নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত তেমন কিছুই এখনও অর্জন করতে পারি নি। যে দিন নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু একটা অর্জন করতে পারবো সেই দিন বলবো আমিও কিছু একটা

ডি এইচ তুহিন

মোঃ দেলোয়ার হোসেন তুহিন

ডি এইচ তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলাপন (ছোট গল্প)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

ইন্টারমিডিয়েট ১ম বর্ষে ভর্তি হয়ে প্রথম ক্লাসে, প্রথম বেঞ্চে একমনে বসে আছি, নতুন কলেজ কারো সাথেই পরিচয় নেই, চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া উপায়ও নেই। হঠাৎ একটা ছেলে নিজ থেকেই বলে বসলো...
-আমি সুমন তোমার নাম কি??
-আমি রায়ান...
নাম বলতে না বলতেই ক্লাসে স্যার চলে আসে। ক্লাসে বিভিন্ন কথার ফাঁকে দুজনের মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ওপাশের ফাস্ট বেঞ্চে একটি মেয়ে স্যারের সাথে দুষ্টুমি আর বন্ধুদের সাথেও কথা বলে যাচ্ছে। প্রথম দেখাতেই আমার কেমন যে ভাল লাগতে শুরু করে প্রথম দেখায় প্রেম যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে হয়তো এইটাই হবে। ক্লাস শেষে সুমনকে মেয়েটির কথা বললাম...
-এটা কোন ব্যপার?? তুই টেনশন নিস না আমি দেখতেছি।
-তোর দেখা লাগবে না আমিই দেখবো।
-আরে বাবা আমি তোর হয়ে প্রোপোজ করবো..
-না আমার প্রপোজ আমিই করবো,
-ওকে তোর ইচ্ছে..
.
পরদিন ক্যাম্পাসে সুমন আমার আগেই হাজির। কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে -দোস্ত তোর ও আসছে। চল ক্লাসে যাই। আজকেও মেয়েটি ফাস্ট বেঞ্চে বসে আছে, বাঁকা চোখে মেয়েটির দিকে দেখার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মেয়েটার চোখে চোখ পড়ে হয়তো মেয়েটিও হয়তো আমাকেই দেখছিল....
.
বাসায় শুয়ে শুয়ে মেয়েটিকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেতে বুনেতে কখন ঘুম চলে এলো জানি না, ঘুম ভাংলো মায়ের কড়া ডাকে...
-রায়ান আয় খেতে আয়, সেই কবে কলেজ থেকে এলি এখনও কিছুই খেলি না আয় খেয়ে নে।
-আসছি আম্মু...
.
আজ মেয়েটি অন্য দিনের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম সাজে দেখছি, হালকা কমলা রঙের জামায় মেয়েদের এতো সুন্দর লাগে আজ ওকে না দেখলে অজানা থেকে যেত। কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে মেয়েটির হাত ধরে কল্পনার সমুদ্র পাড়ে হাটছিলাম, সমুদ্রপাড় থেকে টেনে নিয়ে এলো সুমন...
-কি রে এভাবে কি দেখিস?
-কিছু না...
-দোস্ত আজ প্রোপোজ করে ফেল।
-এখন না পরে..
-পরে পাখি উড়ে যাবে।
-যাবে না।
-তুই না বললে আমিই বলে ফেলবো, মেয়ে অস্থির মামা, অনেক অনেক কিউট...
-কিউট বলেই তো আমার হবে, আমি কি কোন দিক দিয়ে কম? পৃথিবীর দ্বিতীয় সুন্দর পুরুষ...
-ওরে বাবা তা প্রথম পুরুষটা কে?
-আমার আব্বু...
-ও সেনসিটিভ ইস্যু কথা বাড়ানো যাবে না। তোর ইচ্ছে, চলে গেলে মায়ের আঁচলে চোখের জল মুচিস...
-এটা প্রেম না ভালবাসা ও কখনই যাবে না।
-তাহলে তো ভালই...
.
প্রতিদিন চোখে চোখে কথা বলতে ভালই লাগে, তিন-চার বার চোখে চোখ পড়া, চোখ যেন কিছু বলতে চায়, মায়াবি চোখ, যেন আমাকেই খুজে সারাক্ষন, ঠিক যেমনটা আমি খুজি, আমি হাজার বার এই চোখের প্রেমে পড়তে চাই, পৃথিবীতে সব সৌন্দর্য যেন ওর চোখেই লুকিয়ে আছে। কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যই এখন একটাই...
.
-কই যাস?
-কলেজ যাব আব্বু..
-আজকে কলেজ গিয়ে কাজ নেই।
-কেন আব্বু?
-তোর ছোট চাচ্চুর অফিসে (কুমিল্লা) যেতে হবে, আমার একটা মিটিং আছে যেতে পারবো না, তোকেই যেতে হবে।
-আমি গিয়ে কি করবো? আমি কিচ্ছুই জানি না।
-তোর কিছু করতে হবে না, শুধু তোর চাচ্চুর সাথে থাকবি।
-আমি না গেলে হয় না আব্বু??
-যা বললাম কর, এতো কথা কেন?
-হুম...
.
অনিচ্ছা শর্তেও যেতে হবেই বাবার হুকুম অমান্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না, মন খারাপ নিয়েই বাসে উঠলাম, আজ মেয়েটাকে একটি বারও দেখবো না। চাচ্চুর অফিস কাছে হলে ভাল হতো তারাতাড়ি কাজ সেরে চলে আসতে পারতাম। কুমিল্লায় কাজ শেষ করতে লেগে যায় প্রায় এক সপ্তাহ। কুমিল্লা থেকে ফিরে, কলেজ ক্যাম্পাসে যখন যাই তখন প্রায় ১১টা। আজ ক্লাস হবে না, কোন এক অনিবার্য কারনবশত। ক্লাস রুমের সামনে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে দেখে এগিয়ে গেলাম, আমাকে দেখেই রাগান্বিত ভাব নিয়েই ক্লাসের ভেতর চলে গেল। মেয়েটা ক্লাসের এক কোনে গম্ভীর হয়ে বসে আছে মনে হচ্ছে মন খারাপ, না ঠিক মন খারাপ না কারো উপর খুবই রেগে আছে, চোখ লাল, নাক ফুলে আছে কিন্তু কার উপর রাগ করেছে? ক্লাসে তো কেউ নেই? কিছুটা ভয় ভয় লাগছে, সাহস সঞ্চয় করে ওর কাছে গেলাম, সামনা-সামনি দাড়াতেই মেয়েটা সজোরে চিৎকার করে বলে উঠলো...
-কই ছিলা এই কদিন? মরে গেছিলা??
-কুমিল্লা ছিলাম বাবার ব্যবসার কাজে।
-বলে যাওয়া যেত না?
-হঠাৎ করেই যাওয়া, বলার সময় পাই নি?
-ভাল করছো, আসছো কেন? ওখানেই থেকে যেতে!!
-তোমার জন্যই ফিরে আসা।
-আমার জন্য?
-হুম, এই কদিন তোমাকে খুব মিস করেছি?
-আমি তোমার কে? আমাকে কেন মিস করছ?
-জীবন!!
-ফিল্মি লাইন মেরো না, ওসব পুরানো ডায়লগ...
-কিন্তু কথাগুলো সত্য, ফিল্ম তো জীবন থেকেই তৈরি হয়।
-কে বলেছে?
-কেউ না, আমার মনে হয়...
-ভুল মনে হয়।
-মোটেই না।
-তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
-বল..
-আই লাভ ইউ।
-এটা কেমন কথা?
-ভালবাসা প্রকাশ করার জন্য পৃথিবীতে শুধু এই একটা কথা আছে নইলে অন্য কিছুই বলতাম।
-আমি তোমাকে ভালবাসি না।
-সত্যি কি তাই?
-সত্যিই তাই..
-তাহলে আমরা আবারও অপরিচিত হয়ে যাব..
-কেন?
-যেখানে ভালবাসা নেই সেখানে কিভাবে পরিচিত থাকি?
-আমরা বন্ধু হয়ে থাকি?
-না আমি তোমার বন্ধু হতে পারবো না।
-কি হবে?
-শুধুই ভালবাসা...
-আমি যাই..
-আমি আর ফিরবো না যদি তুমি চলে যাও।
-ভালবাসি মুখে বলতে হয় না বুঝে নিতে হয়।
-আমি বুঝতে চাই না, শুনতে চাই..
-হয় তুমি বুঝে নাও নইলে অন্য কাউকে খুঁজে নাও....
.
(সকল চরিত্র কাল্পনিক, কাহারো সাথে মিলে গেলে লেখক দ্বায়ি নহে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হতাস৮৮ বলেছেন: এইটা কী হলো??? ভালই তো চলছিল...।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

ডি এইচ তুহিন বলেছেন: এখানেই শেষ হল ভাইয়া

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষটা ভাল লাগলো না অতিরিক্ত সংলাপের কারণে। এছাড়া শুরু থেকে মোটামুটি ভালই এগুচ্ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.