নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ দেলোয়ার হোসেন তুহিন
আমি একজন খুনি, আমি টাকার বিনিয়মে মানুষ খুন করি। মাঝে মাঝে টাকা ছাড়াও মানুষ খুন করি, এমনি ভাল লাগে। মানুষের চিৎকার শুনে মজা পাই, অন্য রকম অনুভুতি অনুভব করি। আজ যাচ্ছি একজনকে খুন করতে, ছেলেটার নাম শাফিন, থাকে উত্তরা। যে ওকে হত্যা করার জন্য টাকা দিয়েছে তিনি এই শহরের সবচেয়ে বড় পুলিশ অফিসার। আমি উনাকে প্রচন্ড সম্মান করি। বড়ই ভাল মানুষ, কখন ঘুষ নেন নি কারো কাছে, ২০-২৫ বছরের চাকুরিজীবনে কারো সাথে দূর্ব্যবহার করেন নি, নৈতিকতার বাহিরে কথা বলেন নি। সব সময় সৎ থেকে নিজের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। আজ উনি আমাকে একটি ছেলেকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করলেন। কেন তা জানতে চাইনি কারন আমার এতো সাহস নেই উনাকে জিজ্ঞাসা করার। আজ উনার চোখ যদি কোন হার্টের রোগি দেখে নির্ঘাত হার্টএটাক করে মারা যাবে। রক্তাক্ত চোখ যেন শুধু রক্ত দেখততে চায়। একটু ভয় পেয়েছিলাম মনে হচ্ছিল উনি উনি না উনি আমি আর আমি আমি না আমি সাধারন মানুষ।
.
ছেলেটার বাসার কলিং বেল দিলাম, একটি ফুটফুটে সুন্দর বাচ্চা তার মায়ের হাত ধরে দরজা খুলে দিল। বাচ্চা মা আমার খুব পরিচিত মনে হচ্ছিল, যেন আগে কোথাও দেখেছি, ঠিক মনে পরছে না কোথায়। চিন্তা ভাবনানা বাদ দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম...
-সাফিন কোথায়?
-ভেতরে আছে, আপনি কে?
-আমি ওয়াফি... সাফিনকে একটু ডেকে দিন।
-ও ঘুমাচ্ছে। কি দরকার বলুন।
-প্রয়োজনটা আপনাকে বলা যাবে না ওকে ডেকে দিন...
এখন ডাকতে পারবো না মাত্র ঘুমালো...
কোমরে হাত দিয়ে পিস্তলটা বের করে মেয়েটির দিকে তাক করে ভেতর দিকে পা বাড়ালাম। মেয়েটি ভয় পেয়ে সরে গেল চিৎকার করেতে চেয়েছিল আমি মুখ চেপে দরলাম। আমার সাথে ছিল আমার সহকারী ওকে বললাম হাত-মুখ বেধে ফেলতে। ও তাই করলো। ছেলেটার বেড রুমে গিয়ে দেখি ছেলেটা ঘুমাচ্ছে। সে জানে না আগামী ৫ মিনিটের মধ্যে তার সাথে কি হতে যাচ্ছে। আমি পিস্তল তাক করলাম ছেলেটির দিকে। সেই সুন্দর বাচ্চাটা ছেলেটির বিছানায় উঠে ছেলেটির কপালে চুমু দিয়ে বাবা বাবা বলে ডাকতে শুরু করে। আমার পিস্তল থেকে গুলি বের যেন বের হতে চাইছে না এমন দৃশ্য দেখে।
---------------------------অসমাপ্ত
©somewhere in net ltd.