নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তা করো বেশি, বলো অল্প, লিখো তারচেয়ে কম।

অাসিফ কবির

Journalist.

অাসিফ কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭


সোনার বাংলায় যখন লুটরাজের আর সন্ত্রাসের আধিপত্যে মানবতা চোখের সামনে ধূলিসাৎ হয়ে যায় তখন নীরবে প্রতিবাদ করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-সন্ত্রাস বানানোর কারখানা হয়ে যায় তখন সমাজে অমানুষের ভিড় বেশিই থাকে।

আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শুনলে মানুষ বলতো ‘ওখানে খুব ভালো পড়াশুনা হয়’ আর এখন বলে ‘ওখানে খুব ভালো পলিটিক্স হয়, খুব ভালো মারামারি হয়’। ভদ্র ব্যবহার, আর সম্মান দিয়ে কথা বললে আগে সবখানে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যেত। এখন ভালো ব্যবহার করলে কেউ পাত্তা দেয় না।

আগে ভালো ব্যবহারকে মানুষ সম্মান করতো, এখন ধাপট আর ক্ষমতাকে সবাই সম্মান করে। আগে পাড়া-মহল্লায় যে ছেলেটা বয়স্কদের দেখলে সালাম দিতো, সবাইকে শ্রদ্ধা করতো, তাকে সবাই খুব দাম দিতো, তার কদর ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা । কিন্তু সময়ের পালাক্রমে সব উল্টে যাচ্ছে। ভদ্র ছেলেটাকে এখন খ্যাত বলা হয়, তাকে কেউ পাত্তা দেয়না, তার ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনেকরা হয়। আর পাড়ার যে ছেলেটা সব মেয়েকে ইভটিজিং করে, দোকানে চাঁদাবাজি করে, মুরুব্বিদের সাথে বেয়াদবি করে তাকে সবাই পাত্তা দেয় ।

বাসে স্টুডেন্ট ভাড়া দিতে গেলে হেল্পার ঝামেলা করে, কিন্তু যখন বলি তেজগাঁও কিংবা তিতুমির কলেজের স্টুডেন্ট তখন কিছুই বলেনা । বুঝতেই পারছেন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিনদিন কোথায় যাচ্ছে ! কলেজ-ভার্সিটিগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সবগুলো স্যারকে চিনেনা, দেখলেও সালাম দেয়না, স্যারদের সম্মান করেনা । কিন্তু অমুক ভাই, তমুক ভাইকে সবাই চিনে, দেখা হলে কার আগে কে সালাম দিবে সেটা নিয়ে হুড়োহুড়ি পরে যায়।

আজকে সকালে বৈশাখী বাসে করে যাচ্ছিলাম, মহাখালীর আগে তিতুমির কলেজের সামনে যেতেই কিছু ছেলে বাস থামার সিগন্যাল দিয়ে পথরোধ করে। সব যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে তারা বাস নিয়ে চলে যায়, তারা করা বুঝতেই পারছেন, এটাই ধাপট। অথচ আমি আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটা বাসকে সিগন্যাল দিলেও তারা বাস থামায়নি। ঐ যে বলেছিলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-সন্ত্রাস তৈরী করে, এটাই তার প্রমান। তবে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায়বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশি । একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান চাইলে এদের সমূলে নির্মূল করতে পারে। এটাই করা উচিত।

ক্যাম্পাসে কোনো গণ্ডগোল হলে সোনার ছেলেরা ছুরি, চাপাতি নিয়ে যেভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, তাতে মনে হয় এটা বুঝি কামারশালা, এখানে কোপাকুপি প্রশিক্ষণ দেয়া হয় । মানবতা তখন সমুদ্রের গভীরে হারিয়ে যায় । কি লজ্জার কথা ! কি নিচুমানের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো একটা জাতির হৃৎপিণ্ড । শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস একটা জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট । সম্বাবনাময় এ জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য এসব কর্মকান্ডই যথেষ্ট । এদেশে বহু পলিটিশিয়ান আছে, কিন্তু মানবিক শিক্ষিতের খুব অভাব । শিক্ষাই হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একমাত্র কার্যক্রম ।

জয় বাংলা। সন্ত্রাসমুক্ত হোক দেশ । শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস নিপাত যাক ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.