![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক বান্ধবীর কথা জানি, একসময় যার অনেকগুলো ছেলের সাথে রিলেশন ছিল এবং প্রায় তাদের কাছ থেকে নানা ধরণের জিনিস চাইত। আজকে এই রকমের ড্রেস তো কাল অন্যরকমের ড্রেস। কখনো মোবাইলের টাকা, কখনো পিকনিকে যাবার টাকা। যে ছেলেগুলো সরল মনে প্রেমিকাকে সন্তুষ্ট করার জন্য সব চাহিদা পূরণ করত তারা হয়ত জানত না যে তারা প্রতারিত হচ্ছে। একসময় সে বান্ধবীও কোন এক ছেলেকে সত্যিকারে ভালবাসছিল। ফলাফলটা ছিল, ফিজিক্যাল রিলেশন অত:পর ব্রেকআপ। ঠিক যেমন কর্ম তেমন ফল।
ভালোবাসা বলতে যদি নামি-দামী রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, কোন উপলক্ষ্যে আকর্ষণীয় গিফট দেয়া, মোবাইলে ফ্ল্যাক্সি দেয়া, কথায় কথায় রাগ করা,- এগুলোকে বুঝ, তাহলে তুমি হয়ত ভালোবাসার মানেটাই বুঝোনা। সত্যিকারে ভালবাসার মানে দেয়া-নেয়া নয়। বরং সত্যিকারে ভালবাসা বলতে একটা পবিত্র অনুভূতিকে বোঝায়। যেখানে লেনদেনের চাহিদা খুবই নগন্য।
আমরা চোখের সামনে অনেক জুঁটি দেখতে পাই যাদের মধ্যে লেনদেনের সম্পর্কটাই বেশি প্রকাশ পায়। একটা সত্যিকার সম্পর্কের মৌলিক ভিত্তি হলো বিশ্বাস এবং পরস্পরের সমঝোতা। একের অবস্থান সম্পর্কে অন্যের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হয়।
একটা পবিত্র ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন কিছু নয়। সত্যিকার সম্পর্ক মানে হলো সামর্থের মধ্যে যতটুকু সম্ভব। সঙ্গীর মানিব্যাগের অবস্থা খারাপ দেখে ‘আজ ভাল লাগছেনা’ কিংবা ‘খেতে ইচ্ছে করছেনা’ বলে খরচ এড়িয়ে যাবার মধ্যে এক ধরণের সুখ কাজ করে, যা সবাই উপভোগ করতে পারেনা।
দুজনে টাকা দিয়ে এক প্লেট ফুচকা খাওয়া কিংবা অর্ধেক-অর্ধেক ভাড়া দিয়ে রিক্সায় চড়ার মধ্যে যে শীতল অনুভূতি আপনি পাবেন, হয়ত একজনের অবস্থা না বুঝে চাপ দিয়ে দামী রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে সে অনুভূতিটা আপনি পাবেন না।
একটা সম্পর্কের মানে এই নয় যে, ছেলেরা সবকিছু দিবে আর মেয়েরা ভোগ করে যাবে। দুজনে শেয়ারিং করার মধ্যেই প্রকৃত ভালোবাসা নিহিত আছে। শেয়ারিং এবং কেয়ারিং, এই দুইটা জিনিস আপনার সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করে।
©somewhere in net ltd.