নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপোর্টার নজরুল ইসলাম

সিলেটের একটি প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া-লেখার পাশাপাশি একটি সিলেটের লোকাল অনলাইন পোর্টালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছি।

মো. নজরুল ইসলাম

আমার নিজস্ব মতামত ও আমার প্রকাশিত সংবাদগুলো এখানে প্রকাশের জন্য ব্লগটি খুলেছি

মো. নজরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিলেট নগরীতে অবৈধ পশুর হাটে সয়লাব

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

সিলেট নগরীতে অবৈধ পশুর হাটে সয়লাব

মো. নজরুল ইসলাম :: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নগরীর কাজির বাজার গরুর হাট ব্যাতিত আর কোথাও পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেয়নি সিলেট সিটি কর্পোরেশন। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় অবৈধ পশুর হাটে সয়লাব। দিন-রাত মাইক চালিয়ে চলছে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়। হঠাৎ এমন মাইকের শব্দে মানসিক যন্ত্রনায় পরেছেন হাট এলাকার বাসিন্দারা। বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানীগুলোও তাদের প্রচারণার জন্য প্রতিটি হাটের সামনে দিয়েছে বিশাল আকারের তুরণ।

নগরীর ল’কলেজ সংলগ্ন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড, মাছিমপুর ক্রীড়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন চালিবন্দর-উপশহর সড়ক, সোবহানীঘাট ময়না মিয়ার জায়গা, গ্যাস অফিস সংলগ্ন মাছিমপুর সড়ক, দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ায় সুরমার নদীর তীরে, আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডে, আখালিয়া, মদীনা মার্কেট, রিকাবিবাজার, বাগবাড়ি এলাকায় পশুর হাট বসানো হয়েছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি প্রাপ্ত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কাজির বাজার গরুর হাটের ইজারা প্রাপ্তরা পরেছেন বিপাকে। নগরীরর প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত গরুর হাট গুলোর জন্য নগরীতে গরু নিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না গরু ব্যবসায়ীরা। অনেক গরু ব্যবসায়ীর উপর হামলার খবরও পাওয়া গেছে।

কাজির বাজার গরুর হাটের জেনারের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলন অভিযোগ করে বলেন, নগরীর চালিবন্দর ও ছোবহানী ঘাটে অবৈধ গরুর হাটের লোকজন গরু ব্যবসায়ীদের কাজির বাজারে আসতে দিচ্ছে না। গরু নিয়ে আসতে চাইলে জোর পূর্বক তাদের সেখানে গরু বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি গরু ব্যবসায়ীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং তাদের কাছে চাঁদাও দাবি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এমন অবস্থা দেখে অনেক ব্যবসায়ী সিলেট গরু নিয়ে না এসে অন্যত্র বিক্রি করতে চলে যাচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে কাজির বাজারে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে আসতে পারবেন না, যার ফলশ্রুতিতে এখানকার গরুর দাম প্রচন্ড আকাঁরে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। তিনি আরো জানান, পুলিশও এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, একমাত্র কাজিরবাজার বৈধ পশুর হাট ছাড়া নগরীতে পশুর হাট বসানোর ইজারা বা অনুমতি দেয়নি সিটি করপোরেশন। এরপরও অবৈধ হাট বসলে উচ্ছেদের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

সিলেট সিটি করর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, এবার নগরীতে পশুর হাট বসানোর জন্য কোনো অনুমতি কিংবা ইজারা দেয়নি সিটি করপোরেশন। এ ব্যাপারে পুলিশকে এ্যাকশন নিতে বলা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এসএম রুকন উদ্দিন বলেন, সিটি করপোরেশন অবৈধ পশুর হাট উচ্ছেদ করতে চাইলে পুলিশী সহায়তা নিতে পারে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.