নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাড্ডি খিজিরের মত ঠোঁটকাটা হইতে চাই শেষমেশ ওসমান অরফে রঞ্জু হয়াই দিন কাটে। রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছা কী আছিলো সেইটা অনুভব করার খুব শখ আছিলো, জীবনদা তো আর নাই। তার কথা মনে হইলেই শোভনার ব্যর্থ প্রেমিক, লাবণ্যের ব্যার্থ স্বামী মনে হয়।

রেজাউল করিম সাগর

একজন লক্ষ্যহীন পথিক, পথে নেমেই পথকে চিনি - লক্ষ্যকেও।

রেজাউল করিম সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়ান কবি নিজার ক্বাব্বানির ৫ টি কবিতা (অনুবাদ)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭



(ইংরেজি থেকে অনুবাদ - মো: রেজাউল করিম)
.

(নিজার ক্বাব্বানি তার অনুভূতিপ্রবণ এবং রোমান্টিক কবিতার জন্য আরবদের কয়েক প্রজন্মের কাছে প্রচুর জনপ্রিয় ছিলেন। তার কাজ শুধু ২৪ খন্ডের কবিতা সংকলনে সীমাবদ্ধ নেই , সেই সাথে আরবি ভাষার পত্রিকা আল হায়াতে কাজ করেছেন। বিশেষ করে লেবানিজ ও সিরিয়ান শিল্পীদের কণ্ঠে তার গীতিকবিতা জনপ্রিয় হয়েছে। লেখালেখির জীবনে ক্বাব্বানি নারীকেই তার রচনার মূল বিষয় এবং প্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন। ১৯৫৪ সালে তার সাহসী প্রকাশনা, "স্তনের শৈশব" নামে তার প্রথম কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন। এই সংকলনের কামুক এবং রোমান্টিক বিষয়বস্তু আরবি সাহিত্যের সনাতন ঐতিহ্য থেকে বের হয়ে আসে। তার বোন অপছন্দের লোকের সাথে বিয়ে এড়াতে আত্মহত্যা করেছিলো, নিজার ক্বাব্বানির উপর সে ঘটনার গভীর প্রভাব আছে। এরপর থেকে তিনি উগ্র পুরুষতান্ত্রিকতার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকেন, মাঝেমধ্যেই একজন নারীর দৃষ্টিতে লেখেন এবং নারীদের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাস করেন কিন্তু তাঁর কবিতায় সিরিয়ার রাজধানীর বেশ ভালো অবস্থান আছে বিশেষ করে " দামেস্কের সুগন্ধী জুঁই" এ। ১৯৬৭ সালে আরব ইসরায়েল যুদ্ধের পর তিনি লন্ডনে নিজার ক্বাব্বানি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠা করেন এবং আরবদের স্বার্থের পক্ষের একজন শক্তিশালী এবং সরব কণ্ঠ হয়ে ওঠেন সেই সাথে একজন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আরব জাতীয়তাবাদী। পরবর্তী বছরগুলোতে তাঁর কবিতা ও অন্যান্য লেখা বেশি করে রাজনৈতিক হতে থাকে। মাঝেমধ্যে রাজনীতি এবং রোমান্টিসিজম মিলেমিশে যেতো।
ক্বাব্বানির এই সময়ের কবিতাগুলোতে স্বৈরাচারবিরোধী বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যেত। একটি পঙক্তি এরকম -
" হে সুলতান, আমার ত্রাণকর্তা, যদি আমার কাপড় ছেড়া এবং জীর্ণ থাকে এটা এইজন্য যে আপনার কুকুরকে তার থাবা দিয়ে আমাকে ছিড়ে ফেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। "
এই পঙক্তি ব্যাবহার করে আরবরা স্বৈরশাসনের মাঝে থাকায় নিজেদের জীবনের হতাশা প্রকাশ করত। তিনি ৭৫ বছর বয়সে হার্ট এটাক করেকরে লন্ডনে মারা যান। )

১। ভালোবাসা আমার
.
প্রিয়তমা আমার,
যদি তুমি আমার মতই পাগল হতে
তুমি তোমার অলঙ্কার ছুড়ে ফেলতে
আর কাঁকনগুলো বিক্রি করে দিয়ে
আমার চোখের ভেতর শুয়ে পরতে!

২। বাতির চেয়ে আলো বেশি গুরুত্বপুর্ণ
.
বাতির চেয়ে আলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ
খাতার চেয়ে মূল্য বেশি কবিতার
ঠোঁটের চেয়ে বেশি চুম্বনের
তোমার কাছে আমার চিঠি
আমাদের দুজনের থেকে শ্রেষ্ঠ,
দুজনের থেকেই বেশি মূল্যবান।
কেননা এগুলোই একমাত্র প্রমাণ
যেখানে মানুষ খুঁজে পাবে
আমার পাগলামো,
আর তোমার সৌন্দর্য !

৩। কোন এক গ্রীষ্মে
.
সেই গ্রীষ্মে
আমি সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে
ভাবছিলাম তোমায়।
তোমার প্রতি অনুভূতি কি আমি
সমুদ্রকে বলেছিলাম?
তাহলে সমুদ্র তার সৈকত, খোলস আর মাছ ফেলে রেখে দিয়ে
আমাকে অনুসরণ করত।

৪।
যখনই তোমায় করি চুম্বন

.
প্রত্যেক দীর্ঘ বিরহের পর
যখন চুমু খাই তোমায়
আমার মনে হয়
আমি একটি লাল ডাকবাক্সে
রাখছি এক ত্বরিত প্রেমপত্র!

৫। প্রশ্ন
.
আমার প্রেমিকা জানতে চাইলো
"আকাশ এবং আমার মধ্যে পার্থক্য কী?"
প্রিয়তমা, তোমাদের পার্থক্য হল
যখন তুমি হাসো
আমি আকাশের অস্তিত্ব ভুলে যাই!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫২

জাহিদ হাসান বলেছেন:

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: গুড।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কবিতা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

শোভন শামস বলেছেন: প্রশংসনীয় উদ্যোগ, আরবি কবিতা অনুবাদ বই তেমন নেই এদেশে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.