নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মবিশ্বাসী। নিজের কাজ নিজেই করি। গঠনমূলক সমালোচনা আনন্দের সাথে গ্রহন করি।

রিয়ানা তৃনা

যেখানে জ্ঞান নেই সেখানে বিধাতাও নেই।

রিয়ানা তৃনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কট্টর মুসলমান ও তাদের প্রতিবাদহীন অমানবিক চিন্তন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মুসলমানদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল বলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কোনো অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা নিয়ে এদেশ স্বাধীন হয়নি।

উপরের কথাগুল আওয়ামী ওলামা লীগ এর

আহ কপাল। ধর্ম মানুষকে শেষ করে দেয়। শেষ করে দেয় বিবেক। শেষ করে দেয় বুদ্ধি। মরে যায় চিন্তা শক্তি। যেখানে জ্ঞান নেই সেখানে বিধাতাও নেই।

খুব ভয় লাগে কোনদিন বাংলাদেশ এ বড়দিন পুজা ইস্টার সানডে বাতিল হয়ে যাবে। বানিয়া চরের গির্জায় গির্জা চলাকালীন সময় বোমা মেরে উরাই দিসিল। কত মানুষ মরল। বোমা মেরে অমুসলিমদের উপাসনালয় উড়াইতে পারবেন। আরাধনা বন্ধ করতে পারবেন। কিন্তু মনের উপাসনালয় ভাঙবেন ক্যামনে? সেখানে তো সৃষ্টি কর্তার বাস। ওইখানে বোমা ফালাইয়া দেখান দেখি। কত জোর আপনাদের একটু দেখি।

বাংলাদেশে অমুসলিম মানুষগুলকে মুসলিম সমাজ মানুষ বলে গণ্য করে বলে মনে হয় না । পার্থক্য টা কোথায় জানেন? হাতে শাঁখা কপালে লাল রঙের দাগ আর সিঁথির মাঝ বরাবর সিঁদুর আর গলায় তুলসির মালা কপালে চন্দনের তিলক। আর কোন পার্থক্য নাই। আপনার আর আমার মতো ২ চোখ হাত পা কান আর একটাই মুখ। নারী পুরুষ যেরকম ঠিক সেরকম এ ওরা। বিশ্বাস করেন আর একটুও পার্থক্য নাই।

আপনারা যখন ঘটা করে চিৎকার করে বলেন, ধর্ম যার যার দেশ সবার। এই কথা শুনলে খুব হাসি পায়। শুনতে অনেকটা এরকম লাগে, বিয়ে যার যার কিন্তু বউ সবার।

যদি কোন মতে জানা যায় বাংলাদেশের কোন জায়গায় অমুসলিম দ্বারা কোন মুসলমান ব্যাক্তি আহত হয়েছেন, সাথে সাথে দা, কুরাল, চাপাতি, বটি বা ছুরি নিয়ে জবাই করতে বের হয়ে যান। সাথে মালাউন মালাউন বলে চিৎকার করে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলেন। কোপ মারার পর বা ইচ্ছা মতো পিটানোর পর জানতে পারলেন যে সে শুধু একটা দাবড়ানি দিয়েছিল। বা আস্তে করে একটা ধাক্কা দিয়েছিল। অথবা আপনি তাকে আঘাত করেছেন সে শুধু নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা জবাব দিয়েছে বা আপনাকে আঘাত করেছে।
কিন্তু যখন আপনারা সংখ্যা লঘূদের মারেন তখন কি হয়? আশে পাশের জনগন মুখে কুলুপ আঁটেন। বলতে পারেন আপনারা এত ভণ্ড ক্যান?

তখন প্রতিবাদ করতে করতে মুখে ফেনা ওঠে না ক্যান? কারন এরা মালাউন এর জাত। এদেরকে মারলে সোয়াব হয়। প্রত্যেকটা মুসলমান মানুষ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাই দেয় যে এই তোরা সংখ্যালঘু, তোদের আবার কিসের অধিকার? তোর দেশ ভক্তির মায়রেবাপ। ভণ্ড আর বিশ্বাস ঘাতক তোরা। চোখ উল্টে পিঠ পিছনে ছুরি খোপতে তোরা ওস্তাদ।

এত হিন্দু, খ্রিষ্টান, বোদ্ধ, উপজাতি মানুষ মরে কিচ্ছু আসে যায় না। একটা আঁটিও ছেড় না কেউ। আর তোমাদের ইসলামের কেউ মরলে তাণ্ডব নাচন শুরু হয় তোমাদের? যতসব খবিশ শয়তান দের দল। বানোয়াট ধর্ম বেচা নরাধম শকুন এর জাত। টুপি ওয়ালা আর পায়জামা বলটানো এদের কে দেখলে এখন গা ঘিন ঘিন করে। হ্যাঁ ঘৃণা, ঘৃণাই হয়। যারা মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না ওদেরকেও মানুষ বলে মনে করি না।

বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশে মুসলিম ধর্মের মানুষদেরই শুধু ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে। আর অন্যান্য ধর্মের মানুষদের আসলে অনুভুতিই নাই। এই মৌলবাদী মূর্খতা যতদিন থাকবে , জ্ঞান এর মুক্তি নাই। মনের ভিতর ভয় নিয়া কি স্রষ্টার আরাধনা হয়? ভয় দেখাইয়া কি ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয়? হয় না। একদিন মুখ থুবড়ে এমন ভাবে পড়বেন যে অস্তিত্বই থাকবে না। সৃষ্টিকর্তা নিজেই বিচার করবেন। কারন মানুষ যা বোনে তাই সে কাটে। যা অন্যায় করিবেন তাহার শাস্তি এই দুনিয়াতেই পাইবেন। কারন এই দুনিয়াই স্বর্গ আর এই দুনিয়াই নরক। সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম যেদিন সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে আপনাদের বিচার করিবেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: লিখার শিরোনাম ও মুল লিখায় অনেক তফাৎ , মুসলমান রা বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে তা হলে কি করেছিল একটু যানাবেন ?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১১

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আজকাল হাতে গোনা কিছু বাদ দিয়ে সবার চিন্তা ঠিক এরকম এ। যারা ভিন্ন চিন্তা করে ওদেরকেই এক এক করে মরতে হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সকলের চেষ্টায়। দয়া করে শুধু মুসলমান গন সংখ্যায় বেশি থাকায় দেশে স্বাধীনতা এসেছে এই ভুল ধারনা নিয়ে থাকবেন না। সেটা যে ভয়াবহ ভুল ধারনা সেটাই বলেছি মাত্র।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

মশার কয়েল বলেছেন: সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা সংখ্যালঘুরা সারাবিশ্বেই নির্যাতিত ৷ আপনি ভারতের দিকে তাকালেও একই দৃশ্য দেখবেন ৷তবে আপনার একটা কথা খুব বাজে লেগেছে ৷ আপনি মুসলিমদের ঢালাওভাবে দোষ দিয়েছেন ৷ বিষয়টা এমন যে মেয়েরা পতিতাবৃত্তি করে,তার মানে সকল মেয়েই পতিতা ৷কিছু কিছু উগ্রবাদীদের কারণে সমাজে শান্তি নষ্ট হচ্ছে ৷অন্যায় যে করে সে কোনও ধর্মের না,সে কোনও জাতির না ৷তার জাত অপরাধী ৷ইন্ডিয়াতে মসজিদ ভেঙে ফেলা হলে আমার হিন্দু বন্ধুদের বলতে পারি না তোরা খারাপ ৷ কারণ আমার বিবেক থেকে বাধা আসে ৷যে বাধাটি আপনার বিবেক আপনাকে দেয়নি বলে কথাগুলো লিখতে পেরেছেন ৷আরেকটি কথা,আপনার বিবেক জিনিসটা কি আছে?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৪

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: দেখুন, সংখ্যালঘু তো পরের কথা, আগে আমরা সবাই মানুষ। বিবেক আছে বলেই অবলিলায় কথাগুলো বলছি। হয়ত আপনার ভাল লাগে নি। সবার সবকিছু ভাল লাগতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে অনেক পোস্ট এর মন্তব্য গুল বেশ মন দিয়েই পরি। মানুষের চিন্তা শক্তির ধরন দেখে অনেক মর্মাহত হই। মনকষ্টে ভুগি। সহজ সরল বিষয়গুলো জটিল হয়ে ওঠে। ছোটবেলা থেকেই অনেক মুক্তমনা চিন্তা শক্তি আর গণ্ডির মধ্যে বড় হয়েছি। মানুষকে সবার আগে মানুষ ভেবেছি। ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিচার করি নি। আসলে ধর্ম তো অনেক পরের ব্যাপার। আগে মনুষ্যত্ব বোধ টা সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে চেয়েছি। অনেক বছর ধরে অমানবিক ব্যাপার গুল দেখে আসছি। অন্য দেশে কি হয় সেটা ধরে নিজের দেশে ঠিক সেই আধিপত্ত বিস্তার করে কি লাভ? যদি নিজের মধ্যে পরিবর্তন না আনতে পারলেন তাহলে কেমন মানুষ আপনি? আগে নিজের দেশে পরিবর্তন আনুন তাহলে বুঝব আপনি মানুষ। আজ পর্যন্ত যারাই ৫৭ ধারায় আটক হয়েছেন সবাই অমুসলিম। এক জন মানুষকে দেখান তো যে ৫৭ ধারায় মুসলিম কেউ আটক হয়েছেন? নিজেকে বা নিজের পরিবার থেকেই যদি এই শিক্ষা আর মূল্যবোধ থাকতো তাহলে দেশটা অনেক সুন্দর হত। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি প্রতিবাদী হবই। এটা জন্মসূত্রে পাওয়া। পরিবর্তনে বিশ্বাস করি। গঠনমূলক সমালোচনা সানন্দে গ্রহন করি। দেশের জন্য চিন্তা করি। শুধু নিজের আর নিজেদের মানুষ দের জন্য নয়। আগে নিজের দেশ কে ঠিক করতে হবে। পরিবর্তন টা নিজেকে দিয়ে শুরু করতে হবে। আমাকে আপনাকে দেখে অনেকেই শিখবে। আমরা ধর্মের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আগে মানুষ হই। মানব ধর্মই পরম ধর্ম। হিন্দু বন্ধুদের খারাপ বলতে পারেননা মানছি, কিন্তু অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করতে নিশ্চয়ই পারেন? যদি পেরে থাকেন আপনাকে সাধুবাদ জানাই। খুব কষ্ট থেকে এই লেখা গুল লিখি। আসে পাশের অনেক বন্ধুদের অমানবিক ভাবে পরিবর্তিত হতে দেখেছি। বিনা দোষে দোষী হতে দেখেছি। যে প্লেট এ খাবার আর যে গ্লাস এ পানি খেয়েছি তা আস্তাকুরে ফেলে দিতে দেখেছি। সফেসটিকেটেট শিক্ষিত পরিবার গুল কে এরকম হতে দেখেছি। দেশেও যেমন দেখেছি বিদেশেও দেখছি অনেক বছর ধরে। আমার এই প্রতিবাদ অনেক বছরের জমে থাকা প্রতিবাদ। বিবেক এর তাড়নায় এই প্রতিবাদ। বিবেক আছে বলেই এই প্রতিবাদ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৫

বিজন রয় বলেছেন: রিয়ানা তৃণা রিভার্স খেলেছেন!!

অনেক ধৈর্য্য ধরতে হবে সবাইকে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৭

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: কিরকম?

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

রোষানল বলেছেন: ভুলে ভরা জীবন আপনার

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: একটা আঙ্গুল আমার দিকে তুল্লেন কিন্তু বাকি চারটা আঙ্গুল আপনার দিকেই তাকিয়ে আছে।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

যোগী বলেছেন:
আপনি প্লিজ একটা জিনিশ আগে বুঝে তার পরে কথা বলুন। সব ধর্মেই কিছু খারাপ লোক আছে এই ক্ষেত্রে ইসলামও ব্যাতিক্রম না। তাই বলে আপনি মুসলিম জাতীকেই খারাপ বলতে পারেন না। তাছাড়া বাংলাদেশে প্রকৃত শিক্ষার হার অনেক কম। সেই সাথে সংখ্যা গরিষ্ট হওয়ার কারনে মুসলমানদের মধ্যে যারা খারাপ মানুষ তাদের উগ্রতা বেশি। আপনাকে এই বাস্তবতা কে বুঝতে হবে।

মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষিত হচ্ছে তাই দিনে দিনে ভালো মুসলমানেরা খারাপদেরকে প্রতিরোধ করা শুরু করেছে। কোন জাতীর মানুষিকতা পরিবর্তনের শুধু এই প্রক্রিয়াতেই হয় অন্য কোন শট কাট একে বারেই নাই।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১২

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: মানছি আপনার কথা কিন্তু শিক্ষিত মুসলমানদের বিশাল এক অংশ এরচেয়ে জঘন্য ভাবে অমুসলিমদের গালাগালি করে। বেশি দূর যেতে হবে না ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এর পেজ এ গিয়ে দেখে আসুন। ওনার স্ত্রীর শাড়ী নিয়ে শিক্ষিত, পিএইচডি ধারি একেকজন কি সব মন্তব্য করেছেন। এত এত খুন হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ গনতন্ত্রের দেশ কোথায় মানুষ প্রতিবাদী হয়ে খুনিদের ধরবে আমি তো কাউকেই কোন উচ্ছবাচ্ছ করতে দেখি না। যারা করে ওদেরকেও ভয় এ থাকতে হয়। এই দেশকে দেখার জন্য কি স্বাধীন করেছিলো মুক্তিযোদ্ধাগণ? বাংলাদেশ কে ধীরে ধীরে বাংলাস্থান করে ফেলছে আপ্নারা কি কিচ্ছু বুঝতে পারছেন না?

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯

যোগী বলেছেন:
ম্যাম, আমি আপনার মনের অবস্থাটা কিছুটা বুঝতে পারছি। আমার অবস্থাও ঠিক আপনার কাছা কাছি। তবে এই জাতীর প্রতি আমার আস্থা আছে তারা খুব বেশি দিন এই অবস্থা চলতে দিবে না ঠিক যেমন ৭১ এ চলতে দেয় নি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩০

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: স্যার, জানেন, বাংলাদেশীরা একটি বীরের জাতি। একটি বীরের জাতি চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এ কি মেনে নেয়া যায়? একার পক্ষে দশের লাঠি একের বোঝার মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে যেন সব শেষ না হয়ে যায় তাই যেভাবে পারি প্রতিরোধ আর প্রতিবাদী কণ্ঠ নিয়ে এগিয়ে যাবো।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

মশার কয়েল বলেছেন: আপনার মনে এধরনের চিন্তা আসতেই পারে ৷আপনি হয়তো অন্যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপলব্ধি করছেন এবং অন্যায়গুলো মুসলমানদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে ৷হুম,আমিও মনে করি ধর্মের পরিচয় দেওয়ার আগে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি মানুষ ৷আমি সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের কথা এজন্যই বলেছি কারণ আপনি আমাদের দেশে মুসলিমদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের কথা বলেছেন ৷ঠিক একই কারণে বাহিরের দেশের উদাহরণ দিয়েছি ৷আমার প্রথম মন্তব্যেই বলেছি ,যে অন্যায় করে সে কোনও ধর্মের না,কোনও জাতির না ৷সে তো অপরাধী ৷অপরাধের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানাই ৷কিন্তু আপনার প্রতিবাদটা মনে হয় যতটুক না অপরাধের বিরুদ্ধে,তার চেয়েও বেশী ইসলামের বিরুদ্ধে ৷এই কারণেই আপনার বিবেক অর্থাৎ মনুষ্যত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছি ৷কেননা আপনার অবস্থানে আপনি উগ্রবাদী ৷আর উগ্রবাদীদের দ্বারা ন্যায় কাজ খুব কম সংঘটিত হয় ৷কারণ তারা সবকিছুই একদৃষ্টিতে দেখে ৷আপনি যেখানেই অন্যায় দেখেন সেখানেই মুসলমান দেখেন ৷আপনাকে আরেকটা বিষয় দেখতে হবে ৷এই দেশে মুসলমানের সংখ্যাটাই যে বেশী ৷তাই অপরাধীদের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যাও বেশী ৷আমি আবারও বলছি,অপরাধী কোনও ধর্মের না,কোনও জাতের না ৷তাই,অপরাধীকে দোষারোপ করতে গিয়ে কোনও ধর্ম বা জাতিকে দোষারোপ করা চরম মূর্খতা ৷আপনার লেখাতে মনে হয়েছে আপনি প্রচন্ড আবেগ এবং উত্তেজনার সাথে লিখেছেন ৷আবেগ এবং উত্তেজনা,দুটোই নিয়ন্ত্রণে রাখুন ৷কেননা এ দুইটা জিনিসের কারণে মানুষ নিজের অজান্তেই অপরাধ করে ৷আমি কেন জানি বলতে চাচ্ছিলাম না আমিও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ৷আসলে আপনি যেভাবে লিখছেন,তাতে আবার আমাকে কখন রাজাকার বলে আক্রমণ করেন কে জানে ৷আশা করি আপনার পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা সুস্থ আছেন ৷কিন্তু আমার দাদা পজ্ঞু অবস্থায় চিকিৎসাহীন মৃত্যুবরণ করেছেন ৷আশাকরি পরবর্তীতে লেখার সময় নিজের উগ্র মনোভাব দূর করে প্রতিবাদ জানাবেন ৷এই দেশে যত ভালো কাজ পাবেন তার অধিকাংশই মুসলমানদের ৷তদরূপ যত অন্যায় কাজ পাবেন তার অধিকাংশই মুসলমানদের ৷কারণ মুসলমানদের সংখ্যাটাইযে বেশী ৷আপনার এই ধরনের লেখাতে কখনও প্রতিবাদ তৈরী হবে না,শুধুমাত্র প্রতিহিংসা তৈরী হবে ৷এটা কখনই প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না ৷প্রতিবাদের ভাষা ছিল একাত্তরে ৷যে ভাষা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বাঙালী জাতিতে পরিণত করেছিলো ৷প্রথম মন্তব্যে পতিতা নিয়ে যে কথাটি বলেছি সেটা আরেকবার চিন্তা করে দেখবেন ৷আর হ্যাঁ,আপনি ধর্মের বেড়া জাল থেকে বেড় হয়ে মানুষ হতে বলেছেন ৷আপনি বোধহয় আপনার ধর্ম সম্পর্কেই জানেননা ৷ধর্ম কিন্তু মানুষ হওয়ারই শিক্ষা দেয় ৷আপনার প্রতিবাদী চিন্তার শুভকামনা করি ৷আশাকরি একদিন প্রতিবাদ করতে করতে আপনার সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোর সৌভাগ্য আমার হবে ৷

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে কিছু কিছু লেখা থাকে যা মনকষ্ট, যন্ত্রণা, অসহায়ত্ব থেকে তৈরি হয়। এই পৃথিবীতে কেউ পারফেক্ট না, আমি তো অবশ্যই না। ভবিষ্যতে খেয়াল রেখে লেখার চেষ্টা করব। কিন্তু আমি মানুষ তো তাই সরল মনে আবার ভুল করে বসতেও পারি। তাই কথা দিচ্ছি না যে ভুল হবে না। আপনার দাদার জন্য রইল সম্মান আর শ্রদ্ধা। আমার বাবা আর দাদু মুক্তিযোদ্ধা। দাদু বেঁচে নেই। আমার বাবা আছেন। আপনি আমায় উগ্র বলেছেন কোন সমস্যা নেই। আপনার মনে যা এসছে তাই সরল ভাবে বলেছেন। এই সরলতার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল। অপেক্ষায় রইলাম সেই দিনের যেদিন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একত্রে প্রতিবাদের ঝড় তুলবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.