| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনো অলিখিত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাসটির গ্রন্থকার হওয়ার দাবিদার রামকমল নয় মাস হল নিখোঁজ হয়ে গেছে। সে চিরতরেই নিখোঁজ কিনা এ ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে নয় মাসের মতো দীর্ঘ সময় কেউ নিজেকে ইচ্ছে করলেও লুকিয়ে রাখতে পারার কথা নয় বলেই নিখোঁজটা চিরতরেই বলে মনে হচ্ছে। নয় মাস ধরে তার সাথে আমাদের কারোর দেখা নেই, যোগাযোগ নেই। আমাদের কাছের-দূরের কারোর সাথে না। তারপরও আমরা আশা ছাড়তে চাইলাম না। সম্ভবত এই আশা রামকমলের প্রতি আমাদের ভালবাসা থেকেই শুধু উদ্ভূত না। আমরা মরিয়া হয়ে আশা করছিলাম আমরা দেখব সেই রহস্যময়ী উপন্যাসটির পরিণতি কী ঘটে যেটা লেখার যোগ্যতা রামকমলের পুরোপুরিই ছিল বলে আমরা ভাবতাম।
বাহার খুঁজতে গেল রামকমলের পিতৃপুরুষের ঠিকানায়। ফিরে এসে বলল ওখানে রামকমল নামে কেউ কোনোদিন থাকত না। জয়দীপ কুষ্টিয়া গেল বাউলদের গঞ্জিকার আসরে খুঁজতে। দেখল ওখানে কেউ রামকমল নামের কাউকে চেনে না। রামকমলের গল্পগুলো ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারাতে থাকলেও, অন্য অনেকেই শহরের অনেক সম্ভাব্য আস্তানায় তাকে খুঁজতেই থাকল। অনেক শুভানুধ্যায়ী বড়লোকের বাসায় খোঁজা হল। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার দিয়ে খোঁজা হল। স্পেশাল ব্রাঞ্চে আমার এক বন্ধু ছিল। উত্তরার ম্যাসেজ পার্লারে এবং সদরঘাটের চব্বিশ ঘন্টা খোলা রেস্টুরেন্টে খোঁজা হল। পাতি অস্ত্র কারবারিদেরসহ সকল অবৈধ কারবারিদের গণ্ডাদের মাঝে খোঁজা হল যাদের সাথে শেষ দিকটায় তার বেশ দহরম মহরম দেখা গিয়েছিল।
কেউই কোনো কার্যকর ক্লু দিতে পারল না। যার সাথেই কথা হয় সে-ই বলে— ঐ মালের খোঁজ পেলে আমাকে একটু জানাবেন, আমি ওর কাছে টাকা পাই। এর চেয়েও কঠিন দুর্নাম বদনাম শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠল। কলাবাগানে এক কাস্টমস কর্মচারির তার নেড়ে মাথাটা দেখিয়ে বলল- গল্পটির বাকি অংশ পরতে এখানে ক্লিক করুন।
©somewhere in net ltd.