![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সদ্য স্বাধীন হওয়া একটা দেশ। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে আস্তে আস্তে নিজেদের অস্তিত্ব বিনির্মাণ করা শুরু করছে। জাতির জনকের নেতৃত্বে এগোচ্ছে দেশ। মাথা তুলে দাড়াবার চেষ্টায় কাজ করছে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকার। নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুদ্ধে, ভাবেননি নিজের স্বার্থের কথা। যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চলছে তখনই মাথাচড়া দিয়ে উঠলো বিরোধী শক্তি। পাকিস্তানের রেখে যাওয়া দালাল আর রাজাকাররা নানান ফন্দিফিকির আঁকতে লাগলো, কিভাবে দেশের অগ্রগতিতে বাঁধা সৃষ্টি করা যায়। এদেশীয় দালালদের নকশা ক্রমশই জটিল হতে থাকে। ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার। যে মানুষটি নিজের পরিবার, সম্পর্ক, ব্যক্তিস্বার্থ উপেক্ষা করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে দালালের দল। শকুনের চোখে জ্বলছে হিংস্রতার আগুন। ১৫ আগষ্টের গভীর রাতে সপরিবারে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে। রক্তাক্ত হলো এক বীরের দেহ, যিনি কখনো হার মানেননি। মাথানত করেননি পরাশক্তির কাছে। এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, মুক্ত করেছেন জাতিকে। সেই জাতিই কিনা বিশ্বাসঘাতকতা করলো পিতার সাথে । এদেশীয় এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে। তারা জানেনা হত্যা করার মাধ্যমে ব্যক্তির দেহ নষ্ট করা যায়, আদর্শ নয়। ব্যক্তি মরে যায়, আদর্শ রয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু এক অবিনাশী প্রাণ। হত্যা করে দালালরা বঙ্গবন্ধুর দেহকে নিষ্প্রাণ করেছে, কিন্তু যুগে যুগে কোটি বাঙ্গালির হৃদয়ের গহীনে তিনি বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের সেই ভাষণ বাঙ্গালীকে প্রেরণা দিবে চিরকাল। মুজিবীয় চেতনা হোক বাংলার উন্নয়নের হাতিয়ার। স্বর্গবাসী হোন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
©somewhere in net ltd.