বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রন পত্র......................।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৫

বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রন পত্র।



হাতে আমার একটি নিমন্ত্রন পত্র.

লেখা আমার বন্ধুর বিয়ে।

অনেকদিন পর মনে করল আমায়,

বিয়ের নিমন্ত্রন দিয়ে।



অনেক ব্যস্ততা আমার মাঝে,

অবসর আমার স্বপ্ন।

কি করে যে সময় করি,

পেতে পারি দেখা করার লগ্ন।



যেতে আমাকে হবেই যে,

সে আমার গুরুর মেয়ে।

বার বার করে অনুরোধ তার,

“অবশ্যই এসো, শুক্রবার আমার বিয়ে।”



যেতে মন চায়, তার মুখখানি দেখতে,

পাঠশালায় তো রোজ যেতাম,

তার কথার ফুলছুড়ি পেতে।

কত কথা , কত হাসি, কত মারা-মারি,

দুষ্টুমির শেষ ছিল না,

তবে হত না বাড়াবাড়ি।



গুরু আমায় স্নেহ দিতেন

নিজ পিতার মত।

ঠাঁই দিয়েছেন তিনি আমায়,

বিপদে আমার যত।



গুরুকে শ্রদ্ধা করার দায়ে,

দূরে সরে গেলাম তার থেকে,

প্রেম হওয়ার ভয়ে।



ভাবছি কেন সে কথা,

কেনই বা মনে আসে?

অতীত কথা মনের মাঝে

কেন বারে বারে ভাসে?



বিয়ে তো তার,

কি কেনা যায়,

কি দেওয়া যায় তারে?

সে ভাবনা মাথায় নিয়ে

দেখি যাই বাজারে।

তার জন্য জামদানী শাড়ি

জামাই-বাবুর পাঞ্জাবী,

দু’জনকে আরও দিব

একাত্তরের চিঠি।



রওনা হলাম সে পথে,

যে পথে তার বাড়ি

যে পথে শেষ হয়ে গেছে,

আমার প্রেমের তরী।

বাড়িতে তার বিয়ের বাজনা,

কত ধুম-ধাম।

তার সাথে হচ্ছেনা দেখা,

কি যে বিধির বাম।

সুযোগ দেখি, পথ দেখি,

কত না উপায়ে,

জানালায় তারে হঠাৎ দেখি

লাল শাড়ি গায়ে।

চোখে-চোখ চোখ পড়ে গেল,

নীরব কিছু কথা,

ইশারা ডেকে আমায়,

করল সে দেখা।

“বিয়ে আমার আজকে হবে,

অনেক দেরীতে এলে,

তোমার জন্য কত কথা,

বন্দী মনের জেলে।

বলে আমায়, বলে সে,

বলে কেঁদে কেদে,

তুমি আমার সূর্য ছিলে,

নীল আকাশের ছাদে।



কিছু বলিনা, নীরব আমি,

নিরব থাকায় ভাল।

মনের কথা, মনেই খাক,

থাকুক অন্ধকারে কালো।

হঠাৎ করে জড়িয়ে আমায়,

চোখে চোখ রাখে,

অজানা ভয়ে বুকটা আমার,

ধক করে উঠে।

একটুর জন্য মনে হল,

নিয়ে যায় তারে

প্রেম-যুদ্ধে অন্যায় নেই,

তা তো সকল মানুষ জানে।



তা কি হয়, তা কি হয়,

কি করে হয় বল।

গুরু ভক্তি সে সাহস,

কেড়ে নিয়ে গেল।

চোখের ভাষায় বলি তারে,

মনের সে কথা,

তুমি আমার প্রথম- শেষ ভালবাসা।

১২ টি +৩/-০