![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সাধারণত দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যময় স্থান বা বিশেষ সৌন্দর্য্যময় স্থান গুলো ঘুরতে বেশি পচ্ছন্দ করি। ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে – মনে রাখার চেষ্টা করি- আর পরে বিশেষ একটা গর্ব নিয়ে বলি- একদা সেথায় গিয়েছিলাম। কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোক দেশের বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান দেখতে যান ।
যাহোক আপনি যদি চাঁপাই নবাবগঞ্জে এসে কয়েক দিন থাকেন, তবে এলাকার বিভিন্ন আড্ডায়, গল্প-গুজবের আসরে মাঝে মধ্যে দেখবেন-
কেউ ন্যাকামি করলে অথবা রঙ্গরস প্রদর্শন করলে এখনো বলা হয়
“আলকাপের গান গাহিস না তো।শুনতে ভাল লাগছে না।”
এটা একটা কথার কথা। কিন্তু বাস্তবে আলকাপের গান শুনতে চমৎকার লাগে। দারুণ উপভোগ্য।
আপনাদের অনেকের আলকাপের গান সম্পর্কে ধারণা আছে। তারপরও এটা নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করল- শুরু করে দিলাম……………….
আলকাপ নিয়ে কিছু কথা-
আলকাপ লোকায়ত ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত। খোশ গল্প-গুজবের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, মশকরা, টিপ্পনি কাটা ইত্যাদি আলকাপের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
দু’দশক আগে পুরো চাঁপাই নবাবগঞ্জ,রাজশাহীর জেলার কোন কোন অংশের লোকজনের মুখে মুখে প্রতিনিয়ত আলকাপের কলি ঘুরে ফিরে শোনা যেত। আলকাপের গানই ছিল তাদের প্রধান উপজিব্য। এ গান মাটির গান, মানুষের গান। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের হাসি, আনন্দ-দু:খ. বিরহ-ব্যথা, চাওয়া-পাওয়া. সামাজিক বাধা-বিপত্তি, অনাচার, জটিলতা, কুটিলতা সর্বোপরি জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার নিরন্তর প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে আলকাপ গান রচিত। আলকাপের গান স্থানীয় ভাষায় পরিবেশিত হবার ফলে এটি মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করত।
আলকাপ শব্দের অর্থ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারো মতে আলকাপ আরবি শব্দ, এর অর্থ হচ্ছে মশকরা, ঢং বা কৌতুক-জোক ।
আবার কেউ কেউ মনে করেন ‘আল’ মানে কাঁচা রস আর কাপ হচ্ছে গানের কৌশল। অর্থাৎ আলকাপ গানের অর্থটা দাড়াচ্ছে- কাঁচা রস সমৃদ্ধ সঙ্গীত।
আলকাপের জন্ম:
অনুর্ধ্ব দেড়শো বছর আগে বর্তমান চাঁপাই নবাবগঞ্জের জেলার শিবগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী মোনাকষা গ্রামের বনমালী শীল ওরফে বোনা কানাই (এ নামেই বেশি পরিচিত) প্রচলিত রীতি অনুযায়ী আলকাপ গানের সূচনা করেন। তিনি পেশায় নরসুন্দর তথা নাপিত ছিলেন, তাঁর একটি চোখ ছিলনা। বোনা কানাইয়ের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে অনেক শিষ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা যেমন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, রাজশাহী প্রভৃতি জেলায় আলকাপ ছড়িয়ে পড়ে আর ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
পশ্চিম বাংলার গবেষকরাও বোনা কানাইকে আলকাপ গানের জনক হিসেবে মনে করেন।
প্রায় দশ বছর পূর্বে ‘আকাশ বাণী’-র এক আলোচনায় বোনা কানাইকে আলকাপ গানের প্রবর্তক হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
প্রখ্যাত আলকাপ সরকার সুবল কানার একটি ছড়ায় মালদহ, নবাবগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গীপুর, নুরপুর, রাজমহল ইত্যাদি অঞ্চলের বিভিন্ন সরকারদের (আলকাপ দলের নেতা) নাম পাওয়া যায়।
ছড়াটি নিম্নরুপ:
প্রথম মোনাকষার বোনাকানাই
আলকাপ গান করেন রচনা।
তারপরেতে সুবেদার আলী ভাই
বাড়ি তাহার মালদহতে হয়।।
তার পরেতে ঝাঁকসু সরকার নামটি শুনি
তার জঙ্গীপুরে বাড়ি জানি।
আলকাপে সে বিখ্যাত রে ভাই।।
জাগিরুদ্দিন যাহার নাম
তার নূরপুরেতে হয়গো ধাম।
ঝাঁকসু-জাগু এক সঙ্গেতে গায়।।
তারপর মকবুল হোসেন নামটি শুনি
তার রাজমহলে বাড়ি জানি।
সেও কিন্ত মন্দ নয়রে ভাই।।
সুধীরচন্দ্র যাহার নাম
তার সাগরদীঘি হয়তো ধাম।
সিরাজ মাস্টার তাকে রেখেছিল ভাই।।
মোজাম্মেল-নইমুদ্দিন শুনি
তারা দুজনাতে বন্ধু জানি।
তাদের দলটিও মন্দ নয়রে ভাই।।
মনকির আলী নামটি শুনি
তার গোবিন্দপুর বাড়ি জানি
বরকত আল তার পাশেতে রয়।।
কার বা কতো করবো নাম
এবার শুনেন সুবল কানার গান
এই বলে ভাই
আমি দশের কাছে প্রণাম জানাই।।
আলকাপের দল গঠন:
আলকাপ দল তৈরি হয় ‘সরকার’-কে কেন্দ্র করে। সরকার হল আলকাপের দলপতি। এমন একটা সময় ছিল সরকার বলতে অধিকাংশ সময় আলকাপের দলপতিকে বোঝাত এবং পরবর্তী সময়ে নামের সঙ্গে উপাধিতে পরিণত হয়।
দল গঠন করতে উৎসাহী পনের জন লোক হলেই চলে। সবাই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে দলে যোগদান করে। সকলেই খেটে খাওয়া এবং দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষজন। এই দলে দৈনিক মুটে মজুর থেকে শুরু করে কামার-কুমার, মুচি-ছুতার. রাজমিস্ত্রী, বর্গাচাষী, কৃষক, চা-পান বিক্রেতা ইত্যাদি শ্রেণীর মানুষ থাকে।
সরকার সাধারণত একটু অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থ। মোটা ভাত- মোটা কাপড়ে তুষ্ট।
অনেক সরকার নিজে কৃষি কাজ অর্থাৎ নিজের জমি চাষ করতেন। অবশ্য অনেক সরকারের জমি-জমা বা বিষয়সম্পত্তি মোটেই ছিলনা। যেমন রাণীহাটি গ্রামের উপেন সরকার (প্রয়াত) পেশায় ছিলেন কর্মকার। অন্যদিকে বহলাবাড়ির মঙলু মোড়ল সরকার (প্রয়াত) অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থ ছিলেন।
যাহোক
অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকার হারমোনিয়াম বাদক এবং গান রচয়িতাকারী। অন্যান্য সহযোগী শিল্পীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন তবলা-বাদক, একজন হারমোনিয়াম বাদক, কাইপ্যা (জোকার) একজন বা কখনও দু’জন, জুড়ি (করতাল) বাদক পাঁচ/ছয় জন, দোহার দু’তিন জন এবং একজন ছোকরা।
ষাটের দশক বা তারও পূর্বে ১৪-১৬ বছরের নীচে ছেলেদেরকে ছোকরা সাজানো হত, মানে লাল শাড়ী, পেটিকোট, ব্লাউজ, হাতে চুড়ী এবং মাথায় বড় খোপা বেঁধে কিশোরী/বালিকা/নারী চরিত্র বানানো হত।
এই দলের মধ্যে একমাত্র ছোকরাই বেতনভুক্ত। দলের সরকারকে তার ভরণপোষণ ও বেতন হিসেবে বছরে ১৫-১৮ মণ ধান দিতে হত।
দলের সদস্যরা উপস্থিত বুদ্ধিতে সেরা, বিশেষ করে কাইপ্যা (জোকার)। কাইপ্যাকে কথার মারপ্যাঁচে ঘায়েল করা সহজ নয়।
আলকাপ গান পরিবশেনার ক্ষেত্র্রে ছয় ধরনের বিষয়ের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
যেমন: জয়ধ্বনি, আসর-বন্দনা, দ্যাশ বন্দনা বা ছড়া, খ্যামটা, ফার্স বা দ্বৈত সংগীত , আলকাপ পালা।
আলকাপের রঙ্গরসের নমুনা:
ক্যাঁইপ্যা ছোকরাকে (বোন হিসেবে) সঙ্গে নিয়ে গ্রামের হাট অতিক্রম করার সময় মিষ্টির দোকান চোখে পড়ে এবং মিষ্টি খাওয়ার খুব ইচ্ছা হয়। কিন্তু তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেই। তাসত্ত্বেও তারা দু’জন ময়রার সামনে দাঁড়িয়ে মিষ্টির দিকে চেয়ে থাকে। ময়রাও চতুর, সে তাদের প্রলুব্ধ করে মিষ্টি খেতে। ক্যাঁইপ্যা সে সুযোগ গ্রহণ করে বলে,- “তোমার কড়াই এর সব মিষ্টি হামি খাইয়া ফেলতি পারি।”
তার কথা শুনে ময়রা মুচকি হেসে বলে, -“ব্যাটা ঠাট্টা করো?”
-“না হামি ঠাট্টা করছি না।”
-“যদি খেতে না পারিস তবে কি দিবি?”
-“হামি খাইতে না পারলে হাঁর বোহিনকে দিয়ে দিব।”
তার কথায় ময়রা গলে যায়। সুন্দরী বোনের দিকে চেয়ে লোভ জেগে উঠে।
সে ভাবে এটাই মোক্ষম সুযোগ। কেননা কড়াইতে তখনও ৩/৪ সেরা রসগোল্লা বিদ্যমান। এতগুলো রসগোল্লা একা তার খাওয়া সম্ভব নয়। ফলে চতুর ময়রা সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। ইতোমধ্যে ময়রার দোকানে অন্যান্য লোকজনও ভীড় করেছে। ময়রা একটা বক্রহাসি দিয়ে বলে, -“আচ্ছা খা দেখি।”
ক্যাইপ্যা রসগোল্লা খাওয়া শুরু করে, হয়ত আধা সেরের মত খেয়েছে, সে আর খেতে পারছেনা। ময়রা তার খাওয়ার দিকে চেয়ে মুচকি হাসে । এইবার সে সত্যি সত্যি আর খেতে পারছেনা। এ অবস্থায় সে তার বোনকে বলে, -“গামছাটা দেতো হাতে।”
বোন তার দিকে গামছা এগিয়ে দেয়। ক্যাইপ্যা রসগোল্লা তুলে গামছায় রাখতে থাকে। ময়রা বলে উঠে, কর কি? কর কি?
-“হামি কিছু করছি না। গামছায় মিষ্টি তুইল্যা বাঁধনু।”
-“গামছায় তোলার কথা ছিল না। কথা ছিল তুমি সব খাবে।”
-“কেন হামিতো কইহাছি , হামি খাইতে না পারলে হাঁর বোহিনকে দিয়া দিব।”
এই বলে সে মিষ্টি বাঁধা গামছাটা বোনের হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাঁটা দেয়।
আজকে সকালে জনাব জাহাঙ্গীর সেলিম রচিত “হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি” নামক বইটি পড়ছিলাম। সেখান থেকেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম।
যাহোক আমাদের এলাকায় আর আলকাপের গান হয় না।কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। কেউ আর খোঁজ নেয় না। আর এভাবে এই আলকাপ গানের মত আমাদের দেশের অনেক সংস্কৃতি আছে যেগুলো দিন দিন এতিম হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা হারিয়ে ফেলছি আমাদের নিজস্বতাকে।
(বি:দ্র: কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।)
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকবেন জেমস ভাই।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪১
আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
অনেক কিছু জানা হলো।আলকাপ গান অনেক শুনেছি।তারপরও যা জানা ছিল না,তা জানলাম।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ রাতুল ভাই।
আলকাপ গানের যাদুতে
ভন্ড পরিণত হয় সাদুতে।
আলকাপ গানের হোক জয়
এ গান ছড়াক জগতময়।
লেখায় প্লাস:+++।এবং প্রিয়তে।
ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: আলকাপ গানের কথাগুলি সত্যি সুন্দর।
বই থেকে কয়েকটা বন্দনা লিখছি।
দেখি সামনের পোষ্ট দিব।
ভাল থাকবেন ভাই।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৩
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: প্রত্যেকটা হেডিং বোল্ড করে দিলে ভাল হয় রাতুল
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: কয়েক বার চেষ্টা করেছিলাম।
কি একটা সমস্যার কারণে পোষ্ট প্রকাশ হচ্ছিল না।
এখন হেডিং বোল্ড করে দিলাম।
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৮
সালমাহ্যাপী বলেছেন: ্বাহ সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগা।
অনেক দিন পর একটা পোস্ট দিয়েছেন। এর জন্য তিঙ্কু
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:২৫
রাতুল_শাহ বলেছেন:
কি করব বলেন, যা লিখি অর্ধেক লেখার পর আর লিখতে পারি না। লেখা খুব কষ্টের।
লেখারা যেন আর কাছে আসতে চায় না। কিন্তু আগে প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে পারতাম।
যাহোক আপনাকে ধন্যবাদ
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ছড়াটা বার কয়েক পড়তে হবে !
নতুন কিছু জানালেন ভাই, কতটুকু মাথায় রাখতে পারি সেটাই হলো আসল ।
কবিয়াল উৎসবে গেছি একবার । তাও অনেক ছোট বেলায় । শুধু ওনাদের সুর করে বলে যাওয়ার স্মৃতি মনে আছে আর কিছু মনে নাই ।
পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ছড়াটা আমিও কয়েক বার পড়েছি।
পড়লে কিছুটা মনে থাকার কথা।
যাহোক ভাই ভাল থাকবেন।
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০৩
মানুষ নই বলেছেন: BTV তে বেশ কয়েক বছর আগে নানা-নাতি (দুজনই কৃষক) গানে গানে বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের কথা বলতেন, মনে পড়ে? পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ, শুভকামনা।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: এটা গম্ভিরা ভাই।
এটা এখনো জনপ্রিয় । আমাদের এলাকার যে কোন অনুষ্ঠানে গম্ভিরা হতেই হবে। গম্ভিরা না হলে অনুষ্ঠান লবণ ছাড়া তরকারী হয়ে যাবে।
ভাল থাকেন-সুস্থ থাকেন শুভকামনা রইল।
৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: একদম জানা ছিলনা।এমন একটি বিষয় তুলে আনার জন্য অসংখ ধন্যবাদ
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৫৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: তাহলে তো নামটি জানা ছাড়া , আর কিছুই জানতে পারবেন না।
কারণ ২০০০ সালের পর আলকাপ হয়েছে কিনা , তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারে না।
ষাট-সত্তর দশকে আলকাপ ছিল আলকাপের মত।
যাহোক ভাল থাকেন-সুস্থ থাকেন, শুভকামনা রইল।
৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৯
আর.হক বলেছেন: জটিল
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৫৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ হক ভাই।
ভাল থাকেন-সুস্থ থাকেন, শুভকামনা রইল।
৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১১
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আলকাপ গানের সাথে একেবারেই পরিচিত ছিলাম না।এতো সুন্দরভাবে লিখেছেন যে চোখে ভাসছিলো।চমৎকার পোস্ট।++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:০২
রাতুল_শাহ বলেছেন: এখন হালকা-পাতলা পরিচয় করিয়ে দিলাম। যদি বিস্তর ভাবে আলকাপ গানের সাথে পরিচিত হতে চান , তবে ষাট-সত্তর দশকের দিকে চলে যেতে হবে।
চেয়ারম্যানকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪৮
ভিয়েনাস বলেছেন: অনেকের জন্য খুবি অপরিচিত আলকাপের গান। এর আগে কখনো শোনা হয়নি।
ভালো লাগলো
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:১২
রাতুল_শাহ বলেছেন: ২০০০ সালের পর আলকাপ হয়েছে কিনা , তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারে না। এই জন্য কিছুটা অপারচিত।
ভাল থাকেন-সুস্থ থাকেন, শুভকামনা রইল।
১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৩৪
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: এত সুন্দর একটা বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভাল লাগলো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:১৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকেন-সুস্থ থাকেন, শুভকামনা রইল।
১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:০০
শায়মা বলেছেন: হা হা মজার!
কাইপ্যার বুদ্ধি দেখে আমি অবাক!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:১৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: আসলেই মজার।
ক্যাইপ্যার বুদ্ধি অসাধারণ। এলাকার বয়স্করা এখনও ক্যাইপ্যার বুদ্ধি নিয়ে গল্প করে।
এরা কথার রাজা। কথা দিয়ে এদের ঘায়েল করা খুব কঠিন।
১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৫
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ রাতুল!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২২
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনারেও ধন্যবাদ আপা
আপনার তো মনে হয় আলকাপ সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে?
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৩০
মিঠেল রোদ বলেছেন: একটা নতুন বিষয় জানা হল।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
অদূর ভবিষ্যতে আলকাপ গানের মত অন্যান্য লোক সঙ্গীতও আমাদের কাছে নতুন বিষয় হতে পারে।
১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরেকটা নতুন গানের নাম জানলাম- আলকাপ। ময়রার সাথে বোন দিয়ে দেয়ার মশকরায় মজা পেলুম।
একটা সুন্দর আর্টিকেল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: এই রকম আরও কিছু আমাদের অজানা রয়েছে।
ষাট-সত্তরের দশকে গম্ভিরার মত আলকাপ খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু ২০০০ সালের পর আলকাপ নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখা যায় নি।
নব্বই দশকে কেউ কেউ আলকাপ করলেও ষাট বা সত্তরের মত আকর্ষনীয় ছিল না।
যাহোক আপনাকে ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন- সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা রইল।
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৬
hasin82 বলেছেন: শহুরে চার দেয়ালের মাঝেই ছোট থেকে বড় হয়েছি। কখনো জারী, সারী, ভাটিয়ালী, গম্ভিরা, আলকাপ ইত্যাদি দেখিনি, শুনিনি। বই পড়ে পড়ে ঘোল মিটিয়েছি। মাঝে মাঝে আফসোস হয়, হায়! জীবনে কতকিছুই মিস করলাম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাতুল_শাহ বলেছেন: আসলেই ভাই জীবনে বহুত কিছু মিস করেছেন।
তারপরও বলছি সুযোগ পেলে জানা -শুনার চেষ্টা করবেন।
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: খুবই সুন্দর++++++++++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: প্রিয়তে........
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন:
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আলকাপ গানের সাথে একেবারেই পরিচিত ছিলাম না।এতো সুন্দরভাবে লিখেছেন যেন নিজেই উপস্থিত ছিলাম । চমৎকার পোস্ট।+++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রাতুল_শাহ বলেছেন: পরিচিত হয়ে কেমন লাগছে ভাই?
যাহোক আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন- সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা রইল।
২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
ভালোলাগা জানালাম।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয় ভাই।
২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তেমন ধারনা ছিল না। নাচোলের এ দিকে আলকাপ সেভাবে হতে দেখিনি। গম্ভিরা হত যে কোন বিশেষ দিবসে। যেমন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস। এ সময়ের অনুষ্ঠান গুলোতে। কিন্তু এই কথাটা বলে বড় আপু খেপাইতো আমাকে। একটু ঢং করলেই বলতো শুরু হইলো আলকাপ! এই জন্য আলকাপ শব্দটারেই আমি দুই চক্ষে দেখতে পারিনা।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৫৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: আলকাপ আমাদের শিবগঞ্জের দিকে বেশি হত। আর নব্বই দশকে হালকা -পাতলা আলকাপ হলেও, ২০০০ সালের পর আলকাপ হওয়ার কথা শুনিনি।
বড় আপু এখনও বলে নাকি?
২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫৯
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: আলকাপ - এই শব্দটা আজ প্রথম শুনলাম
আগে জানতামই না !
পোস্টটা অনেক ভালো লাগল রাতুল ভাই
আলকাপ শোনার দাওয়াত দিয়েন ...
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: আলকাপ যদি কখনও হয় তবে অবশ্যই সবাইকে নিমন্ত্রণ জানাবো।
তখন কিন্তু আসতে ভুল করবেন না।
২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০১
ভিয়েনাস বলেছেন: চাপাই ইতিহাস আপনি জানলেন কেমন করে চাপাইয়ের দিকে যাওয়া আসা আছে নাকি
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই কি বলেন!
হাঁরঘে বাড়িই চাঁপাই নবাবগঞ্জ । আর এই হৃদয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ
২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: নাহ! এখন ওর নিজের মেয়ে আলকাপ করে! হি হি। সময় সুযোগ মত একদিন বলবনি। খুব তো আমারে বলতা এখন মেয়ে যে আলকাপ করে সবই তো দেখি ভাল্লাগে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০২
রাতুল_শাহ বলেছেন: অবশ্যই বলবেন।
বড় আপুদের খেপাইতে একটা দারুণ মজা আছে।
২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
হিবিজিবি বলেছেন: এই ধরণের গানকে যে আলকাপ বলে এটা জানা ছিল না। এই লেখা পড়ে নতুন কিছু জানা হলো। অনেক কিছুই তো আমাদের সংস্কৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে যেমন, জারি গান, পালা গান ইত্যাদি। এখন তো সবাই ভারতীয় বাংলা আর হিন্দি সিরিয়াল নিয়েই ব্যস্ত। সবাই শিখে কিভাবে আগের প্রেমিককে ছেড়ে আরেকজনকে বিয়ে করতে হয় আর বিয়ের পর পুনরায় আগের প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত ভাই।
বোকা বাক্সটার প্রভাবের কারণে আমাদের এই লোক সংস্কৃতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সাথে আমরাও অলস হয়ে গেছি।
যাহোক ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৯
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: সুন্দর। আপনাদের অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে ভাল লাগলো। প্রিয়তে নিলাম।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের লোকজ সংস্কৃতি গুলো আমার কাছে দারুণ লাগে। বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়ে হলুদ থেকে শুরু বিয়ের শেষ পর্যন্ত যে সব গীত গাওয়া হয়, সত্যি অসাধারণ।
কিন্তু সেগুলো হারাতে বসেছে।
২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৪৬
অন্তি বলেছেন: চমত্কার পোস্ট। আচ্ছা গম্ভীরা আর আলকাপ কী একি না কী ভিন্ন?
২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
গম্ভীরা আর আলকাপ ২টা দুই জিনিস।
গম্ভীরাতে শুধু নানা আর নাতি।
আপনার জন্য একটা গম্ভীরা :
নানা ঃ গুধা! কুনঠে গেলি বে? .....একটা কামে ক্যোহলে যুতি করে।
নাতি ঃ কি গোনে ষাঁড়ের মতন চিল্লাইছো? ডাকাইত পোড়্যাছে নাকি?
নানা ঃ তোকে যে ক্যোহনু, তোর নানিকে লিয়্যা হাঁসপাতালে যাবি। গেছিলি কি?
নাতি ঃ গেছিনু যে জি।
নানা ঃ ত্যাহলে ফের তোর নানি কোঁকাইছে কেনে?
নাতি ঃ হাঁসপাতালে গেনু, সিলিপ কোরনু, লাইনে খাড়ো হ্যোনু, ডাক্তার টিপ্যা ট্যাপা ওষুদ লেখ্যা দিলে, ওষুদ লিয়্যা অ্যানু। ফের কেনে কোঁকাইছে তো হামি ক্যেমোন কোর্যা ক্যোহবো।
নানা ঃ ওষুদ ঠিকমতন দিয়্যাছিলোতো?
নাতি ঃ তোমার কথা শুন্যা মনে হ্যোছে হামি ডাক্তার। সভাকি যা লেখ্যা ওষুদ দিছে, নানিকেও দিয়্যাছে।
নানা ঃ ক্যামন কথা বে! সব রোগের কি একই ওষুদ নাকি?
নাতি ঃ ত্যাহলে তোমাকে লককোর্যা একখান কথা কহি। কাহুকি ফের কোহিওনা। নাতো ডাক্তারেরা রাগ্যা গেলে আর ওষুদ পাব্যানা।
নানা ঃ কি কোহছিস বে! কহা-
নাতি ঃ শুনো, হামি ডাক্তারের ঘরের দুয়ারের গোড়াতে রোহ্যা দেখছি যে, ডাক্তার ক্যামন কোর্যা ব্যারাম দেখছে, আর ওষুদ দিছে। অরই ম্যোধে একটা মানুষ মনে হ্যোলো হাসপাতালেরই কেহু হ্যোবে আস্যা ডাক্তারের কানে কানে ক্যোহলে যে, সার ইসটকে পাতলামল ছাড়া আর কিছুই নাই।
নানা। আবে মল মানে তো গু। ডাক্তারেরঘে কাছে পাতলামল কুনঠে পালি। ঐটা বুঝিন প্যারাসিটামল কোহ্যাছে।
নাতি ঃ কেজেনি, হ্যোতে পারে। ফুস ফুস কোর্যা কোহছিলো তো।
নানা ঃ হ্যাঁ। এ্যারপর কি হ্যোলো কহা।
নাতি ঃ ডাক্তার ওই মানুষটাকে ক্যোহলে তুমি কুনু চিন্ত্যা করিওনা। হামি চালিয়্যা লিছি। তারপর নানা এককড় থাক্যা ব্যারামের কথা শুনছে আর পাইক্যারি হারে ওইযে কি মল ক্যোহল্যা, দেদাড়সে লেখ্যা য্যাছে।
নানা ঃ ক্যামন কথা বে, হাঁসপাতালের ওষুদ ফুরিয়্যা যায়।
নাতি ঃ হাঁর মোনে হ্যোছে নানা ওষুদ গালা বুঝিন বাহিরে বেচ্যা দিয়্যাছে।
নানা ঃ তোর মনে কেনে এট্যা ফের হোলো?
নাতি ঃ হাঁর মনে কেনে হ্যোলো তেবে শুনো। হাঁসপাতাল থাক্যা নানীকে লিয়্যা বারহিয়া আসছি তো একটা ওষুদের দোকানে ঝনজোট চলছে। আর চিল্ল্যা চিল্লি করছে।
নানা ঃ কি গোনে চিল্ল্যা চিল্লি করছে বে।
নাতি ঃ একঝোনা ওষুদ কিনতে যায়্যা দেখছে যে, বিন্যা পাস্যার ওষুদ দোকানে বেচ্ছে। ঐ লিয়্যায় ঝনজোট লাগ্যা গেছে।
নানা ঃ কহোতো ভালা বিন্যা পাস্যার ওষুদ যুতি হাঁরাকে কিন্যা খ্যাতে হয়, তেবে হাঁরা কাঙ্গালেরা কুনঠে যাবো ভালা।
নাতি ঃ আর একটু শুনো।
নানা ঃ আরো ফের কি ক্যোহবি?
নাতি ঃ হাঁসপাতালের চ্যারদিক ঘুর্যা হাঁর মনে হ্যোলো যে, হাঁসপাতালেরই পুরা ব্যারাম হোয়্যা গেছে।
নানা ঃ কেনে বে, হাঁসপাতালের ব্যারাম হ্যোবে কেনে?
নাতি ঃ আজি শুনো, য্যামন মাছি ভঁন ভঁন করছে, তেমনি গোন্ধানে টিক্যা যায়ন্যা। কুকুর, বিলাই, রুগী সব গড়মিস্যাল্যা হ্যোয়্যা গেছে। মানুষের পানজোরে কুকুর ঘুরফির ঘুরফির কোরছে। এক কোনায় দেখনু মানুষের পানজোরে কুকুর শুত্যা আছে। কুকুরের পানজোরে মানুষ শুত্যা আছে বুঝাই যায়ন্যা। হাঁর মোনে হ্যোছে মানুষের চিকিসস্যার আগে হাঁসপাতালেরই চিকিসস্যা করা দরকার।
নানা ঃ এগল্যার দিকে কাহুরি লজর নাই নাকি বে?
নাতি ঃ এদিকে লজর দিলে যুতি লজর লাগ্যা যায়। অরঘে লজর খালি মোথলার দিকে। আর হাঁর লজর ছিল্যো কোনা কাঁন্ধড়ির দিকে। তিন তালার সিঁড়হি ঘরের কোনায় যা দেখনু তোমাকে কহা য্যাবেনা।
লিখেছেন, চাঁপাই গম্ভীরা দলের নানা মাহবুবুল আলম।
২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:১৭
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট, পিলাচ
২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকবেন।
২৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩৯
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ভালো লাগল
ঈদ মোবারক!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৩
রাতুল_শাহ বলেছেন:
৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৩৩
শিপন মোল্লা বলেছেন: পোস্ট পড়া শুরু করি আলকাপের গান সমন্ধে যানতে পোস্টের শেষে মনে হল এরকম গান আমরা শুনেছি অনেকই। ক্যাইপ্যা রসগোল্লা খাওয়ার ফন্দি ভিশন মজা লাগলো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: ক্যাইপ্যার বুদ্ধি দেখলে মজা লাগে।
ঈদ মোবারক ভাই।
৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪০
জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় ও সুখপাঠ্য পোস্ট! অনেক ধন্যবাদ!আলকাপের বিশেষ রীতি বা রাগ জানা যেত গানগুলি শুনতে পেলে।কবিগানের মতন দুই দলের মজার কথোপকথনই সুর করে বলা বলে মনে হল।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫২
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম
বন্দনা গুলো লিখে সামনের পর্বে দেবার চেষ্টা করব। তখন হালকা হলেও বুঝতে পারবেন।
যাহোক ভাল থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৩৭
আবু সালেহ বলেছেন:
২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই।
৩৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৪
সোমহেপি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।পড়ব সময় করে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:২০
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩২
নাসির আলী বলেছেন: এই পোষ্ট টি দরকারী মনে হলো। ধন্যবাদ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
৩৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৫
অন্যসময় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, আজকাল কে এই সব নিয়ে মাথা ঘামায়, কেউ নেই, সবাই রিমিক্স এর পিছনে ছুটছে
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: সত্যি ভাই , আজকাল কে এই সব নিয়ে মাথা ঘামায়।
যারা ঘামিয়েছেন তাদের জন্য শুধু এটুকু বলতে পারবো, একদা আমাদের দেশে আলকাপের গান হইত।
ভাল থাকবেন, শুভকামনা।
৩৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২১
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: রাতুল ভাই--
তুমি তো অনেক কিছু জানো।
আমি এর নামই শুনি নাই।
তোমার পোস্ট সবসময় ই ভিন্নধর্মী।
এবারো তার প্রমান পেলাম।
ভালো থেকো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি কিছুই জানি নারে ভাই। যারা জানেন তাদের কাছ থেকে ধার নিয়ে শেয়ার করি।
আপনিও ভাল থাকবেন।
৩৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৪
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:
সুন্দর বিষয় বস্তু +++++
রাতুল ভাইয়াকে ঈদ মো বা র ক
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: ঈদ মোবারক
৩৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৩২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: চমৎকার বিষয় তুলে এনেছেন।
চোখ বুলিয়ে প্লাস দিলাম। সংগ্রহে রাখার মতো পোস্ট।
কেমন কাটলো ঈদ?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ফারজুল ভাই।
কেমন আছেন?
আমার ঈদ আল্লাহর রহমতে ভালই কাটছে। আপনার কেমন কাটলো?
৩৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ভালো আছি ভাই।
ঈদও যথেষ্ট ভালো কেটেছে।
আপনার তো কোর্স শেষ, তাই না? কি করার চিন্তা করছেন এখন?
০১ লা নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
এখনও শেষ হয় নাই। আরও সময় লাগবে। সুমনের শেষ।
৪০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
ফারিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো পড়তে। আমাদের অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, কেউ দেখার নেই বলে নয়, সবাই ভুলে যাচ্ছে বলে!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫০
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম , অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৪
জেমস বন্ড বলেছেন: পেলাচ বাটন