নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাড্ডি খিজিরের মত ঠোঁটকাটা হইতে চাই শেষমেশ ওসমান অরফে রঞ্জু হয়াই দিন কাটে। রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছা কী আছিলো সেইটা অনুভব করার খুব শখ আছিলো, জীবনদা তো আর নাই। তার কথা মনে হইলেই শোভনার ব্যর্থ প্রেমিক, লাবণ্যের ব্যার্থ স্বামী মনে হয়।

রেজাউল করিম সাগর

একজন লক্ষ্যহীন পথিক, পথে নেমেই পথকে চিনি - লক্ষ্যকেও।

রেজাউল করিম সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্বিতীয়া সিরিজ - (১)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫



( অদ্বিতীয়া শিরোনামের কবিতাগুলো একটা সিরিজের মত হয়ে গেছে ( অদ্বিতীয়া সিরিজ)। তাই মনে হলো সেগুলো কোথাও থাকুক একসাথে। এই লেখাগুলো নিজের গতানুগতিক ধরণের বাইরের বলে বোধ হয়। সেটা বিভ্রম কিনা জানিনা। স্বতন্ত্র - স্বাধীন ভূমি না পেলে এইসবই বৃথা মনে হয় যদিও)

.
(১)
অদ্বিতীয়া,
জানতে চেয়েছিলাম ," কবিতার সতীন হয়ে তোমার পোষাবে তো!"
তুমি কিছুই বললে না, শুধু হাসলে।
ওই গভীর চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু বলতে না পেরে
আমিও শুধুই হেসেছিলাম - অনিশ্চিত হাসি।
তখনও নিশ্চিত ছিলাম না আমার কাকে চাই? কবিতা নাকি তুমি?
এখনও আমি অনিশ্চিয়তার পেন্ডুলামের মত দুলছি,
কানে বেজে যাচ্ছে কাকে চাই, কাকে চাই.....
তোমার চোখদুটো আমার সকল পাপ শুষে নেয়,
তোমার চোখে যতবার তাকাই
ঠিক ততবার আমি নিষ্পাপ হয়ে জন্ম নিই পাপহীনতায়,
কবিতারা খানিকটা হিংসুটে,
তাই হয়তো যাকে আঁকড়ে ধরে তার
মন মগজ জুড়ে শুধুই বেওয়ারিশ কিছু শব্দ ঘুরপাক খায়,
ইচ্ছামত তুলে নিয়ে উদ্বাস্তু শব্দদের তাই মুক্তি দিতেই হয়।

নিয়ত যুদ্ধ করে করে ভুলে যাই তোমার পাঠানো শেষ চিঠিটার কথা,
আজো উত্তর দেয়া হয়নি তার - আজও একটি অক্ষর উৎসর্গও করিনি তোমার নামে!
না, ভুল বললাম প্রিয়তমা আমার।
এইযে আমি কবিতা খুঁজে ফিরি
রাস্তার মোড়ে, পাবলিক বাসে, ক্লাসে,
মাঠে, উলঙ্গ ফুটপাতে, হাটে - কিংবা মেঘের ফাকে ফাকে-
তাতে ভীষণ ক্লান্ত-শ্রান্ত- ব্যর্থ হয়ে যখন ফিরি তোমার কাছে,
তখনই ক্লান্তিগুলো উড়ে যায়, কবিতারা হিংসা ভুলে কুর্নিশ করে ফেলে তোমায়।
একে তুমি কী বলবে?
এগুলো তো তোমার প্রতি নিবেদিত , তোমার প্রতি উচ্চারিত,
অথচ বুঝলেনা তুমি, প্রেমিকারা কি চিরকাল কি এমন অবুঝ থাকে?
প্রিয়তমা,
তুমি প্রেরণা হলেই কবিতারা রঙ ছড়ায় আমার কলমে,কাগজে
তুমি ছেড়ে গেলে দূর্ভিক্ষ লাগে এই মননে - মগজে।
আমার কবিতারা তোমার সাথে একঘরে সংসার করবেনা বলে জানিয়েছে,
এখন আমি কোন পথে যাই?
বলতে পারো?

(২)
অদ্বিতীয়া,
তোমার জানালার কপাটে ঝড়ের রাতে,
এক নিঃস্ব আত্মার ক্রন্দন কি শুনতে পাও?
নাকি ভীষণ সুখেই আছো, বিস্মৃতির করাল গ্রাসে
আমার স্মৃতি , স্বপ্নগুলো নিত্য হারাও!
আমার বুকে মাথা রেখে খুঁজেছিলে একটি সুখের স্বর্গবাড়ি,
সেই বাড়িটা শূন্য এখন, কেউ থাকেনা, তুমি তো সেই যে গেলে
আর এলেনা, হাজার প্রহর অপেক্ষাতেও ক্লান্তি আমার চোখে এসে ভীর করেনা।
তোমায় ভেবে থাকতে পারি একশত রাত,l
তোমায় আমি ভুলতে পারি মনে রেখো হয়ে যাবে শূন্য হঠাৎ,
রক্তকরবী ফুল ফুটলে সবুজ পাতার ফাকে যেমন ফুলের বাহার অনিন্দ্য ঠিক
তেমনি করেই লাল সবুজের রঙের মায়ায় সাজাতে চাই তোমায় আমি।

(৩)
অদ্বিতীয়া,
জানো মানুষ কখন হৃদয়শূন্য হয়ে যায়!
কখন তাকে অসহ্য লাগে খুব!
তুমি জানো অদ্বিতীয়া, জানো!
জানালার শার্শিতে নাক চেপে ধরেও তুমি বাগানে ফোটা হাসনাহেনার গন্ধ পাবেনা
যদি সে জানালা খুলে না দাও,
কাউকে ভালোবেসেও কখনো কখনো তুমি তার হতে পারবেনা,
যদি তাকে অসহ্য বোধ হয়।
যতই আকাশের পাখি হয়ে উড়ে যেতে চাও,
যতই পাহাড়ি ঝর্ণার মত উত্তাল হও,
যদি প্রকৃতিকে ভালো না বাসো তবে ওদের সাথে কিছুতেই মিলবেনা তোমার সপ্তম সুর!
তুমি জানলে একবার কাউকে অসহ্য বোধ হলে,
তাকে ভালোবেসে তার হওয়া কঠিন, প্রায় অসম্ভব।
জানি, তুমিও পারবেনা।

(৪)
অদ্বিতীয়া,
তুমি জীবনবাবুর 'আকাশলীনা' কবিতাটি পড়েছো?
পড়নি জানি। তাহলে বুঝতে কষ্টগুলোকে, কেন কষ্টে আছি!
এই আমি জীবনানন্দের মত বাধতে পারিনা কষ্টকে কবিতার অলস বাধনে;
অথচ কষ্টের সঞ্চয় কম নেই আমারো-
তাই খুবই হিংসা হয় তাকে ও তোমাকে।
কিংবা সুনীলের 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতাটা পড়েছো নিশ্চই?
না পড়ে থাকো যদি তবে জানবে না,
কথা রাখার জন্য প্রতীক্ষমান হতচ্ছাড়াদের কথা।
সুনীলের কৃত্তিবাস ঠিকঠাক শক্তির সাথে মিলে চলেছে কিছুদিন
তুমি হয়তো জেনে থাকবে ওর সুনাম হয়েছিলো, তবুও কথাগুলো না রাখার স্রোতে
ওর কবিতাগুলো সুনীল আকাশে ভরের শক্তি রূপান্তরের মতই শূন্যে মিলিয়ে যায়।
অদ্বিতীয়া,
অমাবশ্যায় চাঁদের কথা ভেবেছো কোনদিন? জানি ভাবোনি,
বাংলার নিস্তব্দ আকাশে আমি অন্ধকার চাঁদ,
অবহেলিত সময়গুলোকে কীভাবে যে পার করি , জানবেনক তুমি।
কেউই জানবেনা - ওই হাসিমুখের আড়ালে কতটা বিষাদ জমে আছে,
কতগুলো বোকা জোছনা বিষন্ন হাসির ভেতরে খুশি ঈষৎ হলকা ছড়িয়ে দেয়,
তাতেই তোমরা ধরে নাও আমিতো সুখেই আছি;
ভুল জেনে গেলে তুমি, ভীষণ ভুল-
একটি ফুলের আশায় তুমি আমি বারবার ভুলের শুরু করে গেলাম;
এই ভুলহীন সময়ে তাই শেষের শুরু করতে চাই।
হয়তো খুশি হবে, হয়তো হবেনা।
আশা করি ভবিষ্যত জীবনে ভালো মানুষ নিয়ে অনেক সুখে থাকবে।
(০৩-০৩-১৮)



(৫)
অদ্বিতীয়া
তোমার শহুরে বারান্দায় যখন বিকেলের শেষ রোদ এসে পরে,
যখন অস্তগামি সূর্য দেখে তোমার ভীষণ উতলা বোধ হয়,
তখন কাকে ভাবো তুমি?
কে সেই ভাগ্যবানটি?
আমি না হয়ে যদি অন্য কেউ হয়,যদি না ভাবো আমায়,
জেনে রেখো, মনের মুক্তচিন্তাগুলোকে গুজবের ঢেউয়ে ভাসিয়ে দেবো,
বারবার বাধা পাবে তোমার ছিমছাম পথচলা, মনে রেখো।
মনে রেখো অদ্বিতীয়া,
ছুটির দিনগুলোতে স্নানশেষে সকালের মিঠে রোদে বসে সুনীলের কবিতা পড়লেই,
তুমি নিজেকে নীরা দাবি করতে পারোনা,সত্যিই পারোনা।
আমি সুনীল নই, তুমিও নীরা নও।
আমার সাথে আমার , আর তোমার সাথে তোমার বিরোধ আজকাল তুঙ্গে,
অথচ চোখে কাজল দিয়ে মিষ্টি করে হাসলেই তুমি কী করে যে-
রবিঠাকুরের কৃষ্ণকলি হয়ে যাও,
অনেক ভেবেও আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি।
( ২৭-০৪-১৮ইং , লালবাগ ,ঢাকা)

(৬)
অদ্বিতীয়া, অরুণাভ আকাশ পছন্দ করো?
আমার চেয়েও বেশি?
তবে যাও,ওই আকাশের কাছেই যাও,
আকাশটাই তোমার সঙ্গী হোক।
আকাশের নিঃসীম শূন্যতায় দমবন্ধ লাগবে যখন,
আমাকে ডেকো - কাছে ডেকে উত্তাল ঝড়ের শব্দ শুনিয়ে দেবো।
কখনোবা সাইক্লোনের প্রবল তোড়ে চুলগুলো উড়তে থাকলে,
আলুথালু হলে শাড়ির আঁচল,
করোটির ভেতর ভীষণ ভয় এসে আকড়ে ধরতে চাইলে
দ্রোহী কোন কবিতায় হৃদয়ে জেগে থাকা ভয়গুলোকে
উপড়ে ফেলবো - কথা দিলাম।
অদ্বিতীয়া,
শহরের থকথকে নোংরা কাদা, ভয়াবহ মানবজট আর
মানুষের মস্তিষ্ক বিকিয়ে দেওয়া দেখতে দেখতে যদি ,ক্লান্ত হয়ে যাও-
চলো ঘুরে আসি কোন এক অজপাড়াগায়ে,
জীর্ণ টিনের চালে বৃষ্টির ঝমঝম কান্না শুনবে,
মেঠোপথ ধরে হেটে যাবো , দুপাশে ফসলের ক্ষেত থেকে
সবুজ চারাগুলো হেসে নিমন্ত্রণ করবে শ্যামলিমায়।
(২৯-০৪-১৮)

(৭)
অদ্বিতীয়া,
তোমার গায়ে শকুনের প্রতিটি স্পর্শ আমার হৃদয়ে
বিস্ফোরন হয়ে প্রতিধ্বনিত হয়, আক্রোশে উন্মাদ হয়ে যাই।
তোমার প্রতি পশুদের খিস্তিগুলো ওদের উপরই সত্য হোক।
ন্যায্য দাবী আমাদের,
অন্যায্য, অবৈধ কতকিছু লুটে নিচ্ছে লোকে,তাই নিক।
আমাদের যৌথ স্বপ্নের ঘরে ওরা আগুন দিতে চায় কেন?
তুমি আমি কেউই এর কারণ জানিনা।
মানবতা ও শিক্ষা জননীর দিকে অনুনয়মাখা আহ্বানে চেয়ে
কোন লাভ হবেনা জানি, ন্যায়বান যুধিষ্টির তো যুদ্ধজয়ের মোহে
অনেক আগেই মিথ্যাচারে গা ভাসিয়েছে - তবুও পান্ডবের জয়ের আনন্দের
মাঝেও কি এতটুকু মিথ্যার গ্লানি এসে লাগেনি?
জয়োৎসবের আড়ালে যে কত করুণ বেহাগ বেজে চলছে,
তার বিন্দুমাত্র ওদের কানে যাবার জো নেই।
সুখবাদ্যের আড়ালে চাপা পড়েছে বিলাপ,
রঙের আবরণে ঢেকে গেছে টকটকে লাল রক্ত।
অদ্বিতীয়া,
তুমিতো জানো, মানুষ ছাড়া সবকিছু অর্থহীন,
তাইতো মানুষের ডাকে মানুষকে বাঁচাতে রাজপথে বেধেছো ঘর,
মিছিলে উত্তাল জনতার চাইতে এমন মানবতা কোন মানবাধিকার সংস্থাও খুঁজে পাবেনা।
কিন্তু ওই তোষামুদে অন্ধ পূজারীদের কে বোঝাবে!
আর তাইতো ঈশ্বরের দোষত্রুটি যারা দাঁড়িপাল্লায় মাপতে বসছে,
তাদের কারোরই হাত-পা-মাথা কিছুই অবশিষ্ট নেই,
যারা এখনও টিকে আছে , মেরুদন্ড বিকিয়ে দেওয়া ছাড়া,
নতমস্তকে অনুগত থাকা ছাড়া আর কিইবা করার আছে তাদের?
বিশ্বাস করো অদ্বিতীয়া, বিশ্বাস করো,
ভয় ছাড়া ওদের দ্বিতীয় কোন অস্ত্র নেই,
ঈশ্বরের লাথি ছাড়া ওদের কোন খাদ্য নেই,
রক্তাক্ত রাজপথ ছাড়া ওদের বিনোদনের বড়ই অভাব।
আর সামান্য আনুগত্য প্রদর্শন আজকাল কারো কারো কাছে,
জীবন নেয়ার চেয়েও সহজ।
( ০৮- ০৭-১৮ )


(৮)
দোহাই তোমার অদ্বিতীয়া, জানতে চেয়োনা হারানো অতীত,
জেনে কি লাভ তোমার?
যারা কিছুই জানেনা,আমাদের চেয়ে ঢের সুখে আছে তারা।
বন্ধু আদিত্য , মোহিনী সম্পর্কে জেনে ফেলেছিলো অবাঞ্চিত তথ্য,
এর পর থেকে আদিত্য সিগারেট ধরেছে - আর ছাড়েনি;
ও হঠাৎ আত্মহত্যা করে মরে যাবার পর - মোহিনীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম,
-আদিত্যের কী হয়েছিলো?
মোহিনী মুখে আঁচল চাপা দিয়ে ফুপিয়ে উঠেছিলো!
-জানতে চাইবেন না। আমি বলতে পারবোনা!
এর পর থেকে আমি কারো কাছে কিছু জানতে চাইনা ।
.
অদ্বিতীয়া,
তোমার ছলনার খানিকটা ইশারা পেয়ে আমি, এই প্রচন্ড জীবনবাদী আমি
জীবনের প্রতি কতটা নির্লিপ্ত হয়ে কাটিয়েছি নিকোটিন রাত -
বুকের খাঁচায় গুমরে কেঁদেছে বিশ্বাসের খাঁচাবন্দী পাখি!
না, আমি কাঁদিনি, কাঁদবোনা, কাঁদতে পারিনা আমি-
পুরুষদের নাকি কাঁদতে নেই - হৃদয়ের মাঝে কষ্টের
বাষ্পচূর্ণ হতে থাকলেও তাই তোমরা জানতে পারোনা কষ্টের ক্ষীণতম আভাস।
আর আমার মুখের উপর অট্টহাসির মুখোশ দেখে দেখে বিভ্রান্তির অতলে তুমি ।
কান্নার একটি অব্যার্থ অস্ত্র থেকে বিধাতা এই পুরুষ জাতিটিকে বঞ্চিত করেছেন-
সেজন্য ক্ষুন্ন নই, কোন কুণ্ঠা নেই মনে ।
জেনে রাখো ওই পাহাড়ের নির্বাক - স্তব্ধতাই ঝর্ণার ঢল নিয়ে আসে,
হঠাৎ কবে সেই ঢলে ভেসে যাবে কে জানে!
(২৬-১০-১৮)


(৯)
অদ্বিতীয়া,
আমার কঠিন কথাগুলো তোমার কোমল হৃদয়ে খুব করে বেজেছে জানি
অথচ এদিকে যে বাস্তবতার ভীষণ দৌরাত্ম্যে হৃদয়ের অঙ্কুরিত বৃক্ষগুলো মরে যাচ্ছে,
ফসিলাইজড হয়ে যাচ্ছে জানবেনা তুমি।
এই পাথুরে হৃদয়ে তাই কোমল আত্মারা এসে হাতড়ে মরবে শুধু।
সমুদ্র শুকিয়ে মরুভূমি হতে পারে, কিন্তু তার গভীরে প্রবাহিত ঝর্ণার সন্ধান
পেতে চাইলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় জানোতো?
.
দূর্যোগের ক্ষণে তেলাপোকারাই টিকে থাকে ,
তোমার ভালোবাসার সৌম্য বাণীরা ম্যামথ বলেই হয়তো, , - থাক সেসব কথা
চুম্বনগুলো তাই কুয়াশার মত ফাকা বাতাসে ঝরে যায়,
চোখে চোখ রেখে কাটানো সন্ধ্যাগুলো সূর্যের অস্তরাগে রাঙেনা আগের মত আর।
কাছকাছি আসার সুতীব্র আকুতি তোমার নিভে গেছে জানি,
তবুও ভালোবাসার গভীর কুয়োয় একফোটা জলও কি অবশিষ্ট নেই? থাকতেই হবে।
সে সম্ভাবনা ম্লান হতেই পারেনা, নিশ্চিত জানি।
পাথরের কাছে এসে ক্ষতবিক্ষত হতে চাইবে
এমন বোকা ফুল হয়তো এই একবিংশ শতাব্দীতে
আর একটিও অবশিষ্ট নেই- অদ্বিতীয়া।
এই আমি বাস্তবতার কাটখোট্টা জমিনে শেকড় বিস্তারি,ফসিলাইজড বৃক্ষ হলেও
জেনে রেখো-
আমার হৃদয়ের নিভৃত, যত্নে মোড়ানো কুঠুরিতে লাইকেন হয়ে বেচে আছে,
সব সুখ-দূঃখে মোড়া স্মৃতিগুলো, প্রেমগুলো, ভালোাসায় রাঙা পঙক্তিরা।
.
অদ্বিতীয়া,
এই ইট পাথরের শহরে বসেও তোমার জন্য কোমল সুখের নির্জন পল্লী
সযতনে আগলে রেখেছি আজও।
তার হদিশ তুমি পেয়েছো কি?
নাকি পাওনি? পেয়ে থাকলে জানিয়ো।
.
অদ্বিতীয়া নাম দিয়েছি, কারণটা কি জানো?
আমি একমাত্র দেবী তোমাতেই আস্থা রাখি প্রিয়তমা আমার!
তাই নতুন ভালোবাসা ধর্মমতে তুমি অদ্বিতীয় সেই আরাধ্য দেবী,
আর আমি একজন বয়োবৃদ্ধ পুরোহিত ,
দেবীর আরাধনাতে যার কেটে গেছে একটি জীবন।
দেবীর মনযোগ প্রার্থনায় যার পুরো জীবন কেটে গেছে,
আমি তোমার সাধনায় পুরো জীবনটা হাসি আনন্দে কাটিয়ে দিতে চাই,
তুমিই প্রথম হৃদয়ের দরজা ঠেলে ঢুকে পরেছো আর তুমিই শেষ।
ঢুকেই যখন পরেছো, মুক্তি তুমি পাবেনা।
তোমার নিজস্ব পুরোহিত হয়ে আমি যুদ্ধরত সৈনিকের মত ক্রলিং করে
এগিয়ে যাচ্ছি নিজস্ব স্বর্গোদ্যানের দিকে, যেখানে তোমায় নিয়ে কাটাবো জীবন,
কনুই ছিলে যাচ্ছে, থেতলে যাওয়া হাটুতে একবিন্দু জোর অবশিষ্ট নেই,
তবু তোমায় নিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আমি পৌছাবোই , অদ্বিতীয়া।
শুধু, শুধু এই বর্বর পুরোহিতের নিষ্ঠুর বাক্যবাণে জর্জরিত
ব্যাথিত হৃদয় নিয়ে ফিরিয়ে নিয়োনা মুখ হে প্রিয় অদ্বিতীয়া আমার।
আমাদের চুম্বন জমিয়ে জমিয়ে সেখানে কি সুন্দর তাসের ঘর গড়েছি,
তুমি যদি দেখতে! যদি দেখতে পাও তবে ওই বিষন্ন চোখে জ্বলে ওঠা আলোয়
নিমেষেই একটি অন্ধকার গ্রহ আলোকিত হয়ে জীবনের গোড়াপত্তন করবে,
সে নতুন পৃথিবী তখন নতুন করে আবাদ করবো শুধু তুমি আর আমি।
( 21-12-18 ,শহীদুল্লাহ্ হল)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর। আবেগময়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেবার জন্য।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

নার্গিস জামান বলেছেন: সুন্দর + সুন্দর :)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ+ধন্যবাদ+ধন্যবাদ+ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.