![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝির ঝির বৃষ্টিতে প্রায় কাকভেজা হয়ে গেছে শুভ্র।মেকাপ ক্লাস টা শেষ করেই ঝেড়ে দৌড় দিয়েছিল,না জানি নিলা কতক্ষন ধরে অপেক্ষা করছে।একটা রিকশা নিতে পারত কিন্তু রাস্তার সিগন্যালে বসে সময় নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই।
নীলা একটা টঙ দোকানের পাশে ছাতা মাথায় দাড়িয়ে আছে।শান্ত স্বভাবের মেয়েরা সাধারণত হুটহাট করে রেগে যায় না,আহ্লাদী টাইপের রাগ এদের মধ্যে নেই এরা রাগ করে যৌক্তিক কারনে আর একবার রেগে গেলে ভয়ঙ্কর কিছু একটা হয়ে জায়।নীলার এই মুহূর্তে খুব রাগ লাগছে সাথে অভিমানও।একটা মেয়ে এই বৃষ্টির মধ্যে একা একা একটা টঙ দোকানের পাশে দাড়িয়ে আছে। কোনো মানে হয়!
চোরা চোখে নীলা দেখল দূর থেকে শুভ্র ফুটপাথ দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে।পথচারীদের পাশ কাতিয়ে,ধাক্কা দিয়ে,তাদের গালিগালাজ উপেক্ষা করে দৌড়ে আসতে লাগল।
সরি...সরি... মেকাপ ক্লাস ছিল... খুব ইম্পরট্যান্ট ক্লাস....ম্যাথ তুলতে ছিলাম...তাই তমাকে রিপ্লাই করতে পারি নি....অ্যাই এম সরি।একনাগাড়ে কথাগুলো বলেই শুভ্র হাঁটুতে হাত রেখে হাঁপাতে লাগল।
ছাতা কই তোমার? নীলা ধমকের সুরে বলল।
ছাতা তো আনতে ভুলে গেছি, শুভ্র বলল।
থাক তোমার কিছু মনে থাকার দরকার নাই।ছাতার নিচে আসো।নীলা উঁচু করে ছাতাটা ধরল,শুভ্র বলতে যাচ্ছিল থাক আমিতো ভিজেই গেছি আমার ছাতা লাগবে না,কিন্তু বলতে পারল না।সে জানে এই কথা বললে আবার ধমক খাবে।ছোট্ট একটা পকেট ছাতার নিচে কোনমতে ওরা পাশাপাশি দাড়িয়ে রইল।
বৃষ্টির ছাট এসে শুভ্রর চশমাটা ভিজে ঝাপসা হয়ে গেছে।নীলার কেন জানি খুব মায়া লাগল।শুভ্রর উপর করা রাগ অভিমানের মেঘ সব পানি হয়ে গেল।নীলা শুভ্রর চশমাটা খুলে নিয়ে ওড়নার কোনা দিয়ে মুছে দিল।ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে বলল নাও চুল নাও।শুভ্র চুল মুছতে মুছতে বলল চল হাটি।নীলা ছাতা বন্ধ করে দিল ।
ছাতা বন্ধ করলে কেন? শুভ্র বলল
বৃষ্টি তো থেমে গেছে তাই।শুভ্র নীলার হাত থেকে ছাতাটা কেড়ে নিয়ে বলল, বৃষ্টি থেমে গেছে তো কি হইসে আবার যেকোনো সময় আসতে পারে, ছাতা থাকুক।
শুভ্র একহাতে ছাতা আর আরেক হাতে নীলার হাত ধরে হাঁটতে লাগল। শুভ্র ভেজা ভেজা হাতে নীলার হাত শক্ত করে ধরে আছে।নিলা রীতিমত ব্যথা পাচ্ছে সেই সাথে আবার ভালও লাগছে।নীলা চায় মানুষটা সারাজীবন ওকে এমন শক্ত করেই ধরে রাখুক।
©somewhere in net ltd.