![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নিজস্ব মতামত ও আমার প্রকাশিত সংবাদগুলো এখানে প্রকাশের জন্য ব্লগটি খুলেছি
সিলেটে পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে
মো. নজরুল ইসলাম : পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠছে সিলেটের গরুর হাট। ঈদের বাকী আর তিন দিন। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু উঠলেও সে তুলনায় ক্রেতা সমাগম কম। সিলেটের একমাত্র গুরুর হাট কাজির বাজার ঘুরে দেখা যায়,দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সাইজের গরু ও ছাগল বাজারে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্রেতারা নিয়ে এসেছেন গরু-ছাগল। এখনো ট্রাক ভরে আসছে গরু। এছাড়া ভারত ও নেপালের গরুও রয়েছে কাজির বাজার গরুর হাটে। এদিকে, প্রচন্ড গরম সহ্য করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন ফার্মের গুরুর ব্যবসায়ীরা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বাজারে বসানো হয়েছে জাল নোট সনাক্ত করণ বুথ ও জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে চিকিৎসক। আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে দেশে আসতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা। অনেকে তাৎক্ষনিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হুয়াটসঅ্যাপ ও ফেইসবুকের মাধ্যমে গরুর ছবি পাঠিয়ে ক্রয় করছেন পছন্দের গরু।
সিলেটের সবচেয়ে বড় পশুর হাট কাজিরবাজার। দীর্ঘ দিন থেকে এখানে বসে গরু-ছাগলের হাট। সিলেটের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এখান থেকে গরু-ছাগল কুরবানীর জন্য ক্রয় করে থাকেন। সিলেট অঞ্চলের মন্ত্রী-এমপি সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সিলেটের অধিকাংশ ক্রেতা সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কাজির বাজার গরুর হাটে আসেন গরু-ছাগল কিনতে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে বেপারীরা গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। তবে কাঙ্খিত ক্রেতা এখনো আসছেন না। তবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা এবং আগামীকাল শুক্রবার থেকে জমে উঠবে হাট।
বাজার ঘুরতে আসা সিলেট জনতা ব্যাংকের জিএম মাহমুদুল হক ও ডিজিএম মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, কুরবানীনর জন্য আমরা গরু কিনতে আসছি। কিন্তু বাজারে গরু-ছাগলের দাম চড়া। দরকষা-কষি করেও দাম কমাচ্ছে না। ন্যায্যমুল্যে দেশীয় ভালো গরু কিনতে চাই। গ্রোথ হরমোন কিংবা স্টেরয়েডমুক্ত গরু কিনতে আমরা বাজার ঘুরে দেখছি।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় এবার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী দেশে এসেছেন। দুবাই থেকে দেশে আসা প্রবাসী ইদ্রিস আলী জানান, সব সময় ছুটি পাওয়া যায় না। কোরবানী দেয়ার জন্য তিনি কাজিরবাজারে পছন্দের গরু খোজঁ করছেন বলে জানান।
গরু কিনে যাওয়ার পথে রাসেল আহমদ জানান, অনেক দর কষা-কষি করে কিনতে হয়েছে। নিজের গুরু দেখিয়ে তিনি বলেন, এটার দাম চেয়ে ছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা। সকাল থেকে দাম-দর করে সাড়ে তেত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। কাগজপত্র সহ দাম পড়েছে প্রায় পয়ত্রিশ হাজার টাকা।
ঝিনাইদহ থেকে একত্রিশটি গরু নিয়ে আসা মন্টু মিয়া জানান, একত্রিশটি গরুর মধ্যে এখন পর্যন্ত একসাথে তিনটি গরু দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছি। আমার কাছে ষাট হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা দামের দেশীয় গরু রয়েছে।
সত্তার আহমদ জানান, ইন্ডিয়া থেকে নিয়ে আসা চৌত্রিশটি গরুর মধ্যে বারটি গরু বিক্রি করেছি। প্রতিটি গরুর দাম একলাখ ত্রিশ হাজার থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজারের মধ্যে রয়েছে। ইন্ডিয়া থেকে কিনে নিয়ে আসছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্ডার থেকে কিনে নিয়ে এসেছেন।
উত্তর ভাগ, পাচঁ মাইলের গরু ব্যবসায়ী সাধন ও ফজলু মেম্বার জানান, ছোট-বড় ৯২টি নেপালের গরু বেনাপোল থেকে কিনে নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে দুটি গরু বিক্রি করেছেন, পঞ্চাশ হাজার ও বায়ান্ন হাজার টাকা দামে।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের গরুর ব্যসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। বিক্রেতা জানান, ফ্যানের নিচে থাকা গরু গুলো প্রচন্ড গরম সহ্য করতে পারছে না। ফলে এসব গরু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নেয়ার জায়গাও খুজেঁ পাচ্ছে না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেটের তত্ত্বাবধানে জাল নোট সনাক্ত করণ বুথের উদ্বোধন করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেটের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ব্যাংকের রিজিওনাল ম্যানেজার সৈয়দ এহসানুর রেজা। প্রথমদিন ঢাকা ব্যাংকের তত্বাবধানে বুথ পরিচালিত হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে জনতা ব্যাংকে সহ অন্যান ব্যাংকের তত্বাবধানে পরিচালিত হবে বলে বুথে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান। আজ বৃহ্সপতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ঈদের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত নিরবচিহ্নভাবে এ বুথের কার্যক্রম চলবে।
জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা. আতাউর রহমান ও টেকনিক্যাল স্টাফ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষনিক অসুস্থ পশুর চিকিৎসার জন্য জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের অধীনে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ঈদের পরদিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত করে ৭তারিখ পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
©somewhere in net ltd.