পোকামাকড়ের অনলাইন বাজার

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

টেলিভিশনে রিয়েলিটি শোগুলোয় দেখা যায় দেদার পোকামাকড় গিলে খাওয়ার প্রতিযোগিতা। সেসব দেখেই অনেকের গা গুলিয়ে এলেও এমন অনেকেই আছেন যারা খাবার টেবিলে তৃপ্তি পান না পোকামাকড় ছাড়া। পৃথিবীতে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ তাদের খাবার হিসেবে বেছে নিয়েছে বিভিন্ন পোকামাকড়। অনেকে রাতের খাবারে পে্লটে কঁাকড়া, বিছা খেতে খুবই পছন্দ করেন। তারা মনে করেন, এসব পোকামাকড় পাকস্থলীর জন্য খুবই ভালো, উপাদেয় এবং পুষ্টিকর। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও মিনারেল। যা তাদের সবসময় কর্মক্ষম রাখে। অতিরিক্ত মেদ জমে না এসব পোকায়। আর কেউ-কেউ আছেন ক্ষুধা অনুভব করলেই টপাটপ খেয়ে নিল কয়েকটা ঘাস ফড়িং অথবা গোবরে পোকা। খাবার হিসেবে পোকামাকড় এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, এসব পোকামাকড়ের প্যাকেট অনলাইনেও কেনাবেচা হচ্ছে। পোকা-খোরদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে∏ ঘাস ফড়িং, গোবরে পোকা, তেলাপোকা থেকে শুরু করে নানা কীটপতঙ্গ। মাত্র ২৫ পাউন্ডে কিনতে হয় এক প্যাকেট পোকা। বিক্রেতাদের ভাষ্য, দিন-দিন এসব পোকার চাহিদা বাড়ছে। এ বছরই ব্রিটেন থেকে বড় চালান সরবরাহের প্রস্তাব পেয়েছি। তারা বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনের সঙ্গে এসব পুষ্টিকর খাবার দিতে চায় বলে অনলাইনে জানিয়েছে। ক্রেতারা প্রায়ই পোকামাকড়ের গিফট-প্যাকেটের জন্য তাড়া দিতে থাকে। পোকা খাবার প্রস্তুতকারক অন্যতম প্রতিষ্ঠান থিংকগিকের তথ্য অনুসারে∏ এখন সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় সাপ। পোকামাকড় ইদানীং জনপ্রিয় হওয়ার কারণ খাবার হিসেবে এগুলো প্রস্তুত করা হলে এতে কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক, রঙ বা গন্ধ দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয় এসব খাবার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত হওয়ার পর দোকানে নিয়ে আসা হয়। শুধু অনলাইনে নয়, এভাবে পোকার পসরা সাজিয়ে দোকান খুলে রেখেছে উত্তর থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডের টাঙ কোয়ান মার্কেট থেকে সারা বছরই নানা ধরনের পোকা সরবরাহ হতে থাকে। আর এখানকার সাপ তো এশিয়ায় দারুণ জনপ্রিয়।

০ টি +০/-০