নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদের ইমাম নিয়োগের আগে জাতির ইমাম নির্বাচন জরুরি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৫


নামাজের ইমাম আর সমাজের ইমাম আলাদা নয়। ফকীহরা এমনও বলেছেন যে, নামাজের ইমামতি করতে অক্ষম ব্যক্তি খলিফা পদেরও যোগ্য থাকেন না। কিন্তু মুসল্লিদের দয়ার দানে বেতনপ্রাপ্ত একজন ইমাম মসজিদে থাকবেন সমাজে যার সামান্যও কর্তৃত্ব থাকবে না এমন ব্যবস্থা ইসলামে ছিল না- এটা ঐতিহাসিক সত্য। সুতরাং এটি দীনের মধ্যে সংযোজন বা বে’দাত ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাহলে প্রশ্ন হলো মুসলমানদের সমাজে ইমাম কে হবেন আর মসজিদগুলোতে ইমামতির ধরনটাই বা কী হবে। এ বিষয়ে কিছুক্ষণ আগেই খানিকটা বলে এসেছি। বিষয়টি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বুঝতে হলে আমাদেরকে ইসলামের গোড়ায় যেতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে এমন একটি জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে যারা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবে। তারা এই কথার মধ্যে থাকবে যে তারা আল্লাহর হুকুম ছাড়া কারো হুকুম মানবে না। আল্লাহর ঘোষণা মোতাবেক তারা হলো মো’মেন।

এই মো’মেনদের কোনো খণ্ড খণ্ড জাতি সত্ত্বা নাই, আজকে আমরা যেটা দেখছি যে বাংলাদেশের মুসলমান, ভারতের মুসলমান, আরবের মুসলমান আলাদা, ইরানের মুসলমান, আফ্রিকার মুসলমান- তাদের কারো সাথে কারো জাগতিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই, ইসলামের আকিদা কিন্তু এটা নয়। ইসলামে জাতি হবে একটা, তাদের ভূখণ্ডও হবে একটা, তাদের লক্ষ্য থাকবে অভিন্ন, তাদের নেতা, ইমাম হবেন একজন, সকল ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হবে একটি। তিনি আল্লাহর হুকুম দ্বারা পুরো জাতিটাকে পরিচালিত করবেন। তিনি যেমন জাগতিক জীবনের নেতৃত্ব দিবেন তেমনি আধ্যাত্মিক জীবনেরও নেতৃত্ব দিবেন।

কারণ ইসলাম একাধারে মানুষের দেহ-আত্মা এবং দুনিয়া-আখিরাতের পথ নির্দেশ করে। এই জন্য রাষ্ট্রকে যেমন তিনি পরিচালনা করবেন তেমনি তিনি জাতির সদস্যদের নামাজেরও ইমামতি করবেন। তিনি তার যাবতীয় কার্য নির্বাহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তাঁর পক্ষ থেকে আমির নিযুক্ত করবেন। সেই আমিরগণ ইমামের নির্দেশ মোতাবেক তাঁর অধীনস্থ সকলকে পরিচালনা করবেন, তাদের সমাজের নেতৃত্ব দিবেন, তাদের নামাজেরও নেতৃত্ব দিবেন।

এই নামাজের গুরুত্ব কতটুকু সেটা বোঝা দরকার। আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে অন্তত ৮২ বার নামাজ প্রসঙ্গে বলেছেন। নামাজ হচ্ছে আল্লাহর হুকুমসমূহের উপর জাতি যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে, তারা যেন সুশৃঙ্খল, সময়ানুবর্তী হতে পরে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে পারে, নেতার প্রতি আনুগত্যশীল হতে পারে, ভাই ভাই হতে পারে, সদাসর্বদা আল্লাহর হুকুমের অভিমুখী থাকতে পারে সেটার জন্য এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে সালাহ। কাজেই একটা হচ্ছে প্রশিক্ষণ আরেকটা হচ্ছে ময়দানে তার বাস্তবায়ন। নামাজে যেটার প্রশিক্ষণ নেওয়া হবে বাস্তব সমাজে সেটার প্রতিফলন ঘটবে।

কাজেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নেতৃত্বদানকারী সমাজেরও নেতৃত্ব দিবেন। খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় এটাই হয়েছে। সেজন্য আল্লাহ রসুল যদি জাতির উদ্দেশে কোনো বক্তব্য দিতেন সেই বক্তব্য আমিরদের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে যেতে যেতে একটি প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদেও পাঠ করে শোনানো হয়েছে।

কিন্তু পরবর্তীতে যখন ইসলামের চেহারা পাল্টে গেল এবং একটা সময়ে জাতির রাজনৈতিক কর্তৃত্ব, আইন বিচার ইত্যাদি চলে গেল ব্রিটিশদের হাতে। আর ধর্ম ব্যাক্তিগত পর্যায়ে কোনোমতে টিকে রইল। দীনের ব্যপারে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো কর্তৃপক্ষ আর রইল না, দুনিয়াবি সমস্ত নেতৃত্ব (ইমামত) চলে গেছে ব্রিটিশদের কব্জায়। ধর্ম যখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেল, তখন নামাজও ব্যক্তিগত উপাসনায় পর্যবসিত হলো। তখনই প্রশ্ন এলো যে কে নামাজ পড়াবে, আমির তো নেই, ইমাম তো নেই। যখন জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল, এক ইমামের অধীনে ছিল তখন এই প্রশ্ন ওঠে নি।

এই প্রশ্নের সমাধান করার জন্যই সামান্য বেতনের বিনিময়ে একজন পাঞ্জেগানা নামাজের ইমাম নিয়োগ দেওয়ার প্রথা প্রবর্তন করা হলো। সেই থেকে এই প্রথা কায়েম হয়ে গেল, সেখান থেকে জাতি আর উঠতে পারে নি, ওঠার চেষ্টাও করে নি।

এখন এই জাতির মুখ্য কর্তব্য হলো, পাড়া মহল্লার মসজিদের ইমাম নির্ধারণ, নিয়োগ, বেতন নিয়ে চিন্তা না করে আগে জাতির একজন ইমাম (নেতা) নির্ধারণ করা। তাঁর অধীনে তওহীদের ভিত্তিতে এক জাতি হওয়া। তখন সেই ইমামের সিদ্ধান্তে জাতির প্রত্যেকটি মসজিদে কে ইমামতি করবেন এবং তার সংসার কী করে চলবে এসব প্রশ্নের সমাধান করা হবে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: কথাগুলো যুক্তিযুক্ত।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

বিদ্রহীসূত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যকে পেতে হলে আগে গোড়া ঠিক করতেই হবে।!!
গোজামিল দিয়ে সত্য মিলবেনা।

ইমামতের হাকীকত কথিত ইমাম সাব’রাই জানে না। বদলাবেন কাদের দিয়ে!নিয়ে!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

বিদ্রহীসূত বলেছেন: অন্তত মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন তো করে তোলা দরকার। মানুষ তো এটাই বোঝে না যে, তাদের একজন ইমাম দরকার, একজন নেতা দরকার। তারা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে, এমপি নির্বাচন করে, নামাজের জন্য মসজিদের ইমাম ভাড়া করে কিন্তু জাতির ইমাম নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই, জাতীয় চিন্তা নেই। তারা মনে করছে ব্যক্তিগতভাবে নামাজ-রোজা করেই তো জান্নাতে চলে যাব তাই জাতীয় চিন্তা করে লাভ কী...

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: আপনার লেখায় বরাবরের মতই ভালোলাগা।।।

কিন্তু, জাতির ইমাম নিয়োগের পদ্ধতিটা কি হবে? সেটা নিয়ে কিছু লিখুন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

বিদ্রহীসূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পদ্ধতি নিয়ে অন্য একদিন লেখার আশা রইল। আসলে আমি এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছি এই লেখার মাধ্যমে। মানুষ তো এটাই বোঝে না যে, ইমাম (নেতা) ছাড়া জাতি হয় না, কাজেই মুসলিম জাতির একজন্য নেতা দরকার। তারা মসজিদের ইমাম ভাড়া করে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে কিন্তু মুসলিম জাতির একজন কেন্দ্রীয় নেতা দরকার সেটা অনুভবই করে না। ইসলাম যে, একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা সেটা উপলব্ধিই করে না।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি বলেছেন- এখন এই জাতির মুখ্য কর্তব্য হলো, পাড়া মহল্লার মসজিদের ইমাম নির্ধারণ, নিয়োগ, বেতন নিয়ে চিন্তা না করে আগে জাতির একজন ইমাম (নেতা) নির্ধারণ করা।

পাড়া-মহল্লায় মসজিদের ইমাম নির্ধারণ, নিয়োগ না দিলে জামাতে নামাজ পড়াবেন কে? জামাতে নামাজ পড়ার কি দরকার নেই এখন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

বিদ্রহীসূত বলেছেন: এটা স্বাভাবিক কথা যে, একটা ব্যবস্থা দাঁড় করানোর আগে পর্যন্ত পূর্বের ব্যবস্থা তো আর বাদ দেওয়া যায় না, কাজেই যতদিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির ইমাম নির্ধারণ করা না যাচ্ছে ততদিন তো পুরোনো ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার কোনো উপায় নেই কিন্তু আমি এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি যে, গুরুত্বের বিচারে এখন মুসলিম উম্মাহর উচিত সর্বপ্রথম একটা ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জাতিসত্তা গড়ে তোলার চেষ্টা করা। ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: তার মানে মুসলিমদের পিলার দুর্বল?
নাস্তিকদের পিলারও কি দুর্বল ?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: মুসলিমদের পিলার দুর্বল তো বটেই না হলে কি আর পৃথিবীব্যাপী এভাবে নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়? তবে মুসলিমদের পিলার মজবুত হবার সম্ভাবনা আছে কিন্তু নাস্তিকদের পিলার মজবুত হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ নাস্তিকদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হবার চিন্তাও নেই আর ঐক্যসূত্রও নেই। তবে এটা সত্য যে, এই মুহূর্তে মুসলিমরা নাস্তিকদের থেকেও বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন, নিজেরা নিজেরা দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
৪ নং কমেন্টের উত্তর দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

আপনি বলেছেন: এটা স্বাভাবিক কথা যে, একটা ব্যবস্থা দাঁড় করানোর আগে পর্যন্ত পূর্বের ব্যবস্থা তো আর বাদ দেওয়া যায় না, কাজেই যতদিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির ইমাম নির্ধারণ করা না যাচ্ছে ততদিন তো পুরোনো ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার কোনো উপায় নেই।

কিন্তু, পোস্টের শেষ ভাগে লিখেছেন-
'পাড়া মহল্লার মসজিদের ইমাম নির্ধারণ, নিয়োগ, বেতন নিয়ে চিন্তা না করে আগে জাতির একজন ইমাম (নেতা) নির্ধারণ করা।'

দুটো কথা কি দুই রকমের হয়ে গেলো না?

কেয়ামতের দিন, সবার আগে আপনার নিজের নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। কাকে রাষ্ট্রনেতা করেছেন, সেটা অনেক পরের ব্যাপার।

নামাজ জামাতে পড়তে হবে। জামাতের জন্যে দরকার ইমাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার আগে নিজের নামাজ ঠিক রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। তাই নয় কি?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩

বিদ্রহীসূত বলেছেন: যদি আপনার অনুভূতির তুয়াক্কা না করে সত্যটা বলি তাহলে বলতে হয়- জাতির ইমাম না থাকলে তার নামাজের কোনো অর্থই নেই। আর আল্লাহ প্রথমে নিজের নামাজের হিসাব নিবেন এটা কোথায় পেলেন? বরং প্রত্যেককে ডাকা হবে তাদের ইমাম সহ, আল্লাহ বলেছেন, “তারপর সেই দিনের কথা মনে কর যেদিন আমি মানুষের প্রত্যেক দলকে তাদের নেতা সহকারে ডাকব।” (সুরা বনী ইসরাইল- ৭১)। এই ইমাম, এই নেতা হলো জাতির নেতা।
.
নামাজের ইমাম এবং জাতির ইমাম ভিন্ন কিছু কখনোই ছিল না। প্রকৃত ইসলামে ইমাম বলতে সমাজের ইমামই বোঝানো হতো। বর্তমান সমাজে একটা বিষয় ধর্মের নামে চললেই সেটা কিন্তু ধর্ম নয়, বরং আমি ইসলাম বলে সেটাই গ্রহণ করব যেটা কোর’আনে আছে, যেটা রসুলাল্লাহ বলেছেন, যেটা রসুলাল্লাহ (সা.) ও তাঁর আসহাবদে সময় ছিল।
.
যুগে যুগে নবী-রসুল এসেছেন মানুষকে নামাজ পড়ানোর জন্য নয় বরং জাতির একজন নেতা নির্ধারণ করার জন্য। জাতি যখন একজন নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয় তখন সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যখন রসুলাল্লাহ (সা.) আসলেন মক্কাতে তখন কিন্তু মক্কার মানুষগুলো আল্লাহকে বিশ্বাস করত, নিজেদের নাম রাখ আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা), তারা নামাজ পড়ত, হজ করত, রোজা করত, কোরবানি করত, কিন্তু তারা আল্লাহর হুকুম মতো সমাজ পরিচালনা করত না, তারা ঐক্যবদ্ধ থাকার পরিবর্তে বহু গোত্রে ভাগ হয়ে নিজেরা নিজেরা হানাহানি, যুদ্ধ করত। রসুলাল্লাহ এসে আল্লাহর হুকুমের উপর জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করলেন। জাতির যখন একজন নেতা (রসুলাল্লাহ) হলো তখন সব সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে গেল।
.
কিন্তু আমি আবারও বলছি- যতদিন নতুন ব্যবস্থা না দাঁড়াচ্ছে ততদিন আপনি পুরাতন ব্যবস্থা বাদ দিতে পারবেন না, আমি কেবল নতুন ব্যবস্থার গুরুত্বটা বোঝানোর জন্য বলেছি- ওগুলো নিয়ে বাদ দেন। ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে খিলাফত শুরু করার সময় হয়েছে; ৫ম খলীফা বাংলাদেশ চালাবেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৭

বিদ্রহীসূত বলেছেন: সময় হলে সেটা দেখবেন।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন: যদি আপনার অনুভূতির তুয়াক্কা না করে সত্যটা বলি তাহলে বলতে হয়- জাতির ইমাম না থাকলে তার নামাজের কোনো অর্থই নেই

জাতির ইমাম না থাকলে নামাজ হবে না এই অদ্ভুত কথাটা কোথায় পেলেন? ইমামের জন্যে নামাজ হয় না, এটা মিথ্যা বলছেন আপনি।

জামাতে যখন দাঁড়াবেন, তখন যদি নামাজে ভুল হয়, তখন সহুহ সেজদা ইমামকে করতেই হয়। বাকিদের জন্যে করা জরুরী নয়।

এরমানে বুঝতে পারছেন? ইমামের ভুল মুক্তাদিরের উপর বর্তায় না।

নামাজের হিসাব সবার আগে নেওয়া হবে সেটা যদি না জানেন, সেই হাদিসগুলো না পড়ে থাকেন, তাহলে অনর্থক নামাজকে সাক্ষী মেনে এতো কথা লিখছেন কেন!!!





১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৭

বিদ্রহীসূত বলেছেন: যে মানুষটা কলেমাতে নেই তার কি নামাজের হিসাব নেওয়া হবে? ঈমান আগে নাকি নামাজ? আবুজেহেলের নামাজের হিসাব নেওয়া হবে?
.
ইমাম বাদে নামাজ হয় না বলেই বর্তমানে বেতনভুক্ত পুতুল ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়। যদি ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞানও থাকত তাহলে বুঝতেন যে, এই পুতুল ইমামের পেছনে নামাজ পড়া আসলে আল্লাহর সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।
.
নামাজের অন্যতম শিক্ষা হলো- আনুগত্য। অর্থাৎ নামাজের মধ্যে যেমন ইমামের তাকবির (Command) হবার সাথে সাথে মুসল্লিগণ তার কথা মান্য করে, আনুগত্য করে ঠিক তেমনিভাবে যেন সমাজের প্রতিটি কাজে সাধারণ মানুষ ঐ ইমামের কথার আনুগত্য করে। ঐ ইমামই জাতির কেন্দ্রীয় ইমামের নির্দেশনা মতো সমাজ পরিচালনা করবে। আর নামাজে মুকতাদি লুকমা দেবে (ভুল সুধরিয়ে দেবে) তখন যখন ইমাম সাহেব আল্লাহর হুকুমের ব্যত্যয় করবেন। ঠিক একইভাবে ইমাম (নেতা) যদি সমাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আল্রাহর হুকুমপরিপন্থী তথা কোর’আন-হাদিসবিরুদ্ধ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার ভুল সুধরে দেবে। এটা হলো প্রকৃত ইসলামের সমাজ।
.
যাইহোক, এই উত্তর যদি পছন্দ না হয় তবে কিছুই করার নেই। অকারণ তর্ক হবে। আমার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি, সবাই যে আমার সাথে একমত হবে এমনটা আশাও করি না। ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

পয়েন্ট-ব্লাংক বলেছেন: "জাতির ইমাম না থাকলে তার নামাজের কোনো অর্থই নেই"... তাহলে তো গত কয়েক শত বছরে সকলের নামাজই অর্থহীন হয়েছে; আপনারটা সহ। কি মুশকিল। এখন আমরা কি করবো বলেন তো?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: একদম সত্য কথা। আমরা যখন থেকে ব্রিটিশদের গোলাম হয়েছি তখন থেকে যারা জাতির গোলামি দূর করার ন্যূনতম চিন্তা না করে, জাতির ঐক্যের চিন্তা না করে, কেবল নামাজ পড়ে গেছে তাদের নামাজের কানাকড়িও মূল্য নেই।

মূল্য যে নেই তার বড় একটি প্রমাণ দেখুন- আল্লহ বলেছেন, “নিশ্চয় নামাজ যাবতীয় অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।” (সূরা-আনকাবুত, আয়াত- ৪৫)। তাহলে আমাদের সমাজে নামাজ থাকা সত্ত্বেও কেন যাবতীয় অশ্লীল ও মন্দ কাজ ধাই ধাই করে বেড়ে চলেছে?

যে কোনো কিছুরই সৃষ্টির উদ্দেশ্য আছে। আসমান-জমিনসহ কোনো বস্তুই আল্লাহ উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করেন নি। তেমনি ইসলামেরও একটি উদ্দেশ্য আছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে- মানবজাতির জীবনের যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, অশান্তি দূর করে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামের উদ্দেশ্য। একইভাবে দ্বীনের যেসব আমলের নির্দেশ আল্লাহ দিয়েছেন, সেগুলোরও উদ্দেশ্য আছে। তাহলে সালাহ’র মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যাকে আল্লাহ কোর’আনে বিরাশি বারেরও বেশি উল্লেখ করলেন তা কি বিনা উদ্দেশ্যে হতে পারে? অবশ্যই তার একটি উদ্দেশ্য আছে। সেটা কী? সেটা হচ্ছে সালাহ’র মাধ্যমে মু’মিনদেরকে মানসিক, আধ্যাত্মিক ও শারীরিকভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা। যেন সে নিজেকে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করার চারিত্রিক গুণ ও আত্মিক শক্তি লাভ করে যাবতীয় লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হয়। যেমন-

ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি:
সালাহ জাতিকে ‘ঐক্য’ শিক্ষা দেয়। লক্ষ্যের ঐক্য, উদ্দেশ্যের ঐক্য। একেকজন একেক স্থান থেকে এসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কাতারবদ্ধ হয়ে একটি নির্দিষ্ট দিকে অর্থাৎ ক্বাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর মাধ্যমে মু’মিনদের মধ্যে একদিকে লক্ষ্যের ঐক্য তৈরি হয়, অন্যদিকে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। তারা মনে করে- আমার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি আমারই ভাই। আমরা একই প্রভুর সৃষ্টি। নিজেদের মধ্যে যতই বিভেদের কৃত্রিম আবহ তৈরি করে রাখি না কেন, আল্লাহর সামনে আমাদের অবস্থান একই সারিতে। আমাদের যাত্রাও একই অভিমুখে, সত্য ও ন্যায় তথা আল্লাহর অভিমুখে। আমার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি শিক্ষিত নাকি নিরক্ষর, দরিদ্র নাকি ধনী, সাদা নাকি কালো তা আমি দেখব না।
নামাজের কাতারকে বলা হয় ‘সফ’। কেন সফ বলা হয় তার উত্তর আল্লাহ সুরা সফেই দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন- আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা সীসাগলানো প্রাচীরের মত ‘সারিবদ্ধভাবে’ তাঁর পথে সংগ্রাম করে (সফ: ০৪)। অর্থাৎ সালাহ’র এই সফ কেবল সালাহ’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এই সফ আসলে মু’মিনদের বাস্তব জীবনের ঐক্যের প্রতীক। সুতরাং যারা সালাহ কায়েম করবে তারা সর্বদা মনে রাখবে আমরা সজাগ-সচেতন থাকব যাতে আমাদের জাতির মধ্যে কেউ ঐক্য নষ্ট করতে না পারে, ভ্রাতৃত্বে ফাটল ধরাতে না পারে। ঐক্য নষ্ট হয় এমন কথা বলব না, এমন কাজ করব না। শিরক, কুফর, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে সমস্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকব।
দৈনিক পাঁচবার ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের এই অনুপম শিক্ষা দেয় সালাহ। এ কারণে সালাহ এত গুরুত্বপূর্ণ।

শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টি:
কীভাবে ওজু করব, কীভাবে দাঁড়াবো, কীভাবে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরব, কীভাবে ওঠা-বসা করব, কীভাবে রুকু করব, কীভাবে সেজদা করব ইত্যাদি প্রায় শতাধিক নিয়ম-শৃঙ্খলা মাথায় রেখে সালাহ কায়েম করতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সালাতে সামিল হতে হয়, কাতার ধনুকের ছিলার মত সোজা করতে হয়, এক পায়ে দাঁড়ানো যাবে না, এদিক ওদিক তাকানো যাবে না, চোখ বন্ধ রাখা যাবে না, রুকুতে পিঠ কুঁজো হওয়া যাবে না, ঢিলেঢালাভাবে সালাহ করা যাবে না, মেরুদ- সোজা রাখতে হবে, ইমামের তকবিরের আগে বা পরে যাওয়া যাবে না, হুকুমের সঙ্গে সঙ্গে আনুগত্য করতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সুরা-কেরাত-তাসবিহ পাঠ করতে হবে- এভাবে বলতে গেলে সালাহ’তে নিয়ম শৃঙ্খলা অসংখ্য। এই সবগুলো নিয়ম-শৃঙ্খলা মাথায় রেখে সালাহ কায়েম করার ফলে মু’মিনদের চরিত্রে অসাধারণ শৃঙ্খলাবোধ তৈরি হয়। তাদের প্রত্যেকটি কাজ হয় শৃঙ্খলামাফিক। যার যেমন খুশি তেমন না করে তারা জাতিগতভাবে সুশৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে জাতীয় যে কোনো সমস্যার মোকাবেলা করে। যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মত যে কোনো অন্যায় দূর করার জন্য এমন শৃঙ্খলাবদ্ধ জাতির কোনো বিকল্প নেই।

আনুগত্যবোধ সৃষ্টি:
জামাতে ফরদ সালাতে ইমামের কোনো বিকল্প নেই। ইমামের তকবিরের সাথে সাথে মুসল্লিরা রুকু করবে, সেজদা করবে, সালাম ফেরাবে ইত্যাদি। অর্থাৎ ইমামের হুকুম পালন করতে হবে। কেউ ইমামের আনুগত্যের বাইরে গেলে সালাহ হয় না। প্রতিদিন একজন লোক ১৭ রাকাত ফরদ সালাহতে ইমামের আনুগত্য করে। ইমাম রুকুতে গেলে সে রুকুতে যায়, ইমাম সেজদায় গেলে সে সেজদায় যায়। এক মুহূর্তের জন্যও সে ইমাম সাহেবের কমান্ডের বাইরে যেতে পারে না। এভাবে তার চরিত্রে আনুগত্যবোধ তৈরি হয়।

এটা প্রাকৃতিক নিয়ম যে, কোনো জাতি ততক্ষণ পর্যন্ত শক্তিশালী হতে পারবে না যতক্ষণ তাদের মধ্যে একজন আদেশদাতা না থাকে এবং সেই আদেশদাতার আদেশ শর্তহীন, প্রশ্নহীন, দ্বিধাহীনভাবে পালন করা না হয়। এ কারণেই আল্লাহর রসুল বলেছেন- আমীর নাক কানকাটা, ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের নিগ্রো ক্রীতদাস হলেও তার আনুগত্য করবে (হাদীস)। কারণ একজন নেতার কথাকে যদি জাতির সকলে শর্তহীনভাবে আনুগত্য না করে তবে জাতি বড় কোনো সঙ্কট মোকাবেলা করা তো দূরের কথা, নিজেরাই নিজেদের সঙ্কট হয়ে দাঁড়াবে। সালাহ থেকে নির্দ্বিধায় আদেশ পালনের শিক্ষা নিয়ে যখন একটি জাতি তাদের আদেশদাতার প্রতিটি আদেশ পালন করাকে নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব মনে করবে তখন সেই জাতি পৃথিবীর যে কোনো সঙ্কটকে অবলীলায় মোকাবেলা করতে পারবে সন্দেহ নেই।

আজকে মুসলিম বিশ্বের একক কোনো আদেশদাতা নাই। সরকারগুলো যত ভালো নির্দেশই দিক দেখা যায় সে নির্দেশ মানার চেয়ে না মানার দিকেই জনসাধারণের ঝোঁক থাকে বেশি। জাতির মধ্যে কোনো আনুগত্যবোধ নেই। কারণ নামাজের যে প্রকৃত শিক্ষা তা তারা জানেও না, বোঝেও না, তাই চরিত্রে ধারণ করতেও পারে না। নামাজের কয়েক মিনিট ছাড়া মসজিদের বাইরে ইমাম সাহেবের মতামতেরও কোনো মূল্য দেওয়া হয় না। ইমাম সাহেব যতই সুদ, ঘুষ, অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলুক, মানুষ শোনে না। তাকে ভাবা হয় নামাজের ইমাম, কেবল নামাজের সময়েই যার নির্দেশ মানার যোগ্য; সমাজ নিয়ে, বাস্তব দুনিয়া নিয়ে তার কথা বলার অধিকারই নেই। অথচ নামাজের প্রকৃত আকীদা জানা থাকলে এমনটা হবার কথা ছিল না। নামাজ মু’মিনদের মধ্যে আনুগত্যবোধ তৈরি করত। যে কোনো ন্যায়সঙ্গত নির্দেশ-উপদেশ, তা সরকারের পক্ষ থেকেই আসুক বা ইমাম সাহেবের পক্ষ থেকেই আসুক, তা শর্তহীন-প্রশ্নহীনভাবে মান্য করার দায়বদ্ধতা তৈরি হত।

আরও অনেক শিক্ষা আছে, বিস্তারিত অন্য কোনো লেখাতে লিখব। শুধু একটু ভেবে বলুন- এই শিক্ষাগুলো কি আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত আছে? তাহলে সালাহ বা নামাজ কি আজ অর্থবহ হচ্ছে? আমি নামাজ বাদ দিতে বলছি না, আমি বলছি অর্থবহ করতে। নামাজের শিক্ষাগুলো বুঝে সমাজে সেটা প্রতিষ্ঠা করতে। ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই হাদিসগুলো পড়ুন-

মহানবী (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিনে সবার আগে যে জিনিসের হিসাব বান্দার কাছ থেকে নেওয়া হবে তা হলো নামাজ। এ হিসাব সঠিক থাকলে সে সফলতা লাভ করে পরিত্রাণ পেয়ে গেল। আর এ হিসাব যদি নষ্ট হয়, ত্রুটিযুক্ত হয় তবে সে বিফল হয়ে ঘাটতিতে পড়ে রইল। তার ফরজে কোনো ঘাটতি থেকে গেলে আল্লাহতাআলা বলবেন, ‘দেখো! আমার বান্দার নফলও কিছু আছে।’ নফল থেকে থাকলে, ফরজের ঘাটতি সেই নফল দ্বারা পুরা করে দেওয়া হবে। একইভাবে তার অন্যান্য আমলেরও পর্যালোচনা করা হবে আর এর হিসাব-নিকাশ নিরীক্ষিত হবে’ (তিরমিযি, কিতাবুস সালাত)।

হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি মহানবীকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছি : ‘তোমরা কী ভাবতে পারো যে কারো দোরগোড়ায় যদি ঝরনা বয়ে চলে আর তাতে সে দিনে পাঁচবার গোসল করে নেয় তবে তার দেহে কী ময়লা থেকে যাবে? সাহাবারা (রা.) নিবেদন করলেন, ‘হে রাসুলুল্লাহ (সা.)! কোনো ময়লাই থাকবে না।’ তিনি (সা.) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপমাও এরূপ। এর মাধ্যমে আল্লাহতাআলা পাপ মার্জনা করে থাকেন এবং দুর্বলতাগুলো দূর করে দেন’ (বোখারি)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেন, সেই ব্যক্তিরও ওপর আল্লাহতাআলা রহম করুন যে রাতের বেলায় জেগে ওঠে ও নামাজ পড়ে আর প্রিয়তমা স্ত্রীকে জাগিয়ে দেয়। স্ত্রী জেগে উঠতে গড়িমসি করলে তার মুখম-লে পানি ছিটিয়ে দেয়, যাতে সজাগ হয়ে সে উঠে পড়ে। অনুরূপভাবে আল্লাহতাআলা সেই মহিলার প্রতিও রহম করুন, যে রাত্রিকালে জেগে ওঠে, নামাজ পড়ে আর প্রিয়তম স্বামীকেও জাগিয়ে তোলে। স্বামী জেগে উঠতে গড়িমসি করলে তার মুখম-লে পানি ছিটিয়ে দেয়, যাতে সে জেগে ওঠে’ (আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত)।


এখানে কোথায় আছে ইমাম না থাকলে নামাজ হবে না?

মানুষকে আল্লাহ'র ওয়াস্তে আর ভুল পথে চালিত করবেন না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২২

বিদ্রহীসূত বলেছেন: এ বিষয় নিয়ে আগের মন্তব্যে বলেছি। আর এখানে যে বিষয় তুলে এনেছেন, তা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আরও নতুনভাবে অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে। নামাজ আমাদের কী শিক্ষা দেয় সে বিষয়ে লিখতে হবে। সেটা অন্য একদিন অন্য এক লেখার মাধ্যমে তুলে ধরব ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগে সবাইকে নামাজী করতে হবে। তারপর এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার ফুরসত মিলবে। এখন কোন দেশেই আর ইমামরা নেতৃত্ব দিচ্ছে না সমাজে। যখন যোগ্য নামাজী তৈরি হবে তখন যোগ্য ইমামও বের হয়ে আসবে। আপাতত নিজের নামাজটাই ঠিক রাখতে হবে...

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



৮ নং কমেন্টের উত্তরে বলেছেন-
'বর্তমানে বেতনভুক্ত পুতুল ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়।'

আপনি খারেজীদের মত কথা বলছেন। ইমামদের 'পুতুল ইমাম' বলার সাহস হয় কি করে আপনার? একটার পর একটা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন,তারপরেও এসব কথা বলে যাচ্ছেন!


আপনি আরো লিখেছেনঃ
'যদি ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞানও থাকত তাহলে বুঝতেন'

আপনি কোন 'সাধারণ জ্ঞান'-এর কথা বলছেন? ইসলামী জ্ঞান নাকি অন্য কিছু?


আপনি আরো লিখেছেনঃ
এই পুতুল ইমামের পেছনে নামাজ পড়া আসলে আল্লাহর সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।

পুতুল খলিফাদের নেতৃত্বেও সাহাবী (রাঃ)-রাও লড়েছেন। নামাজ পড়েছেন। উনারাও কি ভুল করেছিলেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে এখনকার মুসল্লিদের নামাজ ভুল হবে কেন।


ইতিহাস পড়েন, মিঞা। তারপর, মানুষকে বুঝাতে আসবেন।


১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আপনি দয়া করে অন্য কোথাও গিয়ে তর্কাতর্কি করুন। না হলে ব্লক মারব। আমার মত আমি পোষণ করেছি। ভালো লাগলে পড়বেন, আপনার মত দিবেন। হুমকি ধামকি আর তর্কাতর্কি দূরে গিয়ে করুন। যারা টাকার বিনিময়ে নামাজ পড়ায় তারা পুতুল ইমাম নয় তো কী? ইমামতি করে টাকা খাওয়ার চেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি অনেক ভালো পেশা। আল্লাহ ধর্মের বিনিময় নেওয়া তথা ধর্মব্যবসা করা নিষিদ্ধ করেছেন, আর আপনাদের মতো মানুষের কারণে সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.