হরতাল প্রসঙ্গ।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

১৮ দলের ডাকা আগামী ২দিন (বুধ এবং বৃহস্পতিবার) ৮, ৯ মে এর হরতালের সাথে যোগ হয়েছে হেফাজতের ১২ তারিখ রবিবারের হরতাল। উভয় ই একে অপরের হরতালে সমর্থন দিয়েছে।



দেশব্যাপী একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের দাবি- দাওয়া মেনে নেয়ার জন্য সরকার কে চাপ দিতে নানান কর্মসূচী দেয় দলগুলো। কিন্তু সরকার যখন একঘুঁয়ে অবস্থানে থাকে তখন এ কর্মসূচী সফলতার মুখ দেখেনা। বাধ্য হয়ে হরতাল দেয়। সাধারণ মানুষের কষ্ট, নিরাপত্তা নাই। জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর আর পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ এ হরতালকারীদের লাশ হতে হয়। বর্তমানে কেবল বাংলাদেশেই বোধয় এরুপ পরিস্থিতির বিরাজমান। অতীতে কিন্তু এত পরিমাণ সহিংসতা দেখা যায়নি। মানুষের মৃত্যু এখন খুবই স্বাভাবিক।



সরকার যে কি চায় তা নিজেও স্পষ্টনা। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সকল রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের সংলাপে বসার অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রবিবার অবরোধ শেষে শাপলা চত্বরে সমাবেশে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মী-সমর্থকদের­ সরাতে শেষ রাতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।

পুলিশ হতাহতের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য না দিলেও এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করেছে।



আমরা আর সংঘাত চাইনা। সরকারের প্রতি অনুরোধ, ৪ বছরে অনকে কষ্ট দিয়েছেন। এগুলোর কথা আর নাইবা বললাম, এবার তত্ত্বাবধায়ক এনে নির্বাচনের দিতে এগিয়ে যান, জনগণ কে রেহাই দেন।

১ টি +১/-০