![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু ব্লগ ভালবাসি। লেখালিখির অভ্যাস নেই তবে নিয়মিত ব্লগ পড়ি। অবসর কাটে ফেবু আর সামুতে।
৪ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মতো কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়র প্রার্থীর মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন।
মোট ওয়ার্ড: ১১৮ (সাধারণ) এবং ৩৯ (সংরক্ষিত)
বিজয়ী কাউন্সিলর: (সাধারণ)- বিএনপি ৬৮, আ'লীগ ২৮, জামায়াত ০৬, জাতীয় পার্টি ০১, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ০১ এবং স্বতন্ত্র ১২ প্রার্থী বিজয়ী হন।
(সংরক্ষিত)- বিএনপি ১৬, আ'লীগ ১৪, স্বতন্ত্র ৭ এবং জামায়াত ২ জন।
* সিলেট: ২৭ ওয়ার্ডের ২৬টি ফলাফল (১৬ নং ওয়ার্ডের ফলাফল সমান সমান) । এর মধ্যে বিএনপি-১২ জন। আওয়ামী লীগ ৯ জন ও জামায়াত ৩ জন এবং স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫ জন বিএনপি এবং চারজন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন।
* বরিশাল: ৩০টি ওয়ার্ডে ২০ টি জয়ী বিএনপি-সমর্থিত, ৬টিতে আ'লীগ। এ ছাড়া জাপা ও জামায়াত ১জন করে এবং স্বতন্ত্র ২ জন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ১০ পদে ৫টিতে আ' লীগ-সমর্থিত প্রার্থী। ৪টিতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী। স্বতন্ত্র ১জন।
* খুলনা: ৩১টি ওয়ার্ডে বিএনপি ১৮ জন, আ'লীগ ৫, জামায়াত ১, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ১, স্বতন্ত্র ৪ এবং বড় দু'দলের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১০টি মহিলা আসনে বিএনপি-সমর্থিত ৪ জন, আ'লীগের ২ এবং স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
* রাজশাহী: ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টির ফল (১টি তে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি)। বিএনপি-সমর্থিত ১৮ জন, আ' লীগ-সমর্থিত ৬, জামায়াত ১ ও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০টি পদের মধ্যে ৩টিতে আ' লীগ, ৩টি বিএনপি ২টি জামায়াত এবং ২টি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ভোটের ব্যবধান: আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী খুলনায় বিএনপি প্রার্থীর কাছে ৬০,৬৭১, রাজশাহীতে ৪৭,৩৩২, বরিশালে ১৭,০১০ এবং সিলেটে ৩৫,১০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দল সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছে। এই ফলাফল বাস্তবিকভাবেই আগামী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য আগাম সতর্কবার্তা। যদিও সরকার বলছে ‘দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে’_এবং এটাই তাদের বিজয়।
হলমার্ক দুর্নীতি, পদ্মা সেতু- সোনালী ব্যাংক কেলেংকারি, শেয়ার বাজারে ধ্বস, দলীয় নিয়োগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তত্পরতা, সাগর রুনি হত্যা, গুম, তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দেশবিরোধী চুক্তি, ভারতপ্রীতি, ইত্যাতি ইত্যদি— এসকল বিষয়ে জনমনে আওয়ামী লীগের দু:শাসন প্রমাণ করেছে। জামায়াতের সাথে সরকারের কঠোর আচরণ এবং সর্বোপরি হেফাজতে ইসলামকে দমনের সরকারি উদ্যোগ, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও ধর্মভীরু ভোটারদেরকে প্রভাবিত করেছে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যায়। জামাতের একাট ভোটব্যাংক রয়েছে তা প্রমাণিত এবং তাই স্বাভাবিকভাবেই জামাতসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল চারটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রচারণায় মরিয়া হয়ে কাজ করেছে।
মেয়র পদে কামরান- খালেকের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরেও তাদের হারের কারণ দলীয় ব্যনার। আ'লীগের বলির পাঠা হতে হল তাদের। ব্যাক্তি হিসেবে তারা বিএনপি প্রার্থীদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলনা বরং বেশী ই।
জাতীয় রাজনীতির বিষয়গুলো + ৫মে রাতের ঘটনা সাধারণ মহিলাদের মনে দাগ কেটেছে। তাই সবদিক বিবেচনা করেল দেখা যায় দলীয় ভোটারদের চেয়ে সুয়িং (swing) ভোটারদেরকে অধিকতর প্রভাবিত করেছে যার ফলাফল নিশ্চিতভাবেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে পড়বে।
১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২
রিয়াজ৩৬ বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
মদন বলেছেন: ++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
অপর্না হালদার বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল ।