![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে যারা রাজিব হায়দার (থাবা বাবা) কে নাস্তিক নাস্তিক বলে লাফাচ্ছেন তাঁরা কি রাজিব এর জানাজা দেখেছেন ? ১ লক্ষের ও বেশি মানুষ তার জানাজায় অংশগ্রহন করেছে । দেশের বৃহত্তম জানাজার একটি ছিল এটি । মানুষ আস্তিক বা নাস্তিক বিবেচনা করে জানাজায় অংশগ্রহন করেনি । তারা অংশগ্রহন করেছে জামাত-শিবির বিরোধী এবং শাহবাগ আন্দোলনের একজন যোদ্ধার জানাজায় ।
আজকে যারা রাজিব এর সমালোচনায় পঞ্চমুখ সেইসব ভদ্র মহোদয়/ মহোদয়া গণ দয়া করে বলবেন এতদিন কোথায় ছিলেন আপনারা ? তার সমালোচিত লেখা গুলো তে আপনাদের মত বিবেক বান মহান মানুষ দের কোন কমেন্ট নেই কেন ? নাকি তাকে নিয়ে সমালোচনার শ্রেষ্ঠ সময় আজ ? ধিক্কার আপনাদের প্রতি যারা আজ একজন মৃত ব্যাক্তি কে নিয়ে সমালোচনা করছেন ।
আমি তার ব্লগ দেখেছি এবং ইসলাম নিয়ে কিছু আপত্তিকর কথা ও দেখেছি । আরে ভাই উনি আমাদের ধর্ম কে নিয়ে এত উল্টাপাল্টা কথাবার্তা লিখলেন কেন তখন ই তার বিরুদ্ধে আপনারা লিখলেন না ? আমার কথা হচ্ছে তখন কেন মডারেশন প্যানেল সেইগুলিকে আপত্তিকর পোস্ট হিসেবে চিন্হিত করে মুছে দিলনা ? তার পূর্বের কিছু পোস্ট নিয়ে আজ কত মানুষ ই না কত ভাবে লাফাচ্ছেন ! তখন কেন আপনারা এর প্রতিবাদ জানান নি ? তখন কি আপনারা মুখে কলপ এঁটে রেখেছিলেন ? নাকি তখন আপনাদের কি-বোর্ড এর কালি ফুরিয়ে গিয়েছিল ?
এরপর আরেক টা বিষয় লক্ষনীয় যে , কোন এক ব্লগে থাবা বাবার নাম দিয়ে লেখা ছিল যেন তার খুনের মামলা চাপা পড়ে যায় আর আমরা যেন তাকে ঘৃনা করি। হাহাহাহাহাহা ! তিনি কি জানতেন নাকি যে তাকে খুন করা হবে ? অদ্ভুত ! এইরকম একটা গাঁজাখোরি লেখা ও আজ আমাদের কে বিশ্বাস করতে হবে ? এতেই আমাদের কাছে অনেক টা পরিস্কার হয়ে যায় যে তাকে পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে।
যারা আজ তাকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, ছেলেটা মূলত জামাত-শিবির এর বিরোধিতা করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ই হয়তো খুন হয়েছেন। আশা করি এই ব্যাপারে আপনারা কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না । সুতরাং নাস্তিকতার বিষয় টা কে নিয়ে এখন তার সমালোচনা করে কি হবে? জামাত-শিবির এর বিরুদ্ধে লেখার জন্য এবং শাহবাগ আন্দোলনে একজন যোদ্ধা হিসেবে যে তাকে আজ প্রান দিতে হল আপনারা সেই বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করুন ।
আজ তার খুনের রহস্য কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে, এর মূল অপরাধীদের কে আড়াল করতে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে জামাত-শিবির এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার ও চালানো হচ্ছে । এইসব কুকর্ম অবশ্যই তারা করছে যারা তার খুনের সাথে জড়িত। এটা হল জামাত-শিবির এর নতুন চক্রান্ত , তারা চায় শাহবাগ আন্দোলন ভন্ডুল হয়ে যাক।
আমরা ও স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই আমাদের এই আন্দোলন চলছে , এই আন্দোলন চলবে । শুধু জামাত-শিবির কেন , কোন অপশক্তি ই আমাদের এই আন্দোলন কে ভন্ডুল করতে পারবেনা । আমরা রাজপথে ছিলাম,আছি এবং থাকবো । জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধী দের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত এই রাজপথ ছাড়বো না ।
রাজিব তুমি এই প্রজন্মের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তোমার রক্ত আমরা বৃথা যেতে দিবোনা । এর প্রতিশোধ আমরা নিবোই নিবো । রাজিব তুমি বেঁচে আছো , বেঁচে থাকবে এই ১৬ কোটি বাঙ্গালীর হৃদয় এ । জয় বাংলা ! জয় বাংলা !
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
তৌসিফ এলাহী রিসাদ বলেছেন: সেটাই আমাদের ধর্মকে রাজীব ভুল বুঝলেও আমরা চাইবো বিধাতা তাকে ক্ষমা করে দিন অথবা বিধাতার ইচ্ছে অনুযায়ী কর্মের ফল দিবেন সেখানে আমাদের মতামত দেয়ার কিছু নেই ।
দুরন্ত সাহসী , আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা । আপনি অসম্ভব ভাল লিখেছেন । ভালো থাকবেন ।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আপনার সাে থ সহ মত
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
রিমন০০৭ বলেছেন: জি হ্যাঁ অবশেষে দেশপ্রেম, মানবতা এবং ধর্মিয় অনুভূতিকে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ করে সাজানো হয়েছে। অনেকের ভাবখানা এমন যে, তুই বেটা দেশপ্রেমিক, তুই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁশি চাস সবই বুঝলাম। কিন্তু তুই রাজিব হায়দারের মত নাস্তিকের নির্মম মৃত্যকে নৃশংসতা মনে করিস তার মানে তুই আসলে ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করিস না। তুই মুসলিম না। ওর মত নাস্তিকের তো এমনই শাস্তি হওয়া উচিৎ। একজন নাস্তিকের তো দেশপ্রেম বলে কিছুই থাকতে পারে না! জাশি পৃথিবী থেকে একজন পাপিষ্ঠকে নিঃশেষ করেছে।
আন্দোলন শুরু হয়েছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে, সেই আন্দোলন এখন চলে এসেছে আস্তিক-নাস্তিক ক্যাচাল নিয়ে। আল্লাহর নামে মানুষ খুন করলে, হাত পায়ের রগ কেটে দিলে সেইটা কিছু না। আর একজন মানুষ ব্যক্তি জীবনে নাস্তিক হইলেও সে যদি দেশপ্রেম দেখায় তাইলে সে পাপিষ্ঠ। থাবা বাবা যেন শাহবাগে গেসিলো নাস্তিকতার প্রচার করতে। যত্তসব।
চোখের উপর কালো কাপড় বেঁধে যারা অন্ধ হয়ে আছেন তা চোখ খুলুন। নইলে দেখা যাবে ধর্মিয় মূল্যবোধ এবং নাস্তিকতা নিয়ে আমরা চেঁচাতে থাকবো আর ঈশপের গল্পের মত করে মাঝখান দিয়ে পিছলে যাবে জাশি এবং যুদ্ধাপরাধীরা......
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
তৌসিফ এলাহী রিসাদ বলেছেন: আমার লেখার উদ্দেশ্য টা ও সেইটা ই । আমরা যেন আমাদের আন্দোলনের মূল জায়গা থেকে সরে আস্তিক নাস্তিক বিষয়ে মনোনিবেশ না করি। ধন্যবাদ রিমন ০০৭।
ভালো থাকবেন ।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এইসব ধর্মান্ধ কপট তপস্বীরা আপনাকে এখন চুশীল বলবে ...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
তৌসিফ এলাহী রিসাদ বলেছেন: ভাই কে কি বলবে না বলবে তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা ।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২
htusar বলেছেন: খুব ভাল লেখসেন।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১২
মশামামা বলেছেন:
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আজ জাগ্রত জনতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলো -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'
ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
তৌসিফ এলাহী রিসাদ বলেছেন: 'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।
ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫১
আত্নহত্যা বলেছেন: দেইখেছিরে ভাই দেইখেছি... সেইরকম এক জানাজা... গৃনীচ বুকে উঠানো উচিত... আস্তিক-নাস্তিক-হিন্দু-বোদ্ধ-খ্রিষ্টান সহ অজু ছাড়াই পৃথিবীর একমাত্র জানাজা। যেটা কিনা আসলে জানাজার নামে ভন্ড়ামী..
আর কত করবিরে....
থাবাবাবা যখন এই ধরনের লেখা লিখতেন, প্রতিবাদ করেছেন ??
লেখাগুলো কখনো পড়েছেন ??
কাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে সেই বিষয়ে কিন্তু ইসলামে নির্দেশনা দেয়া আছে, সেইটা কতটুকু মেনে চলেছেন ??
কোন উত্তর দেয়ার আগে থাবাবাবার লেখা গুলো আরেকবার পড়ে আসেন, একইসাথে খোজ নেন, যে মানুষটার জন্য আপনি সহানুভুতি দেখাতে চাচ্ছেন, একজন মুসলমান হিসেবে আপনার সেইরকম সহানুভুতি দেখানো যুক্তিযুক্ত কিনা। থাবাবাবারা যখন ইসলাম কে অবমাননা করে, তখন কই থাকেন ??
পরিশেষে, এই সব কথা বলার জন্য যে গালিটা খাব, সেটা নিজেকই দিয়া দিলাম...
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
তৌসিফ এলাহী রিসাদ বলেছেন: আত্মহত্যা,
থাবাবাবা যখন এই ধরনের লেখা লিখতেন তখন আপনার মতো সচেতন মানুষ কোথায় ছিলেন ? আপনি প্রতিবাদ করেছেন ? আমি সহানুভূতি দেখিয়েছি একজন শাহবাগ এর আন্দোলনকারীর প্রতি । অযথা আপনার সাথে তর্ক করার কোন ইচ্ছে ও নেই আমার। তর্ক করার ও একটা লেভেল আছে। যে ব্যাক্তি সেই লেভেলের তার সাথেই তর্ক করা উচিত । দয়া করে নিজের মাথা খাটিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করুন । মানুষের টা কপি পেস্ট করে আর কত দিন ?
আচ্ছা ভাই, ইসলাম নিয়ে এত বড় বড় কথা বললেন , ইসলাম কোথায় বলেছে নিজেকে গালি দিতে ? আর আপনি ভাবলেন কিভাবে যে , আপনাকে আমি গালি দিবো ? কি মন মানসিকতা ! মন মানসিকতা বড় করুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
দুরন্ত সাহসী বলেছেন:
একটু আগেই এই মন্তব্যটা অন্য একটা পোস্টে করেছিলাম,যারা রাজীবের ধর্মীয় মতাদর্শ নিয়ে হতাশ কিংবা কনফিউজড তাদের বলছি----
একটা কথা কেন সবাই ভুলে যাচ্ছে জানিনা, রাজিবকে আমরা একজন মুসলিম হিসেবে চিনিনা,চিনি একজন ব্লগার হিসেবে,আজকে শাহাবাগে আমরা ব্লগাররা আন্দোলন করছি ইসলামের পক্ষে বিপক্ষে নয়,এখানে আন্দোলন হচ্ছে মানবতা বিরুধীদের বিচার দাবিতে,যারা মানবতা লঙ্গন করেছে,যারা একাত্তরে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করেছে।আমরা রাজিবের আর কোন পরিচয় নিয়ে কথা বলতে চাইনা,সে একজন ব্লগার,তাকে মরতে হয়েছে শাহাবাগের আন্দলনে ভুমিকা রাখা হয়েছে বলে,ধরে নিলাম সে নাস্তিক এবং তা সে বহু আগে থেকেই ইসলাম বিদ্ধেষী,তাকে আগে যখন মারা হয়নি তাহলে বুঝবো রাজীব হত্যা শুধু মাত্র শাহাবাগ আন্দোলনের কারণ।
তাই সবাইকে বলবো আসুন,রাজীবের ধর্ম কি সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়,কারা তার জানাযা পরেছে কি পরেনি,উচিৎ কি অনুচিৎ সেই নিয়ে আমাদের বিতর্কে যাওয়ার কোন দরকার নেই, আমরা আমাদের একজন সহ ব্লগারকে হারিয়েছি এটাই আমাদের শোক শক্তি হোক।
যদি জানাযা নিয়ে কথা বলতে হয় তো বলবো একটা মৃত মানুষকে পচন থেকে বাঁচাতে হলে মাটি চাপা বা সলিল সমাধি অথবা দাহ করা হয়ে থাকে।আমরা যেহেতু মুসলিম আমাদের নিয়ম হলো মাটি চাপা দেয়া ,রাজীব যেহেতু মুসলিম পরিবারের এবং আমরা যেহেতু মাটি চাপা নিয়ে সৎকার করি এবং রাজীবের সৎকার যেহেতু আমাদেরকেই করতে হবে তো আমরা এভাবেই করেছি।আমাদের ধর্মকে রাজীব ভুল বুঝলেও আমরা চাইবো বিধাতা তাকে ক্ষমা করে দিন অথবা বিধাতার ইচ্ছে অনুযায়ী কর্মের ফল দিবেন সেখানে আমাদের মতামত দেয়ার কিছু নেই।
একটা ঘটনা বলি- এক ৮০ বছরের বৃদ্ধ মসজিদে থেকে দান করা খাদ্য খেতে গেলে জৈনক ইমাম সাহেব তাকে প্রশ্ন করলো নামাজ পড়েছে?নামাজ না পড়লে খাবার দেয়া হবেনা,তখন বৃদ্ধের বললো-আমি ৮০ বছর নামাজ পড়িনি,আল্লাহকে স্মরণ করিনি,কিন্তু আল্লাহ আমাকে ৮০ বছর পর্যন্ত প্রতি বেলা খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন,তিনি কখনো আমাকে প্রশ্ন করেনি নামাজ পড়েছি কিনা,আর আপনি ইমাম সাহেব এক বেলা খাওয়াবেন তাতেই এত শর্ত কেন?
এখানে আমার কথা হলো মানুষ ভুল করে,রাজীব ধর্ম চিন্তায় আমাদের মতে ভুল ছিলো।আমরা রাজিবের এই দিকটা নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে যেই কারণে এই ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলি,তার সমধান এবং আমাদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করি।
সার কথা রাজীব একজন ব্লগার, তাকে আমরা চিনেছি ব্লগার হিসেবে,মুসলিম হিসেবে নয়।
সবাই দেশের এই সময়ে একটু সচেতন থাকি যেন কোন অপ শক্তি আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিতে না পারে ধর্মের দোহাই দিয়ে।
চাই শিবির জামাতের বিলুপ্তি,চাই রাজাকারের ফাঁশি।
লেখক কে ধন্যবাদ