নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ দেলোয়ার হোসেন তুহিন
জয় ও ইমু চায়ের আড্ডা দিচ্ছিল এমন সময় ইকবাল কল আসে জয় ফোনে....
:কই তুই
এই তো সুমন ভাই এর চায়ের দোকানে।
:দরকার ছিল তোরে!!
:কি দরকার??
:দোস্ত এলাকার একচাচার মেয়ের জন্য একব্যগ রক্ত লাগবো তোর ব্লাড গ্রুপ কি??
:আমার তো গরুর রক্ত ও পজেটিভ... তোর চাচার জন্য কি গ্রুপের রক্ত লাগবো??
:ওহ আমি তো মনে করছি তুই তোর রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ। লাগবো বি পজেটিভ দোস্ত কেউ আছে??
:বি পজেটিভ!!!
:হুম
:আমি তো জানি না কেউ আছে কিনা??
:দেখ না দোস্তো কেউ আছে কিনা.....
:আচ্ছা দেখি লাইনে থাক ইমু তোর ব্লাড গ্রুপ কি??
ইমু:বি পজেটিভ।
:দিতে ব্লাড ডোনেট করতে পারবি??
ইমু:কখন লাগবে??
ইকবাল দোস্ত কখন লাগবে??
ইকবাল: এইতো ঘন্টাখানেকের মধ্যে আসলে হবে।
:ঘন্টাখানেকের মধ্যে লাগবে।
ইমু:দিতে পারবো.....
:ইকবাল তোর চাচার মেয়ে কোথায় আছে বল আমি আর ইমু আসবো, ইমু ব্লাড দিবে....
ইকবাল: তাহলে এখন রওনা দে.......(....)হাসপাতালে আছে, আমিও আছি....
:ওকে।
দুজন হাসপাতালে গেল। ইকবাল সেখানে আগেই ছিল। ওরা জানিতে চাইলো রুগির কি সমস্যা!! ইকবাল জানায় থ্যালাসেমিয়া এবং বলে আরো একজন ডোনার লাগবে। চাচার তিন মেয়ে তিনজনেরই থ্যালাসেমিয়া তিন জনকে একসাথেই রক্ত দিতে হয়, ইকবাল একব্যাগ দিচ্ছে মোট দুইব্যাগ হল ইমুসহ।
জয় মোবাইলটা বের করে কল করে ইমরানের কাছে ইমরান। জয় সব কিছু খুলে বলে। সব শুনে ইমরান বলে ৫মিনিট পর কল করবে। ১০মিনিট পর ইমরান কল করে বলে ইমরানের বন্ধু আরিফ বি পজেটিভ ওকে নিয়ে আসছে ইমরান।
ইতি মধ্যে ইমু রক্তদিয়ে বের হয়ে আসলো। ইকবাল আগেই রক্ত দিয়েছে। জয় একটা ডাব কিনে ইমুকে দেই। ডাব খেতে নারাজ ইমু। জোর করে থাকে ডাব খাওয়ায় জয়। অপেক্ষা করতে থাকতে ইমরানের জন্য....
৩০ মিনিটের মধ্যেই ইমরান ও তার বন্ধু চলে আসে। সৌজন্যসাক্ষাত শেষ করে আরিফ রক্তদান করতে গেল। জয়, ইকবাল, ইমু ও ইমরান বাহিরে আলাপ চালিয়ে যায়। আরিফ রক্তদান করে হলেই তাকে ডাব খাইয়ে ইকবালের সঙ্গে রুগি দেখতে যায়। ফুটফুটে তিনটা মেয়ে দেখলেই আদর করে কাছে টানতে ইচ্ছে করে।বড় মেয়েটার বয়স ৫ বছর মেজ মেয়ের বয়স ৩ বছর আরর ছোট মেয়ের বয়স ৬ মাস। তিনটা মেয়েরই থ্যালাসেমিয়া। ইকবালের চাচা ওদের দেখে চোখের জল আর ধরে রাখতে পারলো না। ইকবালের চাচার আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভাল না। ছোট একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে পিওনের চাকরি করে। তিন মেয়েকে প্রতিমাসে রক্ত দিতেই বেতনের বেশ অর্ধেক টাকা চলে যায়। ইকবালের চাচার কথা শুনতে জয়সহ সবার চোখে জল চলে আসে। জয় উনাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলে।
বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় জয় ইকবালের চাচাকে বলে আসে যদি আবার ব্লাড লাগে কল করতে। মোবাইল নাম্বারটিও সেভ করে দিয়ে আসে।
আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে চাচাকে সবসময় সাহায্য করবে........
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনে কষ্টের রকমফের দেখে স্তব্দ হয়ে থাকতে হয়!!!!!!!!!!!!!!
ডোনারদের জন্য শূভেচ্ছা!
রোগীরা ভাল হয়ে উঠুক স্রস্টার অপার করুনায়!