![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতি হিসাবে আমরা (মুসলমান ) বড়ই হতভাগা জাতিতে পরিনত হচ্ছি দিন দিন। এতো সত্য এবং অপরিবর্তিত একখানা ধর্ম গ্রন্থ(কোরআন) পেয়েও বিভ্রান্তিতে পড়ছি খনে খনে ।না জানি নিজের ধর্ম সম্পর্কে না কোন ধারনা আছে নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে ।
ইহুদী খ্রিস্টানরা বিভ্রান্তিতে পরতে পারে , কারন তাদের ধর্ম গ্রন্থ পরিবর্তিত হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত আসমানি কিতাব মানুষের বানানো একটা বইয়ে পরিনত হয়েছে । তাদের ধর্ম গ্রন্থ সম্পূর্ণ কেবল ধর্ম গুরুরাই পড়ে , সাধারন মানুষ পড়ে না । সাধারন মানুষ কেবল চার্চে গিয়ে অংশ বিশেষ শুনে ।এই সুযোগে , যুগে যুগে ধর্ম গুরুরা নিজেদের ইচ্ছা মত গ্রন্থ গুলুকে পরিবর্তন করেছে যার প্রমান মিলে তাদের ধর্ম গ্রন্থের ভার্সন থেকেই ( ওল্ড টেস্টামেন , নিউ টেস্টামেন ইত্যাদি ) ।
যাই হোক আমার আসল উদ্দেশ্য ধর্ম গ্রন্থের ভুল ধরা না , উদ্দেশ্য হল আমাদের কিছু ভুল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আহ্বান করা ।
ইদানিং সারা বিশ্ব ব্যাপী একটা কু-ধারনা চলছে , মুসলমান মানেই হিংস্র , সন্ত্রাসি জাতি । যারা যুদ্ধ করে , মানুষ মারে , বিশ্ব ব্যাপী বর্বরতা কায়েম করতেছে ইত্যাদি ইত্যাদি ।
ইহুদী খ্রিস্টানের পক্ষে এ ধারনা করা স্বাভাবিক কারন তাদেরকে এভাবেই তালিম দেওয়া হয়েছে , কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের মুসলমানরাও এখন এই ধারনয় বুদ ।
তাদের ধারনা মুসলমানরাই আসলে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মুসলমানরাই দুনিয়া থেকে সকল সন্ত্রাসবাদ দুর করার জন্য যুগে যুগে কাজ করেগেছে ।
উদাহারন সরুপ
ক্রুশেডরা যখন মুসলমানদের থেকে জেরুজালেম জয় করে তখন সেখানে অসংখ সাধারন মুসলমান ছিল ( যুদ্ধ রত সৈনিক না ) । ওইদিন ক্রুশেডরা সকল মুসলমানদের হত্যা করার ঘোষণা দেয় এবং জেরুজালেমের রাস্তাঘাটে রক্তের বন্যা বয়ে দেয়।
অপর পক্ষে সালাউদ্দিন আল-আইয়ুবি যখন জেরুজালেম দখল করেন তখন হাজার হাজার সাধারন ক্রুসেড (ক্রিস্টান) আটকা পরে । সুলতান সালাউদ্দিন তখন সবাইকে সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন কেউ থাকতে চাইলে জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে হবে, এলাকা ছারতে চাইলেও চলে যেতে পারবে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোদ করে । ইতিহাস সাক্ষী যে কেউ ইচ্ছা করলে ইতিহাস পড়ে দেখতে পারেন। মুসলিম, ক্রিস্টান অনেক ইতিহাসবিদই এই সকল ইতিহাস রচনা করেছেন ।
তো কথা হল ইসলাম সব সময় শান্তির ধর্ম । ইসলাম চায় দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক । যারা প্রকৃত মুসলমান তারা কোন দিন অন্যের অমঙ্গল কামনা করতে পারে না ।
হ্যাঁ ইসলামে জিহাদের বিধান আছে । কিন্তু জিহাদ করারও কিছু নিয়ম কানুন আছে । কোন কারন ছাড়া ,যারতার সাথে , যে কেউ জিহাদ করতে পারে না ।
তাহলে বর্তমানে যে জিহাদ নামের ভন্ডামি চলছে এগুলুর ভিত্তি কি ?
এগুলু পুরোই ভিত্তিহিন এবং বানোয়াট জিনিস ।
ইসলামে যত জিহাদ হয়েছে কোনটাই সাধারন মানুষের সাথে ছিল না । রক্তক্ষই জিহাদ শুধু ময়দানে যুদ্ধ রত সৈনিকদের মধ্যে সিমাবদ্ধ ছিল। একবার সুলতান সালাউদ্দিন ক্রুসেডদের একটা কেল্লা জয় করতে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করেছেন কারন ছিল সেখানে সাধারন মানুষের অবস্থান সম্পর্কে তিনি অবিহিত ছিলেন না । ভয় পেতেন তার আক্রমনে সাধানর মানুষের ক্ষতি হলে আল্লাহর কাছে কি জওয়াব দিবেন ।
কিন্তু এখনকার ভন্ডরা কেবল সাধারন মানুষের ওপরই আক্রমন চালাচ্ছে ,যা প্রকৃত জিহাদের পরিপন্থিই কেবল নয় বরং গুরুত্বর অন্যায় ।
এখন কথা হচ্ছে কারা এই ভ্রান্ত জিনিসের সৃষ্টিকারী আর কেনই বা সাধারন মুসলমান যুবকরা ধাবিত হচ্ছে ?
বিভ্রান্তির সৃষ্টিকারী সম্পর্কে বললে অনেক কথা বলতে হবে ( বিস্তারিত আরেক দিন ) সংক্ষেপে শুধু একটা কথাই বলতে পারি কোন মুসলমান এই কাজের পেছনে নাই ।
আর মুসলমান যুবকেরা এতে ধাবিত হচ্ছে নিজ ধর্মী বিষয়ে অজ্ঞ থাকার কারনে। আর একটা প্রধান কারন হচ্ছে নিজে নিজে পান্ডিত্ত অর্জনের চেষ্টা করা। নিজে নিজে জতই জ্ঞান অর্জন করি না কেন , কয়েকটা বই পরে ইসলামের সকল খুটিনাটি জানা হয়ে যায় না । এই জন্য উচিৎ আলেমদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখা এবং বিভিন্ন মাসালা সম্পর্কে জেনে নেওয়া ।
এখন আমাদের উচিৎ আমাদের নিজেদের সম্পর্কে জানা । কি করতেছি , কার জন্য করতেছি , যা করতেছি তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতেছি নকি নিজের মন মত ।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল; অন্য কোন বিষয়ে (অংক, ফিজিক্স, রাজনীতি, সাহিত্য) ধরণা থাকলে লিখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৮
SwornoLota বলেছেন: অজ্ঞ জনের অজ্ঞ মতঃ
এই সব মাৎসন্যায় আমাদের মধ্যে ঢুকার একটা বড় কারণ হচ্ছে লোভ।
মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের কেউ আর উমার বা আবু বকর নন। তারা মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন শত্রুদের দেখানো ক্ষমতার লোভে। সেই থেকেই শুরু!!