![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা শহরে একজন ব্যাচেলার থাকতে মাসে খরচ হয় প্রায় ৫০০০-৬০০০ টাকা (মুখ্য খরচ)। একজন গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরি পায় ৫৩০০ টাকা। যেখানে একজন ব্যাচেলারের আরো বেশি লাগে, সেখানে একজন গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবার নিয়ে চলবে কীভাবে?? যেখানে সাম্যবাদীতা নেই সেখানে উন্নয়ন হবে কিভাবে? পুঁজিবাদের অর্থলোভী চিন্তার বলি হাজার হাজার শ্রমিক যাবে কোথায়? এক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার ব্যাপকতা রয়েছে। আমাদের জিডিপির অধিকাংশই আসে গার্মেন্টস খাত থেকে, অথচ গার্মেন্টস শ্রমিকরা নুন্যতম মজুরির জন্যে আন্দোলন করতে হয়। যাদের অবদানে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দূর্বার, তাদেরকেই কিনা আমরা হাজতে পাঠাচ্ছি, তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করার জন্যে। পূঁজিবাদের চশমা পরা গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকের রক্ত পানি করা কষ্টের বিনময়ে বিলাসিতা করে, দেশ-বিদেশে ভ্রমন করে, হোটেলে আনন্দে মেতে উঠে। অপরদিকে তাদের আনন্দের কারিগররা পরিবারের সবার মুখে খাবার জোগাতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তবুও তাঁরা ন্যায্য মজুরি পান না। ন্যায্য মজুরির কথা বললে তাঁদেরকে ছাঁটাই করা হয়, মামলা করা হয় তাদের নামে, মালিকের লালসার শিকার হতে হয় মহিলা শ্রমিকদের। তবুও তাঁরা থেমে নেই, কষ্ট করে যাচ্ছে অবিরাম। কেননা মাসের ৩০ তারিখে বাড়ি থেকে টাকার জন্যে ফোন আসলে যদি টাকা না পাঠাতে পারে। এত কষ্টের পরও তারা পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পথ চলতে থাকে। এদের জন্যে মালিক পক্ষের কোন দয়া নেই। পুঁজিবাদের রাজনীতি আর পুঁজিবাদের অর্থনীতির ভিত্তে বন্দি দেশের জনগন, বিপ্লবী তারুণ্যই পথ দেখাবে। পুঁজিবাদের এ শিকল ভাঙতে হবে, প্রত্যেক শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। মেহনতি মানুষের জয় হোক।
#দুনিয়ার_মজদুর_এক_হও_লড়াই_করো।
#জয়বাংলা।
©somewhere in net ltd.