নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Long live Bangladesh

সামু ব্লগ ভালবাসি। নিয়মিত ব্লগ পড়ি।

রিয়াজ৩৬

সামু ব্লগ ভালবাসি। লেখালিখির অভ্যাস নেই তবে নিয়মিত ব্লগ পড়ি। অবসর কাটে ফেবু আর সামুতে।

রিয়াজ৩৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল শব্দের উৎপত্তি ও এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

হরতাল'' শব্দটি বাংলাভাষায় এসেছে গুজরাটি ভাষা থেকে। গুজরাটি ‌'হর' (প্রত্যেক)+ 'তাল' (তালা); অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা। শব্দের অর্থ_ বিক্ষোভ প্রকাশের জন্য যানবাহন, হাটবাজার, দোকানপাট, অফিস-আদালত প্রভৃতি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা। ইংরেজি 'General strike' এবং হিন্দি 'বন‌ধ্' শব্দকে হরতালের প্রতিশব্দ বলে ধরে নেয়া হয়। আদিতে হরতাল ছিল ব্যবসায়ীদের কারবার সংক্রান্ত দাবি দাওয়া আদায়ে চাপ সৃষ্টির কৌশল। ১৯২০-৩০ দশকে ভারতের রাজনীতিতে হরতাল নতুন মাত্রা যোগ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধী তার নিজ এলাকা গুজরাটে পরপর অনেকগুলো ব্রিটিশ বিরোধী বন‌ধ্ বা হরতালের ডাক দিয়ে হরতালকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেন।



*হরতালের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:



১. মুর্শিদকুলি খানের চাকলা ব্যবস্থা:

এ ব্যবস্থায় সব ক্ষুদ্র জমিদারকে চাকলাদারদের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করতে বলা হলে ক্ষুদ্র জমিদাররা তা মেনে নিতে পারেননি। তার পূর্বের মত সরাসরি রাজস্ব দেয়ার পক্ষে আরজি জানিয়ে মৃদু প্রতিবাদ গড়ে তুলেন যার নাম ছিল 'হুকুম-ই-বায়াৎ।



২. ডিং বিদ্রোহ:

রংপুরের প্রজা সমাজ ১৭৮৩ সালে ইজারাদার দেবী সিংহের অত্যাচারের বিরুদ্ধে 'ডিং বিদ্রোহ' (খাজনা দেয়া বন্ধ রাখার আন্দোলন) শুরু করেন।



৩. ডংকা আন্দোলন:

১৮৫৯-৬০ সালে যশোর, নদীয়া, পাবনার নীল চাষীদের ডংকা আন্দোলন গড়ে উঠে। ডংকা বা ঢোল বাজিয়ে তারা ঘোষণা করে যে তারা আর নীল চাষ করবে না। ডংকার আওয়াজ শোনা মাত্র দূরে আর একটি ডংকা বাজিয়ে তারা আন্দোলনে সংহতি জানাতো।



৪. জোট:

খাজনাতিরক্তি চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে ১৮৫০-৬০ এর দশকে ফরায়েজি আন্দোলনের কৌশল ছিল জোট।



৫. ধর্মঘট:

১৮৭৩ সালের পবানা কৃষক বিদ্রোহ সংঘঠকরা যে আন্দোলন পরিচালনা করে তা ছিল আজকের ধর্মঘটের অনুরুপ।



৬. ১৯২০-৬০ এর দশক: ১৯২০- ৫০ দশক পর্যন্ত হরতাল ও ধর্মঘটকে সমার্থক হিসেবে গণ্য করা হত। ষাটের দশকে আন্দোলনের জন্য হরতালকে ধর্মঘট এর চেয়ে জোরদার অস্ত্র গণ্য করা হয়।



৭. স্বাধীন বাংলাদেশে হরতাল:

মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হরতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৮০ এর দশকে হরতাল দেশের রাজনিতিক আন্দোলনে একটি বহুল ব্যবহৃত কৌশল হিসেবে প্রতীয়মান হয়। বিরোধী দলসমূহ এরশাদের শাষণকে (১৯৮২- ৯১) অবধৈ ঘোষণা করে ঘনঘন হরতাল ডেকে প্রশাসনকে অচল করে দেয় এবং সরকারের পতল ঘটে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলসমূহ খালেদা জিয়ার সরকারকে (১৯৯১-৯৬) উপর্যুপরি হরতালের মাধ্যমে তীব্র চাপে রাখে। শেখ হাসিনার প্রশাসনও (১৯৯৬-২০০১) হরতালের চাপমুক্ত ছিলনা। এরই ধারাবিহকতায় ৪দলীয় জোট সরকার (২০০১-২০০৬) এবং ১৪ দলীয় মহাজোট সরকারও (২০০৯- বর্তমান) হরতালের অস্ত্র থেকে রক্ষা পায়নি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হর তাল আসলে ভাংচুর , বোমাবাজী নয় , দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষ্য
দৃষ্টি আকর্ষণ ।
আর বর্তমান সময় তার উলটু ।।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: ঠিক বলেছেন!

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

সুমন কর বলেছেন: তথ্য জানাবার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম!

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এত ইতিহাস জেনে এখন আর কি হবে! এখন হরতালের সংজ্ঞাই পালটে গেছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: ঠিক! এখনকার রাজনীতি ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা আর ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.