নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ দেলোয়ার হোসেন তুহিন
আমাদের আশেপাশে অনেক সময় প্যারানরমাল কিছু ঘটনা ঘটে আমরা খেয়াল করি না আবার করলেও পাত্তা দেই না। যেমন ধরেন প্রায় রাতের বেলা ঘরের ছাদে ইট ভাঙ্গার শব্দ, উপরের ফ্লাটে মধ্যরাতে সোফা-চেয়ার-টেবিল টানাটানি করার শব্দ আবার সিঁড়িতে হাটাহাটি শব্দ এমন অনেক কিছুই প্রতি রাতে হয় যা আমরা ইগনোর করি হয়তো শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে তাই আমরা এসব এখন পাত্তা দেই না।
আমার এক বন্ধু পশুপাখি,কুকুর-বিড়াল পছন্দ করে। তার বাসা এক সময় চিড়িয়াখানার মত অবেক পাখি আর কুকুর বিড়ালে ভর্তি ছিল যদিও কালের বিবর্তনে এখন বিড়াল ছাড়া আর কিছু নেই। ওর বাসায় একটা বিড়াল আছে। প্রতিদিন সে খাওয়া দাওয়া গোসল সব সে নিজ হাতেই করে, সে অফিসে থাকলে সেই দ্বায়িত্ব তার বউ পালন করে। বউটাও বিড়ালটাকে খুব ভালবাসতো নিজে খাওয়ার আগে খাবার দিতো খুব আদরে রাখে। ইদানীং শুনেছি বাচ্চা দিয়েছে অনেকগুলা। বাচ্চাগুলো বিচানায়/সোফায়-রান্নাঘরে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। একদিন ওর বাসায় গিয়েছিলাম বিড়াল ওর কোলে উঠে বসে আছে। যাই হোক
গত বছরের রমজান মাসের ঘটনা সে প্রতিদিনের মত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিড়ালটাকে খাওয়া দিয়ে ওর সাথে কিছুক্ষন খেলা করে। সেদিনও খাবার দিয়ে বিড়ালটাকে বুকের উপর নিয়ে শুয়ে ছিল। ভেবেছিল একেবারে সেহরি করেই ঘুমাবে। বুকের উপরে থাকা বিড়ালটার পিঠে হাত দিয়ে আদর করতে করতে কখন যেন হালকা ঘুম চলে এলো টের পায় নি। ঘুম ভেঙ্গে তার বউয়ের ডাকে। উঠে কিছু বুঝে উঠার আগেই তার বউ বলে বিড়ালটাকে কোথাও খুজে পাচ্ছে না। বলে রাখি -সে যেই বাসায় ছিল সেটা ছিল ৫ তলায় একটা মাত্র বেলকনি সেখান থেকে নিচে লাফিয়ে পড়া ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই অন্তত আমার চোখে পরে নি তাছাড়া ওর ফ্ল্যাটটের দরজা বন্ধ ছিল বিড়াল বাসা ছাড়া কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। যাই হোক ঘটনায় ফিরি আমার বন্ধু-বন্ধুর বাচ্চারা-বন্ধুর বউ সবাই মিলে বিড়ালটা খুজতে লেগে গেলো খাটের নিচ থেকে নিয়ে বেলকনি/বাথরুম/ড্রয়িং মানে ঘরের প্রতি কোন খুজে দেখেছে কোথাও বিড়ালটাকে খুজে পেলো না এদিকে সেহরির সময় হয়ে যাচ্ছিলো তাই ওর উপায় না পেয়ে সেহরি শেষ করে নামাজে যাওয়ার আগে আরেক দফায় খুজলো কিন্তু পেলো না। নামাজ পড়ে মন খারাপ করে শুয়ে পড়লো বেচারা বিড়ালটা এতো রাতের বেলা কোথায় গেল এসব ভাবতে ভাবতে এপিটওপিট করছিলো ঘুম আসছিলো। হঠাৎ বেলকনিতে থেকে ভেসে আসে বিড়ালের ডাক দরজা খুলে বেকনিতে গিয়ে দেখে তার বিড়ালটা। কোথায় ছিল কিভাবে এলো বুঝতে পারলো না। কোলে নিয়ে দেখে খুব সুন্দর সুগন্ধ আসছে বিড়ালের শরির থেকে, দেখে মনে হচ্ছিলো মাত্র কেউ শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে তাকে কেউ তার পছন্দের খাবার খাইয়ে দিয়েছে পেঠ ভরা ছিল। এসব দিকে তেমন একটা পাত্তা না দিয়ে সে রুমে নিয়ে আসে বিড়ালটা। বিড়াল পেয়ে সে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পরে। এখনও আছে বিড়ালটা তার বাসায় কয়েকটা বাচ্চা মা সে এখন। কিন্তু সেই রাতে কোথায় ছিল বিড়ালটা আজও বলে নি। বলবে কিভাবে সে তো কথা বলতে পারে না হয়তো মিয়াও মিয়াও করে বলার চেষ্টা করেছিলো আমার বন্ধু বুঝে নাই ঐ বেটা তো আর পশুপাখি কথা বুঝে না। বোকা ছেলে একটা। ভাবছি এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল সনি টিভির CID কে হায়ার করবো। হয়তো এসএপি প্রদ্যুমান এসে দয়াকে বলবে দরজা ভাঙতে তারপর এই রহস্যের সুরাহা হবে...
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: লজিকের বাইরে কিচ্ছু নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০০
কিরকুট বলেছেন: