![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Hafizur Rahman Rick
ভূমিকাঃ ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতির রূপ ও লাবণ্য মিশেয়ে প্রতি বছরে একে একে আগমন ঘটে ছয়টি ঋতুর। প্রতিটি ঋতু নিয়ে আসে অনেক প্রেম, আবেগ, মমতা, কান্না, বিরহ। তেমনি করে আমাদের সকলের ব্যাক্তিগত জীবনে চলে প্রেম বিরহের পালা বদল। কখনো প্রেম পুরান ঢাকার হাজির বিরিয়ানির মত মহান, আবার কখনো মাছে ফরমালিনের মত ভেজাল। ঋতুর পরিবর্তনে টাটকা সবজি হয়ত পাওয়া যায়, কিন্তু কচি এবং টাটাকা ভালোবাসা পাওয়া অতি দুষ্কর। প্রতিটি ঋতুতে প্রেম নতুন রূপে আবির্ভূত হয়। কখনো বর্ষার মত আদ্র আবার কখনো শীতের মত শুষ্ক। প্রেম কখনো কাঁদায়, আবার কখনো ফুলকফির মত হাসায়। আমাদের ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশের পরতে পরতে যেন সোনালি, রূপালী আবার কোথাও ঢেউটিন প্রেম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সোনাফলা এই দেশের যুবক যুবতীদের মাঝে সৃষ্টিকর্তা যেন অপার মহিমায় নিপুন হাতে প্রেমের সার্কেল ডায়াগ্রাম সাজিয়েছেন।
প্রকৃতির নিয়মে ঋতুর রদবদলের সাথে সাথে প্রেম হয়, প্রেম বদল হয়, আজকাল সেকেন্ড হ্যান্ড প্রেমও পাওয়া যায়, এযেন কোন নিপুন শিল্পি মনের ভুলে তার ক্যানভাসে এঁকে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। সুজলা, সুফলা, স্বচ্ছ, শ্যামল এই দেশে প্রেম যেন মুক্ত বিহঙ্গ। মাটির সাথে গাছের যেমন ভালোবাসা, প্রেমিকার সাথে প্রেমিকের তেমন ভালোবাসা। গাছের শিকড় নষ্ট করতে যেমন পোকামাকড় ভুমিকা পালন করে, তেমনি সম্পর্ক নষ্ট করতে এক শ্রেণীর তৃতীয় পক্ষ অত্যাধিক আনন্দ এবং উত্তেজনা সহকারে নিদারুন ভূমিকা পালন করে। এই বাংলা মায়ের বুকে প্রেম কখনো গ্রীষ্মের তপ্ত আকাশের নীচে দিলকুশার একগ্লাস বরফ দেয়া আখের রস, আবার কখনো কিশোরীর শীতে ফাটা ঠোঁটে লিপজেল। আবার কখনো শরতের কাশফুলের নরম ছোঁয়া। হেমন্তের পাকা ধানের মত কখনো সম্পর্ক পাকা আবার কখনো বর্ষায় অকালে ভেসে যাওয়া ফসলি জমির মত বিরহের। শীতের সকালের খেজুরের রস কিংবা প্রেমিকার মিসকলের কি কোন তুলনা হয়? এই দেশ এই প্রকৃতির মাঝে শরতের ঝকঝকে রাতের আকাশে নেমে আসে জোছনার ঢল, চাঁদনী এমন রাতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় চিরযৌবনা প্রেমিকেরা। কখনো প্রেমিকার ভাইয়ের দাবড়ানি আবার কখনো রাস্তার কুকুরের দৌড়ানী করেছে প্রেমকে আরো মহান, আরো সুন্দর।
প্রতিটি মানুষের যেমন বাংলাদেশের ষড়ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে প্রেম ভালোবাসার সূত্রপাত হয়, তেমনি আমার জীবনেও এই মহান প্রেমের আগমন ঘটে। প্রকৃতির পাশাপাশি প্রেমিকা তার চিরসবুজ রূপ ও যৌবন নিয়ে হুহু বাতাসের সাথে শিশ দিয়ে শিহরন জাগায় আমার মাঝে। একসময়ে বাতাসের প্রচন্ডতা আর ঝরোপ্রেম কাবু করে ফেলে আমায়, ভাসিয়ে নিয়ে যায় স্রোতের কচুরি ফুলের সাথে। নীচে বাংলাদেশের ষড়ঋতু এবং আমার ছয় ঋতুতে প্রেমের হালচাল পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হচ্ছে।
গ্রীষ্মকালঃ বাংলাদেশের ছয় ঋতুর প্রথম ঋতু হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এই ঋতুতে সূর্য তার পূর্ণ আধিপত্যে মাথার উপরে বিরাজ করে। এই ঋতুতে প্রেমিকের সাধারন ডিউটিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রেমিকার মাথার উপরে টুয়েন্টিফোর আওয়ার ছাতা ধরে রাখা যাতে করে সূর্যের তাপে প্রেমিকার ত্বকের কোন ক্ষতি না হয়। গ্রীষ্মে সূর্যের তপ্ততায় মাঠঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যায়। প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে এই সময়ে মানুষ শীতলতার খোঁজে প্রেমের সন্ধান করে। বাংলাদেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঋতুই প্রেমে পড়ার মোক্ষম সময়। গ্রীষ্মের ভাপসা গরমে অতিস্ট প্রেমিক প্রেমিকারা আকাশের দিকে তাকিয়ে গান ধরে,
“আল্লাহ প্রেম দে,
মেঘ দে, ছায়া দে-রে
আল্লাহ প্রেম দে।”
একসময়ে ঈশানকোন থেকে প্রেমের বাতাস বইতে শুরু করে। শুরু হয় প্রেমবৈশাখী ঝড়। প্রেমিক/প্রেমিকার অন্তরে ঠাডা পড়ে মানে তাদের এক একটি হৃদস্পন্দন যেন এক একটি বজ্রপাত! প্রচন্ড বেগে ধেয়ে আসা প্রেমবায়ু লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় সব। তখন শুধু প্রিয়ার চোখ, হাসি ছারা কিছুই ভালো লাগে না। আহ! প্রচন্ড গরমে কারেন্ট না থাকলেও প্রেমিক/প্রেমিকার কথা মনে হলে গা জুড়িয়ে যায়। হিন্দি সিনেমার মত গোলাপের পাপড়ি বাতাসে উড়তে থাকে চারিদিকে। রমণী নিজের অজান্তেই বলে ফেলে, “যাহ দুষ্ট! আমি এসব কি ভাবছি!”
যাইহোক, আমি সেদিন গ্রীষ্মের এক দুপুরে খররোদে ফাঁকা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছাতিম গাছের উপরে বসে থাকা একঝাক কাক খুব মনযোগ দিয়ে দেখছিলাম। না, ছাতিম গাছে কাউয়া দেখা আমার কোন শখ ছিল না, ছিল আমার একটা প্রোজেক্ট। আমার আধা-পাগল বিদেশি বস ঢাকা শহরের কাক এবং তাদের জীবনযাপনের উপরে একটা প্রোজেক্ট জমা দিতে বলেছেন। সেই আদেশ পালন করতেই শহরের পথে পথে হেঁটে কাক খুঁজে বের করে তাদের ছবি তুলতে হয়, লিখতে হয় তাদের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে। সোজাকথায় প্রোজেক্ট “কাউয়া সমাচার।“
কাক পর্যবেক্ষনের এক পর্যায়ে কোন এক নারীর সুমিষ্ট কণ্ঠস্বরে পেছন ফিরে তাকাইলাম, সেই তাকানোই আমার জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ালো। আমার আকাশ অন্ধকার হয়ে গেলো, মনের ভিতরে গুড়ুম গুড়ুম শব্দ হতে শুরু করলো। হঠাত কোন সিগন্যাল না দিয়েই বিকট বজ্রপাত সহকারে প্রেম-বৈশাখী ঝড় শুরু হয়ে গেলো। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় নিলো মাত্র আট থেকে দশ সেকেন্ড। আমি স্পস্ট শুনতে পাচ্ছিলাম কোন অশরীরী গায়েবী কণ্ঠস্বর বলছে, “রিক, তুই শ্যাষ, তুই পুরাই শ্যাষ!”
আমি প্রানপনে নিজেকে ফর্মে আনতে চেয়েও পারছিলাম না। যা দেখলাম! যে মেয়ে দেখলাম! পুরা টাশকি খায়া গেলাম! এরপরে কেমনে কি? আমার নিজেরি মেজাজ খারাপ হচ্ছিল আমার বেহায়া নির্লজ্জ চোখদুটির উপরে, এমনে কেউ তাকায় কোন মেয়ের দিকে? অবশেষে নিজেকে ফর্মে ফিরে পাইলাম, কিন্তু আপোষে না, সেই সুন্দরির ঝারি খাওয়ার পরে। সুন্দরী চোখ রাঙ্গিয়ে সেদিন বলেছিল, “ঐ মিয়া, সমস্যা কি আপনার? রাস্তার মাঝখানে দাঁড়াইয়া কেউ কি কাউয়া দেখে? দেইখা তো পাগল মনে হয় না। আবার অভদ্রের মত তাকিয়ে থাকেন। ম্যানার শিখেন নাই?”
সেদিন আমার কি হইল কে জানে! আমি একটা কথাও বলতে পারলাম না। মনে হচ্ছিল স্কচটেপ দিয়ে আমার মুখ আটকে রাখা হয়েছে। সেই মেয়ে গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ার পরে খেয়াল হলো কেউ একজন আমাকে বিদ্ধস্ত করে রেখে গেছে, তার ঠিক আড়াই মিনিটের মাথায় আমি বুঝতে পারলাম আমি প্রেমে পড়েছি! এই মেয়েকে ছাড়া আমার চলবে না!
আমি শয়নে স্বপনে, নিদ্রা জাগরণে শুধু তাকেই দেখতে শুরু করলাম। কি মুশকিল, তার কথা চিন্তা করলে আমার কেমন শীত শীত লাগে। মন চায় বার বার সেই রাস্তায় দাঁড়ায়া কাউয়া দেখি। আমি ঠিক তাই করলাম। রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে ছাতিম গাছের কাকের দিকে ক্যামেরা ফোকাস করে দাঁড়িয়ে থাকতাম। অন্য গাড়ির ড্রাইভার এসে ধমক দিয়ে সরে দাড়াতে বললেও তার গাড়ি ভুলেও সেপথ মাড়ায়নি। অবশেষে একদিন তাকে ঢাকা ভার্সিটি এরিয়াতে আবিষ্কার করলাম। কলম্বাস আম্রিকা আবিষ্কার করে যে আনন্দ পাইছে সেদিন সেই মেয়েকে আবিস্কারের পরে আমার ঠিক একই আনন্দ হয়েছিল। সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় যাইয়া খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলে ফেললাম, “দোস্তরা, মুঝে মেরে দিলকা রানী মিল গ্যায়া।“ পরিনামে সেদিনের সবার চায়ের এবং সিগারেটের বিল আমাকেই দিতে হয়েছিল।
বর্ষাকালঃ প্রেমের জন্য পারফেক্ট এই সিজন। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। এই ঋতুতে মাঠ ঘাট, মন প্রান সব কানায় কানায় প্রেমে ভরে যায়। প্রেমনদীতে জোয়ার আসে। ভরা কলসির মত প্রেম উপচে পড়ে। শাখায় শাখায় নতুন পল্লব জাগে। প্রেমিকার দিকে তাকালেই যেন মনে হয় সবুজ কচি পাতা। এই ঋতুতে বেশিরভাগ সময়ে আকাশে আবেগের মেঘ জমে থাকে। প্রেমিক/প্রেমিকার সেই মেঘাবেগ যেকোন সময়ে দুচোখ গলে বৃষ্টি ঝরাতে পারে। তবে এই বৃষ্টি প্রেমের বৃষ্টি, নয়াপ্রেমের বৃষ্টি। একবার শুরু হলে যেন থামতে চায় না। নারীদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো দুই থেকে তিন দিন এই সুখের বৃষ্টি বর্ষণ চলে, মাঝে মাঝে আমার সূর্য হাসি দেয় এবং নারীরা ওড়নার এক কোন নিপুন ভঙ্গিতে আঙ্গুলে পেঁচান আর বলে বলে থাকেন, "উফ, ভালোবাসা এত্ত সুন্দর কেন?”
বর্ষায় কৃষ্ণচুড়ার ডালে ফোটে রক্তিম ফুল। চারিদিক ভরে যায় স্বর্গীয় সবুজে। যেদিকে দুচোখ যায় মনে হয় যেন সবুজের গালিচা বিছিয়ে ডাকছে প্রকৃতি। প্রেমিকা আশায় থাকে প্রেমিক কখন বর্ষার কদমফুল এনে তুলে দিবে তার হাতে। দুজনের হাত ধরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে ভিজার কিংবা রিকশায় শহর বেড়াতে অন্যরকম এক আনন্দ। সেই আনন্দের ভাগ নিতে রিকশাওয়ালাও বলে, “মামা ভাড়া কিছু বাড়ায়া দিয়েন।” সবমিলিয়ে অসাধারন এক মনোমুগ্ধকর আবেশের সৃষ্টি হয় বর্ষাকালে।
গ্রীষ্ম পেরিয়ে তখন বর্ষা। আমি রোজ সকালে তার ডিপার্টমেন্টের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম একগুচ্ছ কদম ফুল হাতে নিয়ে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তরদিকের ছাপরা ঘরের স্থায়ী বাসিন্দা ট্যারা মিন্টুকে কদম গাছে উঠিয়ে ফুল আনিয়ে আর সেই ফুল হাতে নিয়ে তখন দাঁড়িয়ে থাকা। ওহ! তার নাম তো বলা হয়নি। তার নাম শ্রাবণী। আমি জানতাম শ্রাবণী প্রতিদিন আমাকে খেয়াল করে, কিন্তু আমি বলবো বলবো করেও পারি না বলতে। একের পর এক বৃষ্টিস্নাত দিন পেরিয়ে যেতে থাকে। বন্ধুরা টিটকারি মেরে বলতো,”বন্ধু, তুমি যদি সাহস করে না বলতে পারো তাহলে দেখবা শ্রাবণী অন্যের বুকে শ্রাবণ বিসর্জন দিবে।“ তাদের এইসমস্ত বাক্যে ভীত হইয়া দৌড়াইয়া যাইয়া আমি শ্রাবণীর সামনে কদম্বফুল হাতে লইয়া দাড়াইতাম, কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ওকে দেখার পরে আমার মুখ থেকে কোন শব্দ আর আসে না।
একদিন এমনি দাঁড়িয়ে আছি। বৃষ্টি নেমেছে জোড়ে। ঠান্ডায় মাথার চুল সব দাঁড়িয়ে গেছে। মন্দিরের ঘণ্টার মত দাঁতে দাঁত বারি খাচ্ছিল সাড়ে তিনঘণ্টা বৃষ্টিতে অনবরত ভিজার ফলে। চশমার কাঁচ হয়ে রইলো ঘোলা। সবকিছু দেখি ঝাপসা। এরই মধ্যে শুরু হল হাঁচি দেয়া। আমার হাঁচির শব্দে পারলে কুম্ভকর্নের ঘুম ভেঙ্গে যায়। জুতার ভেতরে পানি জমে একাকার। চশমা ঘোলা হয়ে যাওয়ার কারনে কদম ফুলগুলোর কি হাল বুঝা যাচ্ছে না। এমনই সময়ে ঝাপসা চোখে দেখি সে এসে দাঁড়িয়েছে সামনে। ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো, “এই আপনার সমস্যা কী?”
আমার মুখ থেকে বিকট শব্দে বেড়িয়ে এল,”হাঁচ্চু”
“রোজ রোজ এই কি নাটক করেন? এভাবে বৃষ্টিতে ভিজতেছেন কেন?”
এবার দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বেড়িয়ে এলো আরও ভয়ঙ্কর এক হাঁচি।
“কি বলতে চান সরাসরি বলতে পারেন না? কতক্ষন থেকে বৃষ্টিতে ভিজছেন?” এবারে যেন তার তার চোখে মুখে একটু মায়ার আভা দেখতে পেলাম। দেখতে পেলাম বললে ভুল হবে, ঝাপসা চশমার ভেতর থেকে ঝাপসা অনুভব করলাম। আমি যথাসম্ভব করুণ মুখে দিলাম অভিনব এক হাঁচি। হাঁচি আটকাতে যেয়েই এই অভিনব হাঁচির জন্ম। এবারে সে খুব ধীরে বললো, “আচ্ছা, আমাকে কি ভালোবাসেন? তাহলে আপনার হাতের কদমফুল দিতে পারেন।“
সেদিন আমি বাসায় এসে ফেসবুকে লগ ইন করে প্রথমেই যে কাজটা করলাম তা হচ্ছে রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস চেঞ্জ, রিক ইজ ইন এ রিলেশনশীপ। সেদিন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সাদিয়া জাহান মৌ সেখানে লাইক দিয়ে কমেন্টসে লিখেছিল,”কেউ একজন দূর থেকে ভালোবাসতো, ভালোবেসে যাবে। সুখে থাকিস দোস্ত।“
শরত কালঃ ভাদ্র আশ্বিন এ দুই মাস শরত কাল। এই ঋতুতে আকাশ নীল এবং স্বচ্ছ থাকে। কবিরা তাদের কবিতায় অহরহ প্রেমকে তুলনা করেন শরতের আকাশের সাথে। এই ঋতুর আগমনের সাথে সাথে বেজে উঠে বর্ষার বিদায়ের আর্তি। শরতের স্নিগ্ধতা আমাদের ভাবনার সাগরে ঢেউ সৃষ্টি করে। শরতকাল নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন,
“আজ শরতের আলোয় এই যে চেয়ে দেখি
মনে হয় এ যেন আমার প্রথম দেখা।“
বর্ষায় ভিজে আদ্র হওয়া প্রেম শুকাতে দেয়া হয় এই ঋতুতে। ঝিরি ঝিরি সুমিষ্ট বাতাসে শিহরিত হয় মন প্রান। বর্ষার টুপটুপ বৃষ্টিতে শুরু হওয়া প্রেমের সূর ছন্দ খুঁজে পায় এই ঋতুতে। প্রেমিকার চোখের কাজলে হারিয়ে যায় প্রেমী, কখনো কখনো অত্যাচার চলে প্রেমিকের মানিব্যাগের উপরে। আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রেমিকারা এই ঋতুতেই বেড়াতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। প্রেমিক প্রেমিকার এমন অবাধ বিচরণ দেখে এলাকার হা হুতাশকারী আয়নাল চাচা বেশ আক্ষেপ নিয়েই বলেন, “দেশটা বুঝি উচ্ছন্নেই গেলো বলে”
শরতের কাশবনে শালিকের অবাধ বিচরণ কিংবা বারিধারার কাশবনে মোস্তফা সারোয়ার ফারুকির শুটিং দেখা যায় এই শরত কালেই। এই শরত কাল নিয়েই দেশে বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার বলেছিলেন, মেঘমুক্ত মাঠ, কর্দমাক্ত আকাশ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও গাণিতিক প্রেমবিদ্যার পাঠ্যবইতে সংযজন করা হয়েছে “শরত ও প্রেম” নামের নতুন একটি অধ্যায়। বর্ষার নেমে যাওয়া পানির কাঁদা শুকাতে শুরু করে এই ঋতুতে। কখনো কখনো মানুষের পুরনো প্রেমের ক্ষতও শুকাতে শুরু করে এই ঋতুতে। উড়ে যায় সাদা বক ধান ক্ষেতের উপরে। প্রকৃতি অপার মহিমায় দুহাতে বর্ষণ করে রূপসুধা।
এমনি ভাবেই বিহঙ্গের কলকাকলি আর সবুজ ঘাসের ঘ্রানে কাটতে লাগলো আমার আর শ্রাবণীর নির্মোহ প্রেমের দিন। আমরা তখন কবুতরের মত ঘুরিফিরি, স্টারকাবাবে দানাপানি খাই। আমি অবাক হয়ে শ্রাবণীর ঠোঁটের লিপস্টিক কিংবা চুলের কাঁটা দেখতাম। বি-এফ-সি তে এক মুরগির ফ্রাইড রান কখনো শ্রাবণী কামড় দেয়, কখনো আমার দিকে বাড়িয়ে ধরে। আমি কামড় দিতে গেলেই শ্রাবণী সরিয়ে নেয়। আবার খাইয়েও দেয়। আমি তখন ঘুমালেও স্বপ্নে দেখি শ্রাবণী মুস্তাকিমের চাপ খাইয়ে দিচ্ছে। কি যে সুখ সুখ অনুভূতি! এই অনুভূতি একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ছাড়া ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমি অবাক হয়ে ভাবি, “এত সুখ আমার কপালে সইবে তো?”
শরতের আলো ছায়ার খেলা থেকে শুরু করে গোধূলির সূর্যাস্তে পর্যন্ত আমার সময় আমার দিন শুধুই শ্রাবণীময়। ইতিমধ্যে আমি চারওয়াক্ত নামাজ মসজিদে যেয়ে পড়া শুরু করি, ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে না পারায় অপরাধবোধ জেগে উঠে। দুইহাত তুলে বলি,”হে খোদা, তুমি মহান, প্রেম মহান।” পাড়ার চায়ের দোকানে অফিস শেষে আড্ডা দেয়া হয় না, আগের মত যোগাযোগ হয়না বন্ধুদের সাথে। হঠাত পথের বাঁকে কিংবা “যৌবনতলা” নামক সিডির দোকানের সামনে কোন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলে তারা আক্ষেপের সূরে বলে,”শ্লা বেঈমান, পাখি পাইয়া দোস্ত বন্ধু ভুইলা গেলি?”
আমি হেসে উড়িয়ে দেই, ভাবি আর কত বন্ধুবান্ধব আড্ডা? এবার শ্রাবণীকে নিয়ে লাইফটা গুছিয়ে নেব। এভাবেই চলতে থাকে আমাদের শরতের দিনগুলি। আমি তখন ফেসবুকে লাইফ নিয়ে সিরিয়াস স্ট্যাটাস দেই, আবার কখনো কখনো হেলাল হাফিজের কবিতা। প্রেমের মহিমায় আমি তখন মুগ্ধ এক শিশু। গাছের পাতার ছ্যাম-ছামিলা শব্দের সাথে সাথে ঢিংকাচিকা নেচে উঠে আমার মন। অফিসের প্রোজেক্টের খাতায় ভুল করে লিখে ফেলি কবিতা,
“হায় প্রিয়া! তুমি কত সুন্দর!
বারান্দার চড়ুইয়ের মত
কখনো অর্ণবের গানের মত
কিংবা পোষা বিড়ালের মত
আমি অবাক হই! তুমি কত সুন্দর!”
হেমন্তকালঃ চারিদিকে পাকা ধান আর নবান্নের উৎসবে শুরু হয় হেমন্তকাল। দূরের কোন ঝোপ থেকে নির্জন দুপুরে ডেকে যায় শঙ্খচিল। মাঠের উপরে হলুদের গালিচা বিছিয়ে দেয় সরিষার গাছ। রাতের আকাশে মিটিমিটি জ্বলে দূর আকাশের তারাদের দল। দুষ্ট কাক মাছরাঙ্গার কানেকানে কোকিলের বদনাম করে। “যৌবনতলা” নামক সিডির দোকানে বাজতে থাকে, “মুন্নি বাদনাম হুয়ি......ডারলিং তেরে লিয়ে।“ নীল আকাশের মাঝে সাদা মেঘেরা অবাধে বিচরণ করে। নদীর বুকে ছায়া পড়ে সেই মেঘের। মাঝি তার ডুয়েল সিমের চায়নিজ সেটে ফকির লাল মিয়ার র্যা।প গান অন করে তালে তালে বেঁয়ে যায় নৌকা। নৌকার পালে ক্যাটরিনা কাইফের এক উত্তেজনা পূর্ণ ছবি আঁকা থাকে, যা প্রকৃতির রূপ বাড়িয়ে দেয় শতগুণে। ধর্মভিরু শাইখ মোসাদ্দেক আঙ্কেল আকাশের দিকে তাকিয়ে অনুতাপের ভঙ্গিতে বলেন, “আস্তাগফিরুল্লাহ!”
ভোর হতেই চড়ুইয়ের ছানা হাজির হয় উঠোনের বরইতলায়। খোয়াড় থেকে ছারা পেয়ে আনন্দ নৃত্য করে হাঁস মুরগির ছানা। সন্ধ্যা হতেই বই নিয়ে পড়তে বসে শিশুদের দল। শোনা যায় ঝিঁঝিঁ পোকার গান। হেমন্তের রূপ নিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন,
“'প্রথম ফসল গেছে ঘরে
হেমন্তের মাঠে-মাঠে ঝরে
শুধু শিশিরের জল;
অঘ্রানের নদীটির শ্বাসে
হিম হয়ে আসে
বাঁশপাতা_মরা ঘাস_ আকাশের তারা।'
হেমন্তের শুরুটাও শ্রাবণীর সাথে বেশ সুখে কাটছিল, কিন্তু বিপত্তি ঘটলো শেষ দিকে যেয়ে। ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে লাগলো আমাদের মাঝে। অকারনে সন্দেহ করতে শুরু করে শ্রাবণী। কথায় কথায় আমার দোষ ধরতে শুরু করে। শ্রাবণীর চোখে মুখে একধরনের স্পট অবজ্ঞার ছাপ দেখতে পেতাম। প্রথম দিকে এসব বেপার অগ্রাহ্য করলেও শেষে এসে ভাবিয়ে তোলে আমাকে। কোথায় যেন পড়েছিলাম,”আকাশের রং আর নারীর মন, বুঝা বড় দায়।” তবুও আমি চাইতাম না আমার মাটির ব্যাংকে অল্প অল্প করে জমানো ভালোবাসা যেন ভেঙ্গে টুকরো না হয়ে যায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা? আমি শুধু করুণ মুখ করে জানতে চাইতাম, কি করলে আমাকে বিশ্বাস করবে। শ্রাবণী দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বাংলা সিনেমার ডায়ালগ বলতো, “আমি তোমার একটা কথাও শুনতে চাই না, লিভ মি এলোন।“
শীতকালঃ পৌষ-মাঘ এই দু’মাস শীতকাল। হেমন্তের পাতাঝরা পথে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে শীত। কুয়াশায় ঢেকে যায় চারিদিক। অসহায় সূর্য উঁকি দেয় ম্লান মন খারাপ নিয়ে। চাদরের মাঝে পরম উষ্ণতা খোঁজে গায়ের বৃদ্ধ। খেজুড়ের রসে মুড়ি ডুবিয়ে সকালের নাস্তা করে শিশুরা। বিন্দু বিন্দু শিশির জমে সবুজ ঘাসের উপরে। শীতে পাতা ঝরে পড়ে নগ্ন হওয়া গাছ লজ্জায় এদিক ওদিক তাকায় বস্রের খোঁজে। ইভটিজিং এর স্বীকার হয় নীলকণ্ঠ পাখি। জানালার কাঁচ ঝাপসা হয়ে যায়। সকাল সকাল এককাপ চা নিয়ে “রেডিও আহা” শুনে কিশোরী। এমন শীতের সকালে প্রেমিকাকে ১৩ বার কল দিয়ে ওয়েটিং এ দেখে হতাশ হয় প্রেমিক।
শীত যেন বিদায়ের সূর, শীত যেন কেড়ে নেয় সব। এজন্যে কবি সাহিত্যিকেরা পার্সোনাল্লি হেইট করে শীতকাল। পাড়ার মোড়ে জমিয়ে ভাপা পিঠার ব্যাবসা করে আয়শা চাচী। চুলে ঝুঁটি করে হেলে দুলে হেঁটে বেড়ায় খুকি। মাঝে মাঝে কুয়াশার প্রতাপে হারিয়ে যায় সূর্য কিছু দিনের জন্যে। বেদনার সূর ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। রিক্ততার ছায়া দেখে থমকে দাঁড়ায় ক্লান্ত পথচারী।
দিনে দিনে শ্রাবণীর সাথে ঝগড়া হওয়া শুরু হলো। ঝগড়ার বিষয় তেমন কিছু না, তবে ঝগড়া হতো তুমুল। আমি নখ কাটিনা কেন? শেইভ হই না কেন? মানিব্যাগে ভিজিটিং কার্ড রাখি কেন? মোবাইলে মেয়েদের নামে কন্টাক্ট সেভ করা কেন? ইত্যাদি কেন সম্বলিত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মাঝে নবম জাতুয় সংসদের তুমুল বিতর্ক চলতো। রাগ করে তিন চার দিন কথা বন্ধ থাকতো। হতাশায় ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করলাম, ঘটলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ট্যাবলেট খাইলে ঝিম ঝিম নেশা লাগে, কিন্তু ঘুম আসে না।
বন্ধুদের আড্ডায় আবার নিয়মিত যেতে শুরু করলাম। শ্রাবণীকে নিয়ে লাইফ সেট করার ইচ্ছাটা ততদিনে দমে গেছে অনেকটা। বন্ধুদের সাথে এডাল্ট কথাবার্তা বলা প্রেম করার থেকে ভালো। বন্ধুরা বুঝতে পারে আমি পাখি নিয়া ঝামেলায় আছি, তারা উস্কানি দেয় না, কিংবা শান্তনামুলক কথাও বলে না। এমন ভাব করে যে কিছুই হই নাই, আমি তাদের পুরনো বন্ধুই আছি। সাপোর্ট দিয়ে বন্ধুত্বের দাবী পূরণ করে।
এরই মাঝে একদিন দেখি শ্রাবণী কোন এক ডিজুস পোলার সাথে রাইফেলস স্কয়ার লেকে বসে সহাস্যে ঢলাঢলি করিতেছে। দেখে আমার মাথায় রক্ত চেপে গেলো। আমি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ভিসুভিয়াসের মত ফুঁসতে লাগলাম। সেই অবস্থায় আমাকে কোন মেক্সিকান বুলফাইটের কোচ দেখতে পেলে লড়াইয়ের ময়দানে নিয়ে ছেড়ে দিত। মনে মনে “প্রেমের গুষ্টি কিলাই” বলে এগিয়ে গিয়ে শ্রাবণীর গালে সশব্দে এক চড় বসিয়ে বললাম, “ফাঁক উই নেড়িকুত্তি, দিস গর্ধব ডিজুস ইজ পারফেক্ট ফর ইউ।“
বসন্তকালঃ ষড়ঋতুর শেষ ঋতু হচ্ছে বসন্ত কাল। ফাল্গুন-চৈত্র এই দু’মাস বসন্তকাল। শীতের রিক্ততা ভুলে প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে সাজায় এই ঋতুতে। গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি গজায়। সুযোগ পেয়ে গাছেরা দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, “ক্ষণিকের নগ্নতা কখনোই অশ্লীলতার পরিচয় বহন করে না, দ্যাটস আর্ট ম্যান!” বাধ্য হয়ে নীলকন্ঠ পাখিকে বিয়ে দিয়ে দেয় তার অভিভাবকেরা। এই ঋতুতে কিশোরী রেডিও শোনার চেয়ে ফেসবুকে বসে থাকতে বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
বসন্ত আসে যেন শীতের রিক্ততাকে কানায় কানায় রিকভার করে দেয়ার জন্যে। এই ঋতুতে কবি সাহিত্যকদের কোন এলার্জি নেই। প্রতিটি মানুষের ভালোবাসার ঋতু বসন্ত। বহুদিনের অনাদরের চুলে চুপচুপ করে তেল মাখিয়ে দেয় নানী দাদীরা। শিশুরা স্কুল ছুটির আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। বসন্তের নতুন আনন্দের সাথে নতুন করে জীবন শুরু করে দেবদাস। এই দেখে চুনিলালের আফসুসের সীমা থাকে না।
দীর্ঘদিন “তুমি যে ক্ষতি করলা আমার......আল্লায় করবো তোমার বিচার” নামের গানটা শুনার পরে বসন্তের একসময়ে আবিষ্কার করলাম আমি সেই মেয়েকে ভুলে গেছি। তার জন্যে এখন আর আমার কষ্ট হয় না। এখন আর তাকে ভেবে বুকের ভেতত দুরু দুরু কাঁপে না, তার ঠোঁট, তার চোখ, তার মায়াভরা হাসি কিংবা চুল এলোমেলো করে দেয়া মনে পড়ে না। মনে পড়ে না তার হাত ধরে চুপ করে বসে থাকা কিংবা তার চোখের জল হাতের তালুতে নিয়ে আলোর বিচ্ছুরণের কথা। সে আর স্বপ্নের আসে না, এমনকি দুঃস্বপ্নেও তার দেখা পাই না। আড়াল থেকে দেয়ালঘড়ি মুচকি হেসে বলে, “সময় কারো অপেক্ষা করে না নির্বোধ!”
এহেন অবস্থায় আমার ফেসবুক আইডি একদিন আবার একটিভ করলাম। রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস চেঞ্জ করে “সিঙ্গেল” করে দিলাম। কিছুক্ষন পড়ে একটা নোটিফিকেশন আসলো। ক্লিক করে দেখি সেই বেস্ট ফ্রেন্ড সাদিয়া জাহান মৌ লিখেছে, “জানতাম একদিন ফিরে আসবে, সত্যিকারের ভালোবাসা মিথ্যে হতে পারে না। অপেক্ষা কখনো মিছে হয় না।” আমি তার কমেন্টের দিকে তাকিয়ে ভীষণ আফসুসের সহিত বলিলাম,“প্রেমের আন্কেলরে আন্টি! হলি শিট!”
উপসংহারঃ ষড়ঋতুর প্রতিটি ঋতুই নিজ নিজ দিক থেকে মহিমান্বিত। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুরে যেমনি জনজীবন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, বর্ষা এসে তার যৌবন সুধা দিয়েসেই ক্লান্তি দূর করে দেয়। শরতের আকাশ, হেমন্তের পাকা ধান কিংবা শীতের ঝরা পাতা মনে করিয়ে দেয় অনেক অতীত। বসন্ত গায় জীবনের নতুন জয়গান। পাখির চিল্লাচিল্লিকে কলকাকলি বলে আখ্যায়িত করে কবিতা লেখে কবি। আমার ক্লোজ ছোট ভাই কবি শহিদুল ষড়ঋতু নিয়ে লিখেছেন,
"পথিকের গ্রীষ্ম_ ঘামেভেজা এক বৈশাখী দুপুর ,
বোনকে তাই দিলেম কিনে বর্ষায়_ একজোড়া বৃষ্টির নূপুর ,
কাশফুল আলপনার নীলাকাশ_ শরতে নেই ঘুম ,
সোনালী হেমন্তে তাই মায়ের নবান্নের ধুম!
শীতের ঝরাপাতায় প্রেয়সী আমার একা চলে যায় ,
কোকিলের আহ্ববানে আসে আগুন বসন্তের কৃষ্ণচূড়ায়!"
এভাবেই ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে চলে যাবে দিনের পর দিন, আসবে ঋতুর পড়ে ঋতু। হয়ত আবার কোন গ্রীষ্মে দেখা হয়ে যাবে অন্য কোন শ্রাবণীর সাথে কাক দেখার ছলনায়, হয়ত কদম ফুল হাতে দাঁড়ানো হবে অন্য কোন মেয়ের জন্যে। আবার হয়ত বলা হবে, “বন্ধুবান্ধব আর কত? এবার প্রেমিকা নিয়ে লাইফটা গোছাই।“ হয়ত মাঝি চায়নিজ সেট ফেলে আইফোনে ইমেনিমের র্যাদপ গান শুনবে আর বেঁয়ে যাবে নাও। হয়তবা “যৌবনতলা” নামের সেই সিডির দোকানে, “শীলা কি জাওয়ানি” এর পরিবর্তে বাজবে নতুন গান, “চিকনি চামেলি।” হয়ত আবারো বসন্ত এলে গাছেরা বলবে,“নগ্নতা মানেই মল্লিকা শেরাওয়াত না, দ্যাটস আর্ট ম্যান!”
এভাবেই বয়ে চলে স্রোতস্বিনী নদীর মত জীবন। কখনো পাওয়া হয়, আমার কখনো হারিয়ে ফেলি অনেককিছু। অনুভুতিরা বারে বারে খেলবে মনের সাথে। আবার কখনো কোথাও ভালোবাসা অধরা থেকে যায়। সাদিয়া জাহান মৌ মাঝে মাঝে পোক দেয় ফেসবুকে। আমি পোক রিপ্লাই দেই আর মনে মনে বলি,“হায়রে বুলশিট প্রেম!”
আর এমন করেই আবর্তিত হয় ঋতু এবং প্রেম আমাদের জীবনে। আমরা কখনো খুব বেশী আনন্দিত হই, কখনো আবার খুব বেশী নিঃসঙ্গ এবং একা হয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে হারিয়ে ফেলি সবটুকো আস্থা। আমরা থমকে দাড়াই মানচিত্রের কোন এক রেখায়। আমরা আবার চলতে শুরু করি। বছর ঘুরে আসে আবার সেই ঋতু। আর এভাবেই আবর্তিত হতে থাকে আমাদের ষড়ঋতু প্রেমচক্র।
ছবি কৃতজ্ঞতা: ফটোগ্রাফার রাষ্ট্রপ্রধান ভাই, তারে বললাম এক ঝাক কাউয়ার ছবি তুইলা দিতে আমার জন্মদিনের পোষ্টের জন্যে, সে নাকি ঢাকা শহরে কাউয়া খুঁজে পায় না! এটা কোন কথা হলো? ঢাকা শহর বিখ্যাত মসজিদের শহর হিসাবে, অন্য কোন কারনে যদি বিখ্যাত হয় সেটা হবে কাউয়ার শহর নামে! শেষে অনেক ঝাক্কি ঝামেলা পার করে আমারে দিলো একটা নিঃসঙ্গ কাউয়ার ছবি। আমি কইলাম, "কাউয়া একলা ক্যান? ওর বয়ফ্রেন্ড কই?" মাহবুব ভাই বললেন ওর বয়ফ্রেন্ড ভুট্টা খাইতে গেছে। পরে আরেকটা ছবি দিলো, দেখি সত্যিই ভুট্টা খাইতে গেছে। হলি কাউয়া।
এইটা সেই ভুট্টা খাওয়ার ছবিঃ
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: শুভ জন্মদিন ইডিয়ট!
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৬
সুদীপ্ত কর বলেছেন: জন্মদিনের পোষ্টে পুত্তুম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হে হে
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৬
মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেছেন: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ভাব্লাব একটু ব্লগ এ ঢুকি
দেখি ভাল কাজ হইছে , আপনার পোস্ট :!> :#> মনে হয় ফেসবুক এ কিছু লেখা পড়ছিলাম
যাই হক শুভ জন্ম দিন
পয়লা পেলাস
প্রিয়তে নিলাম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: এইটা লেখার পরে মনে হইসে আমিও বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা দিয়া উঠছি। যাইহোক, এক্সাম মোবারক।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৮
সুদীপ্ত কর বলেছেন: রচনার মার্ক কত ছিলো ভুলে গেসি। ১৫ মনে হয় । ১৩ দিলাম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বাংলা রচনায় মার্ক ছিল ২০ আর ইংরেজী বচনায় ছিল ১৫
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৯
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: “হায় প্রিয়া! তুমি কত সুন্দর!
বারান্দার চড়ুইয়ের মত
কখনো অর্ণবের গানের মত
কিংবা পোষা বিড়ালের মত
আমি অবাক হই! তুমি কত সুন্দর!”
জটিল ভালো লাগল লেখাটা! বেশি ভালো !
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক থ্যান্কস
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: বিশাল বড় লেখা। পড়তে পড়তে ক্লান্ত।
লেখায় +++++++
জন্মদিনের অবিরাম শুভেচ্ছা
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবু১৫৪
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৫
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: হঠাত পথের বাঁকে কিংবা “যৌবনতলা” নামক সিডির দোকানের সামনে কোন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলে তারা আক্ষেপের সূরে বলে,”শ্লা বেঈমান, পাখি পাইয়া দোস্ত বন্ধু ভুইলা গেলি?”
ভাই লেখাটা অনেক ভালো লাগল ,
আছেন কেমুন ভাই
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শহিদুল। ভালো আছি। ভালো থেকো ভাইয়া
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৪
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: পুরাই বাংলারচনা
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কয়টা লুজ শিট লাগছে বলো দেখি?
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
নিশাত রহমান বলেছেন: সেদিন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সাদিয়া জাহান মৌ সেখানে লাইক দিয়ে কমেন্টসে লিখেছিল,”কেউ একজন দূর থেকে ভালোবাসতো, ভালোবেসে যাবে। সুখে থাকিস দোস্ত।“
সকাল সকাল এককাপ চা নিয়ে “রেডিও আহা” শুনে কিশোরী।
ওনেক ভালো লাগলো.. বাংলা রচনা তো, কত মার্কস দেবো?????
প্রিয়তে নিলাম আর ভাল লাগা রইল.........
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিশাত
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শুভ জন্মদিন রিয়েল ভাই।
আগামী ভরে উঠুক পূর্ণতায়, উচ্ছাসে।
শুভকামনা থাকলো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়দা।
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
জাতির নানা বলেছেন:
পইড়া ক্লান্ত। এলা জন্ম দিনের কেক খাওঃ
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ জানা
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক বড় লেখা হৈলেও পড়তে ভালো লাগসে পুরাটা সময়ই। উপভোগ্য। শুভ জন্মদিন রিক!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই। শুভকামনা আপনাদের জন্যেও
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
লেখা যতই বড় হোক
ডেমোনের লেখা আমার পড়তে ভালই লাগে ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৭
নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন: ভালো লাগল ডেমোন ভাই । একটানে পড়ে ফেললাম । শুভ জন্মদিন ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ আকাশ
১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১০
সায়েম মুন বলেছেন: একজন প্রেমিক এবং ষড়ঋতু প্রেমচক্র---চমতকার পোষ্ট। খুব ভালো লিখেছেন।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম ভাই
১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৯
আমি তানভীর বলেছেন: শুভ জন্মদিন ডেমুন ভাই
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ তানভীর
১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫০
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: শুভ জন্মদিন প্রিয় রিয়েল !!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ চয়ন ভাই
১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
তোমার গল্প পড়ার পরের অনুভুতি ডিফাইন করা কষ্টসাধ্য। সিরিয়াস মুহূর্তের মধ্যে এমন সব ফাইজলামি ঢুকায় দাও যে সিরিয়াস মুডটা ফালায় কেলাইতে থাকি। আবার হাসতেছি হাসতেছি এমন সময় আবার সিরিয়াস বানায় দাও।
আর গল্পগুলো পড়ে মনে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে সহজসাধ্য কাজটা হইল ভালবাসা হওয়া। দুনিয়াটা যদি তোমার গল্পের মত সহজ সরল হইত তাইলে জাতীয় যুব সমাজের এত হা হুতাশ করা লাগত না।
বৈশাখের প্রারম্ভ শেষ চিহ্ন এঁকে দিয়ে গেছে বসন্তের সবুজ পাতায়।
শুভ জন্মদিন রিক। শুভ জন্মদিন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: প্লেই উইথ ইমোশন
ভালোবাসা ব্যাপারটা আসলে এতটা কঠিন কিছু না, হয়ে যায় সবারই, হয়ে যাবে একদিন। আমরা আগে থেকেই হতাশ হয়ে হা হুতাশ করি বলেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি না।
অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই
১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৭
শিপু ভাই বলেছেন:
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই
২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮
সালমাহ্যাপী বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার লেখা ।বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনাটার কথা মনে পড়ে গেল/
শুভ জন্মদিন ভাইয়া।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাপী
২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
নীরব 009 বলেছেন: ১৪ তম ভাললাগা
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ নীরব ভাই
২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: এইটা কি রিকের জীবন থেকে নেয়া???
ভালো লাগে নাই
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: উহু, এটা শুধুই একটা গল্প।
ভালো না লাগায় ভালো লাগলো শুনে, কারন গল্প ভালো লাগার মত ভালো না
২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৭
নীরব 009 বলেছেন: খুব ভাল লেখসিস। অনেক কিছু তুলে নিয়ে আসছিস। অনেক ভাল লাগসে আমার রিয়েলি।
ইংলিশ কোড গুলা বেশি ভাল লাগসে। হলি কমেন্ট করলাম
শুভ জন্মদিন পিচ্চি দিমুন
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হে হে, অনেক ধন্যবাদ নীরব ভাই। হলি রিপ্লাই
২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন:
ভাল থেক ভাইয়া ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিফাত সুন্দর ছবিটির জন্যে
২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন:
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
ফাইরুজ বলেছেন: শুভ জন্মদিন। ভাল থাকুন, সুস্হ্য থাকুন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ ফাইরুজ
২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৬
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
শুভহোক জন্মদিন
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জিসান ভাই
২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৮
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন:
হলি কাউয়া।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ছবির জন্যে থ্যান্কস রাষ্টুদা
২৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: শুভ জন্মদিন!
লেখা পড়ে জানাবো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ওকে
৩০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০০
মুনসী১৬১২ বলেছেন: রিক'স রাইটিং
শুজদি
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুনসী ভাই
৩১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০১
বড় বিলাই বলেছেন: ষড় ঋতুর জটিল গবেষণার পর শেষ মেশ মৌ আপার লগে পেরেম?
জন্মদিনের শুভেচ্ছা আরেকবার দিলাম। পিচ্চিটা কি বড় হয়ে গেল নাকি একটু?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: প্রেমচক্র আরকি
দিন দিন আয়ু কমতেছে, আমি বড় হতে চাইনা
৩২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১১
সকাল বেলার ঝিঝি পোকা বলেছেন: বড় হৈলেও অনেক মজা লাগছে ভাইয়া।
ইস্টিং ডিস্টিং প্লাস
আবারো শুভ জন্মদিন।
ভালো থাকবেন।
পেক পেক পেক
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ ঝিঝি পোকা
৩৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৮
ম্যাক্রোফেজ বলেছেন: হ্যাপি বার্থডে রিয়েল ডেমন
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৩৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৯
নাআমি বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগলো এই লেখাটা আর কাউয়ার কাহিনী পড়ে আর ছবি দেখেতো অনেকক্ষণ হাসলাম.....।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা আবারও ......ভাল থাক......
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি
৩৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪০
পাগলমন২০১১ বলেছেন: +++
শুভ জন্মদিন রিক
কালকে পার্টি দেওয়াই লাগবো।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ
৩৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৫
রুপ।ই বলেছেন: শুভ জন্মদিন। লেখা বড় কিনত্ত ভাল। সামনের দিন গুলো সাহসের সাথে এগিয়ে যান ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুপাই আপনাকে
৩৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৫
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ড্যা রিয়েল স্টিল !!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
৩৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৬
নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: ঋতুবতী এক তরুনী আসুক আপনার জীবনে।
শুভ জন্মদিন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ঋতুবত! এইটা কি কইলেন!
৩৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৭
নাজনীন১ বলেছেন: ইদানীং সবাই ষড়ঋতুর প্রেম লিখে, এ নিয়ে তিনটা পড়লাম! প্রজন্ম৮৬, সাকিন আর আপনারটা।
রচনায় ২০এ ১৮।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: প্রজন্ম ৮৬ ভাইয়ের পোষ্ট পড়া হয়নি, তবে সাকিনেরটা সম্ভবত ষড়ঋতু নয়, বারো মাস নিয়ে লেখা ছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৪০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১২
ঘুমকাতুর বলেছেন: শুভ জন্মদি। লেখা তো চমৎকার হইছে। হুমায়ুন হুমায়ুন ভাব আছে।
নীলব যে বললো আজ তোমারে ন্যাংটা করা হবে তার খবর কি
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ছিহ! অশ্লীল কথাবার্তা!
৪১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩২
নিমা বলেছেন: ১০০০ প্লাস ভাইয়া....
অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছ..
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:২২
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: জন্মদিন কেমন কাটিয়েছেন?
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ১৪ ঘন্টা টানা কাজ করে জন্মদিনে বলে যে কোন ফ্যান্টাসী আছে তাই ভুলে গিয়েছিলাম।
৪৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৪৮
ভিয়েনাস বলেছেন: ষড়ঋতু প্রেম চক্র হয়তো চলতেই থাকবে । লিখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো । বিশেষ করে ১নং কমেন্ট ।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৪৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:০৮
রোজেল০০৭ বলেছেন: ষড়ঋতু প্রেম চক্র হয়তো চলতেই থাকবে।
চলুক।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হুম
৪৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: গত দুইবছর যাবৎ আমি কেক কাটি না, গতবছর জন্মদিনে বিমানে, সুন্দরি বিমানবালা যখন বিয়ার দিয়ে গেল, ক্যান খুলে নিজেই নিজেকে বললাম, শুভ জন্মদিন রিক।
এবারের জন্মদিনে ভিষন কাজের চাপ, খুব ক্লান্ত থাকি, কেউ জানেই না আমার জন্মদিন। আম্মুর সাথে কথা বলার সময় পাইনি, যখন একটু সময় পাই, দেশে তখন অনেক রাত।
আমার জানে জিগার বন্ধুরা দেশে উৎসবমুখর পালন করলো আমার জন্মদিন। আমি নাই, কিন্তু শ্লারা ঠিকি মজা মারতেছে। এত ভালো বন্ধু আছে আমার, আমার থেকে ভাগ্যবান আর কে আছে? দোস্ত তোরা কেক কাটছিস, আমার সেলেব্রেশন হয়ে গেছে
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: শুভ জন্মদিন ডেমোন। ইউ আর সাচ এ স্টুপিড।
৪৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২২
ছোট ভাই বলেছেন: রচনা দারূণ হইছে ভাইয়া। একবার পড়েই পুরা মুখস্থ হয়ে গেছে।
দীর্ঘদিন “তুমি যে ক্ষতি করলা আমার......আল্লায় করবো তোমার বিচার” নামের গানটা শুনার পরে বসন্তের একসময়ে আবিষ্কার করলাম আমি সেই মেয়েকে ভুলে গেছি।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: থেন্কু ভাইয়ামনি
৪৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫০
জন ঢাকা বলেছেন: শুভ জন্মদিন রিক ভাই
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১৫
শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: খুব বেশি অসাধারণ! এত্তো বড় পোস্ট। কিন্তু পড়তে একটুও বোর লাগে নাই। বরং গল্পের মধ্যে এক অন্যরকমের ইন্টারেস্ট ছিল। ষড়ঋতুর রচনা হিসেবে অসাধারণ। বিশেষত বর্তমান সময়কে কেন্দ্র করে আপনি যেভাবে প্রকৃতির বর্ণনা দিয়েছেন, সেটি একই সাথে হাসিয়েছে, আবার ভাবুক করেছে! এই ব্যাপারটা করা খুব কঠিন! মানুষের ইমোশোন কে কন্ট্রোল করা। আপনি পেরেছেন!
গল্পের ব্যাপারে একটু সমালোচনা। শ্রাবণীর চরিত্রের deterioration ব্যাপারটা গল্পে আরেকটু খোলাসা করতে পারতেন। হঠাৎ করে এত্তো মধুর প্রেমের শ্রাবণী এমন হয়ে গেল!! আরেকটু ডিটেইলস দেয়া যেত শীতকালীন সময়ে!
আপনার এবং সাদিয়া জাহান মৌ এর একসাথে জীবন সুখের হোক, এই কামনা।
শুভ জন্মবার্ষিকী!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ।
আমার গল্পগুলো আসলে সময়ের অভাবে একবসায় লিখে ফেলি, কিছু বাহুল্যতা থেকে যায়। আর মেয়েদের চেন্জ হতে কোন কারন লাগে না, তারা কোন কারন কিংবা নোটিশ ছাড়াই চেন্জ হয়ে যায়, বাস্তবিক দেখেছি। তাই আমার ধারনাও এমন। আসলে গ্প বড় হয় বিধায় অনেক কিছু স্কিপ করতে হয়েছে।
সাদিয়া জাহান মৌ বলতে কেউ নেই। এটা যাস্ট একটা গল্প
৪৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৮
দূর্যোধন বলেছেন: জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা,রিক
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২২
আরমিন বলেছেন: Belated Happy Birth Day রিক!
সামনের দিনগুলি অনেক সুন্দর আর আনন্দময় হোক এই শুভকামনা !
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: থ্যান্কস
৫১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৩
শত রুপা বলেছেন:
মুঠোমঠো ঘাষ ছিঁড়ি।
ঘাষের ডগায় জমে থাকে ভারী বর্ষা।
বর্ষার আমন্ত্রনে
আবার জেগে উঠি আমি ,আরো, আরো একবার জেগে ওঠে মৃত জীবন আমার ।
কবিতা, কবিতা তুমি ঘুমাও ভীষন,জানি,
যখন ভাংগে সকল মশারীর ঘুম । জাগি আমি।
জীবন আমার স্বপ্নে জাগে ,
আর ঘাষফুলে জাগে পাপ।
জাগে , আমার ছোট্ট জীবন। আর জাগে অভিশাপ।
আমিই আমার প্রথম কবি----- প্রথম কবিতার প্রথম পাখি ।
আমিই এই পৃথিবীর
প্রথম পাখির পাপ ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: প্রথম পাখির পাপ ।
সুন্দর কবিতা
৫২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৬
টুকিঝা বলেছেন: ভাল লাগা অনেক গুলো! ব্যাপক হয়েছে!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৫
ভুত. বলেছেন: বাংলাদেশের ষড় ঋতু নিয়ে অভিনব রচনা পড়িয়া অতি+অন্ত = অত্যন্ত ভাল লাগিল
রচনা প্রিয়তেও যুক্ত করা হইল.... তার সাথে লেট শুভ জন্মদিন
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ ভূতাপু
৫৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪
~মাইনাচ~ বলেছেন: সুন্দর লিখেন আপনি
শুভ জন্মদিন
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ মাইনাচ।
৫৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫৮
অজানা আমি বলেছেন: শুভ জন্মদিন ভাইজান।
@লেখক "টানা ১৪ ঘণ্টা হারভাঙ্গা কাজ আর ক্লাসের পরে রাতে বাসায় এসে যখন ফেসবুকে, ব্লগে কিংবা অন্যান্য সোসিয়াল সাইটে লগ ইন করি, বিশাল এক দুনিয়া উন্মুক্ত হয় আমার সামনে।"
ভাইজান কি ক্লাস করেন?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ফন্স ল্যান্গুয়েজ, যদিও ইহা দুনিয়ার অন্যতম জঘন্য ব্যাপার।
ধন্যবাদ
৫৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৬
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: ওপপপসসস... উইশ করাটা মিসাইছি সেটার জন্য বেশি আফসুস হচ্ছে নাহ, জন্মদিনের কেকটার জন্য বেশি পুড়ছে!
ব্লগে অনিয়মিত আসার কারনে অনেক দেরিতে জানলাম...
আশা করি জন্মদিন ভালই কেটেছে!
সারাটা জীবন ই ভাল কাটুক।
অনেক অনেক ভাল থাকুন।
পোস্ট অনেক ভাল লেগেছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ব্যাপার না, আমি বেঁচে থাকলে সামনে উইশ করে শোধ করে দিবেন
অনেক ধন্যবাদ
৫৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৬
আরিয়ানা বলেছেন: ওরে রিকরে, তুই শ্যাষ, তুই পুরাই শ্যাষ!”
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: নতুন বাসায়?
৫৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৬
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ষড়ঋতুর চমতকার বিশ্লেষমূলক আলোচনা..
শুভ জন্মদিন....
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ রোকন রাইয়ান কে
৫৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: লেখাটা পড়লাম ভাইয়া। বর্ননা আরেকটু কম হলে মনে হয় ঝরঝরে হত। বর্ননার আধিক্য লেখা থেকে অনেক সময়ই মনোযোগ সরিয়ে দিয়েছে।
তোমার লেখা ভাল লাগে এ আর নতুন কি!
অনেক শুভকামনা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সত্যি বলতে কি, লেখার পরে মনে হইছে আমি বর্ননা কম দিয়ে ফেলেছি! আসলে কি, আমি চাইছিলাম বর্ননার মাঝে ডিফ্রেন্ট কিছু ঢুকিয়ে একটা টুইষ্ট আনতে, প্রথম দিকে সেটা করিনি, মাঝ থেকে সেই টুইষ্ট শুরু হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপুমনি, স্পেসিয়াল্লি আমাকে বার্থডেতে উইশ পোষ্ট দেয়ার জন্যে
৬০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৮
নস্টালজিক বলেছেন: অনেক দেরিতে,
শুভ জন্মদিন, রিক!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
৬১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৩
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: খুব সাধারণ কিছুকে খুব দুর্দান্ত ভাবে প্রেজেনট করা ! দারুণ !! কাকের বয় ফ্রেন্ড কি একাই ভুট্টা খেয়েছিলো ? কেকটা দেখে খেতে ইচ্ছে করেছিলো ভাইয়া । জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ।ভালো থেকো ভাইয়া । খুব ভালো । মানুষকে আনন্দ দেবার ক্ষমতা সবার থাকে না ।তোমার আছে । সেটা ধরে রেখো ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
ব্যাপার না, আমি নিজেও কেক খাই নাই
৬২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রেম লইয়া রীতিমত একটা আত্মজীবনী মূলক অভিসন্দর্ভ তৈয়ারী করিবার নিমিত্তে তোমাকে উক্ত বিষয়ের উপর পি এইচ ডি ডিগ্রী দেয়া যাইতে পারে হে নাতী
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ব্যাপারটা খারাপ না, আমাদের দৈনন্দীন জীবনে প্রেম ভালোবাসার ব্যাপক প্রভাব। আর শিক্ষা হচ্ছে জীবনে চলার জন্যে। সুতরাং আমাদের কারিকুলামে অবিলম্বে এই বিষয় অন্তর্ভু্ক্ত করা হোক
৬৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৭
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: জাতির নানা বলেছেন:
পইড়া ক্লান্ত। এলা জন্ম দিনের কেক খাওঃ
+
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
৬৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১৬
ইসরা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া ামি তোমার এই পড়িনি কেন?অনেক সুন্দর তবে এন্ড করতে পারিনি ঘুমে পড়ে যাচ্ছি কাল এসে বাকিটা শেষ করবো...
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ঘুম ভেঙেছে?
৬৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৬
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: হ্যাফি বাড্ডে দিমুনদা। অধমের লেট গোস্তাখি মুয়াফ করবেন
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ওকে, ক্ষমা করে মহৎ হইলাম
৬৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১৭
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
লেখাটি পড়তে গিয়ে প্রথমে যে গানটার কথা মনে পড়লো ....
"এক লেড়কিকো দেখাতো এ্যায়সা লাগা য্যায়সা.............."
মাঝখানে তাকে আবিষ্কারের পর মনে হোল..........
"এক বৈশাখে দেখা হোল দুজনায়, জৈষ্ঠ্যতে হোল পরিচয়........... "
শেষ করিনাই এখনো। দেখা যাক আর কোন গান মনে পরে নাকি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কোন শুভ মূহুর্তে নায়ক নায়িকার দেখা, যখন পাখিরা পার্সোনায় বডি ম্যাসাজ করাতে গেছে
৬৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩২
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
হাহাহাহাহা। মুডি ভাব নিয়ে পড়া শেষ করলাম। ফাটাফাটি একটা কমেন্ট করবো ভাবলাম। কাউয়ার ভুট্রা খাওয়ার কথায় এবং প্রমানসহ ছবি দেখেতো আমার ভাবনা সব বাবুল হয়ে উড়ে গেল।
তবে এই মুহূর্তে যেই গান মনে পরছে তা হইলো.......
"হায় প্রেম......ও ভাংচুর প্রেএএএম"
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: যাইহোক, ফাটাফাটি থেকে রক্ষা পাওয়ায় যারপরনাই আনন্দিত।
কেমন আছো আপু, এত অনিয়মিত কেন?
৬৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫১
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: লেট জন্মদিনের শুভেচ্ছা রিক ভাইয়া ।
শুভকামনা ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৫
শোশমিতা বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছ ভাইয়া!
একটু বড় লেখা তবে পড়তে অনেক ভালো লেগেছে +
কেমন আছো ভাইয়া?
২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ শোশি আপু অনেক। আমি ভালো আছি। তোমরা কেমন আছো? বেন টেন রাজপুত্র কেমন আছে?
৭০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০৯
নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: অনেক সুন্দর আর কষ্ট সাধ্য পোস্ট...
ষড়ঋতুময় বাঙলাদেশ আরো সুন্দর নির্মল হোক, শুভকামনা..
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
ভালো লাগলো
এখানে দেরী হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো রিক
ফেবুতে মিস হয়নি কিন্তু
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
৭২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০২
anisa বলেছেন: সুন্দর সাবলীল লেখার জন্য তুই তুলনা হীন
আর এত দুস্টমি কেউ করেরে
খুব সুন্দর
আর শুভ হক আগামী।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দিদিভাই ব্যাস্ততার মাঝে সময় নিয়ে পড়ার জন্যে
৭৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫১
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কবোষ্ণ লেখা । আরাম লাগল পড়ে । জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ
৭৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
বেঈমান আমি বলেছেন: কেমনে মিস হইলো বুজলাম না?ফেসবুকে তো উইশ করেছি এখানেও আবার করলাম।শুভ লেংটা দিবস প্রিয় রিক।
অফ টপিকঃ সেফ হইছেন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হুম সেইফ করেছে।
৭৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭
বৃষ্টিধারা বলেছেন: রচনা ভালা হইছে । এইট আউট অফ টেন....
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: থেন্কু
৭৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪০
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: thanx
৭৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৫
আধুনিক বাল্মিকী ব্লগার বলেছেন: valo laglo
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৯
অভ্রমালা বলেছেন: এখন স্কুলে পড়লে আপনার রচনাটা কাজে লাগতো। স্যারদেরকে বুঝিয়ে দিতাম যে রচনাও কত মজা করে লেখা যাই! যাই হোক, ভালো হয়েছে লেখা।
জন্মদিনের সপ্তাহ পূর্তি উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: স্কুলে থাকতে রচনা লেখার সময়ে একের পর এক লুজ শিট নিতেই থাকতাম, স্যারেরা বিরক্ত হয়ে যেত বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার দিন।
ধন্যবাদ
৭৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৫
ঈষাম বলেছেন: চরম হয়েছে রিক ভাইয়া....
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: oww, you r safe now! congratulation! good to see esham, i've already read your last story, it was awesome man! think will get u regularly here.
৮০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪০
শায়মা বলেছেন: উফফ ভাবছিলাম এ্যাটলিস্ট বসন্তে এসে মনমন্জরী গান গাইবে।
তা না .....
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আরশোলার বসন্ত আর পাখিদের বসন্ত এক না
৮১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০০
দুঃখ বিলাসি বলেছেন: এমন ভাব করে যে কিছুই হই নাই, আমি তাদের পুরনো বন্ধুই আছি
সত্যিই বন্ধুরা অন্যরকম।
ভাল লাগলো গল্পটি পড়ে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক
৮২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৫৩
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: পড়ছি আর পড়ছি.......আবার পড়া শুরু করব...অনেক সুন্দন....জন্ম হোক শুভ....লেখকের দিনগুলি যাক অপুর্ব.....
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৫৮
ইসরা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া আজ ঘুম ভেঙেছে।চোখ্খ মেলিয়া সাথে সাথেই তোমার আন্গিনায়.....
লেখার প্রতিটা কথাই কাট করে নিয়ে আসতে মন চাইছে আনিনি....
অসাধারন লিখেছো খুবই মন দিয়ে পড়েছি। কি অদ্ভুত বিশ্লেষণ......
ভালো থেকো ভাইয়া সব সময়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপুমনি সময় নিয়ে পড়ার জন্যে
৮৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৫
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: kothay tui vai?? dekhi na keno??
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি সময় পাচ্ছি না একেবারে। নেটে আসা হয়না তেমন অনেক রাতে আসি ঘন্টাখানেকের জন্যে
৮৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০২
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: উভিনন্দন ডেমুন
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫
নীল কষ্ট বলেছেন: কাউয়ার ছবিটা সুইট হৈছে আমি কি নিতে পারি??
তোমার কত-শত প্রেমের কাহিনী পড়লাম
বিয়ের আগে এইসব পাত্রী-পক্ষকে দেখাইওনা। ঝামেলা হপে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কাকের ছবি মাহবুব ভাইয়ের তোলা, নিতে পারেন, সে নিরীহ গোবেচারা পাবলিক
আমার প্রেম কাহিনী!!!
৮৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
নীল কষ্ট বলেছেন: নীরবের কাছে তুমার শুভেচ্ছা দিছিলাম সে কি তুমারএ দেয় নাই?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: নীরব কবি নীরব ছিল, কিছু কয় নাই
৮৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৬
দুরন্ত জেসি বলেছেন: লেখাটি ফেসবুকের একটি পেইজে পড়েছিলাম। আবার ও পড়লাম। ভালো লেগেছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩০
মেহবুবা বলেছেন: দেরীতে হলৈও শুভেচ্ছা জন্মদিনের এবং পরবর্তী সব দিনের জন্য ।
পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এই পোষ্ট; ষড়ঋতু নিয়ে রচনা এলে উৎকৃষ্ট মানের এটি উপকারে আসবে
২১ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:১৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হা হা, ধন্যবাদ আপনাকে
৯০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৯
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: মজা পাইছি। আপ্নে আসলেই বছছ। প্লাস লন।
৯১| ১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:২১
শিপন মোল্লা বলেছেন: অ মাই গড আমি ক্যান আগে আপনার লিখা পড়িনি ?? অসাধারন। আর মিস করব না আপনার লিখা এখন থেকে প্রতিদিন আপনার পুরান পোষ্ট গুলো পড়বো, নতুন তো পড়বোই।
৯২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:০০
একজন আরমান বলেছেন: ফাঁক উই নেড়িকুত্তি, দিস গর্ধব ডিজুস ইজ পারফেক্ট ফর ইউ
জায়গা মত পাঞ্চ, ঠিকাছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: 236 friends posted on Real's Timeline for his birthday.
টানা ১৪ ঘণ্টা হারভাঙ্গা কাজ আর ক্লাসের পরে রাতে বাসায় এসে যখন ফেসবুকে, ব্লগে কিংবা অন্যান্য সোসিয়াল সাইটে লগ ইন করি, বিশাল এক দুনিয়া উন্মুক্ত হয় আমার সামনে। এটা আমার দ্বিতীয় পৃথিবী, এই পৃথিবী আমার বাস্তব আর প্রথম পৃথিবীর সম্পূর্ণ বিপরীত। আমার দ্বিতীয় পৃথিবীর কেউ জানে না, কাজ শেষে বাসায় এসে সারা শরীরে ব্যাথা, আবার কখনো কখনো প্রচন্ড মাইগ্রিনের পেইন নিয়ে আড্ডা দেই, সবাইকে হাসানোর চেষ্টা করি, কারো মন খারাপ থাকলে চেষ্টা করি সময় দেয়ার, আবার এরই মাঝে চলে মান অভিমানের পালা।
আমার দ্বিতীয় পৃথিবীর কেউ জানেনা, আমার প্রথম পৃথিবীতে আমাকে ঘিরে যারা আছে তারা দ্বিতীয় পৃথিবীর কথা জানে না। আমি আর দশজনের মতই খুব সামান্য কিংবা সবার মত আমার প্রথম পৃথিবীতে অভাব, চাপা কষ্ট, আবার হাসি কান্না আছে। কিন্তু আমি চেষ্টা করি আমার দ্বিতীয় পৃথিবী আমার স্বপ্নের মত করতে, সুন্দর করতে।
খুব কম সময় পাই আমার এই স্বপ্নের দ্বিতীয় পৃথিবীর জন্যে। তবুও চেষ্টা করি সবাইকে সময় দিতে। চেষ্টা কবি সবার ইনবক্সের রিপ্লাই করতে, ওয়াল পোস্টে জবাব দিতে কিংবা ট্যাগ করা গল্প কবিতা পড়ে মতামত দিতে। আমি চেষ্টা করি মাত্র, আমি পারি তা বলছি না। আমার জন্যে কেউ যদি একটু খুশি হয় তার চেয়ে বড় পাওয়া কি আর আছে?
মানুষ হিসেবে কেমন আমি তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই, কে আমাকে নিয়ে কি ভাবলো, তাও দেখার সময় নেই আমার। আমি বিশ্বাস করি, যে আমাকে যেমন ভাবে, আমি তেমনি।
আজকে প্রথম উইশ পেয়েছি ফারহিন আপুর কাছ থেকে, সে আমাকে ফোন করে উইশ করেছে, আমি তখন হাইওয়েতে বাইক চালাচ্ছি। পরে আবার ফোন করে ডিটেইলস প্যাচাল পারলাম, থ্যাঙ্কস আপু।
যাইহোক, ২৩৬ নোটিফিকেশন, ২৮ ইনবক্স আর ৪ টা ফ্রেন্ড রেকোয়েস্ট ফেসবুকে, আর ব্লগে অনেক কমেন্টস রিপ্লে দেয়া শুরু করলাম। জানিনা কতদূর পারবো, কারো রিপ্লাই মিস গেলে কিছু মনে করবেন না, আর টাইম্লাইনে অনেক ওয়ালপোষ্ট অনেক নীচে চলে গেছে, অনেক আবার টাইম্লাইনে নেই, ১০০ এর বেশী নোটিফিকেশন শো করছে না। তবুও বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করলাম, যা আছে কপালে।