![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
_
_
_
যখন খুব রাত হয় কিংবা খুব ভোরের আগ মুহুর্তে কষ্টগুলোকে মুঠো করে ধরা যায়। তখন তোমাকে মনে পড়ে, মনে মনে তোমাকে নিয়ে আরও গভীর রাত হবার অপেক্ষা করি। ওহ! বলা হয়নিতো, আমাদের কখনও ভোর আসে না, আমরা মোম জ্বালিয়ে পালন করি, আর রাতের বুকে উৎসব করি।
***
অনেকদিন হয়ে গেলো, আমি এখনও তোমাকে স্ক্রিণে দেখি। তুমি দিনদিন গুগলের চেয়েও মসৃণ হয়েছ। একবার তোমাকে প্রিন্ট করেছিলাম, খুব খসখসে ছিলে তখন, বিরক্ত লেগেছিলো। গভীর রাতে লাইট অফ করে তোমাকে আবার দেখি স্ক্রিণে। সাড়ে আঠার ইঞ্চি মনিটর জুড়ে তোমার হাসিতে ঘরে অদ্ভুত আলো আঁধারি হয়। আমি দিন শেষে তাই রাতের অপেক্ষা করি, দিনে তোমার হাসি ভালো লাগে না। তুমি রাতেই সুন্দর।
***
একটা জোনাকের সাথে ছুটে যাও, অথবা ডুবে যাও এই নিথর অন্ধকারে। বন্দী থেকো না এই শহরের চার দেয়ালে, অন্ধ হয়ো না এই কৃত্রিম আলোতে।
***
হাতের রেখায় লেখা ইতিহাস কেউ মনে রাখেনি ইতিহাস হেঁটে চলে গেছে হাতের উলটো পিঠে, তারপর? চোখের পানিতে ও মুছে গেলো! দরজার এপাশে ধারালো অন্ধকারের সাথে টেকেনি সাতটি জোনাকী।
***
একদিন অবসর পাবো, তারপর থমকে দেবো বয়স্ক হৃদয়টাকে। যদি কোনদিন আসে কোকিল ডাকা সকাল, সেদিন পিপাসিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেবো পরজনমে আবার কিশোর হবো বলে। অনেক হলো ক্লান্তিহীন জীবনের ইতিহাস লেখা, লুপ্ত সন্ধ্যায় মিশে যাবো এখনই।
***
অনেকদিন আগে পায়ে শিকল ছিলো, তখন কোথাও যেতে পারতাম না। শিকল ধরে টানাটানি করতাম, হতাশা'র গালে কামড় দিতাম। দূরে দেখতাম আলো আঁধারিরি খেলা, রিনিঝিনি মর্মর শব্দ কানে বাজতো। আমি উন্মুখ ছিলাম সেই আলো আঁধারিতে মিশে মর্মর ধ্বনিতে ডুবে যাবার। কিন্তু পায়ে ছিলো শিকল, আমি শিকল ধরে টানতাম আর হতাশার গালে কামড়তাম, এর বেশী কিছু পারতাম না।
একদিন শিকলে জং ধরলো, শিকল ছিঁড়ে গেলো, বল্গাহারা বেগে ছুটে গেলাম সেই আঁধারের শেষ প্রান্তে। সেদিন আমি প্রথম দেখলাম সাগর, যাকে মর্মর ধ্বনি ভেবে ভুল করে এসেছি এতোদিন সে হলো সাগরের গর্জন, তুমুল হাহাকারের গর্জন। ক্লান্ত আমি শুয়ে পড়লাম তপ্ত সৈকতে নিজের ছায়ার উপর।
***
অনেক রাত পরে ঘুমুতে গিয়েছিলাম, সে অনেক রাত। বলা যেতে পারে কয়েকশ রাত অথবা এক কবর অন্ধকার কেটে যাবার পর ঘুম এসেছিলো। এই ঘুম নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো, এই ঘুমকে ভালোবেসে পাখি হবো এরকম সুপ্ত ইচ্ছে ছিলো। আমাদের কথা ছিলো আমরা তাড়াতাড়ি ঘুমুবো যেন আযান দেয়া ভোরে ঘুম ভেঙে দুজনকে জড়িয়ে ধরে আবার ঘুমুতে পারি।
ব্যাখ্যাতীত এসব কিছু হয়নি, কেউ আশ্রয় দেয়নি, বুকে এসেছিলো কিছু নিকোটিন। মাঝিদের অভিমানী ঢেউয়ের মতো সে ধোঁয়ারা চারপাশে ভাসতো, তারপর মিলিয়ে যেতো কবরে দেয়া ফুলের মতোন। উজ্জ্বল চোখের বালকদের মতো হয়নি জীবনটা, বরং আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছে গভীর বনের বটপাতার সাথে।
২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২০
এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাল লাগল +++
৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: লাস্টেরটা সবচেয়ে চমৎকার হয়েছে।
৫| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! শেষের দুইটা বেশ ভালো লেগেছে।
৬| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
একটা জোনাকের সাথে ছুটে যাও, অথবা ডুবে যাও এই নিথর অন্ধকারে। বন্দী থেকো না এই শহরের চার দেয়ালে, অন্ধ হয়ো না এই কৃত্রিম আলোতে।
সুন্দর
৭| ২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: একেকটা একেকরকম। সবগুলোই সুন্দর।
৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অদ্ভুত একটা লেখা! ভাল লেগেছে।
৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন
১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালো +++
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ --- প্রতিটি প্যারাতে সৌন্দর্য্য খেলা করছে ---মন ভরে গেল