![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন লক্ষ্যহীন পথিক, পথে নেমেই পথকে চিনি - লক্ষ্যকেও।
নদীকে ভালোবাসা ছাড়া কোন গতি ছিলোনা আমার,
কাঙাল ছিলাম - ভালোবাসার,
সমুদ্রের বিশালতাকে ভয় পেতাম,
কাছে গিয়ে তাই বলার সাহস হয়নি ভালো লাগার কথাগুলো,
ওসব দিবাস্বপ্ন বলেই ভেবে এসেছি চিরকাল, এখনো সেরকমই ভাবি,
সমুদ্রকে পূজনীয়া ভাবি, কামনিয়া নয়।
পুকুরের স্থিরতার কাছে গিয়ে শান্তি পেতে পারতাম, কোন ঝড়ের ভয় নেই,
সুখতরী ডুবে যাবার ভয় নেই,
অথচ সে নিশ্চল, স্থবিরতাকেই যেন বেশি করে ভয়!
স্থবিরতার আলিঙ্গন এড়িয়ে গেছি বলেই পুকুরের ঝঞ্ঝাটহীন, একঘেয়ে সঙ্গী হতে ইচ্ছা করেনি,
নদী ছাড়া এমন সসীমের মাঝেও সরব উচ্ছলতা আর কোথায় পেতাম!
দেবত্বের গরিমা নেই, বড়ত্বের অহঙ্কার নেই,
নিতান্ত দাম্ভিক সমুদ্রকে দান করেও সে বিনয়ী,
অথচ পাথরের মত স্থবির নয়,
উত্তাল হলে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হবে,
কিন্তু সেখানেও কোমর দুলিয়ে, ঈষৎ হাসির উচ্ছলতা ছলকে পরবে,
যাকে হেলা করা যায়না, পূজা করার কথাও মাথায় আসেনা,
এরকম বস্তুই প্রেমাস্পদ হবার যোগ্য,
দেবীও নয়, দাসীও নয়,
পিশাচীও নয়, পূণ্যবতীও নয়,
আমার কাছে এদেরই মাঝামাঝি কোন এক রূপ প্রেমাস্পদের আসনে বসার যোগ্য।
স্রোতস্বিনী তাই হৃদয়ের দ্বারে এসে ঢেউ খেলায়,
উত্তাল হয়ে ভেঙে দেয় হৃদয়ের আদিম চরাচর,
বিবাগী করে, আবার স্বপ্নও দেখায়!
২৮-০৬-২০২০
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।