামু কতৃপক্ষের উচিত ব্লগের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় পোস্টটা স্টিকি করা। এখনো নির্বাচিত পাতাতেই স্থান পেলনা। পোস্ট স্টিকি করার আহবান জানিয়ে গেলাম।

দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবার এখন উচিত জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫১

জেন রসি বলেছেন: এমন এক ভয়াবহ জিনিস যার চাষাবাদ যে দেশে হয়েছে, সে দেশই ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের দেশ থেকে এই জঙ্গিবাদকে বীজ সহ ধ্বংস করে ফেলতে হবে।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বৈশ্বিক চক্রান্তের অংশ এটা। পলাশীর যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এক ইংরেজ বলেছিলেন, ঐ যুদ্ধের দর্শক কৃষকরা যদি নিজেদের হালের যন্ত্রপাতি নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হতো তাহলেও পুরো লর্ড ক্লাইভ বাহিনী ধুলিস্যাৎ হয়ে যেত। :| :|

জনগণ হতে বিচ্ছিন্ন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা খুবই রিস্কি একটা ব্যাপার। আমাদের সরকারের লোকদের এই ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়া উচিত, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে জঙ্গীবাদের কূফল জানানো ও সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১১

জেন রসি বলেছেন: এই জনগনকে ভয় পেয়েই কিন্তু সরকার জঙ্গিদের সাথে নমনীয় আচরন করে আসছিল। কারন সরকার ভাবছিল ব্লগারদের ব্যাপারে বেশি কনসার্ন দেখিয়ে ফেললে মানুষ আবার তাদের ইসলাম বিরোধী সরকার বলে ভাবতে পারে। হেফাজতকে ,তেঁতুল হুজুরকে খুশি করার একটা প্রবনতা দেখবেন সরকারের মধ্যে আছে। এটার কারন এইনা যে তারা ওদের সঠিক মনে করে। বরং তারা এটাকে একটা কৌশল হিসাবে নিয়েছে। কারন হচ্ছে আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষই আছে যারা চাঁদে সাইদি দেখা টাইপ। কাল গুলশানের ঘটনা নিয়ে যদি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে মানুষের প্রতিক্রিয়া অবসারভ করেন তবে দেখবেন অনেকেই কোন রকম যুক্তি তর্ক প্রমান ছাড়াই জঙ্গিবাদকে অস্বীকার করে সব দোষ ভারতের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আসলে সরকার এবং সরকার বিরোধী উভয় চক্রকে বুঝতে হবে যে জঙ্গিবাদকে কোন রকম প্রশ্রয় দেওয়া কিংবা জঙ্গিবাদকে টুল হিসাবে ইউজ করা খুব ভয়ংকর জিনিস। যে দেশেই এই ব্যাপারটা হইছে সে দেশেই রসাতলে গেছে।

১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আবদিয়াৎ বলেছেন: বিভক্ত জাতি কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ না করে খালি কাইজ্জা করবে । আর এইটাই পরিণতি ।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৫

জেন রসি বলেছেন: যারা কাইজ্জা কইরা বিষধর সাপকে ছেড়ে দেবে তারা সবাই সাপের ছোবল খাবে।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৩

মেটাফেজ বলেছেন: গত ১৫ বছর ধৈড়াই জঙ্গি ধরা পড়তাছে। ধরা পড়লে শাস্তি ক্রসফায়ার। খিকজ, এইটা কি বড়গুলারে সেভ করার জন্য কিনা, সেইটাই প্রশ্ন। আর নাইলে রিমান্ডের পর এমনে কুত্তাবিলাইয়ের মত জানোয়ারগুলারে মারার পরও আরও থাকে কেম্নে?

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৩

জেন রসি বলেছেন: কারা জঙ্গিদের মগজ-ধোলাই করে তাদের জঙ্গি বানাচ্ছে তা জানাটাই জঙ্গী দমনে ইচ্ছুক প্রশাসনের জন্য যৌক্তিক কাজ হওয়ার কথা। যদি মাথা ধরতে না পারে তবে কাজের কাজ কিছুই হবেনা। কারন ধরেন গতকাল ৬ জনকে মেরেছে। আগামী কাল এরাই আবার নতুন ৬ জনের মগজ ধোলাই করে ফেলবে। তাই জঙ্গিদমন করতে হলে মূলে আঘাত করতে হবে।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
একমত আপনার সাথে।
বিএনপি বোধহয় এটাই চাইছে। এতে প্রমাণ করতে চাইবে সরকার ব্যর্থ।
সতর্ক হওয়া জরুরী

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৮

জেন রসি বলেছেন: জঙ্গিরা সুযোগ পেলে আওয়ামীলীগ বলেন কিংবা বিএনপি বলেন, কাউকেই ছাড় দেবেনা। তাদেরকে কোন রকম ভাবেই মদদ দেওয়া যাবেনা।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

তারেক৭০৭ বলেছেন: জংগীবাদ অবশ্যই সন্ত্রাস

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩১

জেন রসি বলেছেন: কোন সন্দেহ নেই।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৭

ঝরা পাতার ক্ষরা দিন বলেছেন: সন্ত্রাস মুক্তো হোক বাংলার মাটি ।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

জেন রসি বলেছেন: জঙ্গিবাদ নিপাত যাক।

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৪

নীলপরি বলেছেন: যৌতিক বিশ্লেষণ করেছেন । ভালো লাগলো ।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: এ দেশ যেন জঙ্গিমুক্ত হয়, সে জন্য যার যার অবস্থান থেকে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

শেয়াল বলেছেন: ইহুদী আর একশ্রেণির লোভীরা এই পৃথিবীকে নরক বানিয়ে ফেলছে দিনে দিনে । X((

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫২

জেন রসি বলেছেন: সব ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু অনিবার্য! এই মুহূর্তে জঙ্গিরা বাংলাদেশকে নরক বানিয়ে ফেলছে! তাদের সমূলে উৎপাটন না করা পর্যন্ত এই বাংলা আর শান্ত হবেনা।

১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৭

শেয়াল বলেছেন: সব ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু অনিবার্য !

সহমত !! এর জন্য সরকার ও জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলোতে জংগীবাদের ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

জেন রসি বলেছেন: শুধু যে মাদ্রাসায় জঙ্গিবাদের চাষাবাদ হয়ে থাকে এমন ধারনা কিন্তু বহু আগেই ভুল প্রমানিত হয়ে গেছে। যারা রাজীব হায়দারকে হত্যা করেছিল তারা সবাই নর্থ সাউথের ছাত্র ছিল। গুলশানে জঙ্গি হামলায় যারা জড়িত ছিল, তারাও কিন্তু মাদ্রাসা থেকে উঠে আসেনি। তার মানে এই না যে মাদ্রাসায় জঙ্গি নেই! আসলে এসব দেখে এটা খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে যে, খুব পরিকল্পিত ভাবেই এ দেশে জঙ্গিবাদের চাষাবাদ চলছে। তাই জঙ্গিবাদ নির্মূলে বিন্দু মাত্র উদাসীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে। যার প্রমান ইতোমধ্যেই আমরা পেয়েছি।

২০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সমস্যার মূলে যেতে হবে। শুধুমাত্র গায়ের জোরে কিংবা অস্ত্রের জোরে এ সমস্যার পূর্ণ সমাধান হবেনা। হলে এতদিনে ধরা থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল হয়ে যেত।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জেন রসি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন খায়রুল আহসান ভাই। জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে।

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১২

আরিফ রুবেল বলেছেন: নিজেকে নিরাপদ ভাবার কোন অবকাশ নাই, নির্মূল করতে না পারলে আজ হোক কাল হোক এদের হামলার লক্ষ্য বস্তু আমি, আপনি, আমরা হব। কাজেই, এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জন্ম গ্রহনের সাথে সাথে কেউ চরমপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী হয় না। যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এদের এই রূপান্তর ঘটছে সেগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বন্ধ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। নইলে কয়েক লক্ষ জিহাদীকে হত্যা করলেও এদের উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না।

আমাদের সমাজে একদল ঘৃণা ব্যবসায়ী ঘোট পাকিয়েছে, এরাই সমাজে ঘৃনার চাষাবাদ করছে আর তার ফল হিসেবে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এই ঘৃণার বেপারীদের ব্যবসা বন্ধ করা এখন খুব জরুরী হয়ে পরেছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০০

জেন রসি বলেছেন: যখন একের পর এক ব্লগারদের নাস্তিকতার নামে হত্যা করা হয়েছিল তখন প্রশাসন এসবকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন ছিল যেন ব্লগাররাই লিখে অপরাধ করে ফেলেছে। তখন অনেকেই নিরব থাকতে দেখা যায়। এসবের ফলেই এ দেশে জঙ্গিরা আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

আর জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে। কারা, কখন, কিভাবে কোথায় জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি দাড়া করাতে হবে।

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

দেশী পোলা বলেছেন: ৫ নম্বর পয়েন্টটা মনে ধরেছে

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

কামরাঙ্গীরচরের মাসুক জনতা বলেছেন:


@ওহে কিতাল জারজ, আইসিস ইসলামের নামে মেয়েদের উপরে কি করতাসে সেইটা উল্লেখ কর্লা না সোনা জাদু? মেয়েদের বিক্রি করতাস সেক্স স্লেভ হিসাবে, সেইটা ইসলামে কোন আমলে আছিল? আইচ্ছা, সব বাদ দেও, এশার নামাজের সময়, মসজিদে না যায়া কাফের মারতে গেসিলা, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এমুন কাজ কবে কোন জায়গায় করসিলেন বা করতে বলসিলেন দেখাও তো। ধর্ষণের রেফারেন্স দিলা, গত তিন বছরে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ করা কর্সে নামটা উল্লেখ কর্লা না? তোমরা, তোমরা আইএস জারজরাই করস। তোমাগর টপ লিডারের বউ আর রক্ষিতা কয়জন সংখ্যাটাও উল্লেখ কর্তা সৎ-সাহস থাকলে, সেইটা তোমাদের নাই। খিলাফত আনবা দুনিয়ায়, কোন খলিফা তোমাগর মত মেয়েদের সেক্সস্লেভ বানাইছিল, নামটা লেখ তো সোনাজাদু। পারবা না।

আল্লাহর কসম, আমার দেশে তোমার মত জারজর আস্ফালন কোনভাবেই মানুম না। আস, রাস্তায় আস, কাপুরুষের মত নামাজ কাজা কৈড়া অসহায় নিরস্ত্র মানুষের কল্লা না ফালায়া সাহস থাকলে বেটাছেলের মত রাজপথে আস, যু্দ্ধ কারে বলে আর জিহাদ কারে বলে খুব ভাল শিক্ষা দিমু তোমারে আর তোমার বাপগরে। ইসলামের নামে অনেক নিরীহ মুসলিমরে জ্বালাইছ, তোমার মত শুয়রগরে জবাই করতে আমরাও রেডি হইতাছি। আর কয়েকটাদিন বাইচা থাক সাবধানে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৭

জেন রসি বলেছেন: এই ব্লগের উপর জঙ্গিদের নজর রয়েছে। তারা বিভিন্ন ভাবে ব্লগের সাথে মিশে আছে। কাতিল আইডি থেকে সরাসরি ভাবেই জঙ্গিদের পক্ষ অবলম্বন করা হয়েছে। এরা কিন্তু সবখানেই এদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। মাদ্রাসা থেকে শুরু করে ইংলিশ মিডিয়াম- সবখানেই এরা আছে। এদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। এদের টিকে থাকতে দিলে বাংলাদেশের ধ্বংস অনিবার্য।

২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: সবাই ঐক্যবদ্ধ না হয়ে কোন উপায় নাই। বাংলাদেশকে আরেকটা সিরিয়া, ইরাক কিংবা আফগানস্তানের জায়গায় দেখতে চাই না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জেন রসি বলেছেন: যখন একের পর এক ব্লগার হত্যা করা হচ্ছিল প্রশাসন তখন খুব বেশী উদাসীন ছিল। এখন যদি এই গুলশান হামলার পরেও আমরা উদাসীন থাকি তবে আরো ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।

২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুখ যদি অপরিষ্কার- নোংরা হয়, তা থেকে নির্গত শ্বাস- দুর্গন্ধ ছড়াবেই। ভিন্নমত দমাতে সরকারের সব কৌশল, দক্ষতা, পরিকল্পনা, শক্তি অপচয়ের ব্যস্ততার ফাঁক গলে- বাতির তলার নিগুর অন্ধকারে জন্ম নেয়া- পিচাশের নখের সক্ষমতাকে ঠাহর করেনি বা পাত্তার নাগাল পায়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে এইসব চরমপন্থার নিষ্ঠুর ছোবলে ছিন্ন- ভিন্ন লাশকে পূঁজি করে, সেইসব হত্যাকে বিরোধীমত দমনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে- মূল অপরাধিদের কমই সিরিয়াস নিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদল বি এন পি'ও একটি ঘটনার বিরদ্ধেও রাজপথে কর্মসূচি দেয়নি- বরং সরকারের জন্য ক্ষতিকর ভেবে তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলেছে মনে মনে। মূলত একারনেই চরমপন্থা পিচাশের হিংস্র ছোবলের নখের ধার আরও শাণিত হয়ে দীর্ঘতর হয়েছে। যার হিংস্রতা নিয়ত রক্তাক্ত করছে প্রিয় মাতৃভূমিকে।

তাই এই দুঃসময়ে, বিক্ষত স্বদেশকে রক্ষায়, পিচাশের হিংস্র নখ গুঁড়িয়ে দিতে- সকল মত ও পথের মানুষকে এক কাতারে দাঁড়ানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। অবরুদ্ধ সময়ে আপনার সেই আহবানকে স্যালুট। অনন্ত শুভকামনা প্রিয় জেন রসি
ভাইয়াকে...

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

জেন রসি বলেছেন: এ ব্যাপারে সরকার সবসময় উদাসীন ছিল। তারা ব্লগার হত্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে গুরুত্ব দিয়েছিল এক শ্রেণীর মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিকে। যার ফলাফল আজ আমরা দেখছি। আর বিএনপি যতদিন জামাতের লেজ ধরে থাকবে ততদিন তাদের মুখে জঙ্গিবাদ বিরোধী কথা হাস্যকর শোনাবোা। জামাত নিজেই জঙ্গিবাদের চর্চা করা এবং মদদ দেওয়া দল। জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে সবার দলকানা আর ধর্মকানা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।

২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: সবাই দলে দলে 'জঙ্গি দমন কমিটি' (জদক) এ যোগ দিন। :) view this link

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

জেন রসি বলেছেন: ইহা ইহুদি নাসাদের ষড়যন্ত্র! ;)

২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বেশ গুছানো একটি লেখা। সকল ২০১৩'র ঘটনা পরম্পরায় যত বিভেদ যত মেরুকরণ হয়েছে, সবই বাংলাদেশকে ভাগ করার জন্য। এই প্রচেষ্টা এবং এর কৌশলগুলো অতি পুরাতন হলেও নতুন প্রজন্মের কাছে সেগুলো অভিনব। ফলে চেক এন্ড ব্যালেন্স হয় নি। ..... যারা বাংলাদেশকে এক দেখতে চায় এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়, তাদের এক হওয়া উচিত।

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৭

জেন রসি বলেছেন: ক্ষমতার রাজনীতি এবং কল্যাণের রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আছে। আর চেক এ্যান্ড ব্যালেন্স না থাকলে যে অ্যাবসলিউট পাওয়ারের জন্ম হয় তার প্রতিক্রিয়াগুলো হয় ভয়াবহ।

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি বোধহয় আমার কোন লেখায় আজকের এই পরস্থিতির কথা বলেছিলাম।। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষও বাধ্য হয় প্রতিরোধে।।
পুলিশের বক্তব্য এদেরও খুজছিলো।। কিন্তু প্রায় ১১০০০হাজার ধরা পরার পরও এরা আকাশ থেকে নাজেল হোল।। তারমাঝে একজন লীগ নেতার ছেলে!! কি বলবেন এখন??
অবান্তর মন্তব্য, তাই না??

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৩

জেন রসি বলেছেন: না। অবান্তর মন্তব্য বলবনা। সরকার জঙ্গিদমনে উদাসীন ছিল। যখন একের পর এক ব্লগার হত্যা হচ্ছিল তারা তখন জঙ্গি না ধরে কোন ব্লগার কোথায় কি লিখেছে সেসব নিয়ে সময় কাটাচ্ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.