নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ দেলোয়ার হোসেন তুহিন
স্কুলে যাওয়ার সময় প্রতিদিন ৫০ পয়সা করে পেতাম আম্মুর কাছ থেকে মাঝে মাঝে একটাকা দিতো। আব্বু শহর থাকতো তাই যা আবদার সব আম্মুইই মেটাতো। ৫০ পয়সা হাতে নিয়ে রাজাপুত্রের ভাব নিয়ে স্কুলে যেতাম। স্কুল ছুটি হলে আসার সময় লাল বস্তা আইসক্রিম হাতে নিয়ে পাড়াতো ভাই-বন্ধুদের সাথে গান গাইতে গাইতে বাড়ির দিকে পা বাড়াতাম। বাড়ি গেলেই আম্মু হাত-মুখ ধুইয়ে দিয়ে খেতে বসাতেন, স্কুলে কি পড়ানো হয়েছে, কি কি করেছি এসব গল্প নিয়ে বসতেন। আমি খেতে খেতে স স্কুলের সবকিছুই বলে যেতাম আম্মু। খাওয়া শেষ করে আম্মু আমাকে পাশে নিয়ে শুয়ে পরতেন ঘুমানোর জন্য কিন্তু আমার ঘুম আসতো না, আমি ঘুমের ব্যান ধরে শুয়ে থাকতাম যখনই আম্মুর একটু ঘুম আসতো আমি দৌড়ে চলে যেতাম বাড়ির উঠানে, আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। এক এক দিন এক এক একধরনের খেলা কখনও ক্রিকেট কখনও ফুটবল কখন হা ডু ডু আবার কখনও কানামাছি। আমাদের কারো কাছে ফুটবল ছিল না আমরা অনেকগুলো পলিথিন একটার মধ্যে পুরে দিয়ে ফুটবল বানিয়ে খেলতাম। আমার প্রি খেলা ছিল ক্রিকেট যদিও কখনও ব্যাটিং-বোলিং করতে পারতাম না পাড়ার বড়রাই সব সময় ব্যাটিং-বোলিং করতো আর আমরা ছোটরা সব সময় ফিল্ডিংই দিয়ে যেতাম। ৩য় শ্রেণীয়ে উঠার পর আব্বু আমাদের শহরে নিয়ে এলো। শুরু হয়ে গেল গ্রামের বন্ধুদের মিস করা। এখন যত দামী আইসক্রিমই খাই না কেন সে বস্তা আইসক্রিম, ২৫ পয়সা দামের চকলেট মিস করি, খুব মিস করি
®ডি এইচ তুহিন
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: শৈশব, এখন কেবল দীর্ঘশ্বাসের জন্ম দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা , পুরানো কথা!