![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমাইলে চোখে দেখি না, জাইগা থাকলে ঘুম আসে না! টেনশনে থাকি ইদানিং কারন একটা জিনিস চিন্তা কইরা পাই না যে কি নিয়া চিন্তা করন যায়! আজব বিলা!
লর্ড ক্লাইভ ছিলেন একজন বেনিয়া। বেনিয়া জানে কিভাবে ব্যাবসা করতে হয়। তার কাজই ছিলো যেভাবেই হোক কোম্পানীর কার্যক্রম এবং তার পন্যের উৎপাদন নির্বিঘ্নে সমুন্নত রাখা। তার জন্য তাকে কতগুলো মিথ্যা কথা বলতে হবে অথবা কত গ্যালন রক্তের বন্য বইয়ে দিতে হবে অথবা মানবতার সংজ্ঞাকে মেনে চলতে হবে সেরকম কোনো চুক্তি ছিলো না বৈকি।
সমস্যা হলো তৎকালীন সময়ে বাঙ্গালী বড় বেশী স হজ সরল ছিলো। বছরান্তে পাওয়া গোলাভরা ধান আর দিন শেষে ঘেটপুত্রের গান শুনেই বড্ড চলে যাচ্ছিলো। তারই প্রতিরূপ ছিলো যুবক রাজা নবাব সিরাজদ্দৌলা। বিশ্বাসের ঢেকী নিয়ে বসেছিলেন, মীরজাফরের মতো কোনো এক কুলাঙ্গার তার খুব সাহচার্যে থেকে পুরো জাতীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। আমরা উপহার পেলাম ২০০ বছরের গোলামী।
সেই তখন থেকে কোনো বাঙ্গালী তার সন্তানের নাম মীরজাফর রাখেনি, কেউ নিমক হারামী করলে তাকে মীরজাফর নামেই ডাকি।
কিন্তু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। ৭১ এও হয়েছিলো। তবে এবার ভাগ্যটা শাসকের পক্ষে রায় দেয় নি। খোদ আল্লাহ মুখ তুলে তাকিয়েছিলেন আর তাই পেলাম এক সাগরও রক্তের বিনিময়ে এই বাংলার স্বাধীনতা। এবার আর বেনিয়া বা হানাদারের গোলামীকে বরমাল্য হিসেবে বরন করিনি। আবার মাথা পেতে হয়নি পাকিস্তান নামের এক বর্বর জাতীর নৃশংস শাসনরীতি।
সমস্যা হলো ব্রিটিশদের পাকিস্তানীদের এক অসাধারন মিল আছে। ব্রিটিশরা মীরজাফরদের পুরস্কৃত করে মসনদে পুনর্বাসিত করেছিলো। তদুপরী পাকিস্তানীরা রেখে গিয়েছিলো ব হাল তবিয়তে তার এরকম হাজারো মীরজাফর নামের কসাই। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয় এদেশেরই লোকজন দিয়ে, একসময় তারাও মসনদে বসে। নিমক হারামীর ক্ষয়রোগ ছড়িয়ে দেয় পুরো দেশভর।
এদের নাম জামাত শিবির: আধুনিক মীরজাফরের বংশধর।
দু'একদিন আগে সেরকমই এক আধুনিক মীরজাফর বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হলো। আমার মাঝে খুব বেশী প্রতক্রিয়া হয়নি। কারন আমি আমরা বদলে গেছি। আমরা মীরজাফরকে মনে প্রানে ঘৃনা করেছিলাম কারন তখন আমরা স্বাধীনতাটা পাইনি। সেই ক্ষোভ ঝাড়ছি এখনও।
যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতো তাহলে অবশ্যই আমরা এসব মীরজাফরদেরকে জাতীগত ভাবে ঘৃনা করতে পারতাম। এখন ঘটনাটা এমন মনে হলো কোনো এক জায়গায় কিছু ধর্ষন হত্যা হয়েছিলো, সেই অপরাধের হোতার সাজা হয়েছে। যেহেতু আমার তাতে কোনো সম্পর্ক নেই তাই তাতে কিছু যায় আসে না। রায় যেহেতু হয়েই গেছে সেহেতু মানুষের মনে একটা স্বস্তির ভাবও ফুটে উঠেছে।
আমরা ভুলে যাই জার্মানীর নাৎসীরা এখনও রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি পায়নি। নির্বাচন করার তো প্রশ্নই উঠেনা। এরকম করে বিভিন্ন দেশে এরকম মীরজাফরদেরকে সমান সুযোগ না দিয়ে বরংচ তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে এবং তার সমর্থকদের দেখা মাত্র গ্রেফতার করা হয়। আফসোস, আমার দেশেই দেখা যায় এসব আধুনা কসাই প্রকৃতির মীরজাফরদেরকে শিক্ষিত নতুন প্রজন্মরা কি সুন্দর সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের দেশটা নানা সমস্যায় আবর্তিত হচ্ছে। যাদের আলোকবর্তিকা হাতে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা তারা স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ক্ষমতার লোভে পড়ে জাতীকে চুষে খাচ্ছে। আমরা আমজনতা এসবের পরিবর্তনে ব্যার্থ হয়ে হতাশায় কবলিত হই এবং নিজের বিবেক সত্বাকে প্রতিদিন স্বার্থপরতার আবরনে এর টুটি চেপে ধরি। যখন আর পারছি না অথবা নিজের অস্তিত্ব পুরোপুরি পরাজিত হয় তখন আমাদের ঘৃন্য রূপটি বেরিয়ে আসছে আর নিজেদের হাত নিজেরাই কামড়ে ধরছি।
ভালো একটা ডিগ্রী তারপর একটা চাকুরী সেখানে ঘুষ খেয়ে দুর্নীতি অথবা পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোনো অবৈধ ব্যাবসার মাধ্যমে একটা সুন্দর ফ্লাট করা তারপর সেখানে নিজের বংশবৃদ্ধি করা। আত্বপলব্ধির প্রবোধ গুনে নিজেকে সান্তনা দেয়া এই ভেবে যে আমার ভবিষ্যত বংশধরের ভবিষ্যত সুরক্ষা করা। কিন্তু আমরা কোথায় রেখে যাচ্ছি বলুনতো?
ছাত্রলীগ ক্ষমতায় আসলে প্রথমে ধর্ষন দিয়ে শুরু করে, তারপর সেটাকে ছড়িয়ে দেয় তৃনমূল পর্যায়ে। ধর্ষনের পর ভিডিও করা হয় সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তার সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দখলের রাজত্ব, সাধারন মানুষের রক্ত বইয়ে দেয়া। তাদেরকে রক্ষা করতে গিয়ে সরকারের মন্ত্রি এমপিরা উঠে পড়ে লাগে। এ যেন এমন যে লর্ড ক্লাইভের ভূমিকায় আওয়ামী সরকার আবর্তিত হয়।
এ সুযোগটাই নেয়, মীরজাফরগুলো শক্তি বৃদ্ধি করে। বিধ্বস্ত আমজনতা সংক্রমিত হয় আরও ভয়াবহ গ্যাংগ্রীনে।
জামাত শিবির নামের এই ভয়াবহ গ্যাংগ্রীনকে অবশ্যই অবৈধ ঘোষনা করার সময় এসেছে। লর্ড ক্লাইভের ভূমিকা থেকে যদি একদিনের জন্য হলেও সৎ হবার দুঃসাহস দেখায় আওয়ামীলীগ তাহলে জামাত শিবিরকে হত্যা করার বৈধতা দিক।
আর আগামীর নির্বাচনে এদের অযোগ্য ঘোষনা করো হোক। তারপরও জন গন যদি নির্বাচনে এরকম সাক্ষাৎ জল্লাদসম লীগ বা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসায় তাহলে বলতেই হয় জামাত শিবিরের মতো গ্যাংগ্রীনে ভোগার জন্য আমরাই শ্রেষ্ঠ জাতী।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
যাযাবরমন বলেছেন: ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা রাজনিতি করে তাদের ফাসি চাই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: মুখের কথা হলো কথার কথা। আর তাই দেখুন গ্যাংগ্রীন এখন কিন্তু বাস্তবতা।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আবুল কালাম আযাদ নামে যিনি ধর্ম বিষয়ে বয়ান দিয়ে বেড়াতেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে।
চ্যানেলগুলোর কি এখন শরম লাগে না!!???
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: শেয়ার বাজারে লীগের বিভিন্ন নেতা স হ এই ফালুও জড়িত ছিলেন। এছাড়া উনি গরীব মানুষের টিনের চাল মেরে দিয়ে তার ফ্যাক্টরীর লোকদের থাকবার জন্য ঘরও বানিয়ে দিয়েছিলেন।¨
ধর্ষক চোর ডাকাতের কাছ থেকে যদি আপনি লজ্জা আশা করেন, তাহলে আমার আর কিছু বলার নাই।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
অল্পভাষী বলেছেন: লর্ড ক্লাইভের ভূমিকা থেকে যদি একদিনের জন্য হলেও সৎ হবার দুঃসাহস দেখায় আওয়ামীলীগ তাহলে জামাত শিবিরকে হত্যা করার বৈধতা দিক।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৬
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: হুমমমম
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
অজানাবন্ধু বলেছেন: @ ঘুমাইলে চোখে দেখি না!
ভাইজান আপনাদের দু জনকেই ধন্যবাদ। অনেক অনেক .........ধন্যবাদ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৬
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
বাঁশ বাগান বলেছেন: বাংলাদেশে এখন হত্যা করাটা সোজা এমনকি দিনে দুপুরে ধাওয়া করে। সুতরাং দেরী কেন, শুরু করে দিন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: তা ঠিক। গোপাল কৃষ্ঞ মুহুরী, সীমাকে শিবির-দলের নেতাদের গনধর্ষন থেকে শুরু করে ইদানিংকার বিশ্বজিত। তারপরও বলবেন শিবির খুব ভালো, ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না। ওটাকেও ধর্ষন করে ছাড়ে!
পেডোফাইল ছ্যাচ্চর!
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: আপনি কাঠাল পাতা খেতে পারেন! আপনাদের জন্য গলায় দড়ি আর কাঠাল পাতা এ দুটো ছাড়া আর কিছুই নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: বাচ্চু রাজাকারের কু কীর্তি:
স্কুলের এক ম্যাডামের প্রতি ফরিদপুর এলাকার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রটার লোলুপ দৃষ্টি ছিলো বহু আগে থেকেই। শুরু থেকেই সে একটা মোক্ষম সুযোগ খুজছিলো।
সে কলেজে থাকাকালীন সময়েই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ছাত্রটিও পেয়ে গেলো সুযোগ। পাকি সেনাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে নিজস্ব এক মিলিটারি বাহিনী তৈরী করে। নাম দেয় খাড়দিয়ার মেলিটারী বাহিনী।
পাক- বাহিনীর দোসর এই বাহিনী খাড়দিয়ার আশে পাশের প্রায় ৫০ গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চালায় তান্ডবলীলা। ঐ এলাকার বহু মানুষকে হত্যা করে সে ব্রীজ থেকে নদীতে ফেলে দিত।
নারীলোভীটা ক্ষমতা পেয়ে ঐ শিক্ষিকাকে যুদ্ধের সময় জঘন্যভাবে সম্ভ্রমহরণ করে- সে ঐ মহিলার সমস্ত শরীর ছিন্নভিন্ন করে ফেলে, কামড়ে শরীরের অনেক অঙ্গ ছিড়েও ফেলে। এমনকি তাকে সন্তান ধারনে অক্ষম পর্যন্ত করে দেয়।
শুধু তাই নয় ঐ এলাকার বহু মহিলাকে এনে সে একঘরে আটকে রাখে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সম্ভ্রমহরণ করে।
এক ব্যক্তি তাকে বলে: “এই তুই মসজিদে ইমাম সাহেবের ছেলে হয়ে এগুলো কি করছিস।”
সে তখন সবার সামনে তৎক্ষণাৎ ঐ ব্যক্তি লাথি মেরে ফেলে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।এই ঘটনাটা শোনায় নটরডেমের এক কেমিস্ট্রি টিচার। যার পরিবারের ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করে এই নরপশুটা।
ঠিকই অনুমান করেছেন। এই পশুটাই তার এলাকায় “খাড়দিয়ার বাচ্চু” নামে পরিচিত। আমরা চিনি বাচ্চু রাজাকার নামে। আবুল কালাম আযাদ নামে যিনি ধর্ম বিষয়ে বয়ান দিয়ে বেড়াতেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। আজ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এই পশুটার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ দেখি নি, কিন্তু জাতির কলঙ্ক মুক্তির এই দিনটি যারা দেখে যেতে পারছে আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন।
স্ট্যাটাস কৃতজ্ঞতা-শাহজাহান সিরাজ