![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল লাগে নিজের হাতে আপন জনকে রেঁধে খাওয়াতে।আর রান্নার প্রশংসা শুনতে, কার না ভাল লাগে বলুন! অবশ্য যেকোন নারীই এই দোষে দোষী হবে...। আমি রাঁধি আমার মত করে, রান্নার জন্য নাকি হাত লাগে, আমি বলি অন্তর লাগে।
রান্না'তো করি অনেক দিন ধরে, নিজের পরিবার, আপনজনেদের জন্য। ছেলেমেয়েদের আগ্রহে তা কাগজে টুকে রাখার চেষ্টা করছি এখন, ওরাই করে কাজটি। ওরাই আপনাদের সবার জন্য তা এইখানে প্রকাশ করতে বলল, তাতে নাকি সারা পৃথিবী থেকে সবাই দেখতে পাবে। এইসব রেসিপি'তে কেউ যদি রান্না করে একটু মজা পায় তাতেই আমি খুশী হব। ভাল লাগলে, খারাপ লাগলে জানাবেন, খুশী হব
http://www.vulusrecipe.com
কেউ একে "ছিটা রুটি" বলেন, তবে নোয়াখালী অঞ্চলে এটিকে "ছিটা পিঠা" বলে। আবার কেউ ছটকা রুটিও বলেন। আমার ঘরে রুটি হিসাবেই বেশী জনপ্রিয়, কারণ ভুনা মাংস বা ঝোল মাংসের সাথে সালাদ সহ গরম গরম ছিটা রুটি, আহ-হ-হ... কি ট্রাই করেই দেখুন না, আপনাদেরও ভাল লাগবে আশা করি। জানাবেন নিশ্চয়ই কেমন লাগলো।
উপকরণঃ
চালের গুড়া - ২ কাপ (এতে ১২-১৫ টি রুটি হতে পারে)
পানি - ৩ কাপ
ডিম - ১ টা ডিমের অর্ধেকটা ফেটানো
লবণ পরিমানমতো
তেল পরিমানমতো
প্রণালীঃ
- বাটিতে পরিমানমতো লবণ ও ৩ কাপ পানি দিন, ভাল করে মেশান। লবণ-পানি মিশে গেলে ২ কাপ চালের গুড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে। পাতলা মিশ্রণ তৈরী হবে।
- মিশ্রণটির সাথে ১ টি ডিমের অর্ধেকটা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন।
- ১৫ মিনিট পর একটি কড়াইতে তেলের প্রলেপ দিয়ে মিশ্রণটির মধ্যে হাত চুবিয়ে কড়াইতে ছিটা দিন, অর্থাৎ আঙ্গুল গুলো প্রলেপ দেয়া তেলের উপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য ৩/৪ বার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর কড়ায়তে ছিটা দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে। রুটি যেন পুড়ে না যায় খেয়াল রাখবেন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে তুলে নিন যেন না ভাঙ্গে। এমনিতেই রুটি খুব পাতলা হবে তাই ভেঙ্গে গেলে ভাল দেখায় না।
- এভাবে প্রতিবারে তেলের হালকা প্রলেপ দিয়ে ৩/৪ বার ছিটা দিয়ে পাতলা করে রুটি তৈরী করুন। রুটি গুলো যেন গরম থাকে এমন কিছুতে তুলে রাখুন পরিবেশনের আগে।
- মিশ্রণটি জমে যাওয়ার মতো হলে আবার ভালভাবে মিশিয়ে নিন, প্রয়োজন হলে আরেকটু পানি (সামান্য) মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিতে পারেন, তরল হয়ে উঠবে।
- ছিটা রুটির সাথে গরম গরম ভূনা মাংস বা ঝোল মাংসের সহ পরিবেশন করুন, পছন্দ অনুযায়ী সালাদ হতে পারে।
---
ভুলু, চট্টগ্রাম
২২/০১/২০০০৭
[email protected]
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৫:৫৭
ভূলু বলেছেন: আসলেই তাই...
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:০৫
অতিথি বলেছেন: এতো সব কিছুর রেসিপি না দিয়া চাট গাও এর একটা বিখ্যাত খাবারের রেসিপি দেন।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:১৬
ইমটি বলেছেন: আপনার কাছে একটা পরামর্শ চাই। সেটা হল- আমি পুডিং বানালে সেটা ঠিক মতো জমাট বাধে না। পানি পানি হয়ে যায়। কারণটা কি বুঝতে পারছি না।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:২৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: কিছুটা পাটি সাপটা পিঠে বানানোর মতো !
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ভূলু বলেছেন: ভাই কেমিকেল আলী, ভাল বলেছেন দেব ভাই। "ঝাল মাংসের ঝোল" রেসিপিটি চাটগা'র ঝাল মাংসের রেসিপি। এছাড়া শুটকির এবং লইট্ট্যা মাছের রেসিপি নিয়ে শীগ্রই আসব।
ইমটি, ধন্যবাদ। আপনাদের আগ্রহ আমাকে আনন্দ দেয়। পুডিং এর পরামর্শ নিয়ে একটা পোস্ট দেখুন।
হুমমম... ভাই মাহবুব, অনেকটা তাই। তবে ছিটা রুটিতে ছিটিয়ে দিয়ে রুটি তৈরী করতে হয়।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:১৮
অতিথি বলেছেন: আমার পোলার বাপ দুই দিন চেস্টা করেছে...কিন্তু হয়নি।বেচারা!!
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ৯:৪৩
ভূলু বলেছেন: আ-আ-হারে বেচারা!
৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
ভূলু বলেছেন: ইমটি আপনার পুডিং বিষয়ক সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে "ইমটির জন্য পুডিং" লেখাটিতে।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫০
সূরভীত বলেছেন: কাল ইফতারি তে করেছি এটা। আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি এমন আরো কিছু রেসিপি পোস্ট করে আমাদের মনে করিয়ে দেবেন এতো মজার মজার রান্নার টিপস।
ভালো থাকবেন।
১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১:০২
ভূলু বলেছেন: ধন্যবাদ সূরভীত, আপনাদের এই ভাললাগা আমাকে আরো উৎসাহিত করে তোলে। আপনি ও আপনারা সবাই ভাল থাকবেন।
১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
কষ্টের নদী বলেছেন: ওহ এটা আমার প্রিয় পিঠা!!
বাসায় গেলে আম্মা বানায়। অনেক মজা।
আমি এমনিতে চা দিয়েই খাই
চট্টগ্রামে এটাকে হাতঝারা পিঠা বলে
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:২৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কাজের সাথে নামের মিল আছে।