![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমাইলে চোখে দেখি না, জাইগা থাকলে ঘুম আসে না! টেনশনে থাকি ইদানিং কারন একটা জিনিস চিন্তা কইরা পাই না যে কি নিয়া চিন্তা করন যায়! আজব বিলা!
১.
বসন্তের ঝিরিঝিরি বাতাসে শুকনো ডালে নতুন পাতার কলিগুলো উকি দিচ্ছিলো। রুমানা খোলা চুলে পার্কের খালি বেন্ঞ্চে বসে আনমনে গেথে চলেছিলো স্মৃতিদের কথামালা। এমন সময় শফিকের ফোনে ঘোর লাগা ভেঙ্গে যায়।
: এসএমএসের জবাব দিলে না যে?
: খেয়াল করিনি।
: কি হলো বলতো? গত দুদিন ধরে তুমি হঠাৎ আনমনা! কিছু হয়েছে?
: কই নাতো!
: আজকে রাতে একটা ডিনার পার্টি আছে। চলো না যাই!
: না শফিক, আমার একটু স্পেস দরকার।
: ওকে। খুব দেখতে মন চাইছে। কাল দেখা হবে?
: আমি জানাবো।
রুমানা ফোনটা কেটে দিয়ে অনুভব করলো ঘোর লাগা অনুভূতিটা আর নেই। কোথ্থেকে এক তেতো স্বাদ মনকে গ্রাস করেছে। রুমানা উঠে দাড়া্য। রুমানার চুল গুলো বাতাসে কখনো মুখ জুড়ে কখনোবা পিঠে উপর খেলা করছে। রুমানা জানে না তাকে এখন কতটা সুন্দর লাগছে। ইসস! শফিক যদি দেখতো সেই চোখ দিয়ে, হয়তো সেই অনুভূতিটুকুর জন্যই রুমানা স্বপ্ন দেখেছিলো।
২.
শফিকের হাতে টিউলিপের বুকি। লেকের নীল পানিতে এক অসাধারন নীরব সুর কানে ভেসে আসে। রুমানার গায়ে আজ নীল টি শার্ট, হাতাকাটা। হাতের রং রোদের আলোতে দুধে আলতা। চুলের মাঝখানে সিথিতে দুই পাশে বেয়ে গেছে, রোদের আলোতে শান্ত জলরাশির মতোই খেলা করছে রুমানার চুল। রুমানার আনমনা ভাবই শফিককে বার বার কাছে টেনে।
: বাহ! ফুল গুলো তো খুব সুন্দর। আমার জন্য?
: না, লেকের পাশে এই জঙ্গলে পুতে রাখার জন্য এনেছি।
: আর বলতে হবে না। দাও ফুল দাও। চলো আজকে কোথাও লান্ঞ্চ করি।
: না কোথাও লান্ঞ্চ করতে যেতে হবে না। গ্রীলের জন্য সবকিছু এনেছি। গ্রীল খাবো আর গ্রীল শেষে রেড ওয়াইন।
: ওকে
শফিক সবকিছু সাজিয়েই রেখেছিলো। কয়লায় আগুন ধরিয়ে দেখতে লাগলো রুমানা একা দাড়িয়ে লেকের সামনে। শফিকের পেছনের পকেটে রিংটা কখন দেবে বুঝতে পারছে না। এমন সময় রুমানা সামনে এসে দাড়ালো।
: শফিক তোমাকে একটা কথা বলি?
: বলো।
: গত মাসের প্রথম শনিবার মনে আছে আমি তোমাকে ডেকেছিলাম। তুমি বলেছিলে অফিসের কাছে তুমি শহরের বাইরে আছো। আমি তোমাকে খুব মিস করেছিলাম। তোমাকে একটা কথা বলতে চেয়ে ছিলাম।
: কি কথা? এখন কি বলা যায়?
: অবশ্যই বলা যায়। আমি থিতু হতে চাচ্ছিলাম।
শফিকের মনটা খুশিতে ভরে গেলো। মনে হলো যে কথাটা কিভাবে বলবে যার জন্য সপ্তাহ ভর রিহার্সাল দেয়া সে কথাটা এতো স হজে বলে রুমানাই বলে দেবে এ যেনো এক আশ্চর্য্যের ব্যাপার।
: কিন্তু কি ভেবে দুঃখ লাগছিলো জানো? যখন ফেসবুকের ঐ শহরের বাইরে থাকার ম্যাসেজটায় লোকেশন অন ছিলো আর সেখানে দেখাচ্ছিলো তুমি ঐ শহরেই ছিলে। আর সবচেয়ে অবাক ব্যাপার কি জানো? তার পরদিন যখন তোমার অফিসে গেলাম তখন তোমার পিএ র কাছেই জানতে পারলাম তোমরা একসাথে ডিনার করেছো। তোমার অধিকার আছে এসব কিছু করার, কিন্তু আমাকে মিথ্যে বলার তো কিছু ছিলো না, তাই না? আমরা তো তখনও কমিটম্যান্টে যাই নি! তাহলে কেন মিথ্যে বললে?
শফিকের মুখের হাসিটা এক সেকেন্ডে বিলীন হয়ে গেলো কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না। গ্রীল গুলো পুড়ে যাচ্ছে আগুনের আচে সেখানে আর খেয়াল নেই।
রুমানা বলে চললো,"সরি শফিক, তোমার টিউলিপগুলো এই জঙ্গলেই ফেলে রাখতে হবে আজ। আমি গত পুরোটা সপ্তাহ এজন্যই স্পেস নিয়েছিলাম। ভালো থেকো!"
রুমানা শান্ত ভঙ্গিতে বাস স্ট্যান্ডের দিকে হাটতে শুরু করলো।
বিঃদ্রঃ গল্পটি ফেসবুকের এই গ্রুপটিতে পোস্টানোর হয়েছিলো। আপনারা সবাই লাইক করুন একবার।
©somewhere in net ltd.