নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাড্ডি খিজিরের মত ঠোঁটকাটা হইতে চাই শেষমেশ ওসমান অরফে রঞ্জু হয়াই দিন কাটে। রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছা কী আছিলো সেইটা অনুভব করার খুব শখ আছিলো, জীবনদা তো আর নাই। তার কথা মনে হইলেই শোভনার ব্যর্থ প্রেমিক, লাবণ্যের ব্যার্থ স্বামী মনে হয়।

রেজাউল করিম সাগর

একজন লক্ষ্যহীন পথিক, পথে নেমেই পথকে চিনি - লক্ষ্যকেও।

রেজাউল করিম সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

The Green Mile ( review)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯



The Green Mile মুভিটি রিলিজের আজ ২১ বছর পূর্ণ হল।

স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন The Shawshank redumption এর মত বিখ্যাত সিনেমার পরিচালক ফ্রাঙ্ক ডারাবন্ট । শশাঙ্ক রিডাম্পশনের মতই গ্রীন মাইলও কারাগারের গল্প নিয়ে , গ্রিন মাইল হচ্ছে এমন একটি কারাগার যেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামীদের রাখা হয় এবং এখানেই ইলেকট্রিক চেয়ারে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মুভির শুরুটা হয় একটি বৃদ্ধাশ্রমে, যেখানে বৃদ্ধ পল এজকম্ব তার পরিচিত একজনকে গ্রিন মাইলের গল্প বলে। তারপর পল এজকম্ব ( টম হ্যাংকস ) এর স্মৃতির সুত্র ধরে পরিচালক আমাদের নিয়ে যান গ্রিন মাইলে। ১৯৩৫ সাল, এজকম্ব এখানে একটা ব্লকের অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন, সবকিছু স্বাভাবিকই চলছিলো কিন্তু দুইটি বাচ্চা মেয়েকে খুনের অপরাধে জন কফি ( মাইকেল ক্লার্ক ডানকান) নামে নতুন এক কয়েদীর আগমনের পর আশ্চর্য সব ঘটনা ঘটতে থাকে। এজকম্বের কিছুদিন থেকে প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছিলো কিন্তু দেখতে ভয়ানক আচরণে সরল জন কফি তার এই রোগ সাড়িয়ে দেয়। তার এইসব অনেকটাই অলৌকিক কাজ দেখে এবং তার ভালো আচরণের কারণে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে গিয়ে সকলেই জটিল এক নৈতিকতার দ্বন্দ্বে পরে যায়। জেলের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করতে চায় না যে জন কফি আসলেই দুইটা ফুটফুটে বাচ্চাকে ধর্ষনের পর খুন করতে পারে। এই চলচ্চিত্রে মূল চরিত্র যদি কাউকে বলতে হয় তাহলে সে জন কফি।
বিচার ব্যাবস্থা পুরোপুরি নিখুঁত নয় , সকল সময় আসল অপরাধী শাস্তি পায় না কখনো কখনো ভূল লোককেও অন্যের অপরাধে শাস্তি পেতে হয়। একেবারে নিখুঁত কোন ব্যাবস্থাও সম্ভব না আসলে। জন কফি এরকম একটি উদাহরণ।

আবার আইন একজন অপরাধীকে যে শাস্তি দেয় তার বাইরে আর কোন নিষ্ঠুরতা তার উপর করা অনুচিত, মুভিতে এডওয়ার্ড ডেলোরিক্সের মৃত্যুদণ্ডের মত দৃশ্য আমাদের সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে বোঝায়। জীবনের শেষ কটাদিন কারাগারে থাকলেও কয়েদী এবং কারারক্ষীদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয়। আইনের চেয়েও মানবিকতার গুরুত্ব অনেক বেশি।

মুল দুইটি চরিত্রে টম হ্যাংকস এবং মাইকেল ক্লার্ক ডানকান অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পুরো সিনেমায় সবচেয়ে সাবলিল আর প্রাণবন্ত অভিনয় মনে হয়েছে পার্সি ওয়েটমোর ( ডাফ হাচিসন ) , ওয়াইল্ড বিলি ওয়ার্টনের ভূমিকায় স্যাম রকওয়েল এবং এডওয়ার্ড ডেলোরিক্সের ভূমিকায় মাইকেল জেটারের অভিনয়। তিনজনেই অনবদ্য ছিলেন পুরো সময়জুড়ে। ২



কারারক্ষীদের সকলেই মনে করে জন কফি খুন করেনি, জন কফি পল এজকম্বকে তার বিশেষ ক্ষমতাবলে অতীতের কিছু দৃশ্য দেখায় যাতে এজকম্ব নিজেও সন্দিহান হয়ে যায় যে জন কফি আসলেই খুনি কিনা। পুরো সিনেমাতে ডেলোরিক্স, এজকম্ব, জন কফি অন্যদিকে পার্সি ওয়েটমোর আর ওয়াইল্ড বিলি মিলে ভালোমন্দের একটা দ্বন্দ্ব তৈরি করে যা সিনেমাটিকে গতি দেয়। শেষ পর্যন্ত আসলেই কি হয়, জন কফি কিংবা আর সকলের নিয়তি পরিচালক কীভাবে নির্ধারণ করেন সেটা জানতে হলে দেখতে হবে গ্রিন মাইল মুভিটি।

পরিচালক ফ্রাঙ্ক ডারাবন্টের শশাঙ্ক রিডাম্পশন মুভিটি IMDB র টপ রেটেড মুভি। গ্রিন টপ ৫০ মুভিতে আছে এই গ্রীন মাইল।

IMDB রেটিংয়ে ৮.৬

আমি মুভিটিকে দিবো ৮।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই মুভিটা দেখা হয় নি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: দেখে ফেলেন ভাই।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪

পাজী-পোলা বলেছেন: অনেক সুন্দর, ভালো লাগছে। অসাধারণ একটা মুভি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: হ্যাঁ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.